13 i ·Översätt

সেই বৃদ্ধ লোকটির কথা রাখল এবং তার মেয়েকে বিয়ে করল। কয়েক বছর পর বৃদ্ধ লোকটি মারা গেল, সে কাপড়ের দোকানের মালিক হয়ে গেল। পরবর্তীতে বৃদ্ধের থাকা সকল সম্পদ যুবকটি দেখাশোনা করতে লাগলো এবং প্রচুর সম্পদের মালিক হলো। যুবকটি যতখানি আল্লাহর কাছে চেয়েছিল তার চাইতে কয়েক গুণ বেশি সে পেল যা কখনো সে কল্পনাও করেনি।

গল্প থেকে শিক্ষাঃ আমাদের কখনোই অধৈর্য বা ধৈর্য হারানো উচিত নয়। কখনো হাত গুটিয়ে বসে না থেকে পরিশ্রম করা উচিত। নিশ্চয় পরিশ্রম করতে গিয়ে কখনো না কখনো আল্লাহ প্রত্যেকেই সফলতা দেন। সেটা যে কোন কিছুর মাধ্যমে হতে পারে। তবে ধৈর্য রাখতে হবে, বিশ্বাস করতে হবে, ইবাদত করতে হবে।

ইসলামিক শিক্ষনীয় ছোটগল্প ।। ঈমানদার ব্যাক্তির প্রতি আল্লাহর রহমত।।
একদা এক ব্যবসায়ী ছিল, ব্যবসায়টি ছিল অত্যন্ত সৎ। ব্যবসায়ীটি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তেন সৎ ভাবে ব্যবসা করতেন। অসহায় ও দরিদ্র ব্যক্তিদের সাহায্য সহযোগিতা করতেন। তিনি প্রচুর অর্থ ও বড় ব্যবসায়ী ছিলেন না কিন্তু অসহায় ব্যক্তিদের সহযোগিতা ও সাহায্য করতেন। অন্যান্য ব্যবসায়ীরা তার চেয়ে অনেক বেশি টাকার খাদ্যদ্রব্য বিক্রয় করত,

কিন্তু তার মত অসহায়দের সাহায্য সহযোগিতা করত না। তবে তিনি তাতেই সন্তুষ্ট ছিলেন। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তেন আল্লাহর কাছে দোয়া করতেন যাতে তিনি হালাল রিজিক আয় করতে পারেন। তার দোকানে প্রতিদিন অসহায় ব্যক্তিরা আসা শুরু করল। অসহায় ব্যক্তিদের তিনি অল্প কিছু পরিমাণ করে খাবার ও খাদ্যদ্রব্য দিয়ে সহযোগিতা করতেন কিন্তু কোন টাকা নিতেন না।

এভাবে বেশ কয়েক বছর পেরিয়ে গেল। হঠাৎ করে একদিন একটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক আসলেন তার সাথে দেখা করতে। তিনি ব্যবসায়ীকে বললেন আমি অনেক দূর থেকে এসেছি। আমার একটি প্রতিষ্ঠান আছে সেখানে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী আছে। আমি শুনেছি আপনি অনেক দয়ালু মানুষ, আপনি অসহায় দরিদ্রদের সাহায্য সহযোগিতা করেন,

খাবার ও খাদ্যদ্রব্য দিয়ে কিন্তু কোন টাকা নেন না। আমি চাই আপনার কাছ থেকে খাদ্যদ্রব্য কিনতে। আমার এই কয়েক হাজার শিক্ষার্থীর প্রতিদিনের যা খাদ্যদ্রব্য প্রয়োজন আমি আপনার কাছ থেকে কিনব যতদিন আমার প্রতিষ্ঠান থাকবে। আমি চাই আমি যে খাদ্যদ্রব্য গুলো কিনব তার লাভের অংশ থেকে আপনি কিছু পরিমাণ টাকা দিয়ে যাতে আরো বেশি অসহায় ও দরিদ্রের সাহায্য সহযোগিতা করতে পারেন।

কেননা আপনার বেশি বিক্রয় হলে বেশি লাভ হবে, আর আপনি সেই টাকা থেকে বেশি পরিমাণ অসহায় ও দরিদ্রদের সাহায্য সহযোগিতা করতে পারবেন। ব্যবসায়টি অত্যন্ত খুশি হলো। ব্যবসায়ী এবং প্রতিষ্ঠান পরিচালকের চুক্তি হলো। ব্যবসায়টি মনে মনে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করলেন এবং অত্যন্ত খুশি হলেন।

34 m ·Översätt

বাবুদের তাল-পুকুরে
হাবুদের ডাল-কুকুরে
সে কি বাস করলে তাড়া,
বলি থাম একটু দাড়া।

পুকুরের ঐ কাছে না
লিচুর এক গাছ আছে না
হোথা না আস্তে গিয়ে
য়্যাব্বড় কাস্তে নিয়ে
গাছে গো যেই চড়েছি
ছোট এক ডাল ধরেছি,

ও বাবা মড়াত করে
পড়েছি সরাত জোরে।
পড়বি পড় মালীর ঘাড়েই,
সে ছিল গাছের আড়েই।
ব্যাটা ভাই বড় নচ্ছার,
ধুমাধুম গোটা দুচ্চার
দিলে খুব কিল ও ঘুষি
একদম জোরসে ঠুসি।

আমিও বাগিয়ে থাপড়
দে হাওয়া চাপিয়ে কাপড়
লাফিয়ে ডিঙনু দেয়াল,
দেখি এক ভিটরে শেয়াল!
ও বাবা শেয়াল কোথা
ভেলোটা দাড়িয়ে হোথা
দেখে যেই আঁতকে ওঠা
কুকুরও জাড়লে ছোটা!
আমি কই কম্ম কাবার
কুকুরেই করবে সাবাড়!

