আকাশ ভাঙা বৃষ্টি আর বজ্রপাত। এর মধ্যেই সেদিন বেরিয়ে পড়লাম বাড়ি থেকে। কী, বৃষ্টিতে ভিজবো।
কেন ভিজবে?
ইচ্ছে করেছে।
ইচ্ছে?
হ্যাঁ ইচ্ছে।
লোকে কী ভাববে বলো!
কী ভাববে?
ভাববে মাথা খারাপ।
ভাবুক।
বৃষ্টিতে ভিজলে অসুখ করবে তো!
কী অসুখ?
সর্দি জ্বর।
করুক।
এই বয়সে এসব মানায় না।
কোন বয়সে এসব মানায়?
ষোলো সতেরো বছর বয়স হলে ঠিক হতো।
অনেকের চোখে তাও ঠিক নয়। কে বানিয়েছে কোন বয়সে কী করা উচিত কী উচিত নয়, তার লিস্ট?
সোসাইটি।
সোসাইটির জন্য আমরা, নাকি আমাদের জন্য সোসাইটি? মানুষই নিয়ম তৈরি করে। মানুষই নিয়ম ভাঙে। কোনও নিয়মই দীর্ঘকাল বিরাজ করে না।
আমাদের কথোপকথন এরপর আরও অনেক এগিয়ে শেষে স্বেচ্ছাচারে গিয়ে থেমেছে। স্বেচ্ছাচার শব্দের অর্থ যদি নিজের খেয়ালখুশিতে করা কাজ (সংসদ বাংলা অভিধান) হয় তবে অবশ্যই আমি স্বেচ্ছাচারী। একশ ভাগ। এ আমার জীবন। আমি সিদ্ধান্ত নেব আমার জীবনে আমি কী করবো না করবো। অন্যে কেন নেবে? জীবন যার যার তার তার। নিজের জীবনে কার কী করার ইচ্ছে, তা মানুষের নিজেরই জানা উচিত। যার এখনও নিজস্ব ইচ্ছে গড়ে ওঠেনি, তাকে আমি প্রাপ্তবয়স্ক বলি না। যে এখনও নিজের ইচ্ছে অনুযায়ী চলে না বা চলতে ভয় পায়, তাকে আমি সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষও মনে করি না।
এখন প্রশ্ন উঠতে পারে, কারও যদি ইচ্ছে করে কাউকে খুন করতে, তবে? কারও যদি ইচ্ছে করে কাউকে ধর্ষণ করতে, তবে? আমার ব্যক্তিগত মত, যে স্বেচ্ছাচার অন্যের ক্ষতি করে, সেই স্বেচ্ছাচারে আমি বিশ্বাসী নই। এখন ক্ষতিরও রকম ফের আছে। কেউ যদি বলে ‘তুমি ওই ধর্মের নিন্দা করতে পারো না, কারণ তোমার