করলা চাষের জন্য প্রথমে উপযুক্ত স্থান নির্বাচন করতে হবে, যেখানে পর্যাপ্ত সূর্যালোক ও নিষ্কাশনের ব্যবস্থা আছে। এরপর, দো-আঁশ বা বেলে দো-আঁশ মাটি নির্বাচন করে ভালোভাবে চাষ ও মই দিয়ে জমি প্রস্তুত করতে হবে। বীজ বপনের আগে ১৫-২০ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে নিলে ভালো হয়। বীজ ২-৩ সেমি গভীরে রোপণ করতে হবে এবং প্রতি মাদায় ২টি করে বীজ লাগাতে হবে। চারা গজানোর পর সুস্থ সবল চারা রেখে বাকিগুলো তুলে ফেলতে হবে। সার ব্যবস্থাপনার জন্য জৈব সার ব্যবহার করা উত্তম, সেই সাথে UREA, TSP, MP সারও ব্যবহার করা যায়। সময়মতো সেচ ও প্রয়োজনীয় বালাইনাশক প্রয়োগ করতে হবে।
জমি নির্বাচন ও তৈরি:
করলা চাষের জন্য এমন স্থান নির্বাচন করুন যেখানে পর্যাপ্ত সূর্যালোক পায় এবং বৃষ্টির পানি জমে না।
দো-আঁশ বা বেলে দো-আঁশ মাটি করলার জন্য উপযোগী।
জমিতে ভালভাবে চাষ ও মই দিয়ে মাটি ঝুরঝুরে করে নিতে হবে।
বসতবাড়িতে চাষের জন্য বেড়া বা মাচা তৈরি করে নিতে পারেন।
বীজ বপন:
বীজ বপনের আগে ১৫-২০ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে নিলে অঙ্কুরোদগম ভালো হয়।
২-৩ সেমি গভীরে প্রতি মাদায় ২টি করে বীজ বপন করুন।
চারা গজানোর ৭ দিন পর একটি সুস্থ চারা রেখে বাকিগুলো তুলে ফেলুন।
সার ব্যবস্থাপনা:
জমি তৈরির সময় জৈব সার (যেমন গোবর সার) ব্যবহার করুন।
চারা রোপণের ১০-১৫ দিন পর ১ম বার ইউরিয়া ও পটাশ সার প্রয়োগ করুন।
পরবর্তীতে সার প্রয়োগের জন্য একটি নির্দিষ্ট সময়সূচি অনুসরণ করুন।
ফসলের চাহিদা অনুযায়ী অন্যান্য সারও প্রয়োগ করতে পারেন।
সেচ ও পরিচর্যা:
মাটি ও আবহাওয়া অনুযায়ী সেচ দিন।
জমিতে আগাছা পরিষ্কার করুন।
রোগ ও পোকা দমনের জন্য প্রয়োজনীয় বালাইনাশক ব্যবহার করুন।
ফল ধরা শুরু হলে নিয়মিত সংগ্রহ করুন।
অন্যান্য বিষয়:
উচ্চ ফলনশীল জাতের (যেমন বারি করলা-১, হাইব্রিড করলা) বীজ ব্যবহার করুন।
পরাগায়নের জন্য মাঝে মাঝে কিছু ফুল তুলে দিতে পারেন।
বৃষ্টির সময় অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রাখুন।
