কেউ একসাথে পথ চললেও তাদের চলার পথ এক হয় না। সবাই নিজ নিজ কক্ষপথে ঘুরে যাচ্ছে ।কোন একটা অদৃশ্যকে কেন্দ্র করে ঘুরছে। একসাথে ঘুরছে কিন্তু ঘুরছে ঠিকই ঘুরছে কথাটা শুধু বলার জন্য। ঘুরতে থাকলে তো যে দিক থেকে শুরু হয়েছে সেই দিকেই ফেরত যেতে পারতো। তাকে কেউ পারে।
পারলে তো আমিই ফের আমার ফেলে আসা দিনগুলোতে আমিই ফেরত যেতাম। বোডিং স্কুলে ফেলে আসা দিনগুলোতে ফেরত যেতে পারতাম ঘুম থেকে উঠে তাড়াহুড়া করে ডাইনিং এ যে তাড়াতাড়ি খাবার খেয়ে স্কুলের জন্য দৌড়াতাম যাতে সবার আগে বসতে পারি। সবাই মিলে একসাথে ক্লাস করা।
ফারদের কথাগুলো খানিকটা কানে ঢুকলেও বাকি, কথাগুলো কোথা থেকে কোথায় চলে যাচ্ছে তার হদিস না পাওয়া। মনের মধ্যে এক ধরনের বিরক্তিটা কাজ করতো। আবার, এক ধরনের অভ্যস্ততা এই রুটিনটাই ছিল যেন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
জীবন আমাদের প্রতিনিয়ত করো না কোন কিছুর সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। জীবনের দিন চারটে হয় না। দশটাও হয় না। হয় অসংখ্য, তা প্রকাশ পেতে থাকে সময়ের সাথে। সবার চলার পথ একই রকম হয় না। সময়ের দিক একই রকম হয় না।