সুরতহাল রিপোর্ট

সুরতহাল রিপোর্ট

তৃতীয় বর্ষের ক্লাস শুরু হয়ে যায় আমার। এই বষের্ বিষয়গুলো তেমন কঠিন কিছু নয়। ফার্মাকোলজি

সুরতহাল রিপোর্ট

 

তৃতীয় বর্ষের ক্লাস শুরু হয়ে যায় আমার। এই বষের্ বিষয়গুলো তেমন কঠিন কিছু নয়। ফার্মাকোলজি আর জুরিসপ্রুডেন্স। তবে পাশাপাশি সার্জারি মেডিসিন গায়নোকলজির ক্লাসও হচ্ছে, কেবল ক্লাস নয়, হাতে ধরে শেখা, টিপে টুপে চেপে চুপে শেখা, ঘাঁটাঘাঁটি করে শেখা। বর্হিবিভাগেও রোগী পড়তে যেতে হচ্ছে। চক্ষু কণর্ নাসিকা দন্ত যৌন চর্ম ইত্যাদি নানা বিভাগে কেবল ঢুঁ নয়, ওখানেও ঘাঁটাঘাঁটি। একা থিওরেটিক্যাল নলেজ এ কচু হবে, প্র্যাকটিক্যাল নলেজই হল আসল। মেডিকেল কলেজের ল্যাবরটরি হচ্ছে হাসপাতাল, এই ল্যাবরটরির জিনিসগুলো হচ্ছে মানুষ,শবব্যবচ্ছেদ কক্ষের মরা-মানুষ নয়, জীবিত মানুষ। তোমার আমার মত মানুষ। সারি বেধে বিছানায় শুয়ে থাকা, বিছানা না পেলে মেঝেয় শুয়ে থাকা মানুষ, ককাতে থাকা, কাতরাতে থাকা,গোঙাতে থাকা চেঁচাতে থাকা, ঝিম মেরে থাকা, হাতে স্যালাইন পায়ে স্যালাইন মুখে অক্সিজেনের নল মাথার কাছটা উঁচু করে রাখা বিছানায় চোখ উল্টো পড়ে থাকা মানুষ। এদের কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করতে হবে, কি কষ্ট, কবে থেকে কষ্ট, কি রকম সেই কষ্টের চেহারা, ঠিক কোথা থেকে শুরু হয়, কখন শুরু হয়,কোথায় কখন শেষ হয়, আগে এরকম কোনও কষ্ট উদয় হয়েছে কি না, এই কষ্ট ছাড়া আর কোনও কষ্ট আছে কি না কোথাও, আত্মীয় স্বজনের কারও এই কষ্ট আছে কি না, কখনও ছিল কি না ইত্যাদি ইত্যাদি। ইত্যাদি তথ্য নথিবদ্ধ করার পর আমাকে খালি চোখে দেখতে হবে কষ্টের জায়গাটি দেখতে কেমন, হাত দিতে হবে জায়গাটিতে, হাত দেওয়ারও নিয়ম আছে, সবগুলো আঙুলের মাথা দিয়ে চেপে চেপে এক কোণ থেকে আরেক কোণে যেতে হবে,অনুভব করতে হবে ঠিক কি রকম এই কষ্টের জিনিসটি, একটি গোলআলুর মত নাকি একটি তরমুজের মত এর আকৃতি, আমাকে অনুভব করতে হবে আশে পাশে নড়ছে কি না নাকি জগদ্দল পাথরের মত স্থির হয়ে আছে জিনিসটি, হাতে চাপ দেওয়ার সময় আমার এক চোখ থাকা চাই পেটের দিকে, আরেক চোখ রোগীর চোখে, দেখতে হবে রোগী চোখ কুঁচকোচ্ছে কি না ব্যথায়, কি থেকে এই গোলআলু বা তরমুজের উৎপত্তি হল তা বুঝতে আমাকে পেটের সর্বত্র দেখতে হবে যে জিনিসগুলো আছে পেটে তা ঠিক ঠিক আছে কি না, ডানদিকে চেপে চেপে লিভার, পেটের দু কিনারে কিডনি। এরপর বাঁ হাত পেটের ওপর রেখে পেটের আগাপাস্তলা দেখতে হবে ডান আঙুলে সেই হাতের ওপর টোকা মেরে, কি রকম শব্দ আসছে, এ কি জলের শব্দ, না কি মনে হচ্ছে কোনও কাঠের ওপর বা পাথরের ওপর টোকা দিচ্ছি। এরপর পকেট থেকে স্টেথোসকোপ বের করে কানে শুনতে হবে কি রকম শব্দ আসছে, পেটের নালি থেকে ভুরুৎ ভুরুৎ শব্দ আসা মানে নালির কাজ নালি করে যাচ্ছে, শব্দ না আসা মানে কোথাও বাধা পড়েছে চলাচল, কোথায় বাধা পড়েছে, তাহলে কি এই রোগটির নাম ইনটেসটিনাল অবস্ট্রাকশান! গোলআলুর মত যে পিণ্ডটি সেটি কি নালি পেঁচিয়ে জড়ো হয়ে যাওয়া কিছু তা যদি না হয় নালির ভেতর কি মল জমে পিণ্ড তৈরি করেছে, নাকি কৃমি! কেবল এটুকু করে প্রশ্নবোধক চিহ্ন দিয়ে ডায়াগনোসিস লিখে দিলে হবে না। রোগীর মাথা থেকে পা পর্যন্ত পরীক্ষা করতে হবে। স্নায়ুতন ্ত্র ঠিক ঠিক আছে কি না, রোগীর ভেতরের সমস্ত প্রত্যঙ্গ এবং প্রণালি ঠিক কি না, হৃদপিণ্ড, ফুসফুস সব ঠিক ঠিক চলছে কি না সব। আঙুলে যনণ্ত্রা নিয়ে


Rx Munna

446 وبلاگ نوشته ها

نظرات

📲 Download our app for a better experience!