২০০২-২০০৩ সাল
থেকে গাবতলীতে পশুর হাট হিসেবে কর্পোরেশন কর্তৃক ব্যবহৃত কাউন্সিলের জমি এবং বাজার থেকে আদায়কৃত রাজস্বের অর্ধেক দখল নিয়ে ঢাকা জেলা পরিষদ এবং ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে।
জুনের প্রথম দিকে পালিত হতে পারে এমন ঈদ-উল-আযহার আগে তাদের জমি দখল এবং বকেয়া রাজস্ব আদায়ের দাবিতে জেলা পরিষদ সিটি কর্পোরেশনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে পারে।
২০০২ সাল থেকে স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে ৪.১৬ একর জমি হস্তান্তর এবং গাবতলী পশুর হাট থেকে আদায়কৃত রাজস্বের ৫০ শতাংশ মওকুফের জন্য বারবার নির্দেশনা দেওয়া সত্ত্বেও, নগর কর্তৃপক্ষ কোনও নির্দেশনাই মেনে চলেনি।
ঢাকা উত্তর সিটি
কর্পোরেশন আজ পর্যন্ত কোনও নির্দেশনা মেনে চলেনি। আমরা এই বিষয়ে তাদের বেশ কয়েকটি চিঠি পাঠিয়েছি,’ জেলা পরিষদের তৎকালীন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোয়াজ্জম হোসেন ২৫ এপ্রিল বলেন।
‘অবশেষে, আমরা একটি আইনি নোটিশ পাঠিয়েছি এবং এখন মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি,’ তিনি বলেন। তিনি বলেন যে নগর কর্তৃপক্ষ কাউন্সিলের কাছে কমপক্ষে ১০০ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে।
পরিষদ ৩ মার্চ সিটি কর্পোরেশনকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে, যাতে জমি হস্তান্তর করতে এবং ২০০৩-২০২৫ অর্থবছরে সংগৃহীত রাজস্বের ৫০ শতাংশ ৩০ দিনের মধ্যে পরিশোধ করতে বলা হয়েছে।
নোটিশে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে যে দাবি পূরণে ব্যর্থ হলে কাউন্সিল আইনি ব্যবস্থা নেবে এবং সংশ্লিষ্ট সমস্ত ব্যয়ের জন্য কর্পোরেশনকে দায়ী করবে।
‘আমরা উভয়ই সরকারি প্রতিষ্ঠান। রাজস্ব শেষ পর্যন্ত সরকারের কাছে যায়। "আমি বিষয়টি জেলা পরিষদের সাথে আলোচনা করব," ২৩ এপ্রিল ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ আজাজ বলেন।
৭ এপ্রিল,
২০০২ তারিখে স্থানীয় সরকার বিভাগের এক আদেশে তৎকালীন ঢাকা সিটি কর্পোরেশনকে জমিটি জেলা পরিষদের কাছে হস্তান্তরের পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল কিন্তু সিটি কর্পোরেশন কখনও তা পালন করেনি।
৯ অক্টোবর, ২০০২ তারিখে এক পরবর্তী আদেশে, বিভাগ সিটি কর্পোরেশনকে বাজার ইজারা থেকে সংগৃহীত মোট রাজস্বের ৫০ শতাংশ জেলা পরিষদকে প্রদানের নির্দেশ দেয়।
৮ জুন, ২০০২ এবং ২৭ জুন, ২০০২ তারিখে স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের উভয় সংস্থার কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকের পর এই আদেশ জারি করা হয়।
