AFace1 AFace1
    #spotnrides #uberclone #mobileappdevelopment #taxidispatchsoftware #ridehailingapp
    고급 검색
  • 로그인
  • 등록하다

  • 야간 모드
  • © {날짜} {사이트 이름}
    에 대한 • 문의하기 • 개인 정보 정책 • 이용약관 • 환불금 • Guidelines • Apps Install • DMCA

    고르다 언어

  • Arabic
  • Bengali
  • Chinese
  • Croatian
  • Danish
  • Dutch
  • English
  • Filipino
  • French
  • German
  • Hebrew
  • Hindi
  • Indonesian
  • Italian
  • Japanese
  • Korean
  • Persian
  • Portuguese
  • Russian
  • Spanish
  • Swedish
  • Turkish
  • Urdu
  • Vietnamese

보다

보다 릴 영화 산업

이벤트

이벤트 찾아보기 내 이벤트

블로그

기사 찾아보기

시장

신규 품목

페이지

내 페이지 좋아요를 누른 페이지

더

법정 탐구하다 인기 글 채용 정보 제안 자금
릴 보다 이벤트 시장 블로그 내 페이지 모두 보기
Md soni soni
User Image
드래그하여 덮개 위치 변경
Md soni soni

Md soni soni

@1750268424443802_19224
  • 타임라인
  • 여러 떼
  • 좋아요
  • 수행원 0
  • 팔로워 1
  • 사진
  • 비디오
  • 릴
  • 제품
0 수행원
1 팔로워
28 게시물
남성
image
image
image
image
image
image
Md soni soni
Md soni soni
23 안에 ·번역하다

🌹শুভ সন্ধ্যা সবাইকে সন্ধ্যার শুভেচ্ছা 🌹

처럼
논평
공유하다
Md soni soni
Md soni soni
23 안에 ·번역하다

মাল্টা সাইট্রাস পরিবারভুক্ত একটি বিদেশি ফল। কমলা আর বাতাবি লেবুর সংকরায়ণে এ ফলের সৃষ্টি। এর ইংরেজি নাম সুইট অরেঞ্জ। হিন্দিতে সান্তারা। অন্য ভাষায় ভিন্ন নাম। এর আদি উৎপত্তিস্থল ভিয়েতনাম, দক্ষিণ চীন এবং উত্তর-পশ্চিম ভারত। রোগির পথ্য হিসেবে মাল্টা হিতকর। খেতে সুস্বাদু। দারুণ গন্ধ। মাল্টায় পুষ্টিতে ভরপুর। পুষ্টিবিদদের মতে, এর প্রতি ১০০ গ্রাম ফলে (আহারোপযোগী) ২০০ মিলিগ্রাম ক্যারোটিন এবং ভিটামিন সি আছে প্রায় ৫০ মিলিগ্রাম। অন্য পুষ্টি উপাদানের মধ্যে শর্করা, আমিষ, চর্বি, ক্যালসিয়াম, লৌহ, ভিটামিন বি১, ভিটামিন বি২ এবং খাদ্যশক্তি রয়েছে যথাক্রমে ১২ মিলিগ্রাম, ১ মিলিগ্রাম, ০.২ মিলিগ্রাম, ৪০ মিলিগ্রাম, ০.৮ মিলিগ্রাম, ০.১১৩ মিলিগ্রাম, ০.০৪৬ মিলিগ্রাম এবং ২০০ কিলোক্যালরি। এতে কিছু ঔষধিগুণও আছে। সর্দিজ্বর কমাতে মাল্টা বেশ উপকারী। এর খোসা দিয়ে প্রসাধনী তৈরি হয়। এছাড়া ওষুধ শিল্পেও ব্যবহার হয়। বিশ্বে ফলটি বেশ জনপ্রিয়। তেমনি এদেশেও। কৃষি বিজ্ঞানীদের মতে, কমলা লেবুর তুলনায় এর অভিযোজন ক্ষমতা বেশি। তাই চাষের জন্য পাহাড়ি এলাকা উৎকৃষ্ট। তবে হালকা লবণ মাটিতে এর মিষ্টতা এবং ফলন ভালো। এমনি প্রমাণ খুঁজে পাওয়া যায় পিরোজপুর সদরের বেশ কয়টি গ্রামে। ওখানে ছোট-বড় দুই শতাধিক বাগান রয়েছে। ভরা মৌসুমে থোকায় থোকায় ধরা ফলগুলো দেখলে কার না ভালো লাগে! শুধু দৃষ্টিনন্দনই নয়, ফলগুলো প্রচুর মিষ্টি এবং রসালো। এসব গুণের কথা শুনে দক্ষিণের অন্য জেলাগুলোতেও নতুন নতুন বাগান স্থাপন হচ্ছে। এভাবে ছড়িয়ে পড়েছে পুরো অঞ্চলে। তাই বলতেই হয়; মাটি, পানি ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় দক্ষিণাঞ্চল মাল্টা চাষের বিরাট সম্ভাবনাময়।


