Node Js Development Indore | Thinkdebug.com
Hire Thinkdebug.com Node JS developers in Indore to revolutionise your company. Maximise the potential of your online apps with our experienced guidance.
https://thinkdebug.com/service..../open-source-develop
বাতাসের সঙ্গী
এক ছোট্ট গ্রামে বাস করত লাকি, যাকে সবাই ভাগ্যবান বলে ডাকে। লাকি বিশ্বাস করত, তার ভাগ্যই তাকে সব কষ্টের মাঝেও এগিয়ে নিয়ে যাবে। একদিন গ্রামের বাইরে সে পেল এক পুরনো বাঁশি, যা থেকে বের হত এক মৃদু বাতাসের সুর।
লাকি বাঁশিটি বেজে দেখে মুগ্ধ হল, আর হঠাৎ বাতাসের মধ্যে এসে এক রহস্যময় ছায়াময় ব্যক্তি উপস্থিত হল। সে বলল, “এই বাঁশিটি তোমার ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারে, কিন্তু যাত্রা শুরু করার আগে তোমাকে তিনটি চ্যালেঞ্জ পেরোতে হবে।”
লাকি রাজি হল, আর প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল সাহসের। সে ঘন অন্ধকার অরণ্যে একাকী রাত কাটাল, যেখানে শোনা যাচ্ছিল অদ্ভুত শব্দ। কিন্তু সে সাহস হারাল না।
দ্বিতীয় চ্যালেঞ্জ ছিল ধৈর্যের। ঝড়ের দিনে নদীর পাড়ে অপেক্ষা করল, যতক্ষণ না ঝড় থামল।
তৃতীয় চ্যালেঞ্জ ছিল মেধার। একটি গূঢ় ধাঁধা সমাধান করল, যা বাঁশির যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দেয়।
সব চ্যালেঞ্জ পেরিয়ে, লাকি পেল বাঁশির আসল শক্তি — বাতাসের সঙ্গী। সেই সঙ্গী তাকে বাঁচাল বিপদের মুখ থেকে, আর লাকিকে করে তুলল সত্যিকারের ভাগ্যবান।
#sifat10
জঙ্গলের শেষ পথ
অনেক বছর আগে, এক ছোট্ট গ্রামে বাস করত রাহুল, এক সাহসী ছেলে যাকে সবাই তার সাহস আর উদ্যমের জন্য চিনত। একদিন সে শুনল গ্রামের কাছেই ঘন জঙ্গলে এক প্রাচীন ধন লুকানো আছে, যা বহু বছর ধরে কেউ পায়নি।
রাহুলের মনে উত্সাহ জাগল। সে ঠিক করল, এই ধন খুঁজে বের করবে। সকালে রাহুল তার ছোট ব্যাগ নিয়ে জঙ্গলের গভীরে যাত্রা শুরু করল।
শুরুতে জঙ্গল অনেক সুন্দর আর শান্ত মনে হল। পাখির গান, ঝর্ণার ঝর্না আর হালকা হাওয়া তাকে উৎসাহ দিল। কিন্তু যত গভীরে গেল, ততই অন্ধকার গাঢ় হতে লাগল, আর অদ্ভুত শব্দ শোনা যেতে লাগল।
রাত হলে, রাহুল একটা পুরনো পাথরের বুমিতে পৌঁছল, যেখানে কিছু রহস্যময় চিহ্ন ছিল। সে বুঝতে পারল, এই চিহ্নগুলো তাকে ধনের অবস্থান নির্দেশ করবে। কিন্তু এখানেই জঙ্গলের প্রথম বড় বাধা এল — একটা বিশাল বাঘ, যার চোখ জ্বলছিল আগুনের মতো।
রাহুল হিমশীতল হয়ে গেল, কিন্তু তার সাহস তাকে পিছিয়ে যেতে দিল না। সে ধীরে ধীরে পাথরের চিহ্ন বিশ্লেষণ করল, আর বাঘের দৃষ্টি থেকে মনোযোগ সরিয়ে নিয়ে পরবর্তী গন্তব্য ঠিক করল।
দিন গড়াতে গড়াতে রাহুল একটা পুরনো গুহায় পৌঁছল। গুহার ভিতরে ছিল এক রহস্যময় বাতাস, যা থেকে অদ্ভুত আলোর ঝলক লাগছিল। সে বুঝতে পারল, ধন গুহার ভেতরেই লুকানো।
গুহার মধ্যে ঢুকে সে দেখল এক প্রাচীন সিন্দুক। কিন্তু সিন্দুকের মুখে ছিল এক কঠিন পাজল, যা না খোলা গেলে ধন পাওয়া যাবে না।
