জেলে পল্লী ঘুরা, মাছ ধরা আর স্থানীয় জীবনের ছোঁয়া

এটি সম্পূর্ণ আমার নিজের অভিজ্ঞতা। কোথাও থেকে কপি করা হয়নি। ধন্যবাদ।

লঞ্চ থেইকা নামিয়া আমরা একটা ছোট্ট জেলে পল্লীতে যাইলাম। বস্তির মতো কিছু কুঁড়েঘর, আর ছোট ছোট নৌকা সারি দিয়ে রাখা। জেলেরা মাছ ধরা আর নৌকা মেরামতের কাজে ব্যস্ত। আব্বা কইল, “এই জেলেরা এই সুন্দরবনের প্রকৃতির সঙ্গে খুব কাছে থাকে।”

 

আমরা গাইড ভাইয়ের নেতৃত্বে পল্লীর ভিতর ঢুকলাম। এক দাদু জেলেরা আগাইয়া কইল, “আপনারা এসেছেন? চলেন, আমরা আপনাদের মাছ ধরা দেখাই।” আমরা মুগ্ধ চোখে তাকাইলাম।

 

জেলেরা নৌকা চালাইয়া নদীর মোহনায় গেলো। দেখলাম, বড় বড় জালের ভিতর কিছু মাছ আটকে আছে। জেলেরা সজাগ চোখে তাকাইয়া মাছ গুলো বের করতেছিল। আম্মা জিজ্ঞেস করল, “একবারে কত মাছ ধরা হয়?” দাদু কইল, “যদি ভাগ্য ভালো থাকে, শতশত মাছ ধরা যায়, না হলে কম।”

 

আমরা মাছগুলো দেখে অবাক হইলাম – রঙের নানা বিচিত্র মাছ, কখনো টুকটুকে, কখনো ঝকঝকে। ছোট ভাই একটা ছোট মাছ ধরে দাদুকে দিলো, দাদু হাসি দিয়া বলল, “এই মাছ এরা বাচ্চাদের জন্য।”

 

পল্লীর ঘরের কাছে গিয়ে দেখি নারীরা মাছ পরিষ্কার করতেছে। গাইড ভাই কইল, “এই পল্লীতে সব মিলায়া একটা পরিবারের মতো জীবন।”

 

আমরা কথা বলতাছি, স্থানীয়দের সঙ্গে, তাদের খাওয়া-দাওয়া, জীবন সংগ্রাম আর প্রকৃতির সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে। আব্বা অনেক কিছু নোট করতেছিল, আম্মা ছবি তুলতেছিল।

 

আমাদের মনে হইল, সুন্দরবন শুধু বন নয়, হাজার হাজার মানুষের বাসস্থান আর জীবন সংগ্রামের উৎস। এই পল্লীর গল্প না শুনলে ভ্রমণ অসম্পূর্ণ থাকতো।


Hridoy Sarker

85 Blog posts

Comments