AFace1 AFace1
    #news #foryou #sport #love #হাদিস
    Gelişmiş Arama
  • Giriş
  • Kayıt

  • Gece modu
  • © 2025 AFace1
    Yaklaşık • Rehber • Bize Ulaşın • Gizlilik Politikası • Kullanım Şartları • Geri ödeme • Apps Install • DMCA

    Seç Dil

  • Arabic
  • Bengali
  • Chinese
  • Croatian
  • Danish
  • Dutch
  • English
  • Filipino
  • French
  • German
  • Hebrew
  • Hindi
  • Indonesian
  • Italian
  • Japanese
  • Korean
  • Persian
  • Portuguese
  • Russian
  • Spanish
  • Swedish
  • Turkish
  • Urdu
  • Vietnamese

Kol saati

Kol saati Makaralar Filmler

Olaylar

Etkinliklere Göz At Etkinliklerim

Blog

Makalelere göz at

Piyasa

Yeni ürünler

Sayfalar

Benim Sayfalar Beğenilen Sayfalar

daha

forum Keşfetmek popüler gönderiler Meslekler Teklifler Fonlar
Makaralar Kol saati Olaylar Piyasa Blog Benim Sayfalar Hepsini gör
Washif Rana
User Image
Kapağı yeniden konumlandırmak için sürükleyin
Washif Rana

Washif Rana

@Washif
  • Zaman çizelgesi
  • Gruplar
  • Beğeniler
  • Aşağıdaki 0
  • İzleyiciler 0
  • Resimler
  • Videolar
  • Makaralar
  • Ürün:% s
0 Aşağıdaki
0 İzleyiciler
10 Mesajları
Erkek
31 yaşında
Yaşayan Bangladeş
image
Washif Rana
Washif Rana
2 saat ·çevirmek

নীরবতার গল্প

চারপাশে কোলাহল, মানুষজনের ব্যস্ততা, শহরের ভিড়ের শব্দ—সবকিছুই যেন রিমার কাছে হঠাৎ করে অর্থহীন হয়ে গিয়েছিল। জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে যে শব্দগুলো একসময় তাকে আনন্দ দিত, আজ সেই শব্দই তার কাছে হয়ে উঠেছে অচেনা, বিরক্তিকর আর শূন্যতার প্রতীক। রিমা আজকাল নীরবতার মধ্যে বেঁচে থাকে।

রিমা একসময় খুব হাসিখুশি মেয়ে ছিল। পরিবার, বন্ধু, কলেজ—সবকিছু মিলিয়ে তার জীবন ছিল অনেক রঙিন। প্রতিটি আড্ডায় সে ছিল প্রাণকেন্দ্র। সবাই বলতো—
“রিমা না থাকলে আড্ডা জমে না।”

কিন্তু জীবন তো সবসময় সমান থাকে না। একদিন হঠাৎ করে তার জীবনে নেমে এলো ঝড়। বাবা এক দুর্ঘটনায় মারা গেলেন। সংসারের ভার এসে পড়লো তার উপর। মা মানসিকভাবে ভেঙে পড়লেন, ছোট ভাই তখনও স্কুলে পড়ে। হঠাৎ করে দায়িত্বের বোঝা রিমার কাঁধে এসে জমলো। সেই দিন থেকে তার হাসি যেন হারিয়ে গেল।

প্রথমদিকে বন্ধুরা পাশে ছিল, কিন্তু ধীরে ধীরে সবাই দূরে সরে গেল। কেউ বলতো—
“রিমা আগের মতো নেই।”
আসলে তারা বুঝতে পারেনি, রিমা আর আগের মতো হতে পারবে না। একসময় যে মেয়েটি হাসতে হাসতে আড্ডা জমাতো, সে এখন শুধু চুপচাপ বসে থাকতো। তার চারপাশে ভিড় থাকলেও মনে হতো সে এক অজানা নীরবতার দেয়ালের ভেতরে আটকে আছে।

রাতের পর রাত ঘুম আসতো না। বিছানায় শুয়ে থেকে ছাদের দিকে তাকিয়ে থাকতো। চারদিকে যখন সব থেমে যেত, তখনই নীরবতা তাকে ঘিরে ধরতো। সেই নীরবতা কানে বাজতো ভয়ঙ্কর শব্দের মতো। মনে হতো—
“আমার জীবনে আর কেউ নেই, আমি একা।”

কখনো আবার মনে হতো নীরবতা তার সেরা সঙ্গী। মানুষের কথাবার্তা, দোষারোপ, ভান করা সহানুভূতি—সবকিছু থেকে মুক্তি পেতে সে নীরবতাকে আঁকড়ে ধরতো। দিনের পর দিন কারো সঙ্গে কথা না বলে থাকলেও তার কষ্ট কেউ বুঝতো না।

