রাত প্রায় ১২:২৩ বাজে রিহানের ফোনে কল আসে কিন্তু ওই সময় রিহান তার এক বন্ধু রায়হানের সাথে কথা বলতেছিলো । তার পাগলী ছিলো একটা, ওই পাগলীকে রিহান বাবুনি বলেই ডাকে । পাগলী তখন কল দেয়, যখন রিহান তার বন্ধুর সাথে ফোনে কথা বলছে । এতো রাতে ফোন ওয়েটিং পেয়ে বাবুনি তো রেগে আগুন । রাগাটা স্বাভাবিক, কারণ রিহানের থেকেও মেয়েটা তাকে বেশি ভালোবাসে ।বন্ধুর সাথে কথা শেষ করে রিহান তার বাবুনিকে কল দেয় । কিন্তু একি ফোন তো রিসিভ করছেনা । রিহানের বুঝতে বাকি রইলো না, বাবুনি রাগ করেছে । ৭ বার কল দেয়ার পর ফোন অফ করে দেয় মেয়েটা ।রিহান মনে মনে ভাবে কি করবে এখন, কিছুই তো মাথায় আসছেনা, ধুর ছাই । যাক প্রায় ৩০ মিনিট পর ফোন অন করে বাবুনি । এবার প্রথমবার কল দেয়ার পরই রিসিভ করে। রিহান ভালো করেই যানে ওর ভালোবাসার মানুষ, ওর সাথে বেশিক্ষণ থাকতে পারেনা রিহানেরও একই অবস্থা। । একি রিসিভ করার পর মনে হচ্ছে ফোনের ওপাশ থেকে আগুনের তেজ আসছে ।কল দিছেন কেন (বাবুনি)জানি ওয়েটিং পেয়ে রাগ করে আছো (রিহান)
এতো রাতে আমার ফোন ওয়েটিং পেলে কি করতেন আপনি (বাবুনি)এক বন্ধুর কল আসছে, তাই ওর সাথে কথা বলছি (রিহান)কথা বলার অনেক মানুষ আছে,আমাকে কল না দিলেও থাকতে পারবেন , বাই (বাবুনি)
এই বলেই ফোন কেটে দিয়ে বন্ধ করে দিলো বাবুনি । যখন বাবুনি রাগ করে, তখন রিহানকে আপনি করেই সম্ভোধন করে । বাবুনির মুখে এই আপনি করে বলাটা আবার রিহানের খুব অপছন্দ ।যাক তারপরও এখন সব সহ্য করতে হবে । কারণ খুব রাগী মেয়ে । একটু থেকে আরেকটু হলেই হাত কাটবে, খাওয়া বন্ধ করে দিবে । এদিকে রিহান তার বাবুনিকে খুব ভয় পায় । তাই রাগ উঠলে যাই হোক, রিহান কিছু বলেনা । চেষ্টা করে কিভাবে সহজে রাগ ভাঙ্গানো যায়।
প্রায় ৬ মাস আগে তাদের পরিচয় হয় । এই অল্প সময়ে একজন আরেকজনকে খুব ভালোবেসে ফেলেছে। এক মুহুর্ত কেউ কাউকে ছাড়া থাকতে পারেনা । মনে হয় ওদের মধ্যেই পৃথিবীর সব ভালোবাসা। একে অন্যের জন্য এই ভালোবাসা উজাড় করে দেয় সব সময় । দুইজন দুইজনার খুব কেয়ারিং করে সব ব্যাপার। এভাবে কেটে যাচ্ছে তাদের দিন ।
একটু দুষ্টামি, হাসি ঠাট্টা, রাগ অভিমান । আবার একজন রাগ করলে আরেকজন ভাঙ্গানো এটাই তাদের কাজ । দেখা হলেই হাতে হাত রেখে কথা বলা, বাবুনির সেই মিষ্টি হাসিটার প্রেমে বারবার পড়া, সবকিছু খুব ভালোভাবে কাটছে ।
যাক সবকিছুর পর ফোন অন করে একটা মেসেজ দেয় বাবুনি । মেসেজ টি হলো, রাতে খাওয়া খেয়ে ঘুমাই যাইয়েন তাড়াতাড়ি ।