‘বাবা গো মা গো’ বলে
পাঁচিলের ফোঁকল গলে
ঢুকি গিয়ে বোসদের ঘরে,
যেন প্রাণ আসলো ধড়ে!

যাব ফের? কান মলি ভাই,
চুরিতে আর যদি যাই!
তবে মোর নামই মিছা!
কুকুরের চামড়া খিঁচা
সেকি ভাই যায় রে ভুলা-
মালীর ঐ পিটুনিগুলা!
কি বলিস ফের হপ্তা!
তৌবা-নাক খপ্তা…!

======

image
34 m ·Översätt

কে তুমি খুঁজিছ জগদীশ ভাই আকাশ পাতাল জুড়ে’
কে তুমি ফিরিছ বনে-জঙ্গলে, কে তুমি পাহাড়-চূড়ে?
হায় ঋষি দরবেশ,
বুকের মানিকে বুকে ধ’রে তুমি খোঁজ তারে দেশ-দেশ।
সৃষ্টি রয়েছে তোমা পানে চেয়ে তুমি আছ চোখ বুঁজে,
স্রষ্টারে খোঁজো-আপনারে তুমি আপনি ফিরিছ খুঁজে!
ইচ্ছা-অন্ধ! আঁখি খোলো, দেশ দর্পণে নিজ-কায়া,
দেখিবে, তোমারি সব অবয়বে প’ড়েছে তাঁহার ছায়া।
শিহরি’ উঠো না, শাস্ত্রবিদের ক’রো না ক’ বীর, ভয়-
তাহারা খোদার খোদ ‘ প্রাইভেট সেক্রেটারী’ ত নয়!
সকলের মাঝে প্রকাশ তাঁহার, সকলের মাঝে তিনি!
আমারে দেখিয়া আমার অদেখা জন্মদাতারে চিনি!
রত্ন লইয়া বেচা-কেনা করে বণিক সিন্ধু-কুলে-
রত্নাকরের খবর তা ব’লে পুছো না ওদের ভুলে’।
উহারা রত্ন-বেনে,
রত্ন চিনিয়া মনে করে ওরা রত্নাকরেও চেনে!
ডুবে নাই তা’রা অতল গভীর রত্ন-সিন্ধুতলে,
শাস্ত্র না ঘেঁটে ডুব দাও, সখা, সত্য-সিন্ধু-জলে।

image
35 m ·Översätt

বেলা শেষে উদাস পথিক ভাবে,
সে যেন কোন অনেক দূরে যাবে –
উদাস পথিক ভাবে।

‘ঘরে এস’ সন্ধ্যা সবায় ডাকে,
‘নয় তোরে নয়’ বলে একা তাকে;
পথের পথিক পথেই বসে থাকে,
জানে না সে কে তাহারে চাবে।
উদাস পথিক ভাবে।

বনের ছায়া গভীর ভালোবেসে
আঁধার মাথায় দিগবধূদের কেশে,
ডাকতে বুঝি শ্যামল মেঘের দেশে
শৈলমূলে শৈলবালা নাবে –
উদাস পথিক ভাবে।

বাতি আনি রাতি আনার প্রীতি,
বধূর বুকে গোপন সুখের ভীতি,
বিজন ঘরে এখন সে গায় গীতি,
একলা থাকার গানখানি সে গাবে-
উদাস পথিক ভাবে।

হঠাৎ তাহার পথের রেখা হারায়
গহন বাঁধায় আঁধার-বাঁধা কারায়,
পথ-চাওয়া তার কাঁদে তারায় তারায়
আর কি পূবের পথের দেখা পাবে
উদাস পথিক ভাবে।

======

image
35 m ·Översätt

দুর্গম গিরি, কান্তার-মরু, দুস্তর পারাবার
লঙ্ঘিতে হবে রাত্রি-নিশীথে, যাত্রীরা হুশিয়ার!