একদিন গ্রামের বাড়ি থেকে খালা এসে রিমাকে জড়িয়ে ধরে বললেন—
“মা, তুই সবসময় চুপচাপ থাকিস কেন? একটু কথা বল, বুকের কষ্টটা বাইরে আন।”
রিমা তখন শুধু হাসলো। আসলে তার ভিতরের কথাগুলো এত ভারী হয়ে গেছে যে ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। তাই সে নীরবতাকেই বেছে নিল।

ছোট ভাই পড়াশোনা শেষ করে একদিন চাকরি পেল। সংসারের চাপ ধীরে ধীরে কমলো। কিন্তু রিমার ভিতরের নীরবতা আর ভাঙলো না। সবাই ভেবেছিল, সংসার একটু স্বাভাবিক হলেই রিমা আবার আগের মতো হবে। কিন্তু তারা বুঝলো না—কিছু নীরবতা আজীবন মানুষের সঙ্গে থেকে যায়।

সময়ের সাথে সাথে নীরবতা রিমার জীবনদর্শন হয়ে উঠলো। সে এখন আর অযথা তর্কে জড়ায় না, কারো প্রতি রাগ দেখায় না। সে শুধু চুপ করে থাকে। তার চোখের গভীরতায় লুকিয়ে থাকে হাজারো অপ্রকাশিত গল্প, অগণিত কান্না, আর অব্যক্ত ব্যথা।

একদিন ছোট ভাই তাকে জিজ্ঞেস করলো—
“আপু, তুমি এত চুপচাপ কেন থাকো?”
রিমা মৃদু হেসে উত্তর দিল—
“কিছু কথা আছে যেগুলো বলার জন্য পৃথিবীতে কোনো ভাষা নেই। সেগুলো শুধু নীরবতাই বুঝতে পারে।”

রিমার এই নীরবতা অনেককে ভাবিয়েছে। কেউ কেউ মনে করেছে সে অহংকারী, কেউ আবার বলেছে সে নির্লিপ্ত। কিন্তু আসলে নীরবতা তার বেঁচে থাকার উপায়। সে জানে, মানুষ সবকিছু বুঝতে পারে না। কিন্তু নীরবতা মানুষকে শক্ত হতে শেখায়, গভীর হতে শেখায়।

বছরের পর বছর কেটে গেল। রিমা আজ বৃদ্ধা। ছাদে বসে যখন সূর্যাস্ত দেখে, তখনও তার চারপাশে নীরবতা ঘিরে থাকে। কিন্তু সেই নীরবতা আর ভয়ঙ্কর নয়। এখন সেটা শান্তির মতো, সঙ্গীর মতো।

সে বুঝতে পেরেছে—
“নীরবতাই মানুষের সবচেয়ে বড় বন্ধু। যখন সব মানুষ, সব শব্দ, সব সম্পর্ক হারিয়ে যায়—তখন নীরবতা পাশে থাকে।”


---

গল্পের শিক্ষা

নীরবতা কখনো কষ্টের প্রতীক, কখনো শক্তির প্রতীক।

জীবনের কিছু যন্ত্রণা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না, সেগুলো শুধু নীরবতাই বহন করতে পারে।

নীরবতা মানুষকে ধৈর্যশীল করে, গভীর করে এবং জীবনের কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি দাঁড়াতে শেখায়।

image
Beğen
Yorum Yap
Paylaş
Washif Rana
Washif Rana
5 saat ·çevirmek

একাকিত্বের গল্প

১. শুরুটা শূন্যতার

রাত গভীর। শহরের আলো নিভে গেছে অনেক আগেই। জানালার পাশে বসে রাফি ভাবছে—
"মানুষের ভিড়ে থেকেও কখনো কখনো ভেতরে এমন এক শূন্যতা নেমে আসে, যা কাউকে বোঝানো যায় না।"

তার চারপাশে অনেক মানুষ আছে, বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন, সহকর্মী—কিন্তু মনে হয় কেউ তার ভেতরের কষ্ট বোঝে না। এক অদ্ভুত নিঃসঙ্গতা তাকে প্রতিদিন গ্রাস করছে।

২. হারানোর ব্যথা

কিছুদিন আগেও রাফি এতটা একা ছিল না। তার জীবনে ছিল নীলা। দুজনের হাসি, গল্প, স্বপ্ন—সবই যেন একসাথে বোনা ছিল।

কিন্তু একদিন হঠাৎ নীলার পরিবার তাকে নিয়ে দূরে চলে গেল। সম্পর্কটা ভেঙে গেলো অদৃশ্য চাপ, দায়িত্ব আর বাস্তবতার কারণে।

সেদিন থেকে রাফির ভেতর একটা কথাই প্রতিধ্বনি হয়ে বাজে—
"সবাই চলে যায়, শুধু একাকিত্ব রয়ে যায় চিরদিনের সঙ্গী হয়ে।"

