AFace1 AFace1
    #face #aface1 #aface #foryou #quotes
    البحث المتقدم
  • تسجيل الدخول
  • التسجيل

  • الوضع الليلي
  • © 2025 AFace1
    حول • الدليل • إتصل بنا • سياسة الخصوصية • شروط الاستخدام • إعادة مال • Work • Points and Payments • DMCA

    تحديد اللغة

  • Arabic
  • Bengali
  • Chinese
  • Croatian
  • Danish
  • Dutch
  • English
  • Filipino
  • French
  • German
  • Hebrew
  • Hindi
  • Indonesian
  • Italian
  • Japanese
  • Korean
  • Persian
  • Portuguese
  • Russian
  • Spanish
  • Swedish
  • Turkish
  • Urdu
  • Vietnamese

يشاهد

يشاهد بكرات

أحداث

تصفح الأحداث أحداثي

مدونة

تصفح المقالات

السوق

آخر المنتجات

الصفحات

صفحاتي صفحات أعجبتني

أكثر

إستكشاف منشورات شائعة الألعاب وظائف عروض بالتمويل
بكرات يشاهد أحداث السوق مدونة صفحاتي الكل

إستكشف المشاركات

Posts

المستخدمين

الصفحات

مجموعة

مدونة

السوق

أحداث

الألعاب

وظائف

بالتمويل

samip848
samip848  
7 ث

প্রশংসা করতো। তার দূরদর্শিতা বিশেষ করে একজন হিন্দু হয়েও গযনীর গভর্ণরের কাছে নিজেকে বিশ্বস্ত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারার ব্যাপারটি ছিল সেই সময়কার ইতিহাসে বিরল ঘটনা।

গোবিন্দ এই তিন মহারাজার কাছে সঠিক সময়ে সঠিক সংবাদটি পৌছে দিতো, ফলে সবাই তাকে আপনজন এবং নিজের পক্ষের গোয়েন্দা বলেই বিশ্বাস করতো।

অপর দিকে গোবিন্দ গযনীর গভর্ণর আব্দুল কাদের সেলজুকীরও আস্থা ভাজন ছিল। সেলজুকী তাকে অতি বিশ্বস্ত বন্ধু মনে করতো। সেলজুকীর দরবারে গোবিন্দের অবাধ যাতায়াত ছিল। অথচ গোবিন্দ ছিল একজন গোড়া হিন্দু। আব্দুল কাদির সেলজুকীকে গোবিন্দ বুঝাতে সক্ষম হয়েছিল, আমি মুসলমান হয়ে গেলে হিন্দুরা আমার সাথে মনের কথা দূরে থাক কাছে ধারেও বসতে দেবে না।

বাস্তবে গোবিন্দ ছিল ডাবল এজেন্ট। সে উভয় দিকের খবরাখবর উভয় দলের কাছেই সরবরাহ করতো। অবশ্য খবর সরবরাহের ব্যাপারে সে নিজে আগে যাচাই বাছাই করতো, কতটুকু তথ্য কোন দলকে দেয়া যাবে, কি পরিমাণ বললে উভয় দলের কাছে খবরটি বিশ্বাসযোগ্য হবে। এই বিষয়টি নির্বাচন করার ব্যাপারটি ছিল খুবই কূটিলতা ও চতুরতার ব্যাপার। এ কাজে গোবিন্দ শতভাগ উত্তীর্ণ হতে পেরেছিল। প্রকৃতপক্ষে গোবিন্দ হিন্দু-মুসলমান কারো পক্ষেই কাজ করছিল না, সে অর্থের লোভে দ্বিমুখী চরিত্র ধারণ করে দু'হাতে কাড়ি কাড়ি

إعجاب
علق
شارك
samip848
samip848  
7 ث

আমরা আবার সবাই বসে সিদ্ধান্ত নেবো, আমাদেরকে কি করতে হবে। আপাদত এই কাজটিই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করা হোক।

গোবিন্দের এই ফর্মুলা সবার পছন্দ হলো এবং সবাই এক বাক্যে গোবিন্দকেই রাজ্যপালকে খুন করার দায়িত্ব দিল। সেই সাথে রাজা অর্জুনের মতো অন্যেরাও একাজে সফল হলে তাকে মোটা অংকের পুরস্কার দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিল।