জলবায়ু
শুষ্ক ও উষ্ণ জলবায়ু মাল্টা চাষের জন্য উত্তম। বায়ুর আর্দ্রতা এবং বৃষ্টিপাত ফলের গুণাগুণকে প্রভাবিত করে। অতি বৃষ্টিতে ফল বেশি রসালো হয়। এছাড়া খোসা পাতলার পাশাপাশি গুণগতমান হয় নিম্ন। রোগ-পোকার আক্রমণ বেড়ে যায়। তবে শুষ্ক আবহাওয়া ফলের স্বাদ ও মানকে করে উন্নত।


মাটি
মাল্টা প্রায় সব ধরনের মাটিতে জন্মে। তবে ছায়া পড়ে না এমন সুনিষ্কাশিত উর্বর, মধ্যম থেকে হালকা দো-আঁশ মাটি চাষের জন্য সবচেয়ে ভালো। মাটির অম্লত্ব ৫.৫ থেকে ৬.৫ হওয়া উত্তম। মাল্টাগাছ লবণ এবং উচ্চ তাপমাত্রা সংবেদনশীল। জলাবদ্ধতার সহ্যক্ষমতা নেই।


জাত
দেশি বিদেশি বিভিন্ন জাত রয়েছে। তবে এদেশে চাষ উপযোগী জাতের মধ্যে বারি মাল্টা-১ অন্যতম। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত এ জাতটি উচ্চফলনশীল। গাছের ডালপালা ছড়ানো এবং ঝোপানো থাকে। মধ্য ফাল্গুন (মার্চ) থেকে মধ্য চৈত্রে (এপ্রিল) ফুল আসে। ফল পাকে কার্তিক মাসে। ফল দেখতে সবুজ। তবে পরিপক্ব অবস্থায় কিছুদিন রেখে দিলে কমলা রঙ ধারণ করে। ফলের নিচে ছোট গোলাকার চিহ্ন থাকে। প্রতিটির ওজন প্রায় ১৫০ গ্রাম। ফলের শাসের রঙ হালকা হলুদ। গাছপ্রতি ফল ধরে ৩০০ থেকে ৪০০। সে হিসেবে হেক্টরপ্রতি গড় ফলন প্রায় ২০ টন। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় একটি জাত উদ্ভাবন করেছে। নাম এফটিআইপি বাউ মাল্টা-১। প্রতিটি ফলের ওজন ১৭০ হতে ২০০ গ্রাম। মিষ্টতা ১৭-২১ টি.এস.এস.। গাছ বামনাকৃতি। বিচি কম হয়। ফল রসালো ও মিষ্টি। মার্চএপ্রিল মাসে ফুল আসে। সেপ্টেম্বরÑঅক্টোবরে ফল পাকে।