৩. প্রতিদিনের লড়াই

সকাল হলে রাফি মুখে হাসি মেখে কাজে যায়। সহকর্মীরা ভাবে সে খুব স্বাভাবিক, সবকিছু সামলে নিতে পারে। কিন্তু আসলে তার ভেতরে একটা অরণ্য তৈরি হয়েছে—অন্ধকারে ভরা, নিস্তব্ধ।

কাজ শেষে যখন বাসায় ফেরে, তখন নিঃশব্দ দেয়ালগুলো তাকে তাড়া করে। ফোন হাতে নিয়ে অনেক নম্বর দেখে, কিন্তু কাউকেই ফোন দিতে পারে না। মনে হয়, কেউই আর তার কথা শুনতে চাইবে না।

"কথা বলার মতো মানুষ না থাকলে, নীরবতাই হয়ে ওঠে সবচেয়ে নিষ্ঠুর শাস্তি।"

৪. স্মৃতির বোঝা

রাফির ঘরে এখনো নীলার দেওয়া কিছু উপহার আছে। একটা ছোট্ট ডায়েরি, যেখানে নীলা লিখেছিল—
"তুমি থাকলে আমি আর কখনো একা হব না।"

রাফি প্রতিদিন সেটি খুলে পড়ে, আর বুকের ভেতর অদ্ভুত ব্যথা ছড়িয়ে যায়।

"সবচেয়ে ভয়ঙ্কর হলো, স্মৃতিগুলো কখনো মরেও যায় না।"

৫. সমাজের ভিড়ে একা

অনেক সময় মানুষ ভাবে, একাকিত্ব মানে একা থাকা। কিন্তু আসলেই কি তাই? রাফি বুঝে গেছে—
"ভিড়ের মাঝেও মানুষ একা হতে পারে, যদি তার হৃদয়ে কেউ না থাকে।"

বিয়েতে গেলে, পারিবারিক অনুষ্ঠানে গেলে—সবাই হাসে, আনন্দ করে, কিন্তু রাফির কাছে সবকিছু ফাঁকা লাগে। হাসির ভেতরেও সে খুঁজে বেড়ায় নিজের অদৃশ্য কষ্ট।

৬. রাতের অন্ধকারে

রাত যত গভীর হয়, রাফির নিঃসঙ্গতা তত বাড়তে থাকে। ঘুম আসতে চায় না। তখন সে ছাদে উঠে আকাশ দেখে।

তারকা ভরা আকাশের দিকে তাকিয়ে মনে মনে বলে—
"হয়তো আকাশও আমার মতো, ভেতরে একা, শুধু বাইরে আলো ছড়িয়ে আছে।"

৭. একাকিত্বের শিক্ষা

একদিন ডায়েরিতে রাফি লিখল—

"একাকিত্ব মানুষকে ভাঙে, আবার শেখায় শক্ত হতে।"

"যারা সত্যিই আপন, তারাই একদিন ফসকে যায় সবচেয়ে বেশি।"

"নিজেকে ভালোবাসা শিখতে হয়, কারণ সবাই চিরদিন পাশে থাকে না।"

এই কথাগুলোই তার প্রতিদিনের প্রেরণা হয়ে দাঁড়ায়।

৮. নতুন ভোরের অপেক্ষা

হয়তো একদিন রাফির জীবনে আবার কেউ আসবে, যে তার একাকিত্ব ভেঙে আলো জ্বালাবে। কিন্তু ততদিন পর্যন্ত তাকে লড়াই করতেই হবে।

সে জানে—
"জীবন থেমে থাকে না, শুধু একাকিত্বকে সঙ্গী করে পথ চলতে হয়।"

৯. শেষের অনুভূতি

রাফি এখনো নীলাকে ভুলতে পারেনি। তবুও প্রতিদিন একটু একটু করে শিখছে একা থাকার মানে। তার হৃদয়ের ভেতরের কষ্ট হয়তো কোনোদিন পুরোপুরি যাবে না, তবে সে জানে—
"একাকিত্বও কখনো কখনো মানুষকে নিজের সবচেয়ে কাছের বন্ধু বানিয়ে ফেলে।"

Beğen
Yorum Yap
Paylaş
Washif Rana
Washif Rana
5 saat ·çevirmek

একটা প্রেম চাই

১. গহীন অরণ্যের ভেতর থেকে ডাক

রাত গভীর। জানালার ফাঁক দিয়ে হাওয়া আসছে। শহরের কোলাহল থেমে গেছে অনেক আগেই, কিন্তু রায়হানের বুকের ভেতর একটা অদ্ভুত অস্থিরতা। মনে হচ্ছে, তার ভেতরে একটা গহীন অরণ্য আছে—অন্ধকার, নিঃসঙ্গ, অজস্র গোপন ব্যথা লুকানো। সে অরণ্যে পথ খুঁজে পাওয়া যায় না, শুধু শূন্যতা আর নীরবতা।

