স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ মৎস্য রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করেছে। বাংলাদেশ থেকে গুণগত মানসম্পন্ন হিমায়িত চিংড়ি ও মৎস্যজাত পণ্য যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান, ফ্রান্স, হংকং, সিঙ্গাপুর, সৌদি আরব, সুদানসহ অন্যান্য উন্নত দেশে রপ্তানি করা হয়। যা থেকে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে থাকে। নিম্নে বাংলাদেশের মৎস্য সম্পদ থেকে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ও অবদান তুলে ধরা হলো-
প্রবৃদ্ধির হার%সাল ২০১১-১২ ২০১২-১৩মৎস্য সম্পদ ৫.৩৯ ৫.৫২অবদানের হার%সাল ২০১১-১২ ২০১২-১৩মৎস্য সম্পদ ৪.৩৯ ৪.৩৭উৎসঃ বাংলাদেশের অর্থনেতিক সমীক্ষা ২০১৩মৎস্য শিল্পের সমস্যা বা অবনতির কারণ: বাংলাদেশের মৎস্য সম্পদ আজ বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। নিম্নে মৎস্য সম্পদ অবনতির কারণ তুলে ধরা হলো-
- নদীতে চর পড়ায় মৎস্য বিচরণ ক্ষেত্রের পরিমাণ যথেষ্ট কমে যাচ্ছে। ফলে মাছের সংখ্যা কমে যাচ্ছে।
- মানুষ দিনদিন নদীনালা খাল-বিল ভরাট করে বাড়ি ঘর তৈরি করছে। ফলে মাছের আবাসস্থল ও বংশবৃদ্ধির ব্যাঘাত ঘটে।
- জমিতে প্রচুর পরিমাণে কীটনাশক ব্যবহার করার ফলে প্রচুর মাছ মারা যায়।
- সময়মতো বৃষ্টির অভাবে নদীর পানি শুকিয়ে যায়।
- নদী থেকে ডিমওয়ালা ও পোনা জাতীয় মাছ অপরিকল্পিতভাবে নিধন করা হচ্ছে।
- শিল্প কারখানার বর্জ্য পদার্থের মাধ্যমে পানি দুষিত হয়ে মাছ মারা যায়।
- সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অভাবে প্রতিবছর বহু মাছ পঁচে যায়।
- বাজারজাতকরণের অসুবিধার জন্য অনেক মাছ নষ্ট হয়ে যায়।