তার মানে বাবুনির রাগ কিছুটা কমেছে এই চিন্তা করে খাওয়াদাওয়া করে ঘুমিয়ে পড়ে রিহান। বাবুনির কথা না শুনলে আবার কপালে দুঃখ আছে আমার। তাই ওর কথা মতো খাওয়া খেয়ে ঘুমাইলাম ।
সকালে আরেকটি মেসেজ আসলো । ঘুমঘুম চোখে মেসেজ দেখে লাফ দিয়ে উঠলাম । কারণ বাবুনির মেসেজ । তাড়াতাড়ি উঠে ফ্রেশ হয়ে কলেজের সামনে দাঁড়াও ।
তাড়াতাড়ি উঠে ফ্রেশ হয়ে চলে গেলাম কলেজের সামনে, কিন্তু ১ ঘন্টা দাঁড়াই থাকার পর উনি আসলো এবং এত্তোগুলো বকা দিলো । চুপচাপ দাঁড়িয়ে শুনে গেলাম । সব বকা শেষ করে বললো আই লাভ ইউএবং হাত ধরে কলেজের পুকুরপাড়ে গিয়ে দুজন পাশাপাশি বসলাম ।
তখন মনে হলো আমিই পৃথিবীর সবচেয়ে সুখি মানুষ । পৃথিবীর সব ভালোবাসা আমার জন্যই ।
# #
ঘটনাটা আমাকে ভয়াবহ ডিপ্রেশনে ফেলে দিলো। গতরাতে মেয়েটি ইনবক্সে নক দিলো। আমাদের কথোপকথন নিচেঃ
মেয়েঃ ভাইয়া প্লিজ হেল্প মি...
আমিঃ কি বিষয়ে?
মেয়েঃ ভাইয়া সাইবার ক্রাইমে আপনার পরিচিত কেউ আছে?
আমিঃ হ্যা আছে। কিন্তু সমস্যাটা কি?
মেয়েঃ ভাইয়া আমার এক্স বয়ফ্রেন্ড আমাকে ব্ল্যা&%কমেইল করছে।
আমিঃ কি রকম ব্ল্যা&%কমেইল?
মেয়েঃ ওর সাথে আমার দুই বছর রিলেশন ছিলো তারপর তিনমাস আগে ব্রেকাপ হয়েছে। এখন হঠাৎ করে ও আমাকে হু%&মকি দিচ্ছে!
আমিঃ কি হু&%মকি দিচ্ছে?
মেয়েঃ ও বলতেছে এখন ওর সাথে আবার রিলেশন না করলে ও আমার প্রাইভেট ছবি ফেসবুকে আপলোড করে দেবে। কিন্তু এখন আমার একজনের সাথে নতুন রিলেশন হয়েছে।
আমিঃ আপনারা কেনো প্রেমে পড়লেই প্রাইভেট ছবি ভিডিও এগুলো শেয়ার করেন? আপনাদের আক্কেল হবে কবে?
মেয়েঃ ভাইয়া আমি তখন বুঝতে পারিনি। কিন্তু এই ছবি যদি আমার বর্তমান বয়ফ্রেন্ড দেখে তবে আমাদের রিলেশনটা ভেঙে যাবে। পাশাপাশি সামাজিক ভাবেও আমি মুখ দেখাতে পারবো না। আমাকে আ%%ত্মহ&%ত্যা করতে হবে। প্লিজ ভাইয়া আমাকে বাচান...
আমিঃ আচ্ছা আমি সাইবার ক্রাইমের একজন কর্মকর্তার সাথে কথা বলছি। দেখি কি করা যায়। প্লিজ সু&%ইসা&%ইডের কথা ভুলেও ভাব্বেন না।
মেয়েঃ ভাইয়া প্লিজ আমাকে আপনার ছোটবোন মনে করে আমার জীবনটা বাঁচান।
আমিঃ আর প্লিজ ভাই প্রেমিক তো ভালো নিজের আপন জামাইকেও কখনো প্রাইভেট ছবি বা ভিডিও দেবেন না। চাইলেই চটকানা দেবেন।
মেয়েঃ আর কোনদিন দেবোনা ভাইয়া। আসলে তখন একটা জবের জন্য দিয়েছিলাম ওকে।
আমিঃ জবের জন্য প্রাইভেট ছবি দিতে হয় প্রেমিককে! সরি রে ভাই ওটা কি জব ছিলো বুঝেও না বোঝা আমার অবুঝ মন!!?