রায়হান তার ডায়েরিতে লিখল—
"মানুষ সবকিছু পায়, সাফল্য, অর্থ, পরিচিতি… কিন্তু আমি আজও খুঁজছি একটা প্রেম। একটা প্রেম চাই, যা সত্যিকারের হবে, যা আমার নিঃসঙ্গতার অরণ্য আলোকিত করবে।"

২. অতীতের ছায়া

রায়হান একসময় খুব হাসিখুশি ছেলে ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ে সবাই তাকে প্রাণবন্ত মনে করত। আড্ডায়, খেলাধুলায়, গানে—সব জায়গায় সে উপস্থিত থাকত।

সেই সময় তার জীবনে এসেছিল নীলাঞ্জনা। মেয়েটি শান্ত, মিষ্টি হাসি আর নির্ভরতার প্রতীক। একসাথে ক্লাস, লাইব্রেরি, ক্যাম্পাসের দীর্ঘ হাঁটা—সবই যেন এক অদ্ভুত সুখের ভেতর ডুবিয়ে রাখত রায়হানকে।

কিন্তু একদিন নীলাঞ্জনা বলল—
—"রায়হান, আমি দেশ ছেড়ে যাচ্ছি। পরিবার চায় আমি বিদেশে পড়াশোনা করি। হয়তো ফিরে আসব না।"

শাহসী রায়হান কিছু বলতে পারল না। শুধু চুপ করে তাকিয়ে থাকল। আর সেই দিনই তার হৃদয়ের অরণ্যে এক অদ্ভুত অন্ধকার নেমে এলো।

৩. হারানোর পর

নীলাঞ্জনার চলে যাওয়ার পর রায়হান আর আগের মতো নেই। চাকরি পেয়েছে, শহরে পরিচিতি তৈরি করেছে, কিন্তু ভেতরে ভেতরে সে ভীষণ একা।

বন্ধুরা বলে—
—"তুই তো সফল মানুষ। এত কিছু পেয়েছিস।"

কিন্তু রায়হানের ভেতরে একটা প্রশ্ন জ্বলে—"যদি পাশে কেউ না থাকে, তবে সাফল্যের মানে কী?"

তার বুকের ভেতরের অরণ্যে প্রতিদিন প্রতিধ্বনি ওঠে—"একটা প্রেম চাই। শুধু একটা প্রেম চাই।"

৪. অরণ্যের ভেতরে এক আলো

একদিন অফিস শেষে বৃষ্টির রাতে এক ক্যাফেতে ঢুকে পড়ল রায়হান। জানালার বাইরে ঝরে পড়ছে বৃষ্টি। হঠাৎ দেখল এক মেয়ে ভিজে কাপড়ে দরজার কাছে দাঁড়িয়ে আছে। সে ভেতরে ঢুকতেই চারপাশ যেন হঠাৎ নরম আলোয় ভরে গেল।

মেয়েটির নাম অনন্যা। ক্যাফের এক কোনায় বসে গরম কফি খেতে খেতে হেসে বলল—
—"বৃষ্টি আমাকে সবসময় ডাকে। মনে হয়, ভেতরের সব দুঃখ ধুয়ে ফেলতে পারে।"

রায়হান তার দিকে তাকিয়ে মনে মনে বলল—"হয়তো এই মেয়েটিই আমার অরণ্যের আলো।"

৫. ধীরে ধীরে

কিছুদিন পর থেকেই অনন্যার সাথে যোগাযোগ বাড়ল। অফিস শেষে কফি, বইয়ের দোকানে ঘোরাঘুরি, পার্কে বসে গল্প। অনন্যা যেন সহজ-সরল অথচ গভীর মানুষ।

রায়হান ধীরে ধীরে বুঝতে পারল—সে আবার নতুন করে বাঁচতে চাইছে। অনন্যার হাসি তার বুকের ভেতর অরণ্যের অন্ধকার ভেদ করছে।

কিন্তু ভেতরের ভয়ও থেকে গেল। নীলাঞ্জনার চলে যাওয়া তাকে ভেতরে ভেতরে দুর্বল করে দিয়েছে। সে ভাবল—
"যদি আবার হারিয়ে যায়? যদি আবার আমি একা হয়ে যাই?"

৬. সত্যের মুহূর্ত

এক সন্ধ্যায় নদীর ধারে বসে অনন্যা হঠাৎ বলল—
—"তুমি কি কখনো কাউকে খুব কাছে পেয়েছ? এমন কেউ, যার জন্য ভেতরের সব অন্ধকার দূর হয়ে গেছে?"