রাহুল তার বুদ্ধি আর আগের চিহ্ন থেকে পাওয়া সূত্র নিয়ে পাজলটি সমাধান করল। সিন্দুক খুলতেই সে দেখল ভেতরে নেই স্বর্ণ বা রুপোর ধন, বরং একটি প্রাচীন মানচিত্র — যা আরেক রহস্যময় স্থানের নির্দেশ দিচ্ছিল।
সে বুঝল প্রকৃত ধন হচ্ছে যাত্রা আর অভিজ্ঞতা। মানচিত্রটি তার নতুন অভিযান শুরু করার আহ্বান।
রাহুল ফিরে গেল গ্রামে, অভিজ্ঞতা আর সাহস নিয়ে, যার গল্প শুনে গ্রামবাসীরা নতুন প্রেরণা পেল।
জঙ্গলের শেষ পথ ছিল সাহস আর বুদ্ধির এক অসাধারণ যাত্রা, যা শিখিয়েছিল ধন সবসময় টাকা নয়, বরং জীবনের গল্প আর অর্জন।
#sifat10
অন্তহীন নদীর রহস্য
এক সময়ের কথা, এক ছোট্ট গ্রামে একটি নদী বয়ে যেত, যার জল কখনো শুকাত না। গ্রামের মানুষ বিশ্বাস করত, এই নদীর জলেই ছিল জীবনের অমৃত। কিন্তু নদীর উত্স কোথায় তা কেউ জানত না, কারণ নদী গিয়ে মিলিয়ে যেত এক গাঢ় জঙ্গলেই।
তরুণ কিশোর রিয়ান, যিনি সাহস আর কৌতূহলের জন্য পরিচিত, ঠিক করল নদীর উত্স খুঁজে বের করবে। সে এক সকালে যাত্রা শুরু করল, ঝড়-বৃষ্টি আর গাছপালার জটলা পেরিয়ে।
দুপুরে যখন সে গভীর জঙ্গলে পৌঁছল, তখন দেখতে পেল এক বিস্ময়কর ঝর্ণা, যা থেকে জল নয়, বরং ঝরছিল সোনালি আলো। ঝর্ণার পাশে এক জাদুকর বসে ছিল, যার চোখে অসীম জ্ঞান আর শক্তি ছিল।
জাদুকর বলল, “এই নদীর জল নয়, বরং জীবনের শক্তি। কিন্তু এ শক্তি পেতে হলে তোমাকে অন্তহীন নদীর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।”
রিয়ান রাজি হলো, আর শুরু হলো তার পরীক্ষা। তাকে বিভিন্ন ধাপে নিজেদের ভয়ের মোকাবেলা করতে হলো, মায়ার জালে আটকে পড়তে হলো, আর অবশেষে নিজের হৃদয়ের সত্য মুখোমুখি হতে হলো।
শেষে, যখন সে সফল হলো, জাদুকর নদীর জল দিয়ে রিয়ানের হাতে এক বিশেষ কলস তুলে দিল। কলসের জল দিয়ে রিয়ান তার গ্রাম ফিরল, যেখানে সে নদীর জল ছড়িয়ে দিয়ে সবাইকে বেঁচে থাকার নতুন আশা দিল।
গ্রামের মানুষ তাকে মনে করল এক মহান বীর, যে অন্তহীন নদীর রহস্য উদঘাটন করেছিল।
#sifat10
ছায়ার শহর
অন্ধকারে ঢাকা এক শহর, যেখানে কখনো সূর্য ওঠে না। সেই শহরের নাম ছিল নক্ষত্রিনগর। শহরের মানুষরা বিশ্বাস করত, ছায়ার পর্দার আড়ালে এক পুরনো মন্ত্র কাজ করে — যেটা শহরকে অন্ধকারে আবৃত রাখে। কেউ জানত না কেন, আবার কেউ জানত না কবে থেকে।
একদিন, তরুণ জয়, যার হাতে ছিল এক রহস্যময় ক্রিস্টাল, শহরে এল। ক্রিস্টালটি ছিল তার দাদুর রেখে যাওয়া এক অমূল্য সম্পদ, যা স্পর্শ করলেই চারপাশে হালকা আলো জ্বলে উঠত, কিন্তু সেই আলো কখনো পুরো অন্ধকার দূর করতে পারত না।
জয় লক্ষ্য করল, শহরের মানুষের চোখে বিষন্নতা আর অন্ধকারের ছায়া বেড়েই চলেছে। শহরের এক প্রাচীন গ্রন্থাগারে গিয়ে সে ‘ছায়ার হৃদয়’ নামে এক প্রাচীন মন্ত্রের কথা পড়ল, যা শহরের অন্ধকার মুক্ত করতে পারে। কিন্তু সেই মন্ত্র চালাতে হলে, প্রথমেই তাকে নিজের ভেতরের অন্ধকারের মুখোমুখি হতে হবে।