মেয়েঃ নাহ ভাইয়া জবের জন্যই দিয়েছিলাম। ও ওর এক বন্ধুকে আমার জবের জন্য পাঠাবে বলেছিলো।
আমিঃ আমি কিছুই বুঝতেছি না। ও আপনার কেমন প্রেমিক ছিলো যে জবের জন্য বন্ধুর কাছে নিজের প্রেমিকার প্রাইভেট ছবি পাঠায়!
মেয়েঃ ভাইয়া ওটা ওর বন্ধুদের কোম্পানির নিয়ম। সেখানে জব করতে গেলে সবাইকেই বায়োডাটার সাথে ছবি জমা দিতে হয়।
আমিঃ কয়টা ছবি দিয়েছিলেন?
মেয়েঃ ভাইয়া একটাই দিয়েছিলাম। একটা ভোটার আইডির একটাই ছবি চেয়েছিলো।
আমিঃ মানে....! ভোটার আইডির ছবি....!
মেয়েঃ হ্যা ভাইয়া সেটাই তো বলতেছি। এখন ওর কাছে আমার ভোটার আইডির ছবি আছে। সেটা নিয়েই হুমকি দিচ্ছে। আপনি তো জানেনই ভোটার আইডির ছবির অবস্থা...ভাইয়া আমি সত্যিই আ&%ত্মহ&%ত্যা করবো ওটা পাবলিক হয়ে গেলে!
আমিঃ হোয়াট দ্যা... তোমার দ্রুত ম%&ইরা যাওয়া উচিত। সাইবার ক্রাইম না, আমি র্যাবকে কল করতেছি তোমাকে ক্র&%সফা&%য়ার দেবার জন্য।
মেয়েঃ এইগুলা কি বলতেছেন ভাইয়া...
আমিঃ আরেকবার ভাইয়া বলবি তো তোর কানসার উপরে থাপ&%ড়ামু ফা&%উল। আমার ঘুমটা নষ্ট করছিস....।
[কালেক্টেড]
ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট একসেপ্ট করার ঠিক তিন মিনিটের মাথায় আমি মালিহা নামের মেয়েটাকে মেসেজ দিলাম।হাই, তোমার হানিমুনে কোথায় যাওয়ার ইচ্ছা? সুইজারল্যান্ড, না ব্যাংকক।n-হোয়াট! এইসব কি বলতেছেন!n-আচ্ছা বাদ দাও। এটা বলো, তুমি ফার্স্ট বেবি ছেলে চাও, না মেয়ে।n-এক্সকিউজ মিইই! কে আপনি? হু আরয়ু? আর আমার কাছে কি চান বলুনতো?n-খুব সিম্পিল। আই লাভ ইউ। ডু ইউ লাভ মি?n-হাহ! হাসাইলেন। পাগল নাকি? আমি আপনাকে চিনি না পর্যন্ত। ইভেন ফেবুতে ফ্রেন্ডই হইলাম মাত্র। আর সাথে সাথেই প্রপোজ!n-তো কি ভাবছিলা? অন্য ছেলেদের মতো প্রথমে ফ্রেন্ড হবো, কয়দিন চ্যাটিং এর পর নাম্বার চাইবো, তারআরো কয়েকদিন পর দেখা করতেচাইবো, তোমাকে হাসাবো, সারপ্রাইজ দিবো, নানান পদ্ধতিতে তোমাকে ইমপ্রেস করার ট্রাই করবো। আমাদের সারাদিন, সারারাত কথা হতে থাকবে। তারপর গিয়ে আমি তোমাকে প্রপোজ করবো। তাইতো?n-ও হ্যালো…n-নো নো নো। তুমি আগে আমার কথা শুনো। এসব দীর্ঘমেয়াদি কার্য পরিক্রমায় কি হবে ভেবে দেখছো? প্রচুর মেগাবাইট নষ্ট হবে, ফোনের অসংখ্য