পেইনের মূল দর্শন ছিল—"ব্যথা না পেলে মানুষ শান্তি বোঝে না"। এই ধারণা থেকেই সে সিদ্ধান্ত নেয়, সবার মাঝে ব্যথা ছড়িয়ে দিয়েই কেবল সত্যিকার শান্তি আনা সম্ভব। তার নেতৃত্বে গঠিত হয় ‘আকাতসুকি’—একটি গোপন সংগঠন যা বিশ্বের ভারসাম্য বদলে দেওয়ার স্বপ্ন দেখে।
নাগাতোর ছয়টি দেহ ব্যবহার করে তৈরি হয় “Six Paths of Pain”, যার মাধ্যমে সে দূর থেকে যুদ্ধ নিয়ন্ত্রণ করত। প্রতিটি পথের আলাদা ক্ষমতা ছিল, আর এই ছয় পথ মিলেই পেইনের নামে এক ভয়াবহ শক্তির জন্ম হয়।
তবে সব কিছুর পরেও, পেইনের মনেও ছিল দ্বন্দ্ব। নারুটোর সঙ্গে মুখোমুখি হওয়ার পর সে প্রথমবারের মতো নিজের মতবাদকে প্রশ্ন করতে বাধ্য হয়। নারুটোর অটল বিশ্বাস, বন্ধুত্ব ও সহানুভূতি শেষ পর্যন্ত নাগাতোর হৃদয় ছুঁয়ে যায়।
পেইন দেখিয়েছে, একজন ভিলেনের মাঝেও থাকে অতীতের ব্যথা, আদর্শ আর ভুল বোঝাবুঝির ছায়া। তার গল্প আমাদের শেখায়—শান্তি কখনো ভয় দিয়ে নয়, বরং বোঝাপড়া আর করুণার মাধ্যমেই অর্জিত হয়।
পেইন শুধু একজন চরিত্র নয়, সে এক দর্শন—এক যন্ত্রণা, যে আমাদের ভাবতে বাধ্য করে শান্তি, যুদ্ধ আর জীবনের প্রকৃত অর্থ নিয়ে।