আমাদের মাঝে বেঁচে থাকার আলো,
আমাদের মাঝে ঝরে পড়া কালো।
আমাদের মাঝে উতপ্ত নীলিমার
আঁধারের ভেতর জ্বলে ওঠা তারার
ঝরে পড়ার কুৎসিত দৃশ্যগুলো
নাটকের মঞ্চে উঠেছিল।
এই দেশ এই মাটির মাঝে
দেখো দেখো দানব খুঁজিছে
নরকের অতল গহবরে
নিয়ে যাবে বলে।
আর না আর না!!!
পোড়ামাটির গন্ধের বেদনা
দৃঢ়তর আমাদের মনেতে কেঁদোনা,
নেই নেই নেই, এখানে সুখের প্রদীপ নেই,
তারে আমি অন্ধকারের গন্ধ ধুপ দেই।
(কবেকার লেখা জানি না)
গল্প: প্রিয় বন্ধু
[আমি আবার কাচের বাগানের পরিচর্যা করছিলাম। আজকের কাজ ছিল একটি মনার্ক রোজ (Monarch Rose), যার পাপড়িগুলো এত পাতলা যে ভারী নিঃশ্বাস নিলেও কেঁপে ওঠে। যখন আমি এর কাণ্ডে গলিত অ্যাম্বারের শেষ প্রলেপ লাগাচ্ছিলাম, তখন আমার হাত কেঁপে গেল। হতাশা থেকে জন্ম নেওয়া একটি গরম অশ্রুবিন্দু বাইরের পাপড়ির উপর পড়ল। এটি সঙ্গে সঙ্গে একটি ত্রুটি তৈরি করল—নিখুঁত কাচের উপর তারার মতো একটি ক্ষুদ্র ফাটল। আমার প্রথম প্রবৃত্তি ছিল পুরো গোলাপটা ভেঙে ফেলে নতুন করে শুরু করা। কিন্তু আমি থেমে গেলাম। আমি এটিকে আলোর দিকে ধরলাম, আর সূর্য সেই ফাটলে পড়ে কয়েক ডজন ক্ষুদ্র রামধনুতে বিভক্ত হয়ে গেল, যা দেয়ালে নাচছিল। ত্রুটিটি গোলাপটিকে নষ্ট করেনি; এটি তাকে একটি গল্প দিয়েছে। এটি এখন তার ধরণের একমাত্র, যা মানবিক অনুভূতির এক মুহূর্ত দ্বারা চিহ্নিত। এটি তার অপূর্ণতার জন্য আরও সুন্দর, তা সত্ত্বেও নয়। আমি এটিকে বাগানের কেন্দ্রে রেখেছি, একটি অনুস্মারক হিসাবে যে আমাদের তথাকথিত ব্যর্থতাগুলো এক অনন্য এবং অপ্রত্যাশিত সৌন্দর্য তৈরি করতে পারে যা সতর্ক পরিপূর্ণতা কখনও পারে না।]
শিক্ষা…
…. আমরা যাকে ত্রুটি বা ভুল হিসাবে দেখি, তা প্রায়শই অনন্য সৌন্দর্য এবং চরিত্রের উৎস হতে পারে।
…সত্যিকারের শিল্প কেবল ত্রুটিহীন সৃষ্টি নয়, বরং জীবনের অপ্রত্যাশিত চিহ্নগুলোকে গ্রহণ এবং একত্রিত করার মধ্যেও নিহিত।
#বাংলাগল্প #চিন্তাশীলগল্প #রূপকগল্প #কাচেরবাগান #ভালোবাসারগল্প #storywithmeaning #মননশীলগল্প #অপূর্ণতায়সৌন্দর্য #artofimperfection #banglawriting
---
✨ পর্ব ৬: ভালোবাসার শুরু
সেদিনের সেই বিকেলের পর থেকে সব কিছুই যেন অন্যরকম হয়ে গেল। মিম আর রাহাতের সম্পর্ক আর বন্ধুত্বের গণ্ডিতে রইল না। দুজনেই জানত, তারা এখন আর কেবল বন্ধু নয়। তারা পরস্পরের।
কলেজে ঢুকেই মিমকে দেখে রাহাতের চোখে যে আলোর ঝিলিক ফুটত, সেটা মিম এখন টের পেত। মিমের হাসি দেখেই রাহাত বুঝে যেত তার মন খারাপ আছে কিনা। মিমও রাহাতকে ছাড়া যেন এক মুহূর্তও স্বাভাবিক থাকতে পারত না।
একদিন রাহাত মিমকে বলল,
— “চল, আজ তোমাকে একটা জায়গায় নিয়ে যাই।”
মিম অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল,
— “কোথায়?”