কলম
বীজ ও অঙ্গজ উভয় পদ্ধতিতে মাল্টার বংশবিস্তার হয়। তবে মাতৃগুণ বজায় রাখা, দ্রুত ফল ধরা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো এবং অধিক ফলন পেতে অঙ্গজ পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে। জোড় কলম (গ্রাফটিং) ও চোখ কলমের (বাডিং) মাধ্যমে চারা উৎপাদন করা যায়। জোড় কলমের জন্য রুটস্টক (আদি জোড়) নির্বাচন করতে হয়। এক্ষেত্রে বাতাবি লেবুর চারা ব্যবহার উত্তম। এরপর মাতৃগাছ হতে সায়ন (উপজোড়) সংগ্রহ করে রুটস্টকের ওপর স্থাপন করে গ্রাফটিং তৈরি করা হয়। আদি জোড়ের জন্য এক থেকে দেড় বছরের সুস্থ, সতেজ এবং সোজা চারা বেছে নিতে হবে। সায়নে অবশ্যই কমপক্ষে দুইটি চোখসহ ২/৩ ইঞ্চি লম্বা থাকা চাই। এছাড়া ডালের বয়স যেন ৮/৯ মাস হয়। সাধারণত ১০-১২ দিন পর সংযোগস্থলে জোড়া লাগে। তখন সায়নের সুপ্ত কুঁড়ি থেকে পাতা বের হয়। একাধিক ডাল বের হলে ভালোটি রেখে বাকিগুলো কেটে দিতে হবে। কলমের নিচের অংশে কোনো কুঁড়ি বা ডাল যেন না থাকে। মধ্য বৈশাখ হতে মধ্য ভাদ্র (মে-আগস্ট) গ্রাফটিং করার উপযুক্ত সময়।


চারা প্রাপ্তিস্থান
চারা অবশ্যই মানসম্মত হওয়া চাই। চাষাবাদের ক্ষেত্রে অন্য সব কাজগুলো সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা হলে ও জাত নির্বাচন ভুল হলে কাক্সিক্ষত ফলন হবে না। তাই নিশ্চিত হয়েই চারা ব্যবহার করতে হবে। এক্ষেত্রে সরকারি প্রতিষ্ঠান হর্টিকালচার সেন্টার এবং বেসরকারি বিশ্বস্ত নার্সারি থেকে সংগ্রহ করা উত্তম।


রোপণ পদ্ধতি
ষড়ভুজ এবং বর্গাকার উভয় পদ্ধতিতে চারা লাগানো যায়। সারা বছরই রোপণ করা যেতে পারে। তবে বর্ষা মৌসুমে উত্তম। চারা লাগানোর আগে মাদা তৈরি করে নিতে হয়। এক্ষেত্রে গর্তের দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও উচ্চতা (গভীরতা) হবে ৭৫ সেন্টিমিটার (৩০ ইঞ্চি) করে। গর্তপ্রতি ১৫ কেজি পচা গোবর কিংবা অন্য জৈব সার, সেই সাথে ৫ কেজি কাঠের ছাই এবং রাসায়নিক সার হিসেবে টিএসপি ২৫০ গ্রাম, এমওপি ২৫০ গ্রাম, বরিক এসিড ৫ গ্রাম ও চুন দিতে হবে ৫০০ গ্রাম হারে। সম্পূর্ণ সার মাটির সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে গর্ত ভরে দিতে হবে। ১৫ থেকে ২০ দিন পর গর্তের মাঝখানে সোজা করে চারা রোপণ করতে হবে। গাছ লাগানোর পর চারাটি শক্ত খুঁটি সাথে সামান্য ঢিলে করে বেঁধে দিতে হবে, যেন ঝড়ে হেলে না পড়ে।

image
처럼
논평
공유하다
avatar

Samser Alam

মাল্টা আমার খুবই প্রিয়। ভাবছি বাড়ির উঠোনে কয়েকটা মাল্টা গাছ লাগাবো।
처럼
· 회신하다 · 1750929626

댓글 삭제

이 댓글을 삭제하시겠습니까?

avatar

Saeid Islam

Nwfwhw
처럼
· 회신하다 · 1750929696

댓글 삭제

이 댓글을 삭제하시겠습니까?