দুলিতেছে তরি, ফুলিতেছে জল, ভুলিতেছে মাঝি পথ,
ছিঁড়িয়াছে পাল, কে ধরিবে হাল, আছে কার হিম্মৎ?
কে আছ জোয়ান হও আগুয়ান হাঁকিছে ভবিষ্যৎ।
এ তুফান ভারী, দিতে হবে পাড়ি, নিতে হবে তরী পার।

তিমির রাত্রি, মাতৃমন্ত্রী সান্ত্রীরা সাবধান!
যুগ-যুগান্ত সঞ্চিত ব্যথা ঘোষিয়াছে অভিযান।
ফেনাইয়া উঠে বঞ্চিত বুকে পুঞ্জিত অভিমান,
ইহাদের পথে নিতে হবে সাথে, দিতে হবে অধিকার।

অসহায় জাতি মরিছে ডুবিয়া, জানে না সন্তরন
কান্ডারী! আজ দেখিব তোমার মাতৃমুক্তি পন।
হিন্দু না ওরা মুসলিম? ওই জিজ্ঞাসে কোন জন?
কান্ডারী! বল, ডুবিছে মানুষ, সন্তান মোর মার

গিরি সংকট, ভীরু যাত্রীরা গুরু গরজায় বাজ,
পশ্চাৎ-পথ-যাত্রীর মনে সন্দেহ জাগে আজ!
কান্ডারী! তুমি ভুলিবে কি পথ? ত্যজিবে কি পথ-মাঝ?
করে হানাহানি, তবু চলো টানি, নিয়াছ যে মহাভার!

কান্ডারী! তব সম্মুখে ঐ পলাশীর প্রান্তর,
বাঙালীর খুনে লাল হল যেথা ক্লাইভের খঞ্জর!
ঐ গঙ্গায় ডুবিয়াছে হায়, ভারতের দিবাকর!
উদিবে সে রবি আমাদেরি খুনে রাঙিয়া পূনর্বার।

ফাঁসির মঞ্চে গেয়ে গেল যারা জীবনের জয়গান,
আসি অলক্ষ্যে দাঁড়ায়েছে তারা, দিবে কোন্ বলিদান
আজি পরীক্ষা, জাতির অথবা জাতের করিবে ত্রাণ?
দুলিতেছে তরী, ফুলিতেছে জল, কান্ডারী হুশিয়ার!

======

image
36 m ·Översätt

আজ সৃষ্টি সুখের উল্লাসে-
মোর মুখ হাসে মোর চোখ হাসে মোর টগবগিয়ে খুন হাসে
আজ সৃষ্টি-সুখের উল্লাসে।

আজকে আমার রুদ্ধ প্রাণের পল্বলে-
বান ডেকে ঐ জাগল জোয়ার দুয়ার -ভাঙা কল্লোলে।
আসল হাসি, আসল কাঁদন
মুক্তি এলো, আসল বাঁধন,
মুখ ফুটে আজ বুক ফাটে মোর তিক্ত দুখের সুখ আসে।
ঐ রিক্ত বুকের দুখ আসে-
আজ সৃষ্টি-সুখের উল্লাসে!

আসল উদাস, শ্বসল হুতাশ
সৃষ্টি-ছাড়া বুক-ফাটা শ্বাস,
ফুললো সাগর দুললো আকাশ ছুটলো বাতাস,
গগন ফেটে চক্র ছোটে, পিণাক-পাণির শূল আসে!
ঐ ধূমকেতু আর উল্কাতে
চায় সৃষ্টিটাকে উল্টাতে,

আজ তাই দেখি আর বক্ষে আমার লক্ষ বাগের ফুল হাসে
আজ সৃষ্টি-সুখের উল্লাসে!
আজ হাসল আগুন, শ্বসল ফাগুন,
মদন মারে খুন-মাখা তূণ
পলাশ অশোক শিমুল ঘায়েল
ফাগ লাগে ঐ দিক-বাসে
গো দিগ বালিকার পীতবাসে;

আজ রঙ্গন এলো রক্তপ্রাণের অঙ্গনে মোর চারপাশে
আজ সৃষ্টি সুখের উল্লাসে!
আজ কপট কোপের তূণ ধরি,
ঐ আসল যত সুন্দরী,
কারুর পায়ে বুক ডলা খুন, কেউ বা আগুন,
কেউ মানিনী চোখের জলে বুক ভাসে!
তাদের প্রাণের ‘বুক-ফাটে-তাও-মুখ-ফোটে-না’ বাণীর বীণা মোর পাশে
ঐ তাদের কথা শোনাই তাদের
আমার চোখে জল আসে
আজ সৃষ্টি সুখের উল্লাসে!

আজ আসল ঊষা, সন্ধ্যা, দুপুর,
আসল নিকট, আসল সুদূর
আসল বাধা-বন্ধ-হারা ছন্দ-মাতন
পাগলা-গাজন-উচ্ছ্বাসে!
ঐ আসল আশিন শিউলি শিথিল
হাসল শিশির দুবঘাসে
আজ সৃষ্টি-সুখের উল্লাসে!

আজ জাগল সাগর, হাসল মরু
কাঁপল ভূধর, কানন তরু
বিশ্ব-ডুবান আসল তুফান, উছলে উজান
ভৈরবীদের গান ভাসে,
মোর ডাইনে শিশু সদ্যোজাত জরায়-মরা বামপাশে।

মন ছুটছে গো আজ বল্গাহারা অশ্ব যেন পাগলা সে।
আজ সৃষ্টি-সুখের উল্লাসে!
আজ সৃষ্টি-সুখের উল্লাসে!!

======

image
image