বেগুন চাষের পদ্ধতি বিবরণ :
বেগুন চারার বয়স ৩০-৪০ দিন অথবা ৪-৬টি পাতা হলে জমিতে বোনতে হবে।
অল্প সংখ্যক চারা উৎপাদনের জন্য বীজতলা হিসেবে কাঠের বাক্স, প্লাস্টিকের ট্রে অথবা বড় টব ব্যবহার করা যেতে পারে।
প্রতি বর্গ মিটার বীজতলার জন্য ০.১০ ঘন মিটার পচা গোবর সার ও ৩০ গ্রাম টিএসপি সার ব্যবহার করা যেতে পারে। চাষের পর সম্পূর্ণ জমিকে কয়েকটি ছোট ছোট বীজতলাতে ভাগ করে নিতে হবে।
জমি তৈরি ও চারা বপন
বেগুনের চাষাবাদের জমি সেচ ও পানি নিকাশের সুবিধাযুক্ত পর্যাপ্ত সূর্যালোক পায় এমন স্থান নির্বাচন করতে হবে।
সাধারনত বেগুন চাষের জমি ভালো করে ৪-৫ বার চাষ ও মই দিয়ে আগাছামুক্ত করে মাটি ঝুরঝুরে ও সমান করে নিতে হবে।
জমির নকশা…
জমিতে বেডের আকার হবে প্রস্থ ৭০ সেমি।
দৈর্ঘ্য জমির দৈর্ঘের উপর নির্ভর করবে।
চার বপনের দূরত্ব ১০০ থেকে৭৫ সেমি।
নালার আকার ৩০ সেমি প্রস্থ হঅয়া উত্তম।
গভীরতা হবে ২০ সেমি।
বেগুন চারা বোনার জন্য চার বয়স ৩৫-৪৫ দিনে হতে হয়, এ সময় চারাতে ৫-৬টি পাতা গজায় এবং প্রায় ১৫ সেমি. লম্বা হয়।
বেগুনের চারার বয়স একটু বেশী হলেও লাগানো যেতে পারে।
প্রয়োজনে দু’মাস পর্যন্ত চারা বীজতলার রেখে দেওয়া যায়।
চারা তোলার সময় যাতে শিকড় নষ্ট না হয সেজন্য চারা তোলার ১-২ ঘন্টা আগে বীজতলায় পানি দিয়ে মাটি ভিজিয়ে নিতে হবে।
চারা রোপণ দূরত্ব জাত, মাটির উর্বরতা ও উৎপাদন মৌসুমের উপর নির্ভর করে।
সাধারণত বড় আকারের বেগুনের জাতের ক্ষেত্রে ৯০ সেমি. দূরে সারি করে সারিতে ৬০ সেমি. ব্যবধানে চারা লাগানো যেতে পারে এবং ক্ষুদ্রাকার জাতের ক্ষেত্রে ৭৫ সেমি. সারি করে সারিতে ৫০ সেমি. ব্যবধানে চারা লাগানো যেতে পারে।
জমিতে লাগানোর পর পরই যাতে চারা শুকিয়ে না যায় সে জন্য সম্ভব হলে বিকালের দিকে চারা লাগানো উচিত।
সার প্রয়োগ
বেগুন গাছ মাটি থেকে প্রচুর খাদ্য উপাদান শোষণ করে, তাই বেগুনের ভালো ফলন সার ব্যতীত সম্ভব নয়। তবে সারের পরিমাণ নির্ধারণ করতে হবে জমির উর্বরতার উপর নির্ভর করে।
বেগুন চাষের জন্য হেক্টর প্রতি নিম্ন লিখিত পরিমাণে সার সুপারিশ করা যেতে পারে।
