দুনিয়ার জীবন পরীক্ষার স্থান

আল্লাহ আরও বলেন: "হে মু’মিনগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। প্রত্যেকেই চিন্তা করে দেখুক, আগামীকালের জন্য সে কী (পুণ্?

আমরা দুনিয়ায় প্রতিদিন নিজেদের প্রয়োজন নিয়ে ভাবি, কীভাবে নিজের চাহিদা পূরণ করা যায়, কীভাবে ভবিষ্যতের জন্য বেশি সঞ্চয় করা যায়—এইসব বিষয়েই আমাদের সময় কাটে। কিন্তু কখনো কি গভীরভাবে ভেবে দেখেছি যে, একদিন আপনি, আমি—সবাই এই দুনিয়া ছেড়ে চলে যাবো? সেদিন শুধুমাত্র কাফনের সাদা কাপড়টাই আমাদের সাথে যাবে, আর দুনিয়ার কোনো সম্পদ আমাদের সাথে থাকবে না। 

 

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা বলেন: "প্রত্যেকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে, এবং কেয়ামতের দিন তোমাদেরকে তোমাদের পুরস্কার পুরোপুরি দেয়া হবে। তখন যাকে জাহান্নাম থেকে দূরে রাখা হবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে, সে-ই সফলকাম হবে। আর দুনিয়ার জীবন তো ধোঁকার সামগ্রী ছাড়া আর কিছুই নয়।"  

— (সুরা আলে ইমরান, ৩:১৮৫)

 

তাহলে, এই ক্ষণস্থায়ী দুনিয়ার পেছনে ছুটে আমরা আসল সত্যকে ভুলে যাচ্ছি না তো? আমাদের কি কোনো প্রস্তুতি আছে সেই দিনের জন্য, যেদিন আল্লাহর সামনে দাঁড়াতে হবে, আমাদের সমস্ত কাজের হিসাব দিতে হবে?

 

আল্লাহ আরও বলেন: "হে মু’মিনগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। প্রত্যেকেই চিন্তা করে দেখুক, আগামীকালের জন্য সে কী (পুণ্য কাজ) অগ্রিম পাঠিয়েছে।"  

— (সুরা হাশর, ৫৯:১৮)

 

এই জীবন হলো পরীক্ষার স্থান। আমাদের প্রতিটি মুহূর্তকে হিসাব করে চলতে হবে, যেন আমরা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারি। দুনিয়ার প্রয়োজন মেটানোর পাশাপাশি, আখিরাতের জন্যও সঞ্চয় করা জরুরি—সেটা হলো ভালো আমল, আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা, এবং জীবনের প্রতিটি কাজে তাঁর সন্তুষ্টি খোঁজা।

 

তাই এখনই সময় নিজেকে প্রশ্ন করা, আমি কি সেই দিনের জন্য প্রস্তুত?


Bonolota

106 Blog mga post

Mga komento
Akhi Akter Mim 42 sa

আল্লাহ সবাইকে বুঝার তৌফিক দান করুন আমিন