তিন মহারাজার এই চক্রান্তমূলক বৈঠকের কয়েক দিন পর দ্বিমুখী গোবিন্দ কন্নৌজে গভর্নর আব্দুল কাদের সেলজুকীর সামনে বসা ছিল। গোবিন্দ গভর্ণর সেলজুকীকে বলছিল, তিন রাজার বৈঠকে কি কি সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেই সাথে বললো, মহারাজা রাজ্যপালের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরো সুসংহত করা দরকার।

লাহোরের মহারাজা তরলোচনপালের সৈন্যরা কোথায় অবস্থান করছে। গোবিন্দের কাছে জানতে চাইলেন গভর্ণর সেলজুকী। যতটুকু মনে হয় এখান থেকে খুব দূরে নয়, তবে ঠিক কোথায় তারা অবস্থান করছে তা উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি, বললো গোবিন্দ। এমনও হতে পারে তরলোচনপালের সৈন্যরা এখান থেকে লাহোর ফিরে গেছে। অবশ্য এখন তরলোচনপালই সব চেয়ে বেশি

إعجاب
علق
شارك
samip848
samip848  
7 ث

সুন্দরী মেয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। তাহলে সে গযনীর শাসকদের অনুরোধ করে, বলে কয়ে আপনার কাছে চলে আসতে পারে।

তোমরা এ ব্যাপারে যে পদ্ধতিই অবলম্বন করোনা কেন, যে কেউ হোক কাজটি যে করে দিতে পারবে এবং প্রমাণ করতে পারবে যে, সে রাজ্যপালকে হত্যা করেছে, আমি তাকে জায়গীর ও সোনাদানা দিয়ে ভরে দেবো। তাকে এমন সুন্দরী মেয়ে জীবনের জন্যে দিয়ে দেবো, যা কোন দিন সে কল্পনাও করতে পারবে না- বললো গোয়ালিয়রের রাজা অর্জুন।

রাজা অর্জুন গোবিন্দের দিকে তাকিয়ে বললেন, গোবিন্দ। তুমি ইচ্ছা করলে এ কাজটি করতে পারো। যেহেতু তুমি ওখানে সবার কাছে বিশ্বস্ত, তাই রাজাকে খুন করার কোন না কোন একটি পন্থা তুমি বের করে নিতে পারবে।

পণ্ডিত মশাইও যেতে পারেন। সবাইকে জানিয়েই বলছি, দু'জনের মধ্যে যেই সফল হবে, সেই হবে আমার রাজ্যের সবচেয়ে বড় জায়গীরের মালিক। ভারতের সবচেয়ে সুন্দরী রক্ষিতা থাকবে তার ঘরে। রাজ্যাপালের মৃত্যুর পর আমরা আবার সবাই বসে সিদ্ধান্ত নেবো, আমাদেরকে কি করতে হবে। আপাদত এই কাজটিই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করা হোক।

গোবিন্দের এই ফর্মুলা সবার পছন্দ হলো এবং সবাই এক বাক্যে

إعجاب
علق
شارك
samip848
samip848  
7 ث

কিছুই টের পাবে না।

কয়েক দিন পরই রাজা দূরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত হয়ে যাবে। দশ/পনেরো দিনের মধ্যে পেটের পীড়ায় ভুগে সে মারা যাবে। কোন ডাক্তার বদ্যি কাজে আসবে না। বিষ প্রয়োগের বিষয়টি কেউ মাথায়ও আনবে না।

তবে বিষ প্রয়োগের আগে আমি তাকে সম্মত করাতে চেষ্টা করবো, দৃশ্যত তিনি যেন গযনী বাহিনীর মিত্র হয়েই থাকেন এবং সময় সুযোগ মতো বিদ্রোহ করেন। আমি তার মনোভাব বুঝতে চেষ্টা করবো, আসলে সে আমাদের ধোঁকা দেবে না, গযনী সরকারকে ধোঁকা দেবে। পরিস্থিতি বুঝে আমি সিদ্ধান্ত নেবো, তার বেঁচে থাকা দরকার না মৃত্যু দরকার।

আপনার এই পরিকল্পনায় কোন কাজ হবে না। কারণ, গযনীর কমান্ডাররা তাকে রাড়ীর সীমানার বাইরে যেতে দেবে না- বললো গোবিন্দ। আপনি চেষ্টা করে দেখতে পারেন। কিন্তু আমি যতটুকু জানি, আমি গভর্ণর আব্দুল কাদেরের ব্যক্তিগত বন্ধু ও অতি আস্থাভাজন লোক। আমাকেও রাজার সাথে সাক্ষাতের অনুমতি দেয়া হয় না।

