🤣🤣🤣🤣🤣🤣🤣
۰
۰
۰
۰
۰
۰
۰
۰
۰#خنده #فان #خندهدارترین #طنز_خنده_دار_شوخی_سرگرمی_فان_جک_تصویر #اکسپلور #طنز_خنده_دار_شوخی_سرگرمی_فان_جک_تصویر_دیدنی_جالب_بامزه_سرگرم_کننده #?
🤣🤣🤣🤣🤣🤣🤣
۰
۰
۰
۰
۰
۰
۰
۰
۰#خنده #فان #خندهدارترین #طنز_خنده_دار_شوخی_سرگرمی_فان_جک_تصویر #اکسپلور #طنز_خنده_دار_شوخی_سرگرمی_فان_جک_تصویر_دیدنی_جالب_بامزه_سرگرم_کننده #?
তক্ষুণি বড়পীরের হাত ধরে তওবা করলেন ডাকাত সর্দার। দলের অন্যরাও তওবা করলো। তাঁরা ওয়াদা করলো, ‘জীবনের আর ডাকাতি করবো না, লুটপাট করবো না। আল্লাহর অবাধ্য হবো না, পাপ কাজ করবো না।’ ডাকাতরা কাফেলার লোকজনকে ডেকে তাঁদের সব মালামাল ফিরিয়ে দিল। কাফেলা খুশি মনে বাগদাদের পথ ধরলো।
এই গল্প আমাদের শেখায়..
মিথ্যা কথা বলতে নেই, পাপের পথে চলতে নেই। থাকলে মনে আল্লাহর ভয়, জীবনটা হয় পুণ্যময়।
সত্যবাদী বালকের দৃঢ়তায় চমকে উঠলেন ডাকাত সর্দার। তার মনে হল সে আত্মমর্যাদাহীন ও নির্বোধ একজন মানুষ। এই বালকের সমান বুদ্ধিও তার নেই। যদি থাকতো তাহলে হুকুম অমান্য করে সে মানুষের সহায়-সম্পদ লুট করতে পারতো না।
হঠাৎ হায় হায় করে উঠলো ডাকাত সর্দার। বলল, ‘কে না জানে, সবাইকে একদিন মরতে হবে। মরার পর আল্লাহ যখন জানতে চাইবেন, তোমাকে কি লুটপাট করার জন্য দুনিয়ায় পাঠিয়েছিলাম, তখন কী জবাব দেবো আমি?’
ডাকাত সর্দারের মনে তোলপাড় শুরু হল। অনুশোচনায় দগ্ধ হতে লাগলো মন। তিনি চিৎকার করে বলতে লাগলেন, ‘এই ছেলে মায়ের কথার অবাধ্য হচ্ছে না, আর আমরা মহান আল্লাহর অবাধ্য হয়ে ডাকাতি করছি? কী হবে আমাদের পরিণতি?’
আবদুল কাদের বললেন, ‘আল্লাহর কাছে তওবা করুণ। আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীল।’
জামা কাটা হলো। বের করে আনা হলো টাকাগুলো। গুনে দেখা গেল সত্যি সেখানে চল্লিশটি স্বর্ণমুদ্রা। ডাকাতরা ভাবলো, ছেলেটি কি বোকা! ডাকাত সর্দার বলল, ‘তুমি আমাদের বললে কেন তোমার কাছে টাকা আছে? তুমি না বললে তো আমরা ও স্বর্ণমুদ্রার কথা জানতেও পারতাম না।’
সত্যবাদী জিলানী দৃঢ়তার সাথে বললেন, ‘কেন বলবো না? আমার মা আমাকে মিথ্যা বলতে নিষেধ করেছেন। আল্লাহর নবী বলেছেন, মিথ্যা হল সকল পাপের মা। আল্লাহ মিথ্যাবাদীকে ভালোবাসেন না। আল্লাহ যে কাজ অপছন্দ করেন আমি সে কাজ করতে যাবো কেন?’
‘কিন্তু তুমি না বললে তো এ টাকাগুলো হারাতে হতো না!’
