মামাতো_বোন

সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠেই মনের ভিতর খুশি খুশি লাগতেছে,কারন আজ অনেকদিন পর মামার বাসায় যাবো,তাই বিছানা থেকে উঠে ওয়??

তারপর জারার কাছে ফোন নাম্বার আর ফেসবুক আইডি দুইটায় দিলাম,তখনই আমার ফোন বেজে উঠলো,তাকিয়ে দেখি আননোন নাম্নার,

 

জারা,ওইটা আমার নাম্বার সেইভ করে রাখ,

 

মাহফুজ,ওকে

 

তারপর জারা রুম থেকে চলে গেলো,আমিও ফ্রেন্ডের সাথে চ্যাট করতে লাগলাম,একটু পর মিষ্টি মেয়ে নামে একটা আইডি থেকে ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট আসলো,

 

আমি একসেপ্ট করার সাথে সাথে মেসেজ আসলো,ওই আমি জারা..!

 

মাহফুজ,ওহহ পেতনি তাহলে এইটা তোর আইডি?

 

জারা,ওই হারামি তুই আমাকে কি বললি?

 

মাহফুজ, কই কিছু বলি নাই তো,আমি এখন ঘুমিয়ে গেলাম হা?

 

জারা,ওকে গুড নাইট

 

মাহফুজ,হুমম গুড নাইট?

 

তারপর ফোনটা রেখে ঘুমিয়ে পরলাম,হঠাৎ দেখি একটা মেয়ে আমার সামনে হাটু গেড়ে ফুল নিয়ে আমাকে প্রপোজ করছে? মেয়েটাকে দেখতে অসাধারন,

আমিও মেয়েটার প্রেমে পরে গেছি,

 

তারপর আমি মেয়েটাকেমাহফুজ,মামা আমিতে নিউ সিটিতে পৌছে গেছি,এখন কোথায় যাবো..? কিছুই তো চিনি না,

 

মামা,চিন্তা করিস না তুই রিক্সাকে বলে এলিফ্যান্ট রোডে চলে আয়,আর আমি তোর ফোনে আমার বাসায় ঠিকানা দিয়ে দিচ্ছি,

 

মাহফুজ, ওকে মামা তুমি ঠিকানা পাঠিয়ে দাও,

 

তারপর একটা রিক্সা নিয়ে এলিফ্যান্ট রোডের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম,রিক্সায় বসে শহরের চারপাশ দেখতে লাগলাম,শহরটা বেশ সুন্দর সাজানো গোছানো..! আমার অনেক ভালো লাগলো এই পরিবেশটা?

 

একটু পরে রিক্সা এসে এলিফ্যান্ট রোডে থামলো,তারপর রিক্সা থেকে নেমে ওয়ালেট টা বের করে ভাড়া দিলাম,

তারপর হাটতে লাগলাম মামার বাসার দিকে,

 

মামা আমার ফোনে তার বাসার ঠিকানা দিয়ে দিয়েছে,আমি চারপাশের পরিবেশ দেখতে দেখতে এগোতে লাগলাম,আমার হাটতে ভালো লাগছিলো কারন নতুন জায়গার সবকিছু দেখতে আমার অনেক ভালো লাগে..!

 

মামার দেওয়া ঠিকানা অনুযায়ী হাটতে লাগলাম,কিন্তু অনেক সময় হাটার পরেও ঠিকানাটা খুজে পাচ্ছিলাম না,এগিয়ে অনেক ক্লান্তও হয়ে গেছি,কিযে করি এখন..?

 

এসব ভাবতে ভাবতে হাটতেছিলামনিআের দিকে তাকিয়ে,কিন্তু হঠাৎ করে কিছু একটার সাথে বেশ জোড়েই ধাক্কা খেলাম,কিন্তু ধাক্কাটা খেলাম কিসের সাথে..?

আর তখন এই ঠাসসস করে ডান গালে একটা চড় মেরে দিলো,

 

তারপর ভালো করে তাকিয়ে একটা মেয়ে আমার সামনে দাড়িয়ে আছে,

 

মেয়েটি,ওই মিয়া দেখে চলতে পারেন না..? মেয়ে দেখলেই গায়ে পরতে ইচ্ছে করে নাকি..!

 

মাহফুজ,এমনিতেই ঠিকানা খুজতে খুজতে ক্লান্ত হয়ে গেছি,তার উপর মেয়েটা বিনা কারনে আমাকে চড় মারলো,আমি কি ইচ্ছা করে ধাক্কা দিয়েছি নাকি..?

আমারও রাগ উঠে গেলো?

তারপর আমিও ঠাসসস ঠাসসসস করে মেয়েটির দুই গালে দুইটা চড় মেরে দিলাম,

 

মেয়েটি,ওই কুত্তা তুই আমাকে চড় মারলি কেন?

 

মাহফুজ,ওই কুত্তী আগে বল তুই আমাকে চড় মারলি কেন..?

 

মেয়েটি,তুই আমাকে ধাক্কা মারলি কেন..? তাইতো চড় মেরেছি,

 

মাহফুজ,এহহহ..! তুই মনে হচ্ছে বিশ্ব সুন্দরী যে তোকে ধাক্কা মারতে যাবো, পেতনির মতো চেহারা তার আবার এতো দেমাগ?

 

মেয়েটি,ওই কি বললি তুই আমি পেতনির মতো দেখতে..?

 

মাহফুজ,পেতনি মানে..! পেতনির থেকেও খারাপ চেহারা,যাই হোক এখন ঝগড়া বাদ দাও আর আমার এই ঠিকানাটা কোথায় একটু বলে দাও

 

মেয়েটি, আমি কি জন্য তোকে ঠিকানা বলতে যাবো হা?তুই আমাকে পেতনি বললি কেন,

আমি এখন এক জায়গায় জরুরি কাজে যাচ্ছি তাই কিছুই বললাম না,না হলে এখানেই তোর অবস্থা খারাপ করে দিতাম বলেই আমার পাশ কাটিয়ে চলে গেলো,

 

মাহফুজ, হি হি হি মেয়েটাকে হেব্বি রাগিয়ে দিয়েছি,তবে হা মেয়েটি মোটেও পেতনির মতো দেখতে নয়,মেয়েটি একটা বোরকার উপর সুন্দর করে হিজাব পরছে,মুখটা খোলা আর চোখে কাজল দেওয়া, মেয়েটির চোখে অসম্ভব রকমের মায়া আছে,

যা যোকোনো ছেলেকেই আকর্ষনের জন্য যথেষ্ট,

 

যাই হোক আবার হাটতে শুরু করলাম,অনেক খুজার পর অবেশেষে মামার দেওয়া ঠিকানায় এসে পৌছালাম, কিন্তু অনেকগুলো বাসার মধ্যে কোনটা মামার বাসা সেটা খুজে পাচ্ছিলাম না,জারা, আম্মু এই বাজে ছেলেটা এখানে আমার রুমে কি করছে..? আর ও এই বাড়িতে কেন?

 

মামি,খারাপ ছেলে মানে..? ওতো তোর জাহিদ ফুপার ছেলে মাহফুজ,আজ এতো দিন পরে আমাদের বাড়িতে এসেছে আর তুই কি শুরু করলি..?

 

জারা,ওওও তাহলে এই সেই জাহিদ ফুপার বান্দর পোলা..? জানো আম্মু আজকে রাস্তায় ও আমাকে চড় মারছে আর পেতনি বলছে?

 

মাহফুজ, মামি তাহলে এইটায় আমার মামার পেতনি মেয়ে..? হি হি হি তবে পেতনি হলেও চেহারাটা ভালো হয়েছে?

 

মামি,অনেক ঝগড়া হইছে তোদের? এখন খেতে আয় দুজনেই, আমি খাবার দিচ্ছি তোদের,আর মাহফুজ তো তোকে চিনতো না বলেই হয়তো ওইরকম করছে..? এখন দুজনেই খেতে আয়..! আর মাহফুজ পাশের রুমে তোর বিছানা তৈরি করা আছে,তুই ওইখানে থাকবি,

 

তারপর আমি জারার দিকে তাকালাম,আমাকে মুখ ভেংচি কেটে রুমে চলে গেলো? তারপর আমিও খাবার খেতে টেবিলে চলে গেলাম,

 

টেবিলের কাছে গিয়েই তো অবাক হয়ে গেলাম,পুরো টেবিল জুড়ে সব আমার পছন্দের খাবারগুলো সাজিয়ে রাখা,তবে সবথেকে বেশি পছন্দ করি মুরগির মাংস আর পোলাও,

 

আমার তো এসব খাবার দেখে প্রচন্ড ক্ষুদা লেগে যায়,তখনই মামি আসলো,

 

মাহফুজ,মামি এতো কিছু কার জন্য রান্না করছো তুমি..?

 

মামি,কেন রে সব তো তোর জন্যই রান্না করছি,তোর পছন্দ হয়নি..?

 

মাহফুজ,কিযে বলো মামি সবগুলোই আমার প্রিয় খাবার,অনেক পছন্দ হইছে আমার?

 

মামি,হুমম এখন খেতে বস,

 

তারপর খেতে বসলাম আর তখনই জারা আসলো,সাথে মামাও আসলো, সবাই মিলে খেতে লাগলাম,ওহহ খাবার টাও অনেক ভালো রান্না হইছে,মুখে লেগে থাকার মতো?


MD SOHAG KHAN

107 ブログ 投稿

コメント

📲 Download our app for a better experience!