ঢাকার এক পুরনো ফ্ল্যাটবাড়ি—চারতলার শেষ ইউনিটটা অনেকদিন খালি পড়ে ছিল। কেউ ভাড়া নিতে চায় না। কারণ, লোকমুখে শোনা যায়, ওখানে একটা "ছায়া" থাকে। অন্ধকার হলে সে নড়াচড়া করে, আর যে তাকায়, সে আর আগের মতো থাকে না।
রিমি ও তার পরিবার নতুন ভাড়াটে। ওসব গুজবে তারা বিশ্বাস করে না। মা-বাবা, ছোট ভাই মিলে নতুন ফ্ল্যাটে উঠল এক বিকেলে। সবই ঠিকঠাক, কিন্তু রাত নামতেই শুরু হলো অদ্ভুত সব ঘটনা।
রিমি দেখে, বারান্দার কোনায় অন্ধকারে যেন কিছু একটা নড়ছে। ভাবল, চোখের ভুল।
রাত তিনটার দিকে রিমি ঘুম থেকে উঠে দেখে ঘরের জানালার পাশে একটা ছায়া দাঁড়িয়ে আছে। পা নেই, মুখ নেই—শুধু এক কালো কুয়াশার মতো গড়ন।
সে ধীরে ধীরে রিমির দিকে এগিয়ে আসে।
ছায়াটা ফিসফিস করে—“তুই আমার ঘরে কেন এসেছিস? এটা আমার… আমার… আমার…”
রিমি চিৎকার করতে পারে না, গলা যেন কেউ চেপে ধরেছে।
সকালে মা তাকে অচেতন অবস্থায় বিছানায় পড়ে থাকতে দেখে। ডাক্তারেরা বলে, কোনো মানসিক ধাক্কা। কিন্তু রিমি শুধু বলে, “ঘরের দেয়ালে একটা ছায়া আছে… সে আমার দিকে তাকিয়ে আছে… সবসময়…”
পরের সপ্তাহেই পরিবারটা বাড়ি ছেড়ে দেয়।
শুনা যায়, রাত হলেই ওই ঘরে আবার ছায়াটা ফিরে আসে—ধীরে ধীরে… নিঃশব্দে…