অবশ্য আমার কাছে একটা ফর্মুলা আছে। মহারাজা রাজ্যপাল খুবই নারী পাগল। তার সবসময় নতুন নূতন সুন্দরী মেয়ে না হলে চলে না। আপনি যদি দুতিনটি 2510/3য়েকে সাথে নিয়ে যেতে পারেন। আর কোনভাবে রাজার

إعجاب
علق
شارك
samip848
samip848  
7 ث

গোবিন্দ জানালো, রাজ্যপাল কার্যত মুসলমানদের হাতে বন্দি। তার নিরাপত্তা বাহিনীতে সব সময় তিন চারজন গযনী সেনা অবস্থান করে। কাজেই রাজ্যপালকে প্রকাশ্যে হত্যা করে ফিরে আসা সহজ ব্যাপার নয়।

একজন বললো, রাজ্যপালের কোন নর্তকীকে হাত করে তার মাধ্যমে খাবারে বিষপ্রয়োগ করে হত্যা করতে হবে। আরেকজন এটা প্রত্যাখ্যান করে বললো, এই উদ্যোগ ব্যর্থ হয়ে যেতে পারে। কোন পেশাদার নর্তকী একাজ করতে মোটেও রাজি হবে না।

এ ব্যাপারে আমার মাথায় একটা বুদ্ধি এসেছে- বললো পুরোহিত। আমাকে কালাঞ্জর রাজ্যের দূত হিসেবে মহারাজা রাজ্যপালের কাছে পাঠানো হোক। আমার সাথে আরো কিছু লোক দেবেন। আমি রাড়ীর বাইরে তাঁবু ফেলে রাজ্যপালকে খবর দিবো যে, কালাঞ্জরের পক্ষ থেকে মহারাজার কাছে দূত এসেছে। দূত তার তাঁবুতেই মহারাজার সাথে মিলিত হতে চান। আমার তাঁবুতে যদি রাজ্যপাল আসে, তাহলে আমি কোন পানীয় বা খাবারে মিশিয়ে তাকে এমন বিষ খাইয়ে দেবো, যা খুব ধীরে ধীরে তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেবে, কেউ কিছুই টের পাবে না।

কয়েক দিন পরই রাজা দূরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত হয়ে যাবে। দশ/পনেরো দিনের মধ্যে পেটের পীড়ায় ভুগে সে মারা যাবে। কোন ডাক্তার বদ্যি কাজেগোবিন্দ জানালো, রাজ্যপাল কার্যত মুসলমানদের হাতে বন্দি। তার নিরাপত্তা বাহিনীতে সব সময় তিন চারজন গযনী সেনা অবস্থান করে। কাজেই রাজ্যপালকে প্রকাশ্যে হত্যা করে ফিরে আসা সহজ ব্যাপার নয়।

একজন বললো, রাজ্যপালের কোন নর্তকীকে হাত করে তার মাধ্যমে খাবারে বিষপ্রয়োগ করে হত্যা করতে হবে। আরেকজন এটা প্রত্যাখ্যান করে বললো, এই উদ্যোগ ব্যর্থ হয়ে যেতে পারে। কোন পেশাদার নর্তকী একাজ করতে মোটেও রাজি হবে না।

এ ব্যাপারে আমার মাথায় একটা বুদ্ধি এসেছে- বললো পুরোহিত। আমাকে কালাঞ্জর রাজ্যের দূত হিসেবে মহারাজা রাজ্যপালের কাছে পাঠানো হোক। আমার সাথে আরো কিছু লোক দেবেন। আমি রাড়ীর বাইরে তাঁবু ফেলে রাজ্যপালকে খবর দিবো যে, কালাঞ্জরের পক্ষ থেকে মহারাজার কাছে দূত এসেছে। দূত তার তাঁবুতেই মহারাজার সাথে মিলিত হতে চান। আমার তাঁবুতে যদি রাজ্যপাল আসে, তাহলে আমি কোন পানীয় বা খাবারে মিশিয়ে তাকে এমন বিষ খাইয়ে দেবো, যা খুব ধীরে ধীরে তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেবে, কেউ কিছুই টের পাবে না।

কয়েক দিন পরই রাজা দূরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত হয়ে যাবে। দশ/পনেরো দিনের মধ্যে পেটের পীড়ায় ভুগে সে মারা যাবে। কোন ডাক্তার বদ্যি কাজে