Md soni soni
Md soni soni
23 안에 ·번역하다

টেংরা মাছ চাষ একটি লাভজনক ব্যবসা হতে পারে, যদি সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করা যায়। টেংরা মাছ চাষের জন্য একটি উপযুক্ত পুকুর নির্বাচন করা, পোনা মজুদ করা, খাদ্য ব্যবস্থাপনা, এবং রোগবালাই নিয়ন্ত্রণ করা গুরুত্বপূর্ণ।
পুকুর নির্বাচন ও প্রস্তুতি:
পুকুরের আয়তন কমপক্ষে ৮-১০ শতাংশ হওয়া উচিত এবং গভীরতা ১ মিটার হওয়া ভালো।
পুকুরের চারপাশ নেট দিয়ে ঘিরে দিতে হবে, যাতে অন্য মাছ প্রবেশ করতে না পারে বা চাষ করা মাছ বেরিয়ে যেতে না পারে।
পুকুর শুকিয়ে প্রতি শতাংশে ১ কেজি হারে চুন প্রয়োগ করতে হবে এবং ৫ দিন পর প্রতি শতাংশে ইউরিয়া সার ১০০ গ্রাম, টিএসপি ৭৫ গ্রাম ও গোবর ৪ কেজি ব্যবহার করতে হবে।
পোনা মজুদ:
পুকুরে পোনা ছাড়ার আগে, পুকুরের পরিবেশ পোনা-বান্ধব করে তুলতে হবে।
পুকুরে পোনা ছাড়ার আগে, প্রতি শতাংশে ৫-৭ কেজি চুন এবং প্রতি মাসে একবার করে সার ব্যবহার করা উচিত।
প্রতি শতাংশে ৮০০-১০০০টি পোনা মজুদ করা যেতে পারে। খাদ্য ব্যবস্থাপনা:
পুকুরে পোনা ছাড়ার পর, প্রতিদিন দুইবার খাবার দিতে হবে।
খাবারের তালিকায় চালের কুঁড়া (২৫%), ফিশ মিল (৩০%), সরিষার খৈল (২০%), এবং মিট অ্যান্ড বোন মিল (২৫%) ব্যবহার করা যেতে পারে।
খাবার এমন পরিমাণে দিতে হবে, যাতে মাছ সম্পূর্ণরূপে গ্রহণ করতে পারে এবং অতিরিক্ত খাবার পুকুরে পঁচে না যায়।
রোগবালাই নিয়ন্ত্রণ:
পুকুরে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে হবে এবং রোগের লক্ষণ দেখা গেলে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।
প্রয়োজনে অভিজ্ঞ মৎস্য কর্মকর্তার পরামর্শ নিতে হবে।
রোগাক্রান্ত মাছকে আলাদা করে চিকিৎসা করতে হবে।
অন্যান্য বিষয়:
টেংরা মাছ চাষে ঝুঁকি কম এবং লাভ বেশি।
সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে, টেংরা মাছ চাষ একটি লাভজনক খাতে পরিণত হতে পারে।
টেংরা মাছের পোনা সাধারণত আকারে ছোট হয় এবং এদের মাথায় দুই জোড়া গোঁফ থাকে। এদের দেহ পিচ্ছিল এবং এদের গায়ে কোনো আঁশ থাকে না। আত্মরক্ষার জন্য ফুলকার দুই পাশে দুইটি এবং পিঠে একটি করে কাঁটা থাকে। এদের পিঠের উপরের অংশ কালচে এবং পেটের দিকটা সাদা হয়ে থাকে।
টেংরা মাছ চাষ একটি লাভজনক ব্যবসা হতে পারে, যদি সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করা যায়। আকারে ছোট হলেও টেংরার অর্থনৈতিক গুরুত্ব রয়েছে বেশ। মাছটি নিয়ে আজকের আয়োজন

মাছের নাম টেংরা। নামটি অদ্ভুত, কিন্তু খেতে সুস্বাদু। অন্যান্য মাছের তুলনায় টেংরায় কাঁটা কম হওয়ায় অনেকের কাছে বেশ প্রিয়। একসময় খালবিলসহ বিভিন্ন জলাশয়ে এ মাছ দেখা যেত। খালবিল কমে যাওয়া ও জলাশয় শুকিয়ে যাওয়ার কারণে এর প্রজনন বৃদ্ধি না পেয়ে বরং হ্রাস পেয়েছে। অথচ পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ এ মাছকে বাঁচিয়ে রাখা গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য টেংরার কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে চাষ করে তা টিকিয়ে রাখা সম্ভব। টেংরা চাষের জন্য কিছু কৌশল ও পদ্ধতি অনুসরণ করতে হয়।

image
처럼
논평
공유하다
avatar

Samser Alam

টেংরা মাছ আমার খুব প্রিয়। আজ আমাদের বাসায় টেংরা মাছ রান্না হয়েছে।
처럼
· 회신하다 · 1750928386

댓글 삭제

이 댓글을 삭제하시겠습니까?

avatar

Saeid Islam

Mscnssh
처럼
· 회신하다 · 1750929876

댓글 삭제

이 댓글을 삭제하시겠습니까?

Md soni soni
Md soni soni
23 안에 ·번역하다

মাগুর মাছের চাষ ব্যবস্থাপনা
ভূমিকা: অবমানকল হতে বাংলাদেশে মাগুর মাছ অত্যন্ত জনপ্রিয় হিসেবে পরিচিত । এসব মাছ খেতে সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর । সূদূর অতীতে এ মাছগুলো প্রাকৃতিকভাবেই আমাদের জলাশয়ে প্রচুর পাওয়া যেত । কৃত্তিম প্রজনন ও চাষ প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং চাহিদা ও বাজারদর বেশি হওয়ায় মাছের বাণিজ্যিক চাষ সম্প্রসারিত হচ্ছে।

পুকুর নির্বাচন : বাণিজ্যিক মাছচাষের জন্য অপেক্ষাকৃত বড় আকারের পুকুর, ৪০ শতাংশ বা তদূর্ধ হওয়া বাঞ্ছনীয়। পানির গভীরতা ৪ থেকে ৬ ফুটের মধ্যে হলে ভাল হয়। মাটি দোআঁশ বা এঁটেল দোআঁশ এবং পুকুরটি আয়তাকার হওয়া উত্তম।

পুকুর প্রস্তুতি


* পাড় ও তলদেশ: পাড়ে ঝোপ-ঝাড় থাকলে পরিষ্কার করতে হবে। পানিতে যথেষ্ট পরিমাণে (কমপক্ষে দৈনিক ৮ ঘন্টা) সূর্যালোক প্রবেশের সুবিধার্থে সম্ভব হলে বড় গাছ কেটে ফেলতে হবে। সম্ভব না হলে অন্তত ভেতর দিকের ডাল-পালা কেটে ফেলতে হবে প্রয়োজনে পানি নিষ্কাশন করে পুকুরের পাড় মেরামত ও তলদেশ অতিরিক্ত কর্মমুক্ত করে সমান করতে হবে। অন্যথায় পুকুরের পানির গুণাগুণ দ্রুত খারাপ হয়ে যাবে। তাছাড়া, তলদেশ সমান না হলে পরবর্তীতে মাছ আহরণ করা কঠিন হবে।
* জলজ আগাছা ও অবাঞ্চিত মাছসহ রাক্ষুসে মাছ দুরীকরণ: যদি পানি প্রাপ্তি বিশেষ সমস্যা না হয় তাহলে পুকুরের পানি নিষ্কাশন করে সব জলজ আগাছা এবং অবাঞ্চিত মাছসহ রাক্ষুসে মাছ অপসারণ করা যেতে পারে। পানি প্রাপ্তি সমস্যা হলে, প্রথমে পুকুরে বারবার জাল টেনে যতদূর সম্ভব সকল মাছ ধরে ফেলতে হবে। এরপর অবশিষ্ট সব মাছ ধরে ফেলার জন্য প্রতিশতক আয়তন ও প্রতিফুট পানির গড় গভীরতার জন্য ২৫-৩০ গ্রাম হারে রোটেনন প্রয়োগ করতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, ৪ ফুট পানির গড় গভীরতার এক একর পুকুরে ১০-১২ কেজি রোটেনন লাগবে।
* চুন প্রয়োগ: রোটেনন প্রয়োগ করা হয়ে থাকলে প্রয়োগর ২/১ দিন পর প্রতি শতকে ১ কেজি হারে চুন প্রয়োগ করতে হবে। এই হারে এক একর জলায়তন বিশিষ্ট পুকুরের জন্য চুন লাগবে ১০০ কেজি।

