#অণু-গল্প: ৪ (চন্দ্রের অভিশাপ)
---
মুক্তি পাওয়ার পর নীলয় গ্রামে ফিরে আসে। সবাই অবাক—চোখের নিচের কালো ছায়া নেই, মুখে শান্তি, কথায় ভার। কেউ জানে না, সে মৃত্যু ছুঁয়ে ফিরে এসেছে। কিন্তু একা থাকলে এখনো মাঝে মাঝে শুনতে পায় বিড়ালের আর্তনাদ, মধুরিমার মৃদু কান্না।
চরণ কাকা বলেন, “অভিশাপ কেটে গেছে ঠিক, কিন্তু তার ছায়া থেকে পুরোপুরি মুক্তি পাওয়া সহজ নয়। তুমি মানুষ, কিন্তু চাঁদকে তুমি চিরকাল অনুভব করবে।”
এরই মাঝে গ্রামের পাশের জঙ্গলে আবারও শুরু হয় গরু, ছাগল, এমনকি একটি শিশুর নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা। প্রাণীগুলো রক্তশূন্য অবস্থায় পাওয়া যাচ্ছে।
সবাই ভাবে, অভিশাপ আবার ফিরে এসেছে—নীলয়!
কিন্তু নীলয় জানে, এটা তার কাজ নয়।
এক রাতে সে ছায়ার মত অনুসরণ করে জঙ্গলের ভিতর ঢোকে—চাঁদের আলোয় সে দেখে, আরেকজন... চন্দ্রপিশাচ!
সে যেন এক নারীর অবয়বে বিড়ালের আত্মা, চোখে রক্ত।
মধুরিমা।
চাঁদের আলোয় তার কণ্ঠে উঠে আসে অভিমান:
“তুমি মুক্তি পেয়েছো, কিন্তু আমি তো পেলাম না... আমার রক্তই তোমার অভিশাপ ছিন্ন করলো... এবার আমাকে কে উদ্ধার করবে?”
নীলয় নির্বাক। মুক্তি কখনো একার হয় না। কারও অভিশাপের বিনিময়ে পাওয়া যায় কারও স্বাধীনতা।
চাঁদ হাসে। জঙ্গল নীরব। আর একটি গল্প শুরু হয়।