জীবন কী?
একজন শিক্ষক তাঁর ক্লাসরুমে পড়াচ্ছেন। তিনি একটা খালি বয়াম টেবিলের ওপরে রাখলেন। তারপর তার ভেতরে ঢোকালেন কতগুলো বড় পাথরের টুকরা। বয়ামটা ভরে গেল। তিনি বললেন, ‘ছাত্ররা, দেখো তো, আর কোনো পাথরখণ্ড ঢুকবে কি না?’ ‘না, স্যার।’ ‘তাহলে বয়ামটা ভরে গেছে, কী বলো?’ ‘জি, স্যার।’ এবার শিক্ষক কতগুলো ছোট নুড়ি বয়ামটাতে ঢালতে লাগলেন। নুড়িগুলো পাথরের ফাঁকে ফাঁকে ঢুকে গেল। তিনি বললেন, ‘এবার ভরেছে। কী বলো?’ ‘জি, স্যার।’ তিনি এবার বালু ঢালতে লাগলেন। পাথর আর নুড়ির ফাঁকে ফাঁকে বালু ঢুকতে লাগল এবং বয়ামটাকে পূর্ণ করে তুলল। শিক্ষক বললেন, ‘আচ্ছা, এবার আমরা পুরো ব্যাপারটাকে উল্টো করে করি। প্রথমেই আমরা যদি বালু দিয়ে বয়ামটা পূর্ণ করে ফেলি, তাহলে কী হবে?’ তিনি বালু দিয়ে পাত্রটা পূর্ণ করলেন। তারপর আর নুড়ি কিংবা পাথর ঢোকানোর জায়গা রইল না। তিনি বললেন, ‘এ থেকে আমরা খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু জিনিস শিখব। এই যে পাত্রটা দেখছ, এটা হলো আমাদের জীবন। এই যে বড় বড় পাথরখণ্ড, এগুলো হলো আমাদের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। আমাদের পরিবার, বাবা-মা, ভাইবোন, স্বামী-স্ত্রী, সন্তান, আমাদের স্বাস্থ্য, আমাদের শিক্ষা। আর নুড়িগুলো হলো আমাদের বিষয়সম্পত্তি, আমাদের গাড়ি-বাড়ি, আমাদের টেলিভিশন, আমাদের টেলিফোন, আমাদের বাগান। আর বালু হলো বাকি সবকিছু, আমাদের জীবনে আর যা যা করতে হয়। প্রথমেই যদি আমরা ছোট ছোট জিনিস দিয়ে জীবনটাকে ভরে ফেলি, তাহলে বড় কাজগুলো করা হবে না। কাজেই সব সময় পরিবারকে সময় দেবে, বাবা-মায়ের যত্ন নেবে, নিজের স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখবে, লেখাপড়া করবে। তারপর গাড়ি-বাড়ি, কম্পিউটার-টেলিফোন এসবের দিকে নজর দেবে।’