ব্যাখ্যা শুনতে চাইনি
কাঠগড়ায় দাঁড়ানো আসামিকে বললেন বিচারক-
বিচারক : তুমি গত ১০ বছর ধরে স্ত্রীকে ভয় দেখিয়ে নিজের বাধ্যগত করে রেখেছ?
আসামি : মান্যবর, আমি আসলে সে রকম কিছুই করি নাই। ঘটনা হচ্ছে গিয়ে...
বিচারক : আমি তোমার ব্যাখ্যা শুনতে চাইনি। কী কায়দায় কাজটা করো, সেটা বলো আমকে তাড়াতাড়ি...
>আপনি ঝুলে যান
জঘন্য অপরাধের জন্য ফাঁসির সাজা হলো কুখ্যাত সন্ত্রাসী হেলমেট জামানের।
চরম সাজা শুনিয়ে জজ : কোনো শেষ ইচ্ছা আছে আপনার?
হেলমেট জামান : আমার বদলে আপনি ঝুলে যান, টাকা যা চান দিমু...
>গরম হওয়ার জন্য জড়িয়ে ধরেছি
আদালতে আসামির কাঠগড়ায় পঞ্চাশোর্ধ এক ব্যক্তি-
উকিল: আপনি এক কুমারী মেয়েকে জড়িয়ে ধরছিলেন কেন?
ব্যক্তি: জজ সাহেব! আমার খুব ঠান্ডা লাগতেছিল। ঠিক তখনই দেখলাম মেয়েটির টি-শার্টে লেখা ছিলো, ‘আই অ্যাম হট’। তাই আমি একটু গরম হওয়ার জন্য ওকে জড়িয়ে ধরেছি।
>তোদের ফাঁসিতে ঝোলাব
মন্টুর বাপ তখন বয়োবৃদ্ধ। জজকোর্টে জব্বর এক মামলা চলছে। মামলায় সাক্ষী হিসেবে ডাকা হয়েছে তাকে। তবে বয়োবৃদ্ধ হলেও তখনও কথাবার্তায় বেশ টনটনে তিনি। বাদীপক্ষের দুঁদে উকিল শফি মণ্ডল বুড়োটাকে ঘাবড়ে দেবার জন্য প্রথমেই বাজখাঁই গলায় জিজ্ঞাসা করলেন, আমাকে চেনেন?
মন্টুর বাপ : কয় কি ভাতিজা। চিনব না মানে? তুমি-ই তো সেই মণ্ডল। তোমাকে ন্যাংটো বয়স থেকেই চিনি। পুরাই বখাটে কিসিমের ছিলা। মিথ্যায় চ্যাম্পিয়ন। ঠগবাজি-বাটপারিতে ডিগ্রি পাওয়া ওস্তাদ ছিলে। তোমার সব কীর্তি একদিনে বইলা শেষ করা কঠিন, বাবা। নিজেকে মস্ত বড় ব্যারিস্টার ভাব, আসলে উকিলের মুহুরি হবার যোগ্য না তুমি! আর তুমি আমাকে বলছ তোমায় চিনি কি-না?
মণ্ডল উকিলকে কেউ ঠাস করে চড় মারলেও এত স্তম্ভিত হতেন না। ঘোর কাটতেই বিবাদীপক্ষের উকিলকে দেখিয়ে দ্বিতীয় প্রশ্ন করলেন : আমার সম্পর্কে অনেক বেশি জানেন মনে হচ্ছে। সেটা পরে দেখছি। এখন বলেন উনাকে চেনেন?
মন্টুর বাপ : হেরে না চেনার কী আছে? ও তো পাতলা খান লেনের একসময়ের ভাদাইম্যা জসিম। একদম কমিনার কমিনা। হাড়ে হাড়ে শয়তান, মিচকা শয়তান। পাঁড় মাতাল। এই শহরের সবচেয়ে পিশাচ উকিল। বউয়ের চোখ ফাঁকি দিয়ে একসঙ্গে তিনটে ছুঁড়ির সঙ্গে ফষ্টিনষ্টি করে যাচ্ছে। ওই তিনজনের মধ্যে তোমার বউ রুপালি একনম্বরে আছে। ওরে সবাই চেনে।
এ সময় বিবাদীপক্ষের উকিলের মাথা ঘুরতে লাগল। পরিস্থিতি সামাল দিতে জজসাহেব টেবিলে হাতুড়ি পিটিয়ে বললেন : অর্ডার অর্ডার।
আদালতে পিনপতন নীরবতা। জজসাহেব ইশারায় দুই উকিলকেই কাছে ডাকলেন :
এবার ফিসফিসিয়ে জজ বললেন : দুই গাধার একজনও যদি এখন মন্টু মিয়াকে প্রশ্ন করিস যে আমায় চেনে কি-না- তাইলে তোদের আমি ফাঁসিতে ঝোলাব, নিজ হাতে।
দুই উকিল মাথা নিচু করে আদালত থেকে বের হয়ে গেলেন। জজসাহেব আদালত মুলতবি ঘোষণা করলেন।
>ফিতা দিয়ে মেপে রেখেছিলাম
উকিল : দুর্ঘটনার সময় আপনি কি সেখানে উপস্থিত ছিলেন?
প্রত্যক্ষদর্শী : হ্যাঁ।
উকিল : দুর্ঘটনাস্থল থেকে আপনি ঠিক কতটুকু দূরে ছিলেন?
প্রত্যক্ষদর্শী : ৪০ ফুট সাড়ে ৬ ইঞ্চি।
উকিল: হুম। এত নিশ্চিত হয়ে বললেন কী করে?
প্রত্যক্ষদর্শী : গজ ফিতা দিয়ে মেপে রেখেছিলাম।
উকিল : কেন?
প্রত্যক্ষদর্শী : জানতাম, আপনার মতো কোনো একজন আমাকে প্রশ্নটা করবে!
>এমনিতে দিয়েছেন!
বিচারক: তুমি দিনদুপুরে এই লোকের টাকা ছিনিয়ে নিয়েছো!
আসামি: না হুজুর! আমি ছিনিয়ে নেইনি, তিনি এমনিতে দিয়েছেন।
বিচারক: এমনিতে দিয়েছেন!
আসামি: জ্বী, স্যার! আমার হাতে গুলিভরা পিস্তল দেখেই তিনি তার হাতের টাকাগুলোও আমাকে দিয়ে দিলেন...
বিচারক: তোমার হাতে কোনো অস্ত্র না দেখেই আমি তোমাকে ৫ বছরের দণ্ড এমনি এমনিই দিয়ে দিলাম, যাও!
>প্রমোশন না হইলে
আসামিকে বিচারক: এই কাঠগড়ায় গত ৩ বছরে তোমাকে ৬ বার দেখলাম। লজ্জা করে না...
আসামি দুই হাতে কান ধরে জিভে কামড় দিয়ে বললো: হুজুর, আমার কী দোষ! আপনার প্রমোশন না হইলে...
>দিনদুপুরে চুরি