গল্পঃ বিজয়ের হাসি
-মিস অন্বেষা ,আপনাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

জ্বী? আমাকে!

--হ্যা, এই যে আপনার কাগজপত্র।

--কে করেছে?

--ছোট স্যার।

--রেহান স্যার!

--হ্যা।

অন্বেষা

তুমি চলে যাওয়ার পর তোমার সাথে কাটানো প্রতিটা মূহুর্ত শুধু তোমার কথাই মনে করিয়ে দিয়েছে। এমনকি তোমার রান্না খিচুড়ি আর গরু মাংসও আমি অনেক মিস করি। তুমি আবার আমার কাছে ফিরে এস। আমাকে তুমি ফিরিয়ে দিও না প্লিজ।

 

--তুমি কি এখনো শুধু নিজেই কথা বলে যাবে? আমাকে কিছু বলতে দেবে না? এতক্ষণে অন্বেষার মুখে কথা শুনতে পেয়ে রেহান আনন্দে বলে উঠল,

 

--বল,এতকাল তোমার কথা শুনব বলেই তো প্রতীক্ষা করছিলাম!

 

--আমি তোমার কাছে ফিরে আসব এক শর্তে!

 

--কি শর্ত?

 

--আমার ভালবাসার ঋণ কিন্তু সুদে আসলে জমে অনেক হয়েছে।তোমাকে সবকিছু পরিশোধ করতে হবে। আর সবসময় আমার পাশে থাকতে হবে। কোনদিন যেন না দেখি আর কোন মেয়ের দিকে চোখ তুলে তাকিয়েছ। তোমাকে অন্য কোন মেয়ের সাথে দেখলে যে আমার কি পরিমাণ কষ্ট হয় তা তোমাকে বলে বোঝাতে পারব না। আবার যদি আমাকে এভাবে কষ্ট দিয়েছ দেখি, তাহলে আমি কিন্তু তোমার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করব। আর, খিচুড়ি আর গরুর মাংস খাওয়ানোর ঋণটা না হয় আমিই শোধ করে দিব! অন্বেষার মুখে সেই চিরচেনা মিষ্টি হাসি, যেই হাসির খোঁজ পেতে রেহানের এতদিনের প্রতীক্ষা! রেহান কাছে এসে অন্বেষাকে জড়িয়ে ধরে বলল,

 

--আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি, আর আজীবন ভালবেসে যাব। কখনো তোমাকে কষ্ট পেতে দেব না। সব কষ্ট থেকে তোমাকে আমি আগলে রাখব। অন্বেষাও পরম নির্ভরতায় রেহানকে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরল। তার চোখে দেখা গেল প্রশান্তির অশ্রুকণা, মুখে বিজয়ের হাসি।।


MD SOHAG KHAN

107 Блог сообщений

Комментарии