অতলে অন্তরীণ – ৩৭

জুলাই, রবিবার

ছাত্র ইউনিয়নের সেমিনার হল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিষয়, ফতোয়াঃ

জুলাই, রবিবার

 

ছাত্র ইউনিয়নের সেমিনার হল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিষয়, ফতোয়াঃ রাষ্ট্র, ধর্ম, সমাজ ও রাজনীতির প্রেক্ষাপটে। কে এম সোবহান বলেছেন, সত্তর দশকে পুঁজিবাদী বিশ্ব আবিষ্কার করে সমাজতন্ত্র ঠেকানোর জন্য মৌলবাদের চেয়ে অব্যর্থ অস্ত্র আর নেই। মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেছেন, বিএনপি জন্মের পর থেকেই মৌলবাদীদের আশ্রয় ও প্রশ্রয় দিয়ে আসছে। এটা ছিল বিএনপির বিরুদ্ধে আমাদের প্রধান অভিযোগ। কিন্তু দুঃখ এই যে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের একটি দল রাজনৈতিক স্ট্র্যাটেজি নির্ধারণের নামে জামাতের সঙ্গে বসে আলোচনা করছে। ফতোয়াবাজির উদ্ভবের পেছনে রাষ্ট্রীয় মদদ ও সরকারি রাজনীতি, গ্রামীণ ক্ষমতা কাঠামোর পরিবর্তন, উপমহাদেশের সাম্প্রতিক মৌলবাদী রাজনীতি, সাম্রাজ্যবাদী তৎপরতা, ধর্মান্ধতা, বাম রাজনীতির ব্যর্থতা, ইংরেজদের ডিভাইড এণ্ড রুল নীতির কারণে পাকিস্তান নামের মৌলবাদী রাষ্ট্রের উত্থান প্রভৃতি কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে।

 

এছাড়া গণতান্ত্রিক ছাত্র ঐক্য আজ দেশব্যাপী ফতোয়াবাজ প্রতিরোধ পালন করা ঘোষণা দিয়েছে। এ তো গেল ঘরের ঘটনা। ঘরে বসে ঘোষণা দেওয়ার ঘটনা। ঘরের বাইরে কি ঘটছে? রাস্তায় কি ঘটছে? বড় বড় মাঠে ময়দানে ঘটছে কি?

 

সিলেটে ২৯ জুলাইএর লং মার্চ সফল করার লক্ষ্যে ঐতিহাসিক রেজিস্ট্রারী ময়দানে ভাষণ দেন ইসলাম ও রাষ্ট্রদোহী প্রতিরোধ মোর্চার মহাসচিব মাওলানা ফজলুল হক আমিনী। বিশাল ময়দান, বিশাল জমায়েত, বিশাল ভাষণ। সিলেট ঘুরে এসে বিবৃতি দিয়েছেন, সিলেটসহ সারা দেশে যে গণজাগরণ দেখে এসেছি তাতে প্রতীয়মান হয় যে আগামী ২৯ জুলাই পবিত্র কোরান দিবসে ঢাকায় তৌহিদী জনতার ঢল নামবে। সারা দেশ থেকে লাখ লাখ জনতা লং মার্চ করে ঢাকায় আসার জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। তৌহিদী জনতার ঈমানের জোয়ারে সেদিন নাস্তিক মুরতাদ চক্রের দাফন করা হবে। ৩০ জুন সফল হরতাল পালিত হওয়ার পর প্রায় ৯ দিন অতিবাহিত হয়ে গেল, অথচ সরকার আমাদের একটি দাবিও পূরণ করেনি। এনজিওদের পক্ষে সরকারের কোন কোন মন্ত্রীর সমর্থন এবং আলেম উলেমাদের ঢালাওভাবে ফতোয়াবাজ আখ্যা দানে জনমনে আরও পরম ক্ষোভ পরিলক্ষিত হচ্ছে। সরকারের এহেন ভূমিকা দেশে ভয়াবহ পরিস্থিতি ডেকে আনবে। আমরা নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনে বিশ্বাসী। কিন্তু আমাদের নিয়মতান্ত্রিকতাকে দুর্বলতা ভাবলে ভুল হবে।

 

চট্টগ্রামে নেছারিয়া আলিয়া মাদ্রাসার উদ্যোগে শাহাদাতে কারবালা বিষয়ে আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন যে আজকে এক শ্রেণীর মুরতাদ নাস্তিক ধর্মদ্রোহী দেশ হতে ঈমানী আওয়াজকে বন্ধ করার জন্য এবং দেশকে একটি নাস্তিক্যবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য নানাভাবে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। তারা তসলিমার মত বেহায়া, নাস্তিক মহিলাকে এ কাজে লেলিয়ে দিয়ে কোরান হাদিস এবং দ্বীনি ধ্যান ধারণার ওপর নির্লজ্জ হামলা চালিয়ে


Rx Munna

446 Blog bài viết

Bình luận