আজরাইল (আঃ) কে আল্লাহ বিশেষ ক্ষমতা দিয়েছেন, যাতে তিনি সারা বিশ্বের প্রতিটি মানুষের মৃত্যুর সময় ঠিকঠাক আত্মা গ্রহণ করতে পারেন। মানুষের মৃত্যু যে সময় নির্ধারিত, সেই সময় উপস্থিত হয়ে তিনি আত্মা কেড়ে নেন অত্যন্ত সুশৃঙ্খল ও নিখুঁতভাবে।
তিনি কখনও কোনো ভুল করেন না, দেরি করেন না, এবং কাউকে আগেভাগে মৃত্যু দেন না। ধনী-গরিব, রাজা-প্রজা—সবার জীবন একদিন শেষ হবে, আর সেই সময় আজরাইল (আঃ) হাজির হবেন তাঁর কর্তব্য পালনে।
বিশ্বাস করা হয়, মুমিন বান্দার আত্মা গ্রহণ করা হয় শান্তিপূর্ণভাবে, যেন এক ফোটা পানি একটি কাঁচের পাত্র থেকে বেরিয়ে যায়। পক্ষান্তরে, অবাধ্য বা কুফরকারী ব্যক্তির আত্মা তুলে নেওয়া হয় কঠিনভাবে, যেটা খুব কষ্টদায়ক হয়।
আজরাইল (আঃ) আমাদের স্মরণ করিয়ে দেন যে দুনিয়ার জীবন চিরস্থায়ী নয়। আমাদের প্রতিটি কাজের হিসাব হবে, এবং সেই বাস্তবতা উপলব্ধি করে আমাদের উচিত ভালোভাবে জীবনযাপন করা—আল্লাহকে স্মরণ করে, সৎ আমল করে।
শেষ কথা:
আজরাইল আলাইহিস সালাম আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য সত্যের প্রতিনিধিত্ব করেন—মৃত্যু। তিনি কোনো ভয় পাওয়ার প্রতীক নন, বরং তিনি আল্লাহর এক মহামান্য ফেরেশতা, যিনি আমাদের চিরন্তন জীবনের পথে যাত্রার দায়িত্বপ্রাপ্ত। মৃত্যুকে স্মরণ করাই মানুষকে সঠিক পথে চলতে উদ্বুদ্ধ করে।