তমার আমার কথা

আমার মন খারাপ কথাটা তোমার কানের কাছে কম করে হলেও দিনে পাঁচবার বলি। মনের কোনে ইচ্ছা ডালপালা নাড়ে, হয়তো জাদুর কা??

আমার মন খারাপ কথাটা তোমার কানের কাছে কম করে হলেও দিনে পাঁচবার বলি। মনের কোনে ইচ্ছা ডালপালা নাড়ে, হয়তো জাদুর কাঠি ছুঁইয়ে টুকুস্ করে একটু হাসিয়ে দেবে। যদিও কখোনো এটা হয়নি তবে এর বদলে বুঝে ফেলেছি আমার ভালো লাগা খারাপ লাগা তোমার কাছে গ্যাস বেলুনের মতো হাল্কা। হাতে পেলেই উড়িয়ে দাও। আমার কি হলো তা ব্যাপার না, নীল-হলুদ আমার অনুভূতি উড়িয়ে দিয়ে তুমি ভীষণ প্রশান্তি পাও। আজকাল হাতে কলম পেলেই আঁকিবুকি কাটি। ভাবটা এমন, চাইলেই আঁকতে পারি ভিঞ্চির মোনালিসার থেকে বিখ্যাত কিছু। আসল ব্যাপারটা পুরোপুরি ভিন্ন। আমার আঁকা তোমার প্রতিকৃতির সাথে কিভাবে যেনো বিভিন্ন মানচিত্রের মিল পাওয়া যায়। মানুষের চেহারার সাথে কিভাবে মানচিত্রের মিল থাকে তা ব্যাপক গবেষণার বিষয়। এই মুহূর্তে সে গবেষণা স্থগিত হোক। গবেষনার অনেক বিষয় আছে। এই যেমন আমি, আমার মন, মন ভর্তি কতশত একটাই তুমি, তোমার জন্য কানায়কানায় পরিপূর্ণ আবেগ। এসব নিয়ে আমি দিনরাত বিস্তর চিন্তা ভাবনা করি। কোনো মেয়ে এভাবে তার আত্মসম্মান বিকিয়ে দিয়ে উৎসুক হয়ে ভালবাসে কিনা জানা নেই! অন্যান্য মেয়েদের ক্ষেত্রে উল্টোটা দেখা যায়। তাদের জন্য গলির মোড়েমোড়ে সস্তা আশিক ফুলপাতা ভালবাসা নিয়ে ঘোরে। তাদের অনুভূতিকে বেলুন বানিয়ে দেয় সুন্দরীরা। তারা তেলাপোকা ভয় পায়। তারা ভালোলাগার মতো। আমার বেলায় চিত্রটা ভিন্ন। আমি শ্যামবরণ, বিশেষত্বহীন মেয়ে, সোজা বাংলায় কুৎসিত। আমার জন্য সেসব থাকেনা। আমার তেলাপোকা ভয় পাওয়া দূরে থাক, নাক কুঁচকানোও অপরাধ। তারপরও কিভাবে যেনো তোমার ভালোবাসার ছায়ায় শিক্ত হলাম। ভালোই তো ছিলাম। জ্যোৎস্না- বকুল ভাবতাম। টুকটাক কবিতা আর হেঁড়ে গলায় রবীন্দ্র সঙ্গীত গাইতাম। মাঝেমাঝে আনন্দে দু চারটে মুক্তা ঝরতাম। হুটহাট, চুপচাপ ঝড়ের পর একদিন হঠাৎ করেই দেখি সে ছায়া আর আগের মতো নেই, কোথায় হারিয়ে গেছে। রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে আশায় থাকি একদিন হয়তো নতুন ডালপালা আবার ছায়া দেবে। পুরোনো শীতল ছায়ায় শান্তিতে চোখের জল ফেলব। যেমন শান্তিতে ঘুম আসে, তেমন। কাজল লেপ্টে গেলে সেটার দোষ তোমার!

        


Jwel Jwel

181 Blogg inlägg

Kommentarer