إعجاب
علق
شارك
samip848
samip848  
7 ث

মনে করে না। স্বামী মেয়েটিকে খুবই বিশ্বাস করে এবং তার উপর গভীর আস্থা রাখে।

এই আলোচনার কয়েক দিন পর এক দিন দুপুরে রাজিয়া আরো কয়েকজন হিন্দু মেয়ের সাথে নদীতে গোসল করতে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে ছিল বড় বড় অশ্বথ বৃক্ষ ও ঝোপ ঝাড়।

একটি বড় অশ্বথ গাছের নীচে একজন সন্যাসীরূপী বয়স্ক লোক মাথা নীচের দিকে করে বসেছিল। লোকটির ছিল লম্বা দাড়ি এবং মাথার চুল কাধ পর্যন্ত দীর্ঘ। চেহারা ছবি অনেকটা মুসলমানদের মতো। কিন্তু তার পোষাক পরিচ্ছদ হিন্দু সন্ন্যাসী ঋষিদের মতো। রাজিয়া ও তার সঙ্গীনী মেয়েরা যখন লোকটির পাশ দিয়ে যাচ্ছিল তখন মাথা সোজা করে আঙুল উঁচিয়ে মেয়েদের থামতে ইঙ্গিত করল। মেয়েরা তার ইঙ্গিতে দাঁড়ালো। সাধুরূপী লোকটি তাদেরকে পাশে বসিয়ে রাজিয়ার চোখের দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল।

ভারত অভিযান ৩৮

إعجاب
علق
شارك
samip848
samip848  
7 ث

স্বামীর ধর্মকেই সে নিজের ধর্ম মনে করে। কিন্তু স্বামীর কাছ থেকে সরে গিয়ে আশপাশের চতুর্দিকে তাকালে তার কাছে হিন্দুত্ববাদই আকর্ষণীয় মনে হয়। সে হিন্দু মহিলাদের জানিয়েছে, তার স্বামী তাকে বলেছে, সে যেন হিন্দু মেয়েদের মধ্যে ইসলাম ধর্ম প্রচার করে। এই সুবাদে সে হিন্দু মেয়েদের সাথে মেলামেশা বাড়িয়ে নিয়েছে। কিন্তু ইসলামের কোন কথাই সে মুখ থেকে বের করে না।

অসহায় এই মেয়েটিকে এই ডাকাতের হাত থেকে মুক্ত করা দরকার। মেয়েটি শৈশব থেকেই ধর্মনিষ্ঠ পরিবারে বেড়ে উঠেছে। ধার্মিক পরিবারের সন্তান হওয়ার কারণে হিন্দুত্ববাদ তার রক্তের শিরায় শিরায় মিশে আছে। কিন্তু কমান্ডার যুলকারনাইন মেয়েটির প্রতি এমন সহানুভূতি দেখিয়েছে যে, মেয়েটি

যুলকারনাইনের উপকার ভুলতে পারছে না।

একথা শোনে গোবিন্দের মাথায় দারুণ বুদ্ধি এলো। সে বুঝে নিল এই মেয়েটিকে কাজে লাগানো যেতে পারে। গোবিন্দ ছিল ধূর্ত। চাতুর্যপূর্ণ বুদ্ধিমত্তায় তার কোন জুড়ি ছিল না। সে ভাবনায় পড়ে গেল, এই মেয়েটিকে কি রাজ্যপালের হত্যাকাণ্ডে ব্যবহার করা যায়?

চিন্তা ভাবনা করে সে একটা পথ আবিষ্কার করে ফেলল। পণ্ডিতকে গোবিন্দ বললো, আপনি আমাকে সেই সব হিন্দু মেয়েদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিন যেসব মেয়েদের সাথে এই মেয়েটি মেলামেশা করে।

পণ্ডিত গোবিন্দকে জানালো, মেয়েটি হিন্দু মেয়েদের সাথে শুধু গল্পগুজবই

إعجاب
علق
شارك
samip848
samip848  
7 ث

আপনাদের আসা পর্যন্ত শত্রুদের ঠেকিয়ে রাখা যায়।

একের পর এক ফন্দি এঁটে গোবিন্দ মহারাজা রাজ্যপালের রাজমহলে যাতায়াতের অনুমতি পেয়ে গিয়েছিল। এবার সে রাজ্যপালকে কিভাবে হত্যা করা যায় এ ফন্দি আঁটতে লাগল। হিন্দু হওয়ার সুবাদে হিন্দুদের সাথে সে মেলামেশা বাড়িয়ে দিল। স্থানীয় গোঁড়া হিন্দুদের সাথে সম্পর্ক মজবুত করার জন্যে গোবিন্দ মন্দিরে যাতায়াত বাড়িয়ে দিল। মন্দিরের পুরোহিতদের সাথেও সে গড়ে তুললো গভীর সম্পর্ক। মন্দিরের গোপণ প্রকোষ্ঠে বসে সে পুরোহিতদের সাথে রাজা রাজ্যপাল ও সুলতান মাহমূদ সম্পর্কেও খোলামেলা আলাপ আলোচনা করতো। মন্দিরে গিয়ে গোবিন্দ নিজেকে একজন নিষ্ঠাবান ধার্মিক হিন্দু হিসেবে জাহির করতো।