তিনি বললেন, ‘তাতে আমার দুঃখ নেই। আমি আমার মায়ের আদেশ পালন করতে পেরেছি, আল্লাহর হুকুম পালন করতে পেরেছি, এতেই আমি খুশি।’ তিনি আরো বললেন, ‘কাল হাশরের মাঠে আমাকে লজ্জিত হতে হবে না, অপমান সইতে হবে না, এরচেয়ে আনন্দের আর কি আছে?’
বালক আবদুল কাদের কি করবেন বুঝতে না পেরে ঠায় দাঁড়িয়ে রইলেন। ডাকাতরা ভাবলো, ও ছোট মানুষ, ওর কাছে আর কি থাকবে? সবাই ওকে রেখে লুটপাটে মন দিল। এক ডাকাত তাঁকে বলল, ‘এই ছেলে, তোমার কাছে টাকা-পয়সা কিছু আছে?’
আবদুল কাদের জিলানী জবাব দিলেন, ‘হ্যাঁ, আমার কাছে চল্লিশটি স্বর্ণমুদ্রা আছে।’
বিশ্বাস হলো না ডাকাতের। বলল, ‘কোথায় তোমার স্বর্ণমুদ্রা?’
তিনি বললেন, ‘বগলের নিচে আমার জামার সাথে সেলাই করা।’
এ কথা শুনে ডাকাত তাঁকে নিয়ে এলো সর্দারের কাছে। ডাকাত সর্দার তখন লুটের মাল ভাগ-বাটোয়ারায় ব্যস্ত। সব শুনে সর্দার বললেন, ‘জামা কেটে বগলের নিচ থেকে টাকাগুলো বের করো দেখি।’
মায়ের দেয়া চল্লিশটি স্বর্ণমুদ্রা নিয়ে পথে নামলেন আবদুল কাদের জিলানী। বিদায়ের সময় ছেলেকে বুকে জড়িয়ে মা বললেন, ‘বাবা, আমার সময় আর বেশি বাকি নেই। হয়তো কেয়ামতের আগে আর আমাদের দেখা হবে না। আমার অন্তিম উপদেশ, কখনো মিথ্যা কথা বলো না।’
মায়ের এ উপদেশ বুকে নিয়ে ছেলে গিয়ে শামিল হলো কাফেলার সাথে। কাফেলা এগিয়ে চললো বাগদাদের দিকে। যেতে যেতে তাঁরা গিয়ে পৌঁছালো হামদান নামক এক জায়গায়। এলাকাটি জনমানবহীন। চারদিকে গাছপালার গভীর জঙ্গল। হঠাৎ একদল ডাকাত ঝাঁপিয়ে পড়লো তাঁদের ওপর। কেড়ে নিল তাঁদের টাকা পয়সা, ধন-দৌলত। লোকেরা জীবন বাঁচাতে মালসামান রেখেই পালিয়ে গেল।
একদিন আবদুল কাদের জিলানী ছাদে দাঁড়িয়ে প্রকৃতির শোভা দেখছিলেন। তিনি দেখলেন, একটি কাফেলা বাগদাদের দিকে যাচ্ছে। তার অনেক দিনের শখ বাগদাদ যাওয়ার। সেখানে গিয়ে পড়ালেখা করার। তিনি নিচে নেমে মাকে আবারও তার মনের কথা বললেন।
মায়ের বুক হাহাকার করে উঠল। যেখানে অন্যের ছেলেরা পড়তে চায় না সেখানে নিজের ছেলে পড়ার জন্য উতলা, এটা কি কম সৌভাগ্যের কথা! তিনি জমানো টাকাগুলো গুনে দেখলেন সেখানে আশিটি স্বর্ণমুদ্রা আছে। টাকাটা দুই ভাগ করে এক ভাগ রাখলেন সংসার খরচের জন্য আরেক ভাগ তুলে দিলেন ছেলের হাতে। ছোট মানুষ, পথে যদি টাকাগুলো হারিয়ে ফেলে এই ভয়ে মা বগলের নিচে পকেট বানিয়ে সেখানে মুদ্রাগুলো সেলাই করে দিলেন।
সত্যের জয় – শিশুদের জন্য শিক্ষনীয় ইসলামিক গল্প ৫!
