গাছ যেভাবে মানুষের উপকার করে

গাছ মানুষের বন্ধু। গাছ নানাভাবে আমাদের উপকার করে। খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, অক্সিজেন, ওষুধ ইত্যাদি আমরা গাছ থেক

যেসব এলাকায় গাছের পরিমাণ বেশি, সেখানে বন্যা ও ঝড়ে ক্ষতির পরিমাণ কম। গাছপালা মানুষকে সন্তানের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা করে। যদি বাসাবাড়ির ছাদগুলোকে একটুখানি সবুজ করা যায়, তাহলে শহরের তাপমাত্রা তুলনামূলক কমবে। ছাদের বাগান ঘরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখতে ভূমিকা রাখে।

 

একটা সবজির গাছ তিন মাসের জন্য তিনজনের অক্সিজেন সরবরাহ করতে পারে। শহরে ফাঁকা জায়গার অভাব। তাই বাড়ির অন্তত ২৫ শতাংশজুড়ে ছাদ বাগান করা উচিত। শুধু পরিবেশগত দিকই নয়, ছাদ বাগান করে আর্থিকভাবেও লাভবান হওয়া যায়। শখের পাশাপাশি বাণিজ্যিকভাবে ছাদ বাগান করে সফল হয়েছেন অনেকে। আড়াই কাঠার বাড়ির ছাদে সবজি চাষ করে পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে বছরে ৫০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব।

 

একটি দেশের মোট ভূখণ্ডের কমপক্ষে ২৫ ভাগ বনভূমি প্রয়োজন। বাংলাদেশে সেই তুলনায় অনেক কম। পর্যাপ্ত বনভূমি না থাকায় প্রতিনিয়ত বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়ছে। মরুভূমিতে রূপান্তর হচ্ছে দেশ। কাবর্ন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ প্রাণী জগতে বেড়েছে। ক্ষতিকর ক্লোরোফ্লোরো কার্বন, মিথেন ও নাইট্রাস অক্সাইডের পরিমাণ অনেক গুণ বেড়েছে। ওজন স্তরে ফাটল সৃষ্টি হচ্ছে। অ্যাসিড বৃষ্টি ও তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এন্টার্কটিকার বরফ গলে সমুদ্রেগাছ কমায় আবহাওয়ার আচরণও বদলেছে। গরমের সময় অতিরিক্ত গরম, ঠান্ডার সময় কখনো অতিরিক্ত ঠান্ডা বা গরম। এছাড়া পেয়েছে কৃষি উৎপাদন হ্রাস। পরিবেশ-প্রকৃতি বাঁচাতে গাছ লাগানোর বিকল্প নেই। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গাছ লাগাতে উৎসাহী হওয়া উচিত। বৃক্ষমেলার পাশাপাশি বৃক্ষ রোপণেরও উৎসব হতে পারে। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ উৎসবের আয়োজনে ভূমিকা রাখতে পারে।

 

জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা ও জনসংখ্যার চাহিদার সঙ্গে মিল রেখে বৃক্ষরোপণের কোনো বিকল্প নেই। সরকারি-বেসরকারি ও ব্যক্তিগতভাবে সকলের উচিত বৃক্ষ রোপণে এগিয়ে আসা। পৃথিবীকে বাসযোগ্য করে তুলতে গাছের বিকল্প নেই।

 

এসইউ/এএসএমর


Md Elias

51 وبلاگ نوشته ها

نظرات