একদিন মন্দিরের প্রধান পুরোহিত গোবিন্দকে জানাল, এক হিন্দু মেয়ে মুসলমান হয়ে কমান্ডার যুলকারনাইনকে বিয়ে করেছে। হিন্দু মেয়েরা আমাকে জানিয়েছে, অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে যুলকারনাইনের স্ত্রী মুসলমান হয়েছে বটে, কিন্তু তার হৃদয়ে হিন্দুত্ববাদ বহাল রয়েছে। স্বামীকে সে এতোটাই শ্রদ্ধা করে যে,

إعجاب
علق
شارك
samip848
samip848  
7 ث

ছেলে লক্ষণপালকে আপনার সাথে নিয়ে যান। নয়তো রাজা নিহত হলে গযনী বাহিনী লক্ষণপালকে কয়েদ করতে পারে। গোবিন্দ পুরোহিকে জানালো, লক্ষণ একটি যুবক ছেলে। যৌবনের উষ্ণতায় সম্প্রতি সে এমন কিছু কাজ করেছে যে, গযনী বাহিনী তার প্রতি সন্দেহ পোষণ করছে। গযনীর শাসকরা ভাবছে, তারা লক্ষণের চলাফেরার উপর বিধি নিষেধ আরোপ করবে, অথবা লক্ষণকে নজরবন্দি করে রাখবে।

পুরোহিতকে একথা বলে গোবিন্দ সোজা লক্ষণ পালের কাছে চলে গেল। লক্ষণকেও সে একই কথা শোনাল যা পুরোহিতকে বলেছিল। একথা শুনে গোপনে লক্ষণপাল পুরোহিতের সাথে চলে গেল এবং যাবার সময় গোবিন্দকে বলে গেল, সে যেন তার বাবাকে হত্যার ব্যবস্থা করে। লক্ষণ নিজেও গোবিন্দকে লোভনীয় পুরস্কারের প্রতিশ্রুতি দিল। লক্ষণের মুখে পুরস্কারের ঘোষণা শুনে গোবিন্দ রাজ্যপালকে হত্যার জন্যে উন্মুখ হয়ে উঠলো।

গোবিন্দ গভর্ণর আব্দুল কাদের সেলজুকীকে যে তথ্য দিয়েছিল এসব তথ্য লিখে তিনি দ্রুত একজন সংবাদবাহককে গযনী সুলতানের কাছে প্রেরণ করলেন। সেলজুকী পয়গামে লিখলেন, এখানকার মহারাজাদের উপর আস্থা রাখা যায় না। কাজেই এখানকার কোন উদ্ভুত পরিস্থিতি কিংবা হামলা বা অবরোধ ঠেকাতে একটি অশ্বরোহী ইউনিটকে জলদি পাঠিয়ে দিন। বড় কোন আঘাত হলে যাতে আপনাদের আসা পর্যন্ত শত্রুদের ঠেকিয়ে রাখা যায়।

একের পর এক ফন্দি এঁটে গোবিন্দ মহারাজা রাজ্যপালের

إعجاب
علق
شارك
samip848
samip848  
7 ث

ধন্যবাদ। নিচে ইসলামিক যুদ্ধ (গাযওয়াহ্) বিষয়ক একটি ব্লগ পোস্ট বাংলায় লেখা হলো, যা ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকে গঠন করা হয়েছে:


---

ইসলামিক যুদ্ধ: ন্যায়, আত্মরক্ষা ও নীতির সমন্বয়

ইতিহাসে ইসলামিক যুদ্ধ বা গাযওয়াহ্‌ সম্বন্ধে আলোচনা করতে গেলে আমাদের প্রথমেই বুঝতে হবে—ইসলামে যুদ্ধ কোনো আগ্রাসনের পন্থা নয়, বরং এটি আত্মরক্ষা, ন্যায় প্রতিষ্ঠা ও নির্যাতিতদের রক্ষার জন্য একটি সীমিত ও নৈতিক রূপে অনুমোদিত ব্যবস্থা।