হযরত আবদুল কাদের জিলানী। সবাই তাঁকে ডাকতো বড়পীর বলে। বড়পীর আবদুল কাদের জিলানীর শৈশবের একটি ঘটনা। ঘটনাটি এতই চমকপদ যে, আজো মানুষ শ্রদ্ধাভরে সে কথা স্মরণ করে।
তোমাদের মতই বয়স তখন তার। লেখাপড়ার প্রতি দারুণ আগ্রহ। গ্রামের বাড়ির পড়া শেষ করেছেন। এখন তার ইচ্ছা, বড় কোন শহরে গিয়ে নামকরা কোন মাদ্রাসায় পড়বে। কিন্তু তার বাপ নেই। বিধবা মায়ের অভাবের সংসার। কোথায় পাবেন তিনি ছেলের পড়ার খরচ? মা ভাবেন, এমন সোনার ছেলের আশা কি পূরণ হবে না? মানুষের কত রকম শখ থাকে। অথচ ছেলের একটাই শখ। সে অনেক পড়বে, অনেক জ্ঞানী হবে, মানুষের মত মানুষ হবে। মা দিনরাত ছেলের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবেন আর একটু একটু করে টাকা জমান ছেলের জন্য।
এবার ফেরতেশতা গেল অন্ধ লোকটির কাছে। বলল, ‘আমি মুসাফির। আমাকে একটা ছাগল দিয়ে সাহায্য করুন।’
লোকটি বলল, ‘আমি ছিলাম অন্ধ ও গরীব। আল্লাহ আমাকে ভালো করে দিয়েছেন। ধন-সম্পদ দিয়েছেন। আমার যত সম্পদ সব আল্লাহরই দান। আপনার যে কয়টি বকরী দরকার ইচ্ছামত নিয়ে যান।’
ফেরেশতা বলল, ‘না, এসব আপনারই থাকবে। আল্লাহ আপনাদের তিনজনকে পরীক্ষা করার জন্য আমাকে পাঠিয়েছেন। দু’জন পরীক্ষায় পাস করেনি। তাঁরা অহংকারী হয়ে উঠেছিল। তাঁদের ওপর আল্লাহর গজব নাজিল হয়েছে। আপনি পাস করেছেন। আল্লাহ আপনার সম্পদ আরো বাড়িয়ে দিবেন।
md ruhul khan
দিগ্বীজয়ী সম্রাট সিকান্দার ও দারার মাঝে যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। উভয় দল যখন মুখোমুখি দাঁড়িয়ে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত। তখন সিকান্দার প্রতিপক্ষের মনোবল ভেঙে দেয়ার এক কৌশল প্রয়োগ করলেন। তিনি দারার সৈন্যদের সামনে ঘোষণা করে দিলেন, তোমাদের সাথে আমার যে চুক্তি হয়েছিল তা তো আমি পালন করেছি। এখন তোমাদেরটা তোমরা পালন করো।
আসলে সিকান্দারের সাথে দারার কোন সৈন্যের বিন্দুমাত্রও যোগাযোগ হয়নি। কিন্তু এ ঘোষণা শোনামাত্রই সৈন্যরা একে অন্যের প্রতি সন্দিহান হয়ে পড়ল ।
সবাই ভাবছিলো কোন বিশ্বাসঘাতকের সাথে সিকান্দারের কি গোপন চুক্তি হয়েছে? সে বা তারা কখন কি করে বসে এই দুশ্চিন্তায় তাদের মনোবল ভেঙে গেল । এবং দারা যুদ্ধে শোচনীয় ভাবে পরাজিত হলো।
Delete Comment
Are you sure that you want to delete this comment ?
Suraiya Soha
Delete Comment
Are you sure that you want to delete this comment ?