জয় গভীর ধ্যান করল, নিজের সবচেয়ে গোপন ভয় আর দু:খের মুখোমুখি হলো। ক্রিস্টালের আলো তখন ধীরে ধীরে তার ভেতরের অন্ধকারকে আলোকিত করতে লাগল। এক অদ্ভুত জাদু প্রবাহিত হলো তার শরীরে।
অন্ধকারের শক্তি তাকে ছোঁয়াতে চাইল, কিন্তু জয়ের আত্মবিশ্বাস তাকে শক্তি দিল। সে বুঝতে পারল, অন্ধকারের সঙ্গে যুদ্ধ নয়, বরং তাকে আলোর সাথে মিশিয়ে সমঝোতা করতেই মুক্তি সম্ভব।
জয় তার ক্রিস্টাল থেকে এক দীপ্তিমান আলো বের করল, যেটা শহরের প্রতিটি গলিপথে ছড়িয়ে পড়ল। অন্ধকারের পর্দা ধীরে ধীরে সরতে শুরু করল, আর নক্ষত্রিনগরের মানুষরা সূর্যের আলো দেখল বহু বছর পর প্রথমবারের মতো।
শহর জেগে উঠল, আর জয় হয়ে গেল সেই কিংবদন্তি, যে নিজের ভেতরের ছায়াকে জয় করে শহরকে আলোয় পূর্ণ করেছিল।
#sifat10
অরণ্যের জাদু
দূর আকাশের নীচে, যেখানে সোনালী আলো ধীরে ধীরে পাহাড়ের পিঠে নেমে আসত, সেখানে অবস্থিত ছিল একটি অজানা অরণ্য — যার গোপন পথ কেউ কখনো খুঁজে পায়নি। সেই অরণ্যের মাঝখানে ছিল একটি প্রাচীন বীজ, যা জাদুর অনন্ত শক্তি ধারণ করত। বীজটি যে কেউ পেলে পৃথিবীর নিয়ম বদলে দিতে পারত।
সেদিন তরুণী মায়া, যিনি একটি ছোট গ্রামে থাকতেন, দুর্ঘটনাক্রমে সেই অরণ্যে প্রবেশ করলেন। তাঁর কৌতূহল আর সাহস তাকে অরণ্যের গভীরে টেনে নিয়ে গেল। পথভ্রষ্ট হয়ে যাওয়ার আগে, মায়া একটি ঝলমলে আলোয় ঘেরা বীজ দেখতে পেলেন, যেটি যেন অন্তহীন শক্তির উৎস।
হঠাৎ বীজটি তার হাতের স্পর্শে জ্বলে উঠল, আর মায়ার শরীরে অদ্ভুত জাদু প্রবাহিত হতে লাগল। তখন থেকে তার চারপাশের জগতটা বদলে যেতে শুরু করল — গাছপালা কথা বলতে লাগল, পাখিরা মানুষের মতো গান গাইতে লাগল। মায়া বুঝতে পারল, এই বীজ তার মধ্যে এক নতুন ক্ষমতা দিয়েছে, যা দিয়ে সে প্রকৃতির শক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।
কিন্তু এই ক্ষমতার সাথে একটি কঠিন দায়িত্বও এসেছিল। অরণ্যের গভীরে লুকানো একটি প্রাচীন অশুভ শক্তি ছিল, যা এই বীজের শক্তি চুরি করতে চাইছিল। মায়ার সামনে ছিল দুটি পথ — অথবা সে ক্ষমতা দিয়ে অরণ্যকে রক্ষা করবে, অথবা সে ক্ষমতার লোভে হারিয়ে যাবে।
মায়া নিজের ভিতর থেকে সাহস জোগালো, আর অরণ্যের বিভিন্ন রহস্যময় জীবের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তুলল। একসময় সে শিখল কিভাবে বীজের শক্তিকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হয়।
অবশেষে, যখন অশুভ শক্তি তার আক্রমণ করল, মায়া নিজের সব শক্তি নিয়ে লড়াই করল। প্রকৃতির সমস্ত প্রাণীরা তার পাশে দাঁড়ালো, আর একত্রে তারা সেই অন্ধকার শক্তিকে পরাজিত করল।
অরণ্যের জাদু আবার শান্ত হল, আর মায়া হয়ে গেল সেই গ্রামে নতুন এক কিংবদন্তি — যিনি প্রকৃতি আর জাদুর মাঝে সেতুবন্ধন স্থাপন করেছিলেন।
#sifat10
Md Shakib Islam
Xóa nhận xét
Bạn có chắc chắn muốn xóa nhận xét này không?