— “আমাদের ভালোবাসার প্রথম ঠিকানায়।”
সেদিন সন্ধ্যায় তারা রিকশায় করে শহরের এক চুপচাপ লেকপারে এল। চারপাশে গাছ, বাতাসে শীতলতা। লেকের জলে চাঁদের আলো পড়ে চিকচিক করছিল। দুজনে পাশাপাশি বসে রইল। মিমের চুলে বাতাস খেলা করছিল। রাহাত আস্তে করে মিমের হাত ধরল।
— “কেমন লাগছে?”
মিম হাসল,
— “তোমার পাশে থাকলে সব জায়গাই ভালো লাগে।”
রাহাত মিমকে লক্ষ করছিল। তার চোখে এই মেয়েটা যেন এক পৃথিবী। আর মিম বুঝতে পারছিল, রাহাতের কাঁধে হেলিয়ে দিলে আর কোনো কষ্ট তাকে ছুঁতে পারবে না।
এরপর থেকে তাদের দিনগুলো একসাথে কাটতে লাগল। সকালে কলেজে দেখা, দুপুরে ক্যান্টিনের চা, বিকেলে কবিতা শোনা আর সন্ধ্যায় শহরের রাস্তায় হাত ধরে হাঁটা।
রাহাত প্রায়ই মিমের জন্য ছোট্ট ছোট্ট চিরকুট লিখে আনত।
একটায় লেখা থাকত—
“তোমার হাসিই আমার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।”
আরেকটায়—
“তুমি না থাকলে আমি কেমন হই, জানো?”
মিমও রাহাতকে চমকে দিত। ক্যান্টিনে দু কাপ চা নিয়ে এসে আস্তে করে বলত,
— “আজ তোমার প্রিয় গানের লাইন লিখেছি খাতায়। বাড়ি গিয়ে পড়ো।”
ওদের বন্ধুরা মজা করত, বলত,
— “তোমাদের দেখে মনে হয় কলেজে প্রেমিক যুগলদের নতুন সংজ্ঞা লিখে দিতে হবে।”
মিম আর রাহাত কেবল মৃদু হেসে মাথা নিচু করত। তারা জানত, এই ভালোবাসা কেবলই তাদের।
একদিন কলেজের ছাদে দাঁড়িয়ে মিম বলল,
— “তুমি কি কখনো আমাকে ছেড়ে যাবে?”
রাহাত তার কপালে হাত রাখল।
— “তুমি আমার শ্বাস। শ্বাস কেউ ফেলে যায়?”
সেদিনের আকাশে তারার আলো জ্বলছিল, আর মিম বুঝতে পারছিল— এই ভালোবাসা সহজ নয়, কিন্তু এর চেয়ে সত্য কিছু নেই।
ভালোবাসা এখন তাদের জীবনের রং।
হাসি-কান্না, স্বপ্ন-ভালো লাগা— সবকিছুতেই তারা একে অপরকে খুঁজে নিচ্ছিল।
তাদের গল্প নতুন অধ্যায়ে পা রাখল।
যেখানে পথচলার শুরুতেই লেখা থাকল—
"এবার থেকে আমরা একসাথে।"
---
Md Shakib Islam
Xóa nhận xét
Bạn có chắc chắn muốn xóa nhận xét này không?