রায়হান চুপ করে ছিল। চোখে পানি জমল। তারপর ধীরে বলল—
—"পেয়েছিলাম। কিন্তু হারিয়েছি। আজও খুঁজছি একটা প্রেম, যেটা সত্যি হবে, যেটা আমাকে ছেড়ে যাবে না।"

অনন্যা তার হাতটা ধরে নরম স্বরে বলল—
—"তাহলে খোঁজ বন্ধ করো। কারণ হয়তো তোমার সেই খোঁজ এখানেই শেষ হয়েছে।"

৭. অরণ্য আলোকিত

সেদিনের পর রায়হানের বুকের ভেতরের অরণ্যে অদ্ভুত আলো নেমে এল। তার নিঃসঙ্গতা ভেঙে গেল। প্রতিদিন অনন্যা তার সাথে নতুন স্বপ্ন বুনল, নতুন আশার কথা বলল।

রায়হান ডায়েরিতে লিখল—
"আজ আর শুধু তোমাকে খুঁজছি না, আজ তোমাকে পেয়েছি। আমার গহীন অরণ্য আজ আলোয় ভরে গেছে। কারণ আমি পেয়েছি একটা প্রেম।"

৮. সমাপ্তি নাকি শুরু?

প্রেম হয়তো সবকিছুর সমাধান নয়। তবুও প্রেমই মানুষকে বাঁচার শক্তি দেয়। রায়হানের ভেতরের অরণ্য আর অন্ধকারে ডুবে নেই। সেখানে এখন গান বাজে, আলো ঝরে।

সে এখন বুঝতে পারে—
"একটা প্রেম চাই" মানে শুধু কাউকে পাওয়া নয়, বরং কাউকে আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকা। আর সেই প্রেম যখন সত্যি হয়, তখন অরণ্যের ভেতরের সব পথ একসাথে আলোয় ভরে ওঠে।

Beğen
Yorum Yap
Paylaş
Washif Rana
Washif Rana
5 saat ·çevirmek

অভিযোগের প্রেম


বৃষ্টি ভেজা এক বিকেলে রোদ্দুরের আলো ফুরিয়ে আসছিল। কলেজ ক্যাম্পাস তখনও ভিজে কাদামাটিতে ঢেকে আছে। অরণ্য দাঁড়িয়ে ছিল লাইব্রেরির বারান্দায়। তার চোখের কোণে অপেক্ষার ছাপ—কার জন্য? অবশ্যই তিথির জন্য।

তিথি, অরণ্যের জীবনের সবচেয়ে বড় অনুভূতির নাম। দু’জনের পরিচয় শুরু হয়েছিল লাইব্রেরিরই বই হাতে নেওয়া নিয়ে। প্রথমদিন কথাটা খুব সাধারণ ছিল, কিন্তু সেই সাধারণ কথাই ধীরে ধীরে রূপ নেয় এক গভীর ভালোবাসায়। অরণ্য আর তিথি যেন হয়ে গিয়েছিল একে অপরের ছায়া।

কিন্তু, ভালোবাসা মানেই কি শুধু হাসি, আনন্দ আর কবিতা? না। ভালোবাসার ভেতরে অনেক সময় অভিযোগও বাসা বাঁধে। আর সেই অভিযোগই হতে পারে দূরত্বের কারণ।

প্রথম অভিযোগ

একদিন তিথি হঠাৎ অরণ্যকে জিজ্ঞেস করেছিল,
— "তুমি কি সত্যিই শুধু আমাকেই ভালোবাসো?"

অরণ্য হেসে বলেছিল,
— "এমন প্রশ্ন কেন? আমি তো তোমাকেই বেছে নিয়েছি।"

কিন্তু তিথির মনে তখনও সন্দেহ। কারণ কয়েকদিন ধরে সে শুনছে, অরণ্যের সহপাঠী মেহরীন নাকি তাকে নিয়ে বেশি বেশি কথা বলছে। অন্যদের কাছ থেকে এসব শুনে তিথির মনে কেমন একটা কষ্ট জন্মায়।

অরণ্য বোঝাতে চাইলেও তিথির মনে অভিযোগ থেকে যায়।

দ্বিতীয় অভিযোগ

অরণ্য খুব সাধারণ ছেলে। সে চায় না ফাঁকা সময়ে রেস্টুরেন্টে গিয়ে টাকা নষ্ট করতে। তার বরং ভালো লাগে তিথির হাত ধরে কলেজ ক্যাম্পাস ঘুরে বেড়াতে, বা একসঙ্গে গাছতলায় বসে গল্প করতে।

কিন্তু তিথি মাঝে মাঝে মন খুলে চায়, ওরা একটু রঙিন হোক, কোথাও ঘুরতে যাক, দু’জন ছবি তুলুক, একটু জমকালোভাবে স্মৃতি তৈরি করুক।

তিথি অভিযোগ করে বলেছিল—
— "তুমি কি আমার ইচ্ছের দাম দাও না?"