ব্যালেন্স জলে যাবে, ধারণার বাইরে টাইম ওয়েস্ট হবে, আমি ঠিকমতো লিখাপড়া করতে পারবো না, বাড়ির কাজ করতে পারবো না। সব মিলিয়ে আমি তোমাকে পটানোর চক্করে কয়েকটা বছর পিছিয়ে যাবো। তাই বলতেছি রাজি যখন হবাই তখন শুধু শুধু এতোঝামেলা করে কি লাভ? ব্যাপারটা জাস্ট কয়দিন আগে আর পরে ছাড়া তো কিছুই না। সো এখনই তুমি হ্যা বলে দিলে আমাদের দুজনেরই মঙ্গল। রাইট?n-উহু, একদম রং। আপনি নিজেরে কি ভাবেন বলুনতো! ফিল্মের হিরো? মেয়েদের পটানো এতোই সোজা? আই থিংক আপনার একজন সাইকিয়াট্রিস্ট এর সাথে কনসাল্ট করা উচিত।n-হাহাহাহা!n-কি হলো!!n-তোমার কথা শুনে হাসি পেলো। কি ভাবছো আমারে? এতোক্ষন যা যা বললাম এইভাবেই চিন্তাভাবনা
করা একজন ট্রিপিক্যাল ছেলে? আরে ইয়ার, আম যাস্ট কিডিং। একচুয়ালি আমি তো ফেসবুক রিলেশনেই বিশ্বাস করি না।n-সিরিয়াসলি!n-তাছাড়া আবার কি? আচ্ছা চলো তোমারে বোঝাই। দেখ, ফেসবুকে ছেলে মেয়েদের ভেতর যেটা হয়
সেটাকে লাভ বলে না। সেটা যাস্ট ক্রাশ, সাময়িক এট্রাকশন ইউ নো। কয়েকদিন সারা দিনরাত পাগলেরমতো চ্যাটিং করার পর যেকোনো একজন আরেকজনের প্রতি দুর্বল হয়ে পড়বে। আর ঠিক তখনই যে উইক হবে তার উপর থেকে তার বিপরীত জনের এট্রাকশন চলে যাবে। সেটা হতে পারে ছেলেটা বা মেয়েটা, কিন্তু সুত্র একই। তার তখন ফ্রেন্ডলিস্টের অন্য একজনের সাথে চ্যাট করতে বেশি ইন্টারেস্টিং লাগবে। ফলাফল ঝগড়া এবং ব্লক। তারপর পুনরায় অন্য কারো ওপর ক্রাশ। ঘটনা সমাপ্ত। বিলিভ মি, নিউটনের সুত্র ভুল হলেও ফেসবুকের এই রিলেশনশিপ সুত্র কখনোই ভুল হবে না।n-ওয়াও, ভালো বলছেন তো! আপনার লজিক অনেক ক্লিয়ার।n-বিকজ আই এম আ ক্লিয়ার বয়। আই মিন নিয়মিত ক্লিয়ার শ্যাম্পু ইউজ করি। নাথিং টু হাইড।n-হেহেহে। আপনার সেন্স অফ হিউমার টু গুড।n-আমার সেন্স অফ ফ্রেন্ডশিপও কিন্তু আরো বেশি গুড! ফ্রেন্ড..?n-হুম…ওকে.(কয়েকমাস পর)এই মালিহা, তুমি জানো তোমার ভাগ্য কত্তো খারাপ? আজ থেকে অনেক অন্নেক বছর আগে তোমার জন্ম হলে কি হতো জানো? তোমার জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে একটা উপন্যাস লিখে ফেলতো উইলিয়াম শেক্সপিয়ার।লিওনার্দো ভিঞ্চি তোমাকে মডেল করে আকতো তার জগতবিখ্যাত পোট্রেট, নাম দিত মