আরবিতে রুহ বলে বাংলায় বলে আত্না। আজ থেকে ৫০ বছর পরে যে বাচ্চা জন্মগ্রহণ করবে তাদের রুহুও বানিয়ে রাখা আছে , নির্দিষ্ট সময়ে পাঠানো হবে। আত্নাকে নিয়ে নানান কাহিনি দেখতে চাইলে ভুতের ছবি বা ভিডিও তে দেখা যায়। কিন্তু আত্নার কোন ক্ষমতা নেই আল্লাহর হুকুম ছাড়া এক চুল পরিমান নড়াচরা করার, সে কিভাবে মানুষের ক্ষতি করবে? আল্লাহ আত্না বা রুহ সম্পর্কে যা বলেছেন পবিত্র কুরআন শরীফে তা নিচে উল্লেখ করলাম, এর চেয়ে আর বড় কোন সত্য নেই, কারন উনি তৈরি করেছেন আর উনিই জানেন তার সবকিছু,
"তারা আপনাকে রূহ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। বলে দিনঃ রূহ আমার পালনকর্তার হুকুম।এ বিষয়ে তোমাদেরকে সামান্য জ্ঞানই দান করা হয়েছে।”
(সুরা বনী ইসরাঈল, ৮৫)
“And they ask you (O Muhammad SAW) concerning the Rûh (the Spirit); Say: ”The Rûh (the Spirit): it is one of the things, the knowledge of which is only with my Lord. And of knowledge, you (mankind) have been given only a little.”
— (সুরা বনী ইসরাঈল, ৮৫)
আত্না বা রুহ হল আল্লাহর বিস্ময়কর সৃষ্টি, বাচ্চা যখন মায়ের পেটে থাকে আর আল্লাহর পক্ষ থেকে রুহ দিয়ে দেয়া হয় তখন বাচ্চা নড়াচড়া শুরু করে যা তার মা বুঝতে পারে।আর এই রুহ আল্লাহর হুকুমে যতদিন আমাদের শরীরে থাকে ততদিন আমরা সব ধরনের ক্রিয়াকলাপ করতে পারি যদি আল্লাহ সব অনুভূতি ঠিক রাখেন। কিন্তু যখন আল্লাহ শরীর থেকে এই রুহকে সরিয়ে নেন তখন প্রানহীন দেহ হিসেবে পরে থাকে।