অরণ্য উত্তর দিয়েছিল—
— "আমি দিই, কিন্তু আমার সামর্থ্য তো এতটুকুই। আমি চাই আমাদের ভালোবাসা হোক সরল, নিখাদ।"

তিথি চুপ করেছিল, কিন্তু অভিযোগ যেন জমা হতে থাকে হৃদয়ের গভীরে।

তৃতীয় অভিযোগ

অরণ্য কখনও ফোন ধরে দেরি করলেই তিথির মনে হয়, হয়তো সে ইচ্ছে করে এড়িয়ে যাচ্ছে। আবার কখনও মেসেজের জবাব না পেলে তিথি ভাবে, হয়তো অরণ্য আর আগের মতো তাকে ভালোবাসে না।

অরণ্য একদিন বিরক্ত হয়ে বলেছিল—
— "তুমি আমাকে বিশ্বাস করো না কেন? ভালোবাসা মানেই কি সবসময় ২৪ ঘণ্টা পাশে থাকা?"

তিথির চোখে জল চলে এসেছিল।
— "তুমি বুঝতে পারো না, আমার অভিযোগগুলো আসলে ভালোবাসার ভেতর থেকেই আসে। আমি শুধু চাই তুমি আমাকে হারিয়ে ফেলো না।"

দূরত্বের শুরু

এভাবেই দিন গড়াতে থাকে। ছোট ছোট অভিযোগের পাহাড় তৈরি হতে থাকে। তবুও ওরা দু’জন একে অপরকে ছাড়তে পারে না। ভালোবাসার টান যেন সবকিছুর চেয়ে বড়।

কিন্তু একদিন সত্যিই ঝড় বয়ে গেল।

তিথি শুনলো, অরণ্য নাকি মেহরীনকে নিয়ে প্রজেক্ট করছে, আর সেটাই নাকি বেশ ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের মতো লাগছে। তিথি কোনো ব্যাখ্যা না শুনেই রেগে গিয়ে অরণ্যকে বলল,
— "তুমি আমাকে ঠকিয়েছো। আমি আর তোমার সঙ্গে থাকতে চাই না।"

অরণ্য হাজার বোঝাল, হাজার কেঁদে বলল যে, প্রজেক্ট ছাড়া আর কিছুই নয়, কিন্তু তিথির অভিযোগের দেয়াল তখন এতটাই শক্ত হয়ে গেছে যে ভাঙার আর উপায় নেই।

একাকী অরণ্য

তিথি চলে গেলো তার জীবন থেকে। অরণ্য প্রতিদিন অপেক্ষা করত সেই পুরনো লাইব্রেরির বারান্দায়। হাতে থাকত একটা বই, কিন্তু চোখ থাকত দরজার দিকে—যদি তিথি ফিরে আসে।

সে মনে মনে বলত—
"অভিযোগ তো ছিলো আমাদের প্রেমেরই অংশ, কিন্তু কেন তুমি সেগুলোকে সম্পর্কের সমাপ্তি বানালে?"

অনুতপ্ত তিথি

অন্যদিকে তিথিও শান্তি পাচ্ছিল না। অরণ্যের সাথে প্রতিটি মুহূর্ত তার মনে পড়তে লাগল। তার অভিযোগগুলো এখন মনে হচ্ছিল বোকামি। সে বুঝতে পারল, ভালোবাসা মানে শুধু অভিযোগ ধরা নয়, বরং বিশ্বাস করা।

কিন্তু তখন আর সহজ ছিল না। অহংকার আর ভুল বোঝাবুঝি দু’জনকেই দূরে সরিয়ে দিয়েছে।

আবার দেখা

ছয় মাস পর একদিন কলেজের রিইউনিয়নে দেখা হলো অরণ্য আর তিথির।

তিথি ধীরে ধীরে এগিয়ে এসে বলল,
— "অরণ্য, তুমি কি এখনও আমাকে অভিযোগ করো?"

অরণ্যের চোখ ভিজে উঠল।
— "অভিযোগ নয় তিথি, আমার শুধু একটাই কষ্ট—আমাদের ভালোবাসাকে আমরা অভিযোগের কাছে হারিয়ে দিয়েছি।"

তিথি কেঁদে বলল,
— "আমি ভুল করেছি অরণ্য। আমি বুঝতে পারিনি, তোমার ভালোবাসা ছিল আমার জন্যই সবচেয়ে বড় সম্পদ।"

অরণ্য দীর্ঘশ্বাস ফেলল।
— "তুমি যদি আগেই এটা বুঝতে, তাহলে হয়তো আজও আমরা একসঙ্গে থাকতাম।"

সমাপ্তি

তিথি আর অরণ্যের সেইদিনের কথোপকথনেই গল্প শেষ হয়নি। ওরা আবার কথা বলা শুরু করল। অভিযোগ গুলো আর দূরত্ব তৈরি করতে পারলো না, বরং দু’জন শিখলো—
ভালোবাসার ভেতরে অভিযোগ থাকতেই পারে, কিন্তু অভিযোগ যদি বিশ্বাসকে গ্রাস করে, তবে সম্পর্ক ভেঙে যায়। আর যদি ভালোবাসা সত্যিকারের হয়, তবে সেই অভিযোগই হয়তো একদিন ভেঙে আবার মিলনের সেতু গড়ে দেয়।

Beğen
Yorum Yap
Paylaş
Washif Rana
Washif Rana
9 saat ·çevirmek

নষ্ট জীবন – হৃদয়বিদারক কান্নার গল্প

রাতের অন্ধকারে বসে আছে রাকিব। এক হাতের সিগারেটটা জ্বলছে, আরেক হাতে কাঁপতে থাকা মোবাইল। পর্দার ওপারে কারো নাম নেই, কারো মেসেজও নেই। অথচ এক সময় এই ফোনই ছিল তার জীবনের সব আশা-ভরসা। ভালোবাসার মিষ্টি বার্তা, বন্ধুরা ডেকে নেওয়ার উচ্ছ্বাস, কিংবা মায়ের কণ্ঠস্বর—সবই ছিল এই ছোট্ট যন্ত্রে। কিন্তু আজ যেন এর ভেতর কেবল শূন্যতা, হতাশা আর তিক্ত স্মৃতি।

রাকিবের জন্ম হয়েছিল এক সাধারণ পরিবারে। বাবা ছিলেন স্কুলশিক্ষক, মা গৃহিণী। ছোটবেলায় সবার চোখে সে ছিল খুব মেধাবী। গ্রামের স্কুলের শিক্ষকরা বলতেন, “এই ছেলেটা একদিন বড় কিছু করবে।” সত্যিই, পড়াশোনায় ছিল অসাধারণ। পঞ্চম শ্রেণি থেকে শুরু করে এসএসসি পর্যন্ত প্রতিটি পরীক্ষায় সে প্রথম হয়েছে। বাবা-মায়ের স্বপ্ন ছিল ছেলে ডাক্তার হবে, কিংবা অন্তত এমন কিছু করবে যাতে সারা গ্রাম গর্ব করে।

কিন্তু স্বপ্নের সেই আলো ধীরে ধীরে নিভে যেতে শুরু করল কলেজে ওঠার পর। শহরে নতুন পরিবেশ, নতুন বন্ধু, আর সঙ্গে অজানা স্বাধীনতা—রাকিবকে অন্য পথে টেনে নিল। প্রথমে আড্ডা, পরে সিগারেট, তারপর নেশার জগৎ। মায়ের ফোনে রাতে মিথ্যে বলা, বাবার কষ্টের টাকা দিয়ে অকারণে খরচ করা—সবই ছিল নষ্ট জীবনের শুরু।

প্রথম দিকে সে বুঝতে পারেনি। মনে হতো, “এগুলো সাময়িক। আমি চাইলে ফিরে আসতে পারব।” কিন্তু মানুষ নেশার ফাঁদে একবার পড়লে ফেরার রাস্তা সহজে খুঁজে পায় না। নতুন বন্ধুরা তাকে শেখাল ক্লাস ফাঁকি দিয়ে ভিডিও গেমস খেলা, সিনেমার অন্ধকার হলে সময় নষ্ট করা, অকারণে টাকা উড়িয়ে দেওয়া। পরীক্ষার হলে একসময় যে ছেলে সবার আগে খাতা জমা দিত, সে ধীরে ধীরে নকল ছাড়া কিছু লিখতেই পারত না।

বাবা টের পেয়েছিলেন ছেলের ভেতরে পরিবর্তন। মায়ের কান্না আর বাবার বকুনি—সবই তার কাছে বিরক্তির হয়ে দাঁড়াল। একদিন রাগ করে বাবাকে বলেই ফেলল, “আমাকে নিয়ে এত আশা করবেন না। আমি কিছু হতে চাই না।” কথাটা বলার পরপরই বাবা চুপ করে গিয়েছিলেন। চোখে শুধু জল ভেসেছিল, কিন্তু কোনো উত্তর দেননি। সেই নীরব দৃষ্টি আজও রাকিবকে তাড়া করে ফেরে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় বারবার ব্যর্থ হলো সে। একসময় বইয়ের প্রতি ভয় তৈরি হলো। আশেপাশের বন্ধুরা সবাই কেউ না কেউ ভালো জায়গায় ভর্তি হতে লাগল। কারো ফেসবুকে ভর্তি উল্লাসের ছবি, কারো হাতে ভর্তি কার্ড। রাকিবের হাতে তখন কেবল হতাশা। বাড়িতে লুকিয়ে থাকতে শুরু করল। বন্ধুরা ডাকে, কিন্তু সে আর সাড়া দেয় না।

এরপর আসে আরেকটি ভয়ংকর অধ্যায়—প্রেম।
এক মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক হলো তার। শুরুতে সবকিছু ভালোই চলছিল। মেয়েটি তাকে বদলাতে চেয়েছিল। বলত, “তুমি পারবে, শুধু চাইলে।” কিছুদিন সে চেষ্টা করেছিল। বই হাতে নিয়েছিল, বাবাকে খুশি করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু পুরোনো অভ্যাস আবার টেনে নিল। সেই মেয়েও একসময় ছেড়ে চলে গেল। যাওয়ার সময় শুধু একটি কথাই রেখে গেল, “তুমি তোমার জীবন নষ্ট করছো, আর আমি তোমার কবর হতে চাই না।”

সেই দিন থেকে রাকিব একেবারে ভেঙে পড়ল। প্রেম হারানো, বাবা-মায়ের ভরসা হারানো, নিজের স্বপ্ন হারানো—সব মিলে জীবনের মানেই হারিয়ে গেল। ঘরে বসে থাকতে থাকতে সে যেন পাথরে পরিণত হলো। রাতে চুপচাপ ছাদে গিয়ে বসে থাকত, আকাশের দিকে তাকিয়ে ভাবত, “আসলে আমার জন্মই কেন হলো?”

আজ পাঁচ বছর কেটে গেছে। যারা তার সমবয়সী ছিল, তারা এখন চাকরিজীবী, কেউ ব্যবসায়ী, কেউ বিদেশে গিয়ে সংসার করছে। আর রাকিব এখনো বেকার, বাবার টাকায় চলছে। মাঝে মাঝে ছোটখাটো কাজে যোগ দিয়েছে, কিন্তু কোনো কাজই টিকেনি। মানুষ তাকে দেখে বলে, “এই ছেলেটার জীবন শেষ।”

সবচেয়ে কষ্টের মুহূর্তটা আসে তখন, যখন সে দেখে মায়ের চোখে জল। মা তাকে কিছু বলে না, কিন্তু লুকিয়ে কাঁদতে দেখে। একদিন রাতে মায়ের সেই কান্না শুনে তার মনে হলো, “আমার কারণে এ মানুষগুলো সারাজীবন কষ্ট পাচ্ছে। আমি কেন বেঁচে আছি?” সিগারেটের ধোঁয়া ভেদ করে আকাশের দিকে তাকিয়ে সে বারবার নিজের ব্যর্থতা গুনতে থাকে।

রাকিব জানে, তার জীবন আর আগের মতো ফিরে পাওয়া সম্ভব নয়। সে জানে, যত চেষ্টা করুক, তার সময় নষ্ট হয়ে গেছে। তবু এক অদ্ভুত টান তাকে বাঁচিয়ে রাখে—মায়ের ভালোবাসা। মাঝে মাঝে ভাবে, “আমি যদি না থাকি, মা ভেঙে পড়বেন।” আর সেই কারণেই হয়তো আজও সে বেঁচে আছে, শূন্য জীবনের বোঝা টেনে নিয়ে যাচ্ছে।

কখনো মনে হয়, আবার শুরু করা সম্ভব। হয়তো কোনো দিন নতুন কিছু হবে, হয়তো কোনো দিন তার জীবনও পথ খুঁজে পাবে। কিন্তু আবার ভয় তাকে আচ্ছন্ন করে—“আমি কি পারব? নষ্ট জীবনের মানুষ কি আবার গড়তে পারে নতুন কিছু?”

রাতের অন্ধকারে বসে থাকতে থাকতে তার চোখে জল নামে। সিগারেটের আগুন নিভে যায়, কিন্তু বুকের আগুন জ্বলে থাকে। একসময় সে ফিসফিস করে বলে ওঠে—
“আমার জীবনটা আসলেই নষ্ট হয়ে গেছে।”

এভাবেই প্রতিদিন তার দিন শেষ হয়, নতুন দিনের কোনো স্বপ্ন ছাড়াই।

Beğen
Yorum Yap
Paylaş
Daha fazla Mesajları yükle

Arkadaşlıktan Çıkar

Arkadaşlık etmek istediğinden emin misin?

Bu kullanıcıyı rapor et

Teklifi Düzenle

Katman eklemek








Bir resim seçin
Seviyeni sil
Bu kademeyi silmek istediğinize emin misiniz?

yorumlar

İçeriğinizi ve gönderilerinizi satmak için birkaç paket oluşturarak başlayın. Para kazanma

Cüzdan tarafından ödeme

Ödeme uyarısı

Öğeleri satın almak üzeresiniz, devam etmek ister misiniz?

Geri ödeme istemek