মাগুর চাষের সুবিধাসমূহ :মাগুর অত্যন্ত সুস্বাদু, পুষ্টিকর মাছ।
■ অসুস্থ ও রোগমুক্তির পর স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য এগুলো সমাদৃত মাছ।
■ অতিরিক্ত শ্বাস অঙ্গ থাকায় এর বাতাস থেকে অক্সিজেন নিয়ে দীর্ঘ সময় ডাঙ্গায় বেঁচে থাকতে পারে।
■ ৩-৪ মাসের মধ্যে বিক্রয়যোগ্য হয়, ফলে একই জলাশয়ে বছরে ৩-৪ বার চাষ করা সম্ভব (সঠিক নার্সারি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে)।
তুলনায় চাহিদা ও বাজার মূল্য অত্যাধিক বেশি হওয়ায় এ মাছগুলোর বাণিজ্যিক চাষ দিন দিন বাড়ছে।
■ আন্তর্জাতিক বাজারেও ব্যাপক চাহিদা আছে।


মাগুর মাছের নার্সারি ও চাষ ব্যবস্থাপনা

পুকুর নির্বাচন ও প্রস্তুতি
■ নার্সারি পুকুরের আয়তন ১০-৫০ শতাংশ এবং গভীরতা ১.০-১.৫ মিটার।
■ পুকুর হতে অনাকাতিত মাছ ও প্রাণী দূর করা উত্তম; তবে পুকুর শুকানো সম্ভব না হলে প্রতি শতাংশে ১ ফুট পানির গভীরতায় ২৫-৩০ গ্রাম রোটেনন প্রয়োগ করতে হবে।
■ রোটেনন প্রয়োগের ৩-৪ দিন পর প্রতি শতাংশে ১.০ কেজি হারে চুন পুকুরে ছিটিয়ে প্রয়োগ করতে হবে।
■ চুন প্রয়োগের ২-৩ দিন পর শতাংশ প্রতি ৫০০ গ্রাম খৈল, ১৫০-২০০ গ্রাম ইউরিয়া ও ৭৫-১০০ গ্রাম টিএসপি প্রয়োগ করতে হবে।
■ ইউরিয়া সার পানিতে গুলে ছিটিয়ে এবং টিএসপি ও সরিষার খৈল ১২ ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখার পর পানিতে গুলে সমস্ত পুকুরে সমানভাবে ছিটিয়ে দিতে হবে।
■ সার প্রয়োগের ৫-৬ দিন পর পুকুরের পানিতে প্রাকৃতিক খাদ্য তৈরি হলে পুকুরে পোনা ছাড়তে হবে।
■ নার্সারি পুকুরের চারপাশে ৩-৪ ফুট উঁচু মশারীর জালের বেষ্টনী দিতে হবে। এর ফলে ব্যাঙ ও সাপ পুকুরে প্রবেশ করে পোনার ক্ষতি সাধন করতে পারবে না।
■ হাঁসপোকা ও ক্ষতিকারক প্লাংকটন বিনষ্ট করার জন্য রেণু পোনা মজুদের ২৪ ঘন্টা আগে ৮-১০ মিলি সুমিথিয়ন প্রতি শতাংশে অবশ্যই প্রয়োগ করতে হবে।ধানী পোনা মজুদ
■ নার্সারি পুকুরে ১৫-২০ দিন বয়সের ধানী পোনা প্রতি শতাংশে ৫,০০০-৬,০০০ টি হারে মজুদ করা যেতে পারে।

পুকুর নির্বাচন ও প্রস্তুতি
■ মাগুর মাছ চাষের জন্য পুকুর নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ মাছ চাষের জন্য ৪-৬ মাস পানি থাকে এ রকম ১৫-৫০ শতাংশের পুকুর নির্বাচন করতে হবে। তবে এর চেয়ে বড় পুকুরেও এ মাছ চাষ করা যায়।
■ পুকুরের পাড় মেরামত ও জলজ আগাছা পরিষ্কার করতে হবে।
■ পুকুর সেচে পানি শুকিয়ে অনাকাক্ষিত মাছ ও প্রাণী দূর করতে হবে।
■ পুকুর শুকানো সম্ভব না হলে প্রতি শতাংশে ২৫-৩০ গ্রাম রোটেনন (১ ফুট গভীরতার জন্য) প্রয়োগ করে অনাকাক্ষিত মাছ দূর করতে হবে ।
■ প্রতি শতাংশে ১ কেজি হারে চুন প্রয়োগ আবশ্যক।
■ চুন প্রয়োগের ২-৩ দিন পরে পূর্বের নিয়মে সার প্রয়োগ করতে হবে। পোনা মজুদের পূর্বে পুকুরের চারিদিকে নাইলন/নেট জালের বেষ্টনী দিতে হবে।
■ সার প্রয়োগের ৭/৮ দিন পরে পুকুরে পোনা মজুদ করতে হবে।

পোনা সংগ্রহ ও মজুদ
■ পুকুরে চাষের জন্য মাগুর মাছের পোনা নিকটবর্তী ভাল হ্যাচারি হতে সংগ্রহ করে পলিথিন ব্যাগে অক্সিজেন দিয়ে পরিবহন করতে হবে।
■ প্রতি শতাংশে ০.৫-১.০ গ্রাম ওজনে সুস্থ সবল ৩০০-৪০০ টি পোনা মজুদ করতে হবে। তবে উন্নত ব্যবস্থাপনায় অধিক ঘনত্বে পোনা মজুদ করা যেতে পারে।
■ পোনা মজুদের সময় পোনাকে পুকুরের পানির সাথে ভালভাবে কন্ডিশনিং করে তারপর ছাড়তে হবে।

খাবার ব্যবস্থাপনা ও পরিচর্যা
■ পোনা মজুদের দিন থেকে ৩৫-৪০% আমিষ সমৃদ্ধ পিলেট খাদ্য নিম্নের ছক অনুযায়ী সকাল, দুপুর ও বিকালে পুকুরে ছিটিয়ে সরবরাহ করতে হবে।

image
처럼
논평
공유하다
avatar

Rumi Akter

মাগুর মাছ দেখতে প্রায়শিং মাছের মত খেতে ভারি মজা দেশীয় মাছ।
처럼
· 회신하다 · 1757997672

댓글 삭제

이 댓글을 삭제하시겠습니까?

Md soni soni
Md soni soni
23 안에 ·번역하다

কৈ মাছ চাষ বর্তমানে একটি লাভজনক ব্যবসা হিসেবে পরিচিত। এটি মূলত পুকুরে এবং অন্যান্য জলাশয়ে বাণিজ্যিকভাবে করা যায়। দেশি কই, থাই কই এবং ভিয়েতনামি কই সহ বিভিন্ন প্রজাতির কই মাছ চাষ করা হয়। সঠিক পরিকল্পনা, পরিচর্যা ও ব্যবস্থাপনা দ্বারা কৈ মাছ চাষে সফলতা লাভ করা সম্ভব।
কৈ মাছ চাষের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:
পুকুর নির্বাচন:
২০-৫০ শতাংশের ১.০-১.৫ মিটার গভীরতার পুকুর নির্বাচন করা উচিত। পুকুর প্রস্তুতিতে আগাছা ও অবাঞ্ছিত মাছ দূর করা এবং চুন প্রয়োগ করা প্রয়োজন।
পোনা মজুদ:
সুস্থ ও রোগমুক্ত পোনা মজুদ করতে হবে। প্রতি শতাংশে ২৫-৩০ গ্রাম ওজনের পোনা মজুদ করা ভাল।
খাবার সরবরাহ:
কই মাছ মূলত কীট-পতঙ্গভুক। পোকামাকড়, ছোট মাছ, ব্যাঙাচী, শামুক বা ঝিনুকের মাংস ইত্যাদি খাদ্য হিসাবে সরবরাহ করলে খাদ্য খরচ কম হয়। এছাড়াও, বাণিজ্যিক খাদ্য ব্যবহার করা যেতে পারে।
পুকুরের যত্ন:
নিয়মিত সার প্রয়োগ করে পুকুরে প্রাকৃতিক খাদ্য উৎপাদন বাড়ানো যায়। সেই সাথে অবাঞ্ছিত আগাছা ও পোকামাকড় দূর করতে হবে।
রোগ ব্যবস্থাপনা:
মাছের রোগাক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রয়োজনে মৎস্য কর্মকর্তার পরামর্শ নিতে পারেন।
পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহ:
কই মাছ অতিরিক্ত শ্বসনতন্ত্র থাকার কারণে বাতাস থেকে সরাসরি অক্সিজেন নিতে পারে, তবে পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহ নিশ্চিত করা ভালো।
মাছ সংগ্রহ:
সাধারণত রেণু থেকে ৯০-১০০ দিনে কৈ মাছ বিক্রির উপযোগী হয়।
বিভিন্ন প্রকার কই মাছের চাষ:
দেশি কই:
দেশি কই মাছ সাধারণত স্বাদ ও পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ হয়ে থাকে।
থাই কই:
থাই কই দ্রুত বর্ধনশীল এবং অধিক লাভজনক।
ভিয়েতনামি কই:
ভিয়েতনামি কই মাছ চাষ করে মাসিক ভালো আয় করা সম্ভব।
কৈ মাছ চাষে লাভবান হওয়ার কৌশল:
সঠিক পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করা, গুণগত মানের পোনা ব্যবহার করা, পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রাকৃতিক ও বাণিজ্যিক খাবার সরবরাহ করা, পুকুরের পরিবেশ উন্নত রাখা, রোগবালাই দেখা দিলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া.
কৈ মাছ চাষ একটি লাভজনক ব্যবসা হতে পারে, যদি সঠিক পদ্ধতি ও কৌশল অবলম্বন করা হয়।

image
처럼
논평
공유하다
avatar

Md Shariful Islam

লাভজনক ব্যবসা
처럼
· 회신하다 · 1750868963

댓글 삭제

이 댓글을 삭제하시겠습니까?

더 많은 게시물 로드

친구 끊기

정말 친구를 끊으시겠습니까?

이 사용자 신고

제안 수정

계층 추가








이미지 선택
계층 삭제
이 계층을 삭제하시겠습니까?

리뷰

콘텐츠와 게시물을 판매하려면 몇 가지 패키지를 만드는 것부터 시작하세요. 수익화

지갑으로 지불

결제 알림

항목을 구매하려고 합니다. 계속하시겠습니까?

환불 요청