এক বনে একটা শেয়াল বাস করত। সে নিজেকে বনের অন্য পশুপাখির চেয়ে বেশি চালাক মনে করত। এই চালাক শেয়ালের প্রতিবেশী একটা বক। শেয়াল বককে ঠকিয়ে একটু মজা করতে চেয়েছিল।
তাই সে একদিন বককে নিমন্ত্রণ করেছিল। বক শেয়ালের বাড়িতে নিমন্ত্রণ খেতে এল। শেয়াল চালাকি করে একটা থালায় কিছু পাতলা ঝোল পরিবেশন করল।
বক তার লম্বা ঠোঁট দিয়ে থালা থেকে এক ফোঁটা ঝোলও খেতে পারল না। একদিকে শেয়াল নিজেই থালার সবটুকু ঝোল চেটেপুটে খেয়ে নিল। বককে ঠকাতে পেরে শেয়াল মনে মনে খুব খুশি হয়েছিল।
কিন্তু সে মুখে বলল, “আমি খুব দুঃখিত যে ঝোলটা আপনার পছন্দ হয়নি, তাই একটুও খাননি।” বক বলল, “আমি বেশ খেয়েছি!“” তারপর সে শেয়ালকে বলল, “কাল আপনি আমার বাড়িতে খাবেন।”
পরদিন এই চালাক শেয়াল সেজেগুজে বকের বাড়িতে নিমন্ত্রণ খেতে গেল । বক জানত, শেয়াল কাঁকড়া খেতে খুব ভালোবাসে। বক তাই কাকড়ার ঝোল রান্না করেছিল।
কিন্তু সে থালায় পরিবেশন না করে ভারী কুঁজোর মধ্যে ঝোল পরিবেশন করেছিল। কুজোর সরু গলায় শেয়াল মুখ ঢুকাতে পারল না ।
কাকড়ার ঝোলের সুগন্ধে তার খিদে আরও বেড়ে গিয়েছিল। তাই সে খিদের জ্বালায় কেবল কুঁজোর গা চাটতে লাগল। এদিকে বক তার লম্বা গলা কুঁজোর মধ্যে ঢুকিয়ে সহজেই সবটুকু ঝোল খেয়ে নিল।
শেয়ালের অবস্থা দেখে বক জিজ্ঞাসা করল, “কেমন হয়েছে ঝোলটা?” শেয়াল আর কী বলে? সে জিভ চাটতে চাটতে বলল, “তা মন্দ কী!”
বাড়ি ফিরবার সময় শেয়াল আপন মনে বলল- বক আজ আমায় উচিত শিক্ষা দিয়েছে।
md Nur Alom Babu
Hapus Komentar
Apakah Anda yakin ingin menghapus komentar ini?