প্রেক্ষাপট: মক্কা ও মদীনার রাজনৈতিক বাস্তবতা

ইসলামের সূচনাকালে নবী মুহাম্মদ (সা.) ও তাঁর অনুসারীরা মক্কায় প্রচণ্ড নির্যাতনের শিকার হন। তারা দীর্ঘদিন ধরে সবর করে, শান্তিপূর্ণভাবে দ্বীনের দাওয়াত দিতে থাকেন। কিন্তু কুরাইশদের নির্যাতন যখন সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যায়, তখন মহান আল্লাহর আদেশে মদীনায় হিজরত করা হয়। এখান থেকেই শুরু হয় মুসলিমদের আত্মরক্ষামূলক যুদ্ধের অধ্যায়।

প্রথম যুদ্ধ: বদরের যুদ্ধ

হিজরতের দ্বিতীয় বছরে সংঘটিত বদরের যুদ্ধ ছিল ইসলামের প্রথম গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধ। এতে মুসলিম বাহিনীর সংখ্যা ছিল মাত্র ৩১৩, বিপরীতে মক্কার কাফির বাহিনীর সংখ্যা ছিল প্রায় এক হাজার। এই যুদ্ধে মুসলিমদের বিজয় প্রমাণ করে যে, সংখ্যাই সব নয়—আন্তরিকতা, ঈমান ও নেতৃত্বই বড় শক্তি।

ওহুদ ও খন্দক: শিক্ষা ও প্রস্তুতির প্রতিচ্ছবি

ওহুদের যুদ্ধে মুসলিমদের সাময়িক পরাজয় আমাদের শেখায়—নবী (সা.)-এর নির্দেশ মানা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। আর খন্দকের যুদ্ধে নবীজি কৌশল, ঐক্য এবং আত্মনির্ভরতার এক অসাধারণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। যুদ্ধ পরিচালনায় কেবল সাহস নয়, কৌশলও যে গুরুত্বপূর্ণ, তা এখানে স্পষ্ট হয়।

ইসলামে যুদ্ধের নীতিমালা

ইসলামে যুদ্ধের ক্ষেত্রেও কঠোর নৈতিকতা রয়েছে। কিছু মূলনীতি হলো:

শিশু, নারী, বৃদ্ধ এবং নিরস্ত্র মানুষকে হত্যা করা নিষিদ্ধ।

গাছপালা ধ্বংস, পানির উৎস নষ্ট করা বা উপাসনালয় ভাঙচুর করা হারাম।

যুদ্ধ কেবলমাত্র আত্মরক্ষা, নির্যাতন রোধ বা শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্যই বৈধ।


উপসংহার: শান্তি ও সুবিচারের পথ

ইসলামের ইতিহাসে যুদ্ধগুলো কখনোই দখল বা নিছক প্রতিশোধের উদ্দেশ্যে হয়নি। বরং এগুলোর লক্ষ্য ছিল মজলুমদের রক্ষা, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও দ্বীন প্রচারের পথকে সুগম করা। আজকের মুসলমানদের উচিত, এই ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে শান্তি, সহনশীলতা ও ন্যায়ের পক্ষে কাজ করা।


---

আপনি চাইলে এই পোস্টটি আরও নির্দিষ্ট করে বদর, ওহুদ বা হুনাইন যুদ্ধ নিয়ে বিস্তারিতভাবে তৈরি করে দিতে পারি। আগ্রহ থাকলে বলুন, আমি সেটিও লিখে দিচ্ছি।

إعجاب
علق
شارك
Showing 3328 out of 10678
  • 3324
  • 3325
  • 3326
  • 3327
  • 3328
  • 3329
  • 3330
  • 3331
  • 3332
  • 3333
  • 3334
  • 3335
  • 3336
  • 3337
  • 3338
  • 3339
  • 3340
  • 3341
  • 3342
  • 3343

تعديل العرض

إضافة المستوى








حدد صورة
حذف المستوى الخاص بك
هل أنت متأكد من أنك تريد حذف هذا المستوى؟

التعليقات

من أجل بيع المحتوى الخاص بك ومنشوراتك، ابدأ بإنشاء بعض الحزم. تحقيق الدخل

الدفع عن طريق المحفظة

تنبيه الدفع

أنت على وشك شراء العناصر، هل تريد المتابعة؟

طلب استرداد