#অণু-গল্প: ৮ (চন্দ্রের অভিশাপ)
---
গ্রামের সবাই নিশ্চিন্ত, কিন্তু নীলয় আর মধুরিমার মনে অজানা উদ্বেগ ঘনীভূত হয়।
এক রাত তারা সিদ্ধান্ত নিলো ঝরনার উল্টো দিকে থাকা গভীর গহ্বরে যাওয়ার—যেখানে এখনও রহস্য মিশে আছে।
গভীরে ঢুকতেই তাদের শোনা গেল দূরের ভয়ংকর আওয়াজ, যেন প্রকৃতির আর্তনাদ আর ভয় একসাথে গুঞ্জরিত হচ্ছে।
মধুরিমার কণ্ঠ কাঁপতে কাঁপতে বলল, “এটা সেই অভিশাপের শেষ ছায়া... যা এখনও মুক্ত নয়।”
নীলয় বলল, “আমাদের থেমে থাকার সময় নেই। যতো শীঘ্র সম্ভব এই গহ্বর থেকে মুক্তি পেতে হবে।”
তারা এগোতে থাকল অন্ধকারের দিকে, যেখানে প্রাচীন অতীত তাদের অপেক্ষায়।
#অণু-গল্প: ৭ (চন্দ্রের অভিশাপ)
---
ঝরনার জল শান্ত হয়ে গেল, নীলয় আর মধুরিমা মুক্তি পেল। গ্রামে ফিরলেও মনে হলো, পুরোপুরি শান্তি এখনো আসেনি।
রাত্রির নীরবতা মাঝে মাঝে ভেঙে দিয়ে আসে দুর্বোধ্য এক গুঞ্জন, যেন কেউ বা কিছু এখনও তাদের পিছু নিয়েছে।
মধুরিমার চোখে দেখা গেল এক অদৃশ্য ছায়া—পুরনো অভিশাপের অবশিষ্টাংশ, যা কখনো শেষ হয় না।
নীলয় জানে, ভালোবাসা ও অভিশাপের লড়াই হয়তো শেষ হয়েছে, কিন্তু প্রকৃতির গভীরে একটা রহস্য আজও ঘুমিয়ে আছে।
তাদের যাত্রা শেষ না, বরং নতুন এক অধ্যায় শুরু হয়েছে—অন্তরালের নীরবতা।
গ্রামের সবাই বলছে, “এখন শান্তি,” কিন্তু প্রকৃতির গহ্বরে,
একটি দুর্বোধ্য নিঃশ্বাস, অপেক্ষা করছে ফিরে আসার জন্য।