Bishwajit Mollick    creëerde nieuwe artikel
14 w ·Vertalen

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য | #@adanan

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য

আমাদের চারপাশের পরিবেশগুলো আসলে অনেক সুন্দর
4 d ·Vertalen

@𝑰𝒕'𝒔 𝒚𝒐𝒖𝒓 𝒔𝒉𝒐𝒓𝒐𝒗:বাজারে যাচ্ছিলাম হঠাৎ শুনলাম আপনি পোস্ট করেছেন। তাড়াহুড়ো করে বাড়ি এসে মোবাইল নিয়ে বসলাম। আপনার পোস্টে লাইক কমেন্ট করব বলে , কিন্তু ভাগ্যের কি পরিহাস দেখেন গ্রামে থাকি বলে নেটওয়ার্ক ছিল না । তাই শহরের দিকে চলতে শুরু করলাম এবং প্রায় 5 কিলোমিটার যাবার পর মোবাইলে নেটওয়াক আসলো। বসে পড়ি সেখানেই কারণ হার মানতে আমি শিখিনি । পোস্ট দারুন ঝকঝকে হয়েছে ,এই পোস্ট আগামী দিনের ইতিহাস সৃষ্টি করবে । অসাধারণ ভাব ভঙ্গি দিয়ে পোস্টটি করেছেন আপনি। আমাদের এত সুন্দর পোস্ট দেখানোর জন্য ধন্যবাদ। অপেক্ষা করব আগামী দিন যেন আপনাকে এভাবেই দেখতে পারি।
অসম্ভব ভাল পোস্ট। এক কথায় অনবদ্য। বহুদিন পরে একটা ভাল পোস্ট দেখলাম। একবিংশ শতাব্দীতে এধরনের ছবি আর আগে আসে নি। অনবদ্য এবং অসাধারণ। শুধু যে প্রাসঙ্গিক ও সময় উপযোগী পোস্ট তাই নয়, একেবারে অপরূপ সৌন্দর্যের মূলে কুঠারাঘাত করেছেন। তৃতীয় বিশ্বের একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসাবে আমরা যখন সম্রাজ্যবাদীদের চোখ রাঙ্গানো আর আমলাতান্ত্রীক জটিলতার শিকার হয়ে ক্রমশ এগিয়ে যাচ্ছি একটি অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে; ঠিক তখনি, ঠিক সেই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে আপনার এই পোস্টের মাঝে আমি খুঁজে পাচ্ছি অন্ধকার ঠেলে সামনে এগিয়ে যাওয়ার একটি সম্ভাবনা । আর বিদেশী বেনিয়াদের কাছে বুদ্ধিবৃত্তিক দাসত্ব গ্রহন করার বিপক্ষে একটি সূক্ষ্ম বার্তা। আপনার এই পোস্ট হতে পারে আই এস এর বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাড়ানোর অনুপ্রেরণা। হতে পারে ২০২৬ বিশ্বকাপ জেতার অনুপ্রেরণা। এই পোস্ট হতে পারে ২০৫০ সালের নতুন লায়লি মজনুর প্রেমের কারণ । আপনার এই পোস্ট হতে পারে বাংলাদেশের প্রথম অস্কার বিজয়ী ছবির অনুপ্রেরণা,আপনার এই ছবি সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক সাংস্কৃতিক যেকোনো প্রক্ষাপট নিমিষে পাল্টে দিতে পারে,এই পোস্ট দেখে একজন ক্ষুদার্থ ব্যক্তি সারাদিন না খেয়ে থাকার যন্ত্রণা নিমিষে ভূলে যেতে পারে, সৌন্দর্য দেখার জন্য খুব বেশি দূরে যাওয়ার যে প্রয়োজন নেই তা আপনার পোস্ট দেখে আমি অনুধাবন করলাম, আমার ধারনা বিশ্বের বিখ্যাত সব সমালোচকদের এক সাথে করলেও এই পোস্টের কোন ভূল ধরতে পারবে না,খুব বেশি কিছু বলবনা কারন আবেগে চোখে পানি চলে আসছে। ইহা আসলেই একটি দূর্দান্ত পোস্ট ।🐸🙂🙂

5 d ·Vertalen

জাম খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। এটি হজমে সাহায্য করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ত্বক ভালো রাখে এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। এছাড়াও, জামে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
আরও বিস্তারিতভাবে, জাম খাওয়ার উপকারিতাগুলো হলো:
হজমে সহায়তা:
জামে উচ্চ পরিমাণে ফাইবার থাকায় এটি হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সাহায্য করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি:
জামে ভিটামিন সি এবং অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ:
জাম ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য একটি উপকারী ফল। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সহায়ক।
ত্বকের স্বাস্থ্য:
জামে উপস্থিত ভিটামিন এ এবং সি ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে এবং ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে।
হৃদরোগ প্রতিরোধ:
জামে উপস্থিত পটাশিয়াম হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় এবং হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
ক্লান্তি দূর করে:
জামে থাকা প্রাকৃতিক শর্করা ক্লান্তি দূর করে শরীরে শক্তি যোগাতে সাহায্য করে।
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি:
জাম স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে।
ওজন কমাতে সহায়ক:
জামে উপস্থিত ফাইবার ক্ষুধা কমিয়ে ওজন কমাতে সহায়ক হতে পারে।
মাড়ি ও দাঁত মজবুত করে:
জাম মাড়ি ও দাঁতকে মজবুত করতে সাহায্য করে।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: অতিরিক্ত জাম খাওয়া কিছু ক্ষেত্রে হজমের সমস্যা বা অন্যান্য শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে, তাই পরিমিত পরিমাণে জাম খাওয়া উচিত।

image
5 d ·Vertalen

বরই পাতার অনেক উপকারিতা রয়েছে। এটি ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, চর্মরোগ নিরাময়ে কাজ করে, আলসার প্রতিরোধ করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এছাড়াও, বরই পাতা চুল পড়া বন্ধ করতে এবং ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতেও সহায়ক।
বরই পাতার কিছু উপকারিতা নিচে উল্লেখ করা হলো:
ওজন নিয়ন্ত্রণ:
বরই পাতা ওজন কমাতে সাহায্য করে।
ত্বকের যত্নে:
এটি চর্মরোগ নিরাময়ে সাহায্য করে এবং ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে।
হজমে সহায়তা:
বরই পাতা হজমক্ষমতাকে শক্তিশালী করে এবং পেটের সমস্যা সমাধানে সহায়ক।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা:
বরই পাতায় থাকা উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
চুলের যত্নে:
এটি চুল পড়া বন্ধ করতে এবং চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়ক।
অন্যান্য:
বরই পাতা আলসার প্রতিরোধে, সর্দি-কাশিতে এবং গলা ব্যথায় উপশম দিতে পারে।
বরই পাতা সাধারণত ভেষজ উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং এর বিভিন্ন উপকারিতার জন্য পরিচিত। তবে, কোনো সমস্যা সমাধানে ব্যবহারের আগে একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া ভালো।

image
5 d ·Vertalen

আম খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। এটি ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ একটি ফল, যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
আম খাওয়ার কিছু উপকারিতা নিচে উল্লেখ করা হলো:
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে:
আমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে:
আমে ভিটামিন এ এবং অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে:
আমে থাকা ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বককে উজ্জ্বল ও স্বাস্থ্যকর রাখতে সাহায্য করে।
হজমশক্তি উন্নত করে:
আমে থাকা ফাইবার হজমশক্তি উন্নত করতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সাহায্য করে।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়:
আমে থাকা পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে:
আমে কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে।
ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক:
আমে থাকা ফাইবার ক্ষুধা কমিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হতে পারে।
আম খাওয়ার সময় কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের পরিমিত পরিমাণে আম খাওয়া উচিত, কারণ এতে প্রাকৃতিক চিনি থাকে যা রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে। এছাড়াও, অতিরিক্ত পরিমাণে আম খেলে হজমের সমস্যা বা অ্যালার্জির সমস্যা হতে পারে।

image
5 d ·Vertalen

📍📍নীরবতার সৌন্দর্য: যখন শব্দেরা মূল্য হারায়
মানুষের সম্পর্ক গড়ে ওঠে শব্দ দিয়ে, কিন্তু টিকে থাকে বোঝাপড়া ও মানসিক সংযোগে। আমরা কথা বলি, অনুভূতি প্রকাশ করি, নিজের অবস্থান বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করি এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সব সময় সব কথা সবার কাছে মূল্য পায় না। কখনো কখনো আমরা এমন কারো সঙ্গে কথা বলি, যিনি আমাদের অনুভব করতে চান না, বুঝতে চান না, কেবল নিজের ব্যাখ্যা বা সুবিধাই খোঁজেন। ঠিক সেই মুহূর্তেই সবচেয়ে মূল্যবান ভাষা হয়ে ওঠে নীরবতা।

🧘‍♂️ সব কথার উত্তর শব্দে দিতে হয় না

জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে সব কথার উত্তর উচ্চারণ করতে হয় না। অনেক সময় নীরবতা এমন কিছু বলে দেয়, যা হাজার শব্দেও বোঝানো সম্ভব নয়। কেউ যদি বারবার আপনার কথা অস্বীকার করে, আপনার যুক্তিকে অবজ্ঞা করে, কিংবা আপনার আবেগকে তুচ্ছ করে দেয় তবে সেখানে কথা বলার চেয়ে চুপ থাকাই অধিক অর্থবহ।

কারণ, প্রতিবার ব্যাখ্যা দেওয়া মানেই নিজেকে ছোট করা নয়, বরং একজন অপাত্রের সামনে বারবার নিজেকে প্রকাশ করার চেষ্টা করা মানে নিজের মানসিক শান্তিকে উৎসর্গ করা। আর যে জায়গায় আপনার আবেগ, অভিমত কিংবা ভালোবাসার ভাষার কোনও মূল্য নেই, সেখানে নীরবতা আত্মমর্যাদার প্রতীক হয়ে দাঁড়ায়।

🪞 নীরবতা কখনো কখনো আত্মরক্ষা

নীরবতা মানেই দুর্বলতা নয়। বরং এটি অনেক সময় আত্মসংযমের চূড়ান্ত রূপ। আপনি যখন দেখেন কেউ আপনার কথা বুঝছে না, বা বোঝার চেষ্টাটুকুও করছে না তখন বারবার কথা বলার চেষ্টা আপনাকে ক্লান্ত, আহত ও অবমূল্যায়িত করে তোলে। এরচেয়ে নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে, নিজের সম্মানকে রক্ষা করে চুপ থাকা অনেক বেশি শক্তির পরিচয়।

এটি কোনো পরাজয়ের চিহ্ন নয়, বরং একটি শান্ত ও পরিণত মানুষের সিদ্ধান্ত যিনি জানেন কোন যুদ্ধ লড়তে হয়, আর কোনটি এড়িয়ে চলাই শ্রেয়।

🌿 নীরবতাই অনেক সময় সবচেয়ে জোরালো প্রতিবাদ

বিশ্বের ইতিহাসে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের সূচনা হয়েছে নীরব প্রতিরোধের মাধ্যমে। গৌতম বুদ্ধ থেকে শুরু করে গান্ধীজী পর্যন্ত তাদের অনেক বড় প্রতিবাদ ছিল নিরবতা ও আত্মসংযমের এক অনন্য উদাহরণ।

ঠিক তেমনি ব্যক্তিগত জীবনে, সম্পর্কের টানাপোড়েনে, কিংবা সামাজিক অযাচিত ব্যবহারের মুখে নিরবতা কখনো কখনো হয়ে ওঠে সবচেয়ে শক্তিশালী উত্তর। কারণ, তা ভদ্রতা রাখে, কিন্তু আত্মসম্মান ছাড়ে না।

💬 যখন নীরবতা বলে, "আমি আর বোঝানোর দায় নিচ্ছি না"

নীরবতা সব সময় দুরত্ব তৈরি করে না, বরং অনেক সময় তা আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলে। আপনি যখন নীরব হয়ে যান, তখন অন্যপক্ষ উপলব্ধি করতে বাধ্য হয় আপনার কণ্ঠ স্তব্ধ হয়ে যাওয়া মানে শুধু না বলা নয়, তা একরকম দৃঢ় বার্তা। আপনি বুঝিয়ে দেন “আমি আর বোঝানোর দায় নিচ্ছি না, কারণ তুমি বোঝার মতো জায়গায় নেই।”

উপসংহার

"যখন কারো কাছে কোনো কথার মূল্য থাকে না, তখন নীরবতা বেছে নেওয়াই শ্রেয়।"
এই বাক্যটি কেবল একটি অভিমানের বহিঃপ্রকাশ নয়, বরং তা আত্মমর্যাদা, ধৈর্য ও আত্মনির্ভরতার পরিচয়। আমরা সবাই চাই, আমাদের কথা গুরুত্ব পাক, ভালোবাসা মূল্য পাক, এবং অনুভূতি সম্মান পাক। কিন্তু যেখানে তা অনুপস্থিত, সেখানে নিজেকে রক্ষা করতে হলে, নীরবতা-ই শ্রেষ্ঠ উপায়।

কথা বলা যেমন এক ধরণের শক্তি, তেমনি চুপ থেকে নিজের শান্তি রক্ষা করাও এক অনন্য জ্ঞান। কখন কথা বলতে হবে আর কখন চুপ থাকতে হবে এই ভারসাম্য বুঝতে পারাটাই পরিণত মানুষের পরিচয়।

5 d ·Vertalen

প্রিয় নিসফ আল আফদাল, ভবিষ্যতে সহধর্মিণী

জানো, আমি কোনো রাজপুত্র না। আমার নেই সুগঠিত শরীর, চোখে নেই রোমান্টিক গল্পের মতো মায়া, কণ্ঠেও নেই কবির কাব্যের সুর। আমি হয়তো তোমার স্বপ্নের সেই পারফেক্ট ছেলে না।আমার নেই দামি গাড়ি, ব্র্যান্ডেড ঘড়ি, বা ব্যাংক ব্যালেন্সের ঘনত্ব—কিন্তু আমার আছে একটা হৃদয়, যেখানে শুধুই তোমার জন্য ভালোবাসা জমা আছে।
তুমি যদি কখনো ভাবো (আমার স্বামীটা কেন এমন সাধারণ?)তাহলে আমি বলব, আমি সাধারণই থাকতে চাই, যাতে তোমার ভালোবাসার প্রতিটি স্পর্শে নিজেকে বিশেষ মনে করতে পারি।

জানো, আমি স্বপ্ন দেখি এমন একজন সঙ্গিনীর,
যে পর্দা ভালোবাসে, নম্রতা ধারণ করে,
যে আধুনিকতা নয়, বরং সরলতাকে সম্মান করে,
যে কোরআন-সুন্নাহর আলোকে জীবনকে গঠন করতে চায়,
যে ঘরকে জান্নাত বানাতে চায়—লোক দেখানো সংসার না।আমি চাই না তুমি সাজগোজ করে সবাইকে দেখাওআমি চাই, তুমি আমার জন্য সাজো।
আমি চাই না তুমি হাজার লোকের সামনে হাসো, আমি চাই তুমি শুধু আমার সামনে সেই নিঃশব্দ হেসে বলো তুমি আছো বলেই আমি ভালো আছি।

জানো, আমি চাই না সোনা-দানা, বা সৌন্দর্যের মাপকাঠিতে মাপা কোনো রমণী।
আমি চাই এমন একজন, যার সাথে মিলেমিশে নামাজে দাঁড়াতে পারব, একসাথে কোরআন পড়তে পারব, কাঁধে মাথা রেখে আখিরাতের গল্প করতে পারব।
তুমি ক্লান্ত হলে আমি তোমার পাশে চুপচাপ বসে থাকব।তুমি অসুস্থ হলে আমি গভীর রাতেও তোমার জন্য দোয়া করব।তুমি চোখের পানি ফেললে আমি কাঁদতে না পারলেও ভেতরটা কেঁপে উঠবে কারণ তুমি আমার হৃদয়ের অর্ধেক।তুমি যদি একদিনও বলতে আমার দিনটা খুব কঠিন ছিল,আমি বলব চলো, দু’জন মিলে আল্লাহর কাছে সেজদা দেই… ইনশাআল্লাহ সব ঠিক হয়ে যাবে,,,,,

আমার একটাই চাওয়াতুমি আমাকে ভালোবাসো, আমার প্রতি বিশ্বস্ত থাকো।আমি কোনো প্রতিদান চাই না। চাই শুধু ভালোবাসার বিনিময়ে ভালোবাসা। আর আমার শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত তোমার পাশে থেকে দায়িত্ব পালন করতে চাই।আল্লাহ জানেন, আমি কাকে চাচ্ছি আর আমি তাঁর কাছেই প্রার্থনা করি হে রব, আমাকে এমন একজন দাও, যার সঙ্গে আমি শুধু দুনিয়া নয়, আখিরাতেও থাকব।

আমি অপেক্ষায় আছি.......
কারণ আমি এমন এক সত্তার বান্দা, যিনি কারো দোয়া কখনোই বৃথা যেতে দেন না। তিনি অন্তরগুলোকে বদলে দেন, আর সঠিক সময়েই সঠিক মানুষ পাঠান…✨🌼

1 w ·Vertalen

আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ!
​Mi 11 Ultra সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চেয়েছেন। এটি Xiaomi-এর একটি ফ্ল্যাগশিপ ফোন যা এর অসাধারণ ক্যামেরা এবং প্রিমিয়াম ফিচারের জন্য পরিচিত। আমি এই ফোনটি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য খুঁজে আপনার সামনে তুলে ধরছি।
Mi 11 Ultra হলো Xiaomi-এর একটি ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোন যা ২০২১ সালের এপ্রিলে বাজারে আসে। এটি তার অত্যাধুনিক ক্যামেরা সেটআপ, শক্তিশালী পারফরম্যান্স এবং প্রিমিয়াম ডিজাইনের জন্য পরিচিত।
​এখানে Mi 11 Ultra সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হলো:
​১. ডিজাইন ও বিল্ড কোয়ালিটি:
​মেটেরিয়াল: এটি একটি প্রিমিয়াম ডিভাইস, যার সামনে Corning Gorilla Glass Victus প্রোটেকশন, সিরামিক ব্যাক (Ceramic Black এবং Ceramic White কালারে পাওয়া যায়) এবং অ্যালুমিনিয়াম ফ্রেম রয়েছে।
​ওজন ও ডাইমেনশন: ফোনটি বেশ ভারী (প্রায় ২৩৪ গ্রাম) এবং বড়, যার পরিমাপ ১৬৪.৩ x ৭৪.৬ x ৮.৪ মিমি। এর পুরুত্ব প্রধানত এর বড় ক্যামেরা মডিউলের কারণে।
​IP রেটিং: এতে IP68 রেটিং রয়েছে, যার অর্থ এটি ধুলো এবং ১.৫ মিটার পর্যন্ত জলের নিচে ৩০ মিনিট পর্যন্ত সুরক্ষিত থাকতে পারে।
​সেকেন্ডারি ডিসপ্লে: পেছনের ক্যামেরা মডিউলে একটি ছোট ১.১ ইঞ্চির AMOLED সেকেন্ডারি ডিসপ্লে আছে। এটি সেলফি তোলার সময় ভিউফাইন্ডার হিসেবে, নোটিফিকেশন দেখতে বা সময় দেখার জন্য ব্যবহার করা যায়।
​২. ডিসপ্লে:
​টাইপ ও সাইজ: ৬.৮১ ইঞ্চির WQHD+ AMOLED DotDisplay।
​রেজোলিউশন: 3200 x 1440 পিক্সেল (QHD+), যার পিক্সেল ডেনসিটি ৫১৫ ppi।
​রিফ্রেশ রেট: ১২০Hz অ্যাডাপ্টিভসিঙ্ক ডিসপ্লে (৩০Hz/৬০Hz/৯০Hz/১২০Hz), যা স্ক্রলিং এবং গেমিংয়ের জন্য অত্যন্ত মসৃণ অভিজ্ঞতা দেয়।
​ব্রাইটনেস: এর ডিসপ্লেটি অসাধারণ উজ্জ্বল, যার সর্বোচ্চ ব্রাইটনেস ১৭০০ নিটস (পিক ব্রাইটনেস) পর্যন্ত যায়। এটি HDR10+ এবং Dolby Vision সমর্থন করে।
​টাচ স্যাম্পলিং রেট: ৪৮০Hz টাচ স্যাম্পলিং রেট, যা গেমিংয়ের জন্য খুবই কার্যকর।
​৩. পারফরম্যান্স:
​প্রসেসর: Qualcomm Snapdragon 888 5G (5nm) ফ্ল্যাগশিপ প্রসেসর। এটি তখনকার সবচেয়ে শক্তিশালী চিপসেটগুলোর মধ্যে একটি ছিল, যা যেকোনো হাই-এন্ড গেমিং এবং মাল্টিটাস্কিংয়ের জন্য দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেয়।
​GPU: Adreno 660 GPU।
​RAM ও স্টোরেজ: LPDDR5 RAM এবং UFS 3.1 স্টোরেজ। বিভিন্ন ভেরিয়েন্ট পাওয়া যায়, যেমন:
​৮জিবি RAM + ২৫৬জিবি স্টোরেজ
​১২জিবি RAM + ২৫৬জিবি স্টোরেজ
​১২জিবি RAM + ৫১২জিবি স্টোরেজ
​অপারেটিং সিস্টেম: এটি Android 11 সহ লঞ্চ হয়েছিল এবং পরবর্তীতে Android 13 এবং MIUI 14 পর্যন্ত আপডেট পেয়েছে।
​৪. ক্যামেরা:
এটি Mi 11 Ultra-এর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক। এর ক্যামেরা সেটআপকে "ট্রিপল সিনেমা ক্যামেরা" বলা হয়।
​প্রধান ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল (MP) Samsung GN2 সেন্সর (f/1.95 অ্যাপারচার, ১/১.১২" সেন্সর সাইজ)। এটি একটি অত্যন্ত বড় সেন্সর, যা কম আলোতে চমৎকার ছবি তুলতে এবং প্রাকৃতিক বোকেহ প্রভাব তৈরি করতে সক্ষম। এতে অপটিক্যাল ইমেজ স্টেবিলাইজেশন (OIS) এবং Dual Pixel Pro autofocus রয়েছে।
​আলট্রা-ওয়াইড ক্যামেরা: ৪৮ মেগাপিক্সেল (MP) Sony IMX586 সেন্সর (f/2.2 অ্যাপারচার, ১২৮° ফিল্ড অফ ভিউ)। এতেও অটোফোকাস রয়েছে, যা এটিকে ম্যাক্রো শটের জন্যও ব্যবহার করতে সাহায্য করে।
​টেলিফটো ক্যামেরা: ৪৮ মেগাপিক্সেল (MP) Sony IMX586 সেন্সর (f/4.1 অ্যাপারচার, OIS)। এটি 5x অপটিক্যাল জুম, 10x হাইব্রিড জুম এবং 120x ডিজিটাল জুম সমর্থন করে।
​সামনের ক্যামেরা: ২০ মেগাপিক্সেল (MP) (f/2.2 অ্যাপারচার)।
​ভিডিও রেকর্ডিং: 8K@24fps, 4K@30/60fps, 1080p@30/60/120/240/480/960/1920fps ভিডিও রেকর্ড করতে সক্ষম।
​৫. ব্যাটারি ও চার্জিং:
​ব্যাটারি: ৫০০০ mAh Li-Po ব্যাটারি।
​চার্জিং:
​৬৭W ওয়্যারড ফাস্ট চার্জিং (প্রায় ৪৩ মিনিটে ১০০% চার্জ)।
​৬৭W ওয়্যারলেস ফাস্ট চার্জিং (প্রায় ৩৯ মিনিটে ১০০% চার্জ)।
​১০W রিভার্স ওয়্যারলেস চার্জিং।
​৬. অন্যান্য বৈশিষ্ট্য:
​অডিও: Harman Kardon টিউন করা ডুয়াল স্টেরিও স্পিকার, যা চমৎকার অডিও অভিজ্ঞতা দেয়।
​কানেক্টিভিটি: 5G, Wi-Fi 6E, Bluetooth 5.2, NFC, ইনফ্রারেড ব্লাস্টার (IR Blaster)।
​সেন্সর: ইন-ডিসপ্লে অপটিক্যাল ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর, অ্যাক্সেলেরোমিটার, জাইরো, কম্পাস, কালার স্পেকট্রাম সেন্সর।
​বাংলাদেশে Mi 11 Ultra-এর দাম:
Mi 11 Ultra এখন আর শাওমির অফিশিয়াল স্টোরগুলোতে নতুন পাওয়া যায় না, কারণ এটি পুরোনো ফ্ল্যাগশিপ মডেল। তবে, বাংলাদেশে এটি আনঅফিশিয়াল বাজার বা ব্যবহৃত (used) ফোন হিসেবে পাওয়া যেতে পারে।
​আনঅফিশিয়াল নতুন দাম: শুরুর দিকে এর আনঅফিশিয়াল দাম প্রায় ৳৮৩,০০০ থেকে ৳১,৩০,০০০ (ভেরিয়েন্ট ভেদে) পর্যন্ত দেখা গেছে।
​ব্যবহৃত ফোনের দাম: বর্তমানে, ব্যবহৃত Mi 11 Ultra বাংলাদেশে ৳৩২,০০০ থেকে ৳৪০,০০০ এর মধ্যে পাওয়া যায়, যা এর স্টোরেজ ভেরিয়েন্ট, কন্ডিশন এবং বিক্রেতার উপর নির্ভর করে।
​উপসংহার:
Mi 11 Ultra এমন একটি ফোন যা তার সময়ে ক্যামেরা প্রযুক্তিতে একটি মাইলফলক ছিল। এর শক্তিশালী প্রসেসর, চমৎকার ডিসপ্লে, দ্রুত চার্জিং এবং প্রিমিয়াম বিল্ড এটিকে একটি সম্পূর্ণ ফ্ল্যাগশিপ প্যাকেজ তৈরি করেছে। যদিও এটি এখন পুরোনো মডেল, তবুও ফটোগ্রাফি প্রেমী এবং যারা একটি শক্তিশালী পারফরম্যান্সের ফ্ল্যাগশিপ ফোন খুঁজছেন, তাদের জন্য ব্যবহৃত অবস্থায় এটি একটি ভালো বিকল্প হতে পারে।

1 w ·Vertalen

অ্যাপ থেকে উপার্জিত অর্থ একজন গরীবকে দেওয়ার বিস্তারিত
​আপনার এই উদ্যোগকে সফল করতে কিছু বিষয় পরিষ্কার করা জরুরি। নিচে এর বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হলো:
​১. কেন এই উদ্যোগ?
​মানবতার সেবা: অ্যাপ থেকে উপার্জিত অর্থ অভাবী মানুষের কাছে পৌঁছানোর মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলা যায়।
​সাদকা জারিয়া: ইসলামে দরিদ্রদের সাহায্য করাকে সাদকা জারিয়া (চলমান দান) বলা হয়েছে, যার সওয়াব মৃত্যুর পরও অব্যাহত থাকে।
​ব্র্যান্ডিং ও সুনাম: এই মহৎ উদ্যোগ আপনার অ্যাপের একটি ইতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরি করবে এবং এর প্রতি মানুষের আস্থা ও আকর্ষণ বাড়াবে।
​২. অর্থ সংগ্রহ প্রক্রিয়া
​অ্যাপ থেকে অর্থ উপার্জনের বিভিন্ন উপায় থাকতে পারে, যেমন:
​বিজ্ঞাপন: অ্যাপে দেখানো বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আয়।
​ইন-অ্যাপ পারচেজ: অ্যাপের মধ্যে কোনো বিশেষ ফিচার বা ডিজিটাল পণ্য বিক্রির মাধ্যমে আয়।
​সাবস্ক্রিপশন মডেল: নির্দিষ্ট সুবিধার জন্য ব্যবহারকারীদের থেকে মাসিক বা বার্ষিক সাবস্ক্রিপশন ফি নেওয়া।
​ডোনেশন বা অনুদান: ব্যবহারকারীদের সরাসরি অনুদান দেওয়ার সুযোগ রাখা।
​৩. অর্থ বিতরণের পদ্ধতি
​অর্থ বিতরণের জন্য একটি স্বচ্ছ ও নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি থাকা উচিত:
​সুবিধাভোগী নির্বাচন:
​ব্যক্তিগত যাচাই: একজন প্রকৃত অভাবী ব্যক্তিকে খুঁজে বের করতে হবে, যিনি সত্যিই এই সাহায্যের যোগ্য। এক্ষেত্রে স্থানীয় মসজিদ, মাদ্রাসা বা নির্ভরযোগ্য সামাজিক সংগঠনের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে।
​নির্দিষ্ট মানদণ্ড: কে এই সাহায্যের যোগ্য হবেন, তার কিছু মানদণ্ড ঠিক করা যেতে পারে। যেমন: পরিবারে উপার্জনক্ষম সদস্য নেই, অসুস্থ ব্যক্তি, এতিম, বিধবা, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত ইত্যাদি।
​স্বচ্ছতা:
​প্রকাশনা: যদি সম্ভব হয়, তবে অ্যাপের মধ্যে বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (গোপনীয়তা বজায় রেখে) অর্থ প্রদান সম্পর্কে নিয়মিত আপডেট দেওয়া যেতে পারে। যেমন, কত টাকা সংগ্রহ হলো এবং কাকে সাহায্য করা হলো, তার একটি সাধারণ বিবরণ।
​হিসাবরক্ষণ: সংগৃহীত ও বিতরিত অর্থের একটি পরিষ্কার হিসাব রাখা উচিত।
​বিতরণ প্রক্রিয়া:
​সরাসরি প্রদান: অ্যাপের পক্ষ থেকে সরাসরি সুবিধাভোগীর কাছে অর্থ পৌঁছে দেওয়া।
​বিশ্বস্ত সংগঠনের মাধ্যমে: যদি সরাসরি সম্ভব না হয়, তবে কোনো বিশ্বস্ত এনজিও বা দাতব্য সংস্থার মাধ্যমে অর্থ বিতরণ করা যেতে পারে।
​৪. আইনি ও ইসলামিক দিক
​শরিয়া সম্মতি: অর্থ উপার্জনের পদ্ধতি এবং বিতরণের প্রক্রিয়া ইসলামিক শরিয়া অনুযায়ী হালাল কিনা, তা নিশ্চিত করা উচিত। প্রয়োজনে বিজ্ঞ আলেমদের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।
​আইনি প্রক্রিয়া: যদি বড় পরিসরে কাজ করার পরিকল্পনা থাকে, তবে দাতব্য কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় আইনি নিবন্ধন এবং অনুমতি নেওয়া যেতে পারে।
​৫. প্রচার ও প্রচারণা
​এই মহৎ উদ্যোগটি মানুষের কাছে তুলে ধরার জন্য অ্যাপের বর্ণনা, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট এবং অন্যান্য প্রচারে এর উল্লেখ করা যেতে পারে। এতে মানুষ আপনার অ্যাপ ব্যবহার করতে এবং অর্থ দান করতে উৎসাহিত হবে।
​এই উদ্যোগটি সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য উপরে উল্লিখিত বিষয়গুলো আপনাকে সাহায্য করবে বলে আশা করি। আপনার এই মহৎ উদ্দেশ্য পূরণ হোক, এই কামনা করি।

image
1 w ·Vertalen

অ্যাপ থেকে উপার্জিত অর্থ একজন গরীবকে দেওয়ার বিস্তারিত
​আপনার এই উদ্যোগকে সফল করতে কিছু বিষয় পরিষ্কার করা জরুরি। নিচে এর বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হলো:
​১. কেন এই উদ্যোগ?
​মানবতার সেবা: অ্যাপ থেকে উপার্জিত অর্থ অভাবী মানুষের কাছে পৌঁছানোর মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলা যায়।
​সাদকা জারিয়া: ইসলামে দরিদ্রদের সাহায্য করাকে সাদকা জারিয়া (চলমান দান) বলা হয়েছে, যার সওয়াব মৃত্যুর পরও অব্যাহত থাকে।
​ব্র্যান্ডিং ও সুনাম: এই মহৎ উদ্যোগ আপনার অ্যাপের একটি ইতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরি করবে এবং এর প্রতি মানুষের আস্থা ও আকর্ষণ বাড়াবে।
​২. অর্থ সংগ্রহ প্রক্রিয়া
​অ্যাপ থেকে অর্থ উপার্জনের বিভিন্ন উপায় থাকতে পারে, যেমন:
​বিজ্ঞাপন: অ্যাপে দেখানো বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আয়।
​ইন-অ্যাপ পারচেজ: অ্যাপের মধ্যে কোনো বিশেষ ফিচার বা ডিজিটাল পণ্য বিক্রির মাধ্যমে আয়।
​সাবস্ক্রিপশন মডেল: নির্দিষ্ট সুবিধার জন্য ব্যবহারকারীদের থেকে মাসিক বা বার্ষিক সাবস্ক্রিপশন ফি নেওয়া।
​ডোনেশন বা অনুদান: ব্যবহারকারীদের সরাসরি অনুদান দেওয়ার সুযোগ রাখা।
​৩. অর্থ বিতরণের পদ্ধতি
​অর্থ বিতরণের জন্য একটি স্বচ্ছ ও নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি থাকা উচিত:
​সুবিধাভোগী নির্বাচন:
​ব্যক্তিগত যাচাই: একজন প্রকৃত অভাবী ব্যক্তিকে খুঁজে বের করতে হবে, যিনি সত্যিই এই সাহায্যের যোগ্য। এক্ষেত্রে স্থানীয় মসজিদ, মাদ্রাসা বা নির্ভরযোগ্য সামাজিক সংগঠনের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে।
​নির্দিষ্ট মানদণ্ড: কে এই সাহায্যের যোগ্য হবেন, তার কিছু মানদণ্ড ঠিক করা যেতে পারে। যেমন: পরিবারে উপার্জনক্ষম সদস্য নেই, অসুস্থ ব্যক্তি, এতিম, বিধবা, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত ইত্যাদি।
​স্বচ্ছতা:
​প্রকাশনা: যদি সম্ভব হয়, তবে অ্যাপের মধ্যে বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (গোপনীয়তা বজায় রেখে) অর্থ প্রদান সম্পর্কে নিয়মিত আপডেট দেওয়া যেতে পারে। যেমন, কত টাকা সংগ্রহ হলো এবং কাকে সাহায্য করা হলো, তার একটি সাধারণ বিবরণ।
​হিসাবরক্ষণ: সংগৃহীত ও বিতরিত অর্থের একটি পরিষ্কার হিসাব রাখা উচিত।
​বিতরণ প্রক্রিয়া:
​সরাসরি প্রদান: অ্যাপের পক্ষ থেকে সরাসরি সুবিধাভোগীর কাছে অর্থ পৌঁছে দেওয়া।
​বিশ্বস্ত সংগঠনের মাধ্যমে: যদি সরাসরি সম্ভব না হয়, তবে কোনো বিশ্বস্ত এনজিও বা দাতব্য সংস্থার মাধ্যমে অর্থ বিতরণ করা যেতে পারে।
​৪. আইনি ও ইসলামিক দিক
​শরিয়া সম্মতি: অর্থ উপার্জনের পদ্ধতি এবং বিতরণের প্রক্রিয়া ইসলামিক শরিয়া অনুযায়ী হালাল কিনা, তা নিশ্চিত করা উচিত। প্রয়োজনে বিজ্ঞ আলেমদের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।
​আইনি প্রক্রিয়া: যদি বড় পরিসরে কাজ করার পরিকল্পনা থাকে, তবে দাতব্য কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় আইনি নিবন্ধন এবং অনুমতি নেওয়া যেতে পারে।
​৫. প্রচার ও প্রচারণা
​এই মহৎ উদ্যোগটি মানুষের কাছে তুলে ধরার জন্য অ্যাপের বর্ণনা, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট এবং অন্যান্য প্রচারে এর উল্লেখ করা যেতে পারে। এতে মানুষ আপনার অ্যাপ ব্যবহার করতে এবং অর্থ দান করতে উৎসাহিত হবে।
​এই উদ্যোগটি সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য উপরে উল্লিখিত বিষয়গুলো আপনাকে সাহায্য করবে বলে আশা করি। আপনার এই মহৎ উদ্দেশ্য পূরণ হোক, এই কামনা করি।

1 w ·Vertalen

আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়ারাহমাতুল্লাহি।

​হযরত উমর (রা.) আনুমানিক ৫৮৩ খ্রিস্টাব্দে মক্কার কুরাইশ বংশের বনু আদি গোত্রে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম ছিল খাত্তাব ইবনে নুফাইল এবং মায়ের নাম ছিল হানতামা বিনতে হিশাম। তিনি শৈশবে উট চরাতেন এবং কুরাইশদের মধ্যে একজন প্রভাবশালী ও শক্তিশালী নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তিনি তৎকালীন আরবের ঐতিহ্য অনুযায়ী লেখা, পড়া ও বংশতালিকা সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করেছিলেন।
​ইসলাম গ্রহণ
​ইসলাম গ্রহণের আগে তিনি ছিলেন ইসলামের ঘোর বিরোধী। তিনি রাসূল (সা.) এবং মুসলমানদের উপর নানাভাবে অত্যাচার করতেন। একবার তিনি রাসূল (সা.)-কে হত্যা করার উদ্দেশ্যে তরবারি নিয়ে বেরিয়েছিলেন। পথিমধ্যে এক ব্যক্তি তাকে জানায় যে তার নিজের বোন ও ভগ্নিপতি ইসলাম গ্রহণ করেছেন। এ কথা শুনে তিনি তাদের বাড়িতে যান এবং প্রচণ্ড রাগান্বিত হয়ে তাদের উপর চড়াও হন। সেখানে তিনি সূরা ত্ব-হা-এর কিছু আয়াত পাঠ করেন এবং এর সৌন্দর্য ও সত্যতায় মুগ্ধ হয়ে ইসলাম গ্রহণ করেন। তার ইসলাম গ্রহণের ফলে মুসলমানরা প্রকাশ্যে কাবা ঘরে সালাত আদায় করার সাহস পায়। রাসূল (সা.) তাকে "আল-ফারুক" (সত্য ও মিথ্যার পার্থক্যকারী) উপাধিতে ভূষিত করেন।
​খিলাফতের দায়িত্ব গ্রহণ
​হযরত আবু বকর (রা.)-এর ইন্তেকালের পর তিনি মুসলিম জাহানের দ্বিতীয় খলিফা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তার খিলাফতের মেয়াদকাল ছিল ১০ বছর (৬৩৪-৬৪৪ খ্রিস্টাব্দ)। তিনি এই সময়ে ইসলামী সাম্রাজ্যকে পারস্য, বাইজান্টাইন এবং অন্যান্য অঞ্চলে ব্যাপকভাবে সম্প্রসারিত করেন। তার শাসনামলেই ইসলাম এক বিশাল শক্তিশালী সাম্রাজ্যে পরিণত হয়।
​শাসন ব্যবস্থা ও অবদান
​হযরত উমর (রা.)-এর শাসনামল ছিল ন্যায়, সুবিচার এবং প্রজাহিতৈষী শাসনের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তার কিছু উল্লেখযোগ্য অবদান নিচে উল্লেখ করা হলো:
​ন্যায়পরায়ণতা: তিনি একজন কঠোর ন্যায়পরায়ণ শাসক ছিলেন। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা—সকলের জন্য তার বিচার ছিল সমান।
​প্রশাসনিক সংস্কার: তিনি একটি সুশৃঙ্খল প্রশাসনিক কাঠামো গড়ে তুলেছিলেন। তিনি বিভিন্ন প্রদেশকে বিভক্ত করে সেখানে গভর্নর, বিচারক, ও অন্যান্য কর্মকর্তা নিয়োগ দেন।
​অর্থনৈতিক ব্যবস্থা: তিনি যাকাত এবং কর আদায়ের জন্য আলাদা বিভাগ স্থাপন করেন। সরকারি কোষাগার (বায়তুল মাল) প্রতিষ্ঠা করেন এবং সেনাবাহিনীর জন্য নিয়মিত বেতন প্রদানের ব্যবস্থা করেন।
​নাগরিক সুবিধা: তিনি বিভিন্ন শহরে রাস্তাঘাট, সেতু, মসজিদ এবং সরাইখানা নির্মাণ করেন।
​শিক্ষার প্রসার: তিনি শিক্ষার প্রসারেও গুরুত্ব দেন এবং বিভিন্ন স্থানে মাদ্রাসা স্থাপন করেন।
​শাহাদাত
​৬৪৪ খ্রিস্টাব্দে (২৩ হিজরীর ২৬শে জিলহজ্জ), একজন পারসিক দাস আবু লু'লু'র হাতে ফজরের সালাত আদায় করার সময় তিনি শহীদ হন। তার মৃত্যুর পর হযরত উসমান (রা.) তৃতীয় খলিফা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। হযরত উমর (রা.)-কে মসজিদে নববীতে রাসূল (সা.) ও হযরত আবু বকর (রা.)-এর পাশেই দাফন করা হয়।
​যদি আপনার তার জীবনের কোনো নির্দিষ্ট দিক সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানার আগ্রহ থাকে, তাহলে আমাকে জানাতে

2 w ·Vertalen

বাংলাদেশ, দক্ষিণ এশিয়ার এক চিরসবুজ ব-দ্বীপ রাষ্ট্র, ইতিহাস, সংস্কৃতি আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অনন্য মিশ্রণ। সুদীর্ঘ সংগ্রাম আর আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে ১৯৭১ সালে স্বাধীন হওয়া এই দেশটি আজ বিশ্বের বুকে এক সম্ভাবনাময় জাতি হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। এর পরিচিতি শুধু প্রাকৃতিক দুর্যোগ আর ঘনবসতিতেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং এর রয়েছে এক সমৃদ্ধ ঐতিহ্য, প্রাণবন্ত জনশক্তি আর অপার অর্থনৈতিক সম্ভাবনা।
ভূগোলগতভাবে বাংলাদেশ বিশ্বের বৃহত্তম ব-দ্বীপ অঞ্চল, যা পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা নদীর পলিমাটিতে গঠিত। এই উর্বর ভূমি কৃষির জন্য অত্যন্ত উপযোগী এবং ধান উৎপাদনে দেশকে স্বাবলম্বী করেছে। সুন্দরবন, বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন, জীববৈচিত্র্যে ভরপুর এবং রয়েল বেঙ্গল টাইগারের আবাসস্থল হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত। এছাড়াও কক্সবাজারের দীর্ঘতম প্রাকৃতিক বালুকাময় সমুদ্রসৈকত পর্যটকদের জন্য এক দারুণ আকর্ষণ।
বাংলাদেশের সংস্কৃতি হাজার বছরের ঐতিহ্য আর প্রগতিশীলতার এক সুসংবদ্ধ রূপ। বাংলা ভাষা, যা বিশ্বে পঞ্চম বৃহত্তম কথ্য ভাষা, এই সংস্কৃতির প্রাণকেন্দ্র। পয়লা বৈশাখ, ঈদ, দুর্গাপূজা, বুদ্ধ পূর্ণিমা এবং বড়দিন—এসব উৎসব ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল বাঙালির মিলনমেলায় পরিণত হয়। লোকসংগীত, লোকনৃত্য, জারি-সারি, ভাটিয়ালি, রবীন্দ্রসংগীত, নজরুলগীতি—এগুলো বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যকে ধারণ করে। মসলিন, জামদানি, নকশি কাঁথা, এবং মৃৎশিল্পের মতো ঐতিহ্যবাহী শিল্পকর্মগুলো দেশের সমৃদ্ধ কারুশিল্পের সাক্ষ্য বহন করে। ক্রিকেট বাংলাদেশে এক উন্মাদনার নাম, যা জাতীয় সংহতির প্রতীক হয়ে উঠেছে।
অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশ সাম্প্রতিক দশকগুলোতে এক অসাধারণ অগ্রগতি অর্জন করেছে। কৃষি থেকে শিল্প ও সেবা খাতে অর্থনীতির রূপান্তর চোখে পড়ার মতো। তৈরি পোশাক শিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড, যা বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। রেমিট্যান্স, অর্থাৎ প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাঠানো অর্থ, দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে শক্তিশালী করেছে এবং গ্রামীণ অর্থনীতিতে গতি এনেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নের দিকেও দেশটি দ্রুত এগিয়ে চলেছে, যা তথ্যপ্রযুক্তি খাতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করছে। পদ্মা সেতু, ঢাকা মেট্রো রেলের মতো মেগা প্রকল্পগুলো অবকাঠামোগত উন্নয়নে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছে।
তবে বাংলাদেশের সামনে এখনও কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব, ঘনবসতির চাপ, নগরায়নের সমস্যা, এবং সুশাসনের মতো বিষয়গুলোতে আরও মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখা এবং সবার জন্য মানসম্মত সেবা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। নারী ক্ষমতায়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে দেশ বেশ অগ্রগতি অর্জন করলেও, এই প্রচেষ্টা আরও জোরদার করা উচিত।
সংক্ষেপে, বাংলাদেশ এক সাহসী এবং কর্মঠ জাতির আবাসস্থল, যারা প্রতিকূলতা পেরিয়ে উন্নতির পথে হাঁটতে জানে। এর জনগণ তাদের স্থিতিস্থাপকতা, সৃজনশীলতা এবং অতিথিপরায়ণতার জন্য পরিচিত। পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলার সাথে সাথে, বাংলাদেশ ২১ শতকে বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এবং গতিশীল অর্থনীতি হিসেবে নিজের স্থান করে নিতে প্রস্তুত। এটি এমন একটি দেশ যা তার অতীত থেকে শিখেছে এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে আছে।

3 w ·Vertalen

রাশিয়ার প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলে শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর সুনামি সতর্কতা

রাশিয়ার দূরপ্রাচ্যের কামচাটকা উপদ্বীপে প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলে এক শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে, যার ফলে অঞ্চলজুড়ে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। স্থানীয় সময় অনুযায়ী ভোরবেলা এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়, যার রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৭.৫ এরও বেশি। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ভূ-পৃষ্ঠের প্রায় ১০ কিলোমিটার গভীরে এবং এটি প্রশান্ত মহাসাগরের তলদেশে ঘটেছে।

রাশিয়ার ভূ-প্রতিরক্ষা সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র জানিয়েছে, ভূমিকম্পটি এতটাই তীব্র ছিল যে কামচাটকা উপদ্বীপের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ঘরবাড়ি কেঁপে ওঠে এবং বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসে। উপকূলবর্তী এলাকায় ঝুঁকি এড়াতে স্থানীয় প্রশাসন বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলেছে।

সুনামি সতর্কতা জারি

ভূমিকম্পের পরপরই রাশিয়ার জরুরি ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় সুনামি সতর্কতা কেন্দ্র সুনামির আশঙ্কা প্রকাশ করে সতর্কতা জারি করে। বিশেষ করে কামচাটকার পূর্ব উপকূল, কুরিল দ্বীপপুঞ্জ এবং জাপানের উত্তরাঞ্চলে সম্ভাব্য সুনামির জন্য নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। ইতোমধ্যে কিছু এলাকায় ০.৫ থেকে ১ মিটার উচ্চতার ঢেউ দেখা গেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম।

তবে এখনো পর্যন্ত বড় ধরনের সুনামির ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। কর্তৃপক্ষ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে এবং পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছে। প্রশান্ত মহাসাগরের রিং অব ফায়ার অঞ্চলটি পৃথিবীর অন্যতম ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা, যেখানে এই ধরনের ঘটনা প্রায়ই ঘটে থাকে।

বাসিন্দাদের করণীয়

প্রশাসন স্থানীয় বাসিন্দাদের উচ্চভূমির দিকে সরে যেতে বলেছে এবং সতর্ক করেছে যেন তারা উপকূলবর্তী এলাকা থেকে দূরে থাকে যতক্ষণ না সুনামির আশঙ্কা পুরোপুরি কেটে যায়। সাইরেন বাজিয়ে এবং মোবাইল এসএমএস এর মাধ্যমে সতর্কবার্তা প্রচার করা হয়েছে। স্কুল, হাসপাতাল এবং সরকারি দফতরগুলো সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক সহায়তা এবং প্রস্তুতি

রাশিয়া এই জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় জরুরি সেবা বিভাগ, রেডক্রস এবং স্বেচ্ছাসেবকদের মাঠে নামিয়েছে। বিভিন্ন দেশ থেকেও এই দুর্যোগ পরিস্থিতিতে সহায়তার প্রস্তাব আসতে শুরু করেছে। জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র এই ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ করছে এবং নিজেদের উপকূলেও নজরদারি বাড়িয়েছে।

অতীতের অভিজ্ঞতা

উল্লেখ্য, ২০১১ সালে জাপানে ৯.০ মাত্রার ভূমিকম্প এবং পরবর্তী সুনামিতে প্রায় ২০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল এবং ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেই স্মৃতি মাথায় রেখেই রাশিয়ার বর্তমান প্রস্তুতি এবং সতর্কতা বেশ গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া হচ্ছে।

উপসংহার

এই ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় সচেতনতা ও সতর্কতাই সবচেয়ে বড় প্রতিরক্ষা। রাশিয়ার প্রশাসন এখন পর্যন্ত যেভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে, তা প্রশংসনীয়। তবে প্রকৃতি কখন কীভাবে আচরণ করবে, তা নির্ধারণ করা কঠিন। তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে এবং সরকারি নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।

পরিস্থিতির আরও উন্নয়ন ঘটলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ থেকে আপডেট জানানো হবে। জনগণকে অনুরোধ করা হয়েছে, তারা যেন গুজব ছড়ানো থেকে বিরত থাকে এবং শুধুমাত্র বিশ্বস্ত সংবাদমাধ্যম বা সরকারি তথ্যের উপর ভিত্তি করেই সিদ্ধান্ত নেয়।

image
3 w ·Vertalen

সৌন্দর্য মনের আয়নায় ফুটে ওঠে।

3 w ·Vertalen

নীরবতাও এক ধরনের সৌন্দর্য।

3 w ·Vertalen

ভূমিকম্পের ফল্ট ক্র্যাকিংয়ের প্রথম ভিডিও আরেকটি বিস্ময় প্রকাশ করেছে

সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা এক নজিরবিহীন ঘটনাকে ক্যামেরাবন্দি করেছেন, যা ভূমিকম্প গবেষণার ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ভূ-পৃষ্ঠের নীচে ঘটে যাওয়া ফল্ট লাইনের ক্র্যাকিং বা ভাঙন প্রথমবারের মতো ভিডিও আকারে ধরা পড়েছে। এই দৃশ্য বিজ্ঞানী এবং ভূতত্ত্ববিদদের কাছে যেমন বিস্ময়ের, তেমনি মানবজাতির জন্য এটি সতর্কবার্তাও বয়ে এনেছে।

ফল্ট লাইনের ক্র্যাকিং কী?

পৃথিবীর ভূত্বক বিভিন্ন টেকটোনিক প্লেট দ্বারা গঠিত। এই প্লেটগুলো যখন একে অপরের দিকে সরে আসে বা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়, তখন ভূমিকম্প সৃষ্টি হয়। এই প্রক্রিয়ার সময়, ফল্ট লাইন নামক একটি নির্দিষ্ট রেখা বরাবর মাটি ভেঙে যায় বা সরে যায়। এই ভাঙনকে বলে ফল্ট ক্র্যাকিং।

সাধারণত এই ঘটনাগুলো পৃথিবীর গভীরে ঘটে, যা মানুষের চোখে দেখা যায় না। তবে এবার ক্যালিফোর্নিয়ার একটি পরীক্ষাগারে অত্যন্ত উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই ঘটনাটি ভিডিও আকারে ধারণ করা সম্ভব হয়েছে।

কিভাবে ধারণ করা হয় এই ভিডিও?

এই গবেষণাটি পরিচালনা করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি ভূতাত্ত্বিক গবেষণা দল। তাঁরা একটি বিশেষ ধরনের “বিগ শেক সিমুলেটর” তৈরি করেন, যেখানে প্রাকৃতিকভাবে একটি ক্ষুদ্র ভূমিকম্পের অনুকরণ করা হয়। হাই-স্পিড ক্যামেরা এবং সেন্সর ব্যবহার করে তারা ফল্ট লাইনের আচরণ পর্যবেক্ষণ করেন। কয়েক মিলিসেকেন্ডের মধ্যে কীভাবে একটি শিলা ভেঙে যায়, চাপ ছড়িয়ে পড়ে এবং তরঙ্গ সৃষ্টির মাধ্যমে চারপাশে কাঁপুনি পৌঁছায়, তা অত্যন্ত স্পষ্টভাবে ধরা পড়ে।

ভিডিওটি থেকে কী জানা যায়?

ভিডিওটি প্রকাশের পর বিজ্ঞানীরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আবিষ্কার করেছেন। যেমন—

ভাঙনের গতি: আগে ধারণা করা হতো, ফল্ট ক্র্যাকিং ধীরে ধীরে ঘটে। কিন্তু এই ভিডিও দেখায়, এটি অনেক বেশি দ্রুত, শব্দের গতির কাছাকাছি হারে ঘটে।

ভাঙনের শুরু ও বিস্তার: কোন স্থানে প্রথম চাপ জমা হয় এবং তা কোথা থেকে ফেটে পড়ে, সেই তথ্যও স্পষ্টভাবে বিশ্লেষণ করা যায়।

পূর্বাভাসের সম্ভাবনা: ভিডিও এবং সেন্সর ডেটা বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা ভূমিকম্প পূর্বাভাস দেওয়ার নতুন সম্ভাবনার কথা বলছেন।

কেন এটি বিস্ময়কর?

এই ভিডিও শুধু একটি বৈজ্ঞানিক কীর্তি নয়, এটি আমাদের কাছে প্রকৃতির ভেতরের রহস্য উন্মোচনের একটি জানালা খুলে দিয়েছে। আমরা এতদিন যা কেবল হিসাব-নিকাশ ও কম্পিউটার মডেলের মাধ্যমে বুঝতাম, এবার তা চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি। এটি ভূমিকম্প গবেষণার জন্য এক ঐতিহাসিক মাইলফলক।

সাধারণ মানুষের জন্য এর গুরুত্ব

যদিও এটি একটি গবেষণাগার-ভিত্তিক ভিডিও, তবুও এর তাৎপর্য অত্যন্ত গভীর। বিশ্বব্যাপী ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকাগুলোর জন্য এই গবেষণা একটি নতুন আশার আলো নিয়ে এসেছে। ভূমিকম্পের আগাম সতর্কবার্তা বা কম ক্ষয়ক্ষতি নিশ্চিত করার জন্য ভবিষ্যতে এই ধরনের গবেষণা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

বিজ্ঞানীদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

গবেষকরা জানান, তাঁরা এখন আরও বড় এবং জটিল সিমুলেশন তৈরির পরিকল্পনা করছেন। ভূ-পৃষ্ঠের বিভিন্ন গঠন অনুযায়ী ফল্ট লাইনের ভিন্ন আচরণ কেমন হয়, তা নিয়েও গবেষণা চলছে। তাছাড়া AI (Artificial Intelligence) প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে ফল্ট লাইনের ক্রমাগত পর্যবেক্ষণ করা এবং পূর্বাভাস উন্নত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

উপসংহার

এই প্রথমবারের মতো ফল্ট ক্র্যাকিংয়ের ভিডিও আমাদের কাছে এক নতুন বাস্তবতা উন্মোচন করেছে। এটি প্রমাণ করে, বিজ্ঞান কতদূর এগিয়েছে এবং মানবজাতি এখন প্রকৃতির সবচেয়ে গভীর ও শক্তিশালী ঘটনাগুলো বুঝতে পারছে। তবে এ থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের আরও সতর্ক হতে হবে এবং দুর্যোগ মোকাবেলার প্রস্তুতি জোরদার করতে হবে। ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতি কমাতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির হাত ধরেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।

image
3 w ·Vertalen

গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্স বনাম রংপুর রাইডার্স: উত্তেজনাপূর্ণ এক মুখোমুখি দ্বৈরথ

ক্রিকেট বিশ্বে ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক টুর্নামেন্টগুলো প্রতিনিয়তই নতুন নতুন চমক নিয়ে আসে। সেই ধারায় যদি ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (CPL) এর গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্স এবং বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (BPL) এর রংপুর রাইডার্স মুখোমুখি হয়, তবে তা হবে এক রোমাঞ্চকর লড়াই।

গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্স বরাবরই পরিচিত তাদের শক্তিশালী বোলিং ইউনিট ও উদীয়মান তরুণদের জন্য। ক্যারিবিয়ান তারকাদের পাশাপাশি রয়েছে আন্তর্জাতিক মানের খেলোয়াড়দের দারুণ সমন্বয়। অন্যদিকে, রংপুর রাইডার্সও পিছিয়ে নেই। একাধিক জাতীয় তারকা ও অভিজ্ঞ বিদেশি ক্রিকেটার নিয়ে দলটি সবসময়ই শিরোপার অন্যতম দাবিদার।

ধরা যাক এই ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে। টসে জিতে গায়ানা প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিল। শুরুটা হয় ধীর গতিতে, কিন্তু মিডল অর্ডারে রোমারিও শেফার্ড ও শাই হোপের ঝড়ো ইনিংসে স্কোর দাঁড়ায় ১৬৫। রংপুরের হয়ে হাসান মাহমুদ ও তাসকিন আহমেদ দুর্দান্ত বল করেন।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে রংপুরের শুরুটা হয় দুর্দান্ত। রনি তালুকদার ও ব্র্যান্ডন কিং ওপেনিং জুটিতে ৫০+ রান যোগ করেন। কিন্তু এরপর গায়ানার স্পিনার গুডকেশ মটির দুর্দান্ত বোলিংয়ে রংপুরের মিডল অর্ডার ভেঙে পড়ে। শেষদিকে শামীম পাটোয়ারী কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও রান তাড়া অসম্পূর্ণ থেকে যায়।

ফলাফল: গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্স ১৫ রানে জয়লাভ করে।

এমন এক ম্যাচে দু’দলের মধ্যে দেখা যায় কঠিন প্রতিযোগিতা, টান টান উত্তেজনা ও অসাধারণ পারফরম্যান্স। যদি সত্যি এই দুটি দল কখনও মুখোমুখি হয়, তবে তা নিশ্চিতভাবেই ক্রিকেট ভক্তদের জন্য হবে এক স্মরণীয় অভিজ্ঞতা।

শেষ কথা: CPL বনাম BPL-এর এই কল্পিত লড়াই ক্রিকেটের সৌন্দর্য ও বৈচিত্র্যকে আরও একধাপ এগিয়ে দেয়।

image
3 w ·Vertalen

সৌন্দর্য

image
3 w ·Vertalen

গত দুইদিনে দেখা ৬টি মুভির শর্ট রিভিউ দিচ্ছি:

[𝗡𝗼 𝗦𝗽𝗼𝗶𝗹𝗲𝗿]

🔹 𝗦𝘂𝗽𝗲𝗿𝗺𝗮𝗻 (𝟮𝟬𝟮𝟱): ডিসি ইউনিভার্সে জেমস গানের মাধ্যমে আগমন হলো নতুন সুপারম্যানের। এবার তাকে গড হিসেবে নয় বরং এক মানবিক রূপে দারুণভাবে তুলে ধরা হয়েছে। গল্প খুবই সাধারন তবে প্রেজেন্টেশন ভালো ছিলো। মিউজিক, অ্যাকশন, সিনেমাটোগ্রাফি এবং ভিএফএক্স এর কাজ দেখতে খারাপ লাগেনি। [𝗣𝗲𝗿𝘀𝗼𝗻𝗮𝗹 𝗥𝗮𝘁𝗶𝗻𝗴: 𝟴/𝟭𝟬]

🔹 𝗡𝗮𝗿𝗶𝘃𝗲𝘁𝘁𝗮 (𝟮𝟬𝟮𝟱): মালায়লাম ইন্ডাস্ট্রি থেকে আরো একটি দারুণ কপ থ্রিলার মুভি। 𝟮𝟬𝟬𝟯 সালের একটি সত্যি ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত এই মুভির গল্পে প্রথমার্ধে কিছুটা স্লো লাগলেও দ্বিতীয়ার্ধে পুরোপুরি থ্রিল পাবেন। টভিনো থমাস সহ প্রতিটি চরিত্রে অভিনয় অসাধারন। এছাড়া কেরালার সৌন্দর্য তো রয়েছেই। [𝗣𝗲𝗿𝘀𝗼𝗻𝗮𝗹 𝗥𝗮𝘁𝗶𝗻𝗴: 𝟴/𝟭𝟬]

🔹 𝗝𝘂𝗿𝗮𝘀𝘀𝗶𝗰 𝗪𝗼𝗿𝗹𝗱: 𝗥𝗲𝗯𝗶𝗿𝘁𝗵 (𝟮𝟬𝟮𝟱): পুরনো খাবারকে নতুনভাবে পরিবেশনের চেষ্টা। সকলেই জানি জুরাসিক পার্কের মুভিগুলোতে ডায়নোসর থাকবে, বিজ্ঞানিরা থাকবে এবং একটি পরিবার মাস্ট থাকবেই। এই মুভিতেও ব্যতিক্রম কিছু নেই। দেখার মতো শুধু রয়েছে স্কারলেট জোহানসন আর ডায়নোসরদের ভিজুয়াল। [𝗣𝗲𝗿𝘀𝗼𝗻𝗮𝗹 𝗥𝗮𝘁𝗶𝗻𝗴: 𝟲/𝟭𝟬]

🔹 𝗔𝗮𝗽 𝗝𝗮𝗶𝘀𝗮 𝗞𝗼𝗶 (𝟮𝟬𝟮𝟱): মুভির মূল আকর্ষণ ছিল আর. মাধবনের অভিনয় এবং ফাতিমা সানা শেকের সাথে তার কেমিস্ট্রি। ভিজুয়াল, সিনেমাটোগ্রাফি এবং ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ভালো হলেও স্ক্রিনপ্লে দুর্বল, এবং গল্পটাও একপাক্ষিক মনে হয়েছে। একবার দেখার মতো এভারেজ রোমান্টিক ড্রামা। [𝗣𝗲𝗿𝘀𝗼𝗻𝗮𝗹 𝗥𝗮𝘁𝗶𝗻𝗴: 𝟲.𝟱/𝟭𝟬]

🔹 𝗔𝗮𝗻𝗸𝗵𝗼𝗻 𝗞𝗶 𝗚𝘂𝘀𝘁𝗮𝗸𝗵𝗶𝘆𝗮𝗮𝗻 (𝟮𝟬𝟮𝟱): এই মুভিটা সবচেয়ে বেশি অবাস্তব লেগেছে। কেন একথা বললাম তা মুভিতে জানতে পারবেন। মুভিতে দেখার মতো ছিলো বিক্রান্ত ম্যাসি এবং শানায়া কাপুরের অভিনয়। বিক্রান্ত ম্যাসি একজন অন্ধের চরিত্রে ছিলেন কিন্তু কিছু জায়গায় তাকে দেখলে মনে হচ্ছিলো না সে অন্ধ। দুর্বল স্ক্রিনপ্লে আর রানটাইমও অনেক বেশি লেগেছে। যদিও মিউজিকগুলো ভালো ছিলো। একবার দেখার মতো রোমান্টিক ড্রামা। [𝗣𝗲𝗿𝘀𝗼𝗻𝗮𝗹 𝗥𝗮𝘁𝗶𝗻𝗴: 𝟱.𝟱/𝟭𝟬]

🔹 𝗡𝗶𝗻𝗷𝗮: 𝗦𝗵𝗮𝗱𝗼𝘄 𝗼𝗳 𝗮 𝗧𝗲𝗮𝗿 (𝟮𝟬𝟭𝟯): 𝗔𝗮𝗮𝗮𝗮𝗮𝗵𝗵𝗵𝗵!!! একজন অ্যাকশন লাভার হিসেবে এই মুভি এতোদিন লিস্টে রাখা ঠিক হয়নি। যদিও গল্পের দিক থেকে দেখতে গেলে এটা তেমন কোনো স্ট্রং গল্প নয়। সেই একই ড্রাগ, স্ত্রী হত্যার প্রতিশোধ নিয়েই গল্প। কিন্তু অ্যাকশনে কমতি ছিলো না কোনো অংশে। হ্যান্ড টু হ্যান্ড অ্যাকশনগুলো দারুণ উপভোগ করেছি। না দেখলে দেখে ফেলতে পারেন। [𝗣𝗲𝗿𝘀𝗼𝗻𝗮𝗹 𝗥𝗮𝘁𝗶𝗻𝗴: 𝟳.𝟱/𝟭𝟬]

3 w ·Vertalen

গত দুইদিনে দেখা ৬টি মুভির শর্ট রিভিউ দিচ্ছি:

[𝗡𝗼 𝗦𝗽𝗼𝗶𝗹𝗲𝗿]

🔹 𝗦𝘂𝗽𝗲𝗿𝗺𝗮𝗻 (𝟮𝟬𝟮𝟱): ডিসি ইউনিভার্সে জেমস গানের মাধ্যমে আগমন হলো নতুন সুপারম্যানের। এবার তাকে গড হিসেবে নয় বরং এক মানবিক রূপে দারুণভাবে তুলে ধরা হয়েছে। গল্প খুবই সাধারন তবে প্রেজেন্টেশন ভালো ছিলো। মিউজিক, অ্যাকশন, সিনেমাটোগ্রাফি এবং ভিএফএক্স এর কাজ দেখতে খারাপ লাগেনি। [𝗣𝗲𝗿𝘀𝗼𝗻𝗮𝗹 𝗥𝗮𝘁𝗶𝗻𝗴: 𝟴/𝟭𝟬]

🔹 𝗡𝗮𝗿𝗶𝘃𝗲𝘁𝘁𝗮 (𝟮𝟬𝟮𝟱): মালায়লাম ইন্ডাস্ট্রি থেকে আরো একটি দারুণ কপ থ্রিলার মুভি। 𝟮𝟬𝟬𝟯 সালের একটি সত্যি ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত এই মুভির গল্পে প্রথমার্ধে কিছুটা স্লো লাগলেও দ্বিতীয়ার্ধে পুরোপুরি থ্রিল পাবেন। টভিনো থমাস সহ প্রতিটি চরিত্রে অভিনয় অসাধারন। এছাড়া কেরালার সৌন্দর্য তো রয়েছেই। [𝗣𝗲𝗿𝘀𝗼𝗻𝗮𝗹 𝗥𝗮𝘁𝗶𝗻𝗴: 𝟴/𝟭𝟬]

🔹 𝗝𝘂𝗿𝗮𝘀𝘀𝗶𝗰 𝗪𝗼𝗿𝗹𝗱: 𝗥𝗲𝗯𝗶𝗿𝘁𝗵 (𝟮𝟬𝟮𝟱): পুরনো খাবারকে নতুনভাবে পরিবেশনের চেষ্টা। সকলেই জানি জুরাসিক পার্কের মুভিগুলোতে ডায়নোসর থাকবে, বিজ্ঞানিরা থাকবে এবং একটি পরিবার মাস্ট থাকবেই। এই মুভিতেও ব্যতিক্রম কিছু নেই। দেখার মতো শুধু রয়েছে স্কারলেট জোহানসন আর ডায়নোসরদের ভিজুয়াল। [𝗣𝗲𝗿𝘀𝗼𝗻𝗮𝗹 𝗥𝗮𝘁𝗶𝗻𝗴: 𝟲/𝟭𝟬]

🔹 𝗔𝗮𝗽 𝗝𝗮𝗶𝘀𝗮 𝗞𝗼𝗶 (𝟮𝟬𝟮𝟱): মুভির মূল আকর্ষণ ছিল আর. মাধবনের অভিনয় এবং ফাতিমা সানা শেকের সাথে তার কেমিস্ট্রি। ভিজুয়াল, সিনেমাটোগ্রাফি এবং ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ভালো হলেও স্ক্রিনপ্লে দুর্বল, এবং গল্পটাও একপাক্ষিক মনে হয়েছে। একবার দেখার মতো এভারেজ রোমান্টিক ড্রামা। [𝗣𝗲𝗿𝘀𝗼𝗻𝗮𝗹 𝗥𝗮𝘁𝗶𝗻𝗴: 𝟲.𝟱/𝟭𝟬]

🔹 𝗔𝗮𝗻𝗸𝗵𝗼𝗻 𝗞𝗶 𝗚𝘂𝘀𝘁𝗮𝗸𝗵𝗶𝘆𝗮𝗮𝗻 (𝟮𝟬𝟮𝟱): এই মুভিটা সবচেয়ে বেশি অবাস্তব লেগেছে। কেন একথা বললাম তা মুভিতে জানতে পারবেন। মুভিতে দেখার মতো ছিলো বিক্রান্ত ম্যাসি এবং শানায়া কাপুরের অভিনয়। বিক্রান্ত ম্যাসি একজন অন্ধের চরিত্রে ছিলেন কিন্তু কিছু জায়গায় তাকে দেখলে মনে হচ্ছিলো না সে অন্ধ। দুর্বল স্ক্রিনপ্লে আর রানটাইমও অনেক বেশি লেগেছে। যদিও মিউজিকগুলো ভালো ছিলো। একবার দেখার মতো রোমান্টিক ড্রামা। [𝗣𝗲𝗿𝘀𝗼𝗻𝗮𝗹 𝗥𝗮𝘁𝗶𝗻𝗴: 𝟱.𝟱/𝟭𝟬]

🔹 𝗡𝗶𝗻𝗷𝗮: 𝗦𝗵𝗮𝗱𝗼𝘄 𝗼𝗳 𝗮 𝗧𝗲𝗮𝗿 (𝟮𝟬𝟭𝟯): 𝗔𝗮𝗮𝗮𝗮𝗮𝗵𝗵𝗵𝗵!!! একজন অ্যাকশন লাভার হিসেবে এই মুভি এতোদিন লিস্টে রাখা ঠিক হয়নি। যদিও গল্পের দিক থেকে দেখতে গেলে এটা তেমন কোনো স্ট্রং গল্প নয়। সেই একই ড্রাগ, স্ত্রী হত্যার প্রতিশোধ নিয়েই গল্প। কিন্তু অ্যাকশনে কমতি ছিলো না কোনো অংশে। হ্যান্ড টু হ্যান্ড অ্যাকশনগুলো দারুণ উপভোগ করেছি। না দেখলে দেখে ফেলতে পারেন। [𝗣𝗲𝗿𝘀𝗼𝗻𝗮𝗹 𝗥𝗮𝘁𝗶𝗻𝗴: 𝟳.𝟱/𝟭𝟬]

3 w ·Vertalen

গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট...পুরোটা পড়বেন প্লিজ...🙏

🐾 কুকুর মিলনের সময় "আটকে যাওয়া" কেন ঘটে?
জনসচেতনতার জন্য একটি বার্তা -
পশু চিকিৎসক ও প্রাণীবিজ্ঞানীরা প্রকৃতিতে এমন অনেক বিষয় পর্যবেক্ষণ করেন যা অনেকের কাছে অদ্ভুত বা অস্বস্তিকর মনে হতে পারে — যেমন, কুকুর মিলনের সময় “আটকে” যাওয়া।
দুঃখজনকভাবে, এই প্রাকৃতিক আচরণটি অনেকেই ভুলভাবে ব্যাখ্যা করেন এবং তখন অনেকেই নিষ্ঠুর আচরণ করেন — কুকুরকে লাথি মারা, আঘাত করা বা জোরপূর্বক আলাদা করার চেষ্টা করেন।

🧠 কিন্তু চলুন জেনে নিই, আসলে কী ঘটে তখন?

কুকুরের প্রজনন প্রক্রিয়ায় একাধিক ধাপ থাকে। এর মধ্যে একটি ধাপ হলো “টাই” বা আটকে থাকার ধাপ। এই সময় পুরুষ কুকুরের পুরুষাঙ্গের একটি অংশ (Bulbus glandis) ফুলে যায়, আর একই সময়ে স্ত্রী কুকুরের যৌন অঙ্গে পেশি সংকোচন ঘটে — ফলে দু’জন স্বাভাবিকভাবেই আটকে যায়।

⏱ এই অবস্থা ৫ থেকে ৪৫ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। এটা দেখতে অস্বাভাবিক মনে হলেও এটি একেবারে স্বাভাবিক এবং কুকুরদের জন্য বেদনার নয়। এই সময়টাতে প্রজননের জন্য প্রয়োজনীয় তরল নির্গত হয়।

❌ জোরপূর্বক আলাদা করলে কী হতে পারে?
🔴 উভয় কুকুরের দেহে পেশি ছিঁড়ে যেতে পারে।
🔴 স্ত্রী কুকুরের প্রজননতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, এমনকি বন্ধ্যাত্ব হতে পারে।
🔴 পুরুষ কুকুরের অভ্যন্তরীণ অঙ্গ যেমন কিডনি পর্যন্ত ক্ষতির আশঙ্কা থাকে।

✅ অনুরোধ:
দয়া করে হস্তক্ষেপ করবেন না।
কুকুররা তাদের স্বাভাবিক প্রজনন আচরণ অনুসরণ করছে। তারা কাউকে ক্ষতি করছে না।

দয়া করে তাদের প্রতি সদয় হন।

🕊️ প্রকৃতিকে তার নিজস্ব নিয়মে চলতে দিন।

📣 মনে রাখুন:
সচেতনতা ও সহানুভূতি — এ দুটোই সবচেয়ে বড় মানবতা।
সব প্রাণীর প্রতি সদয় হোন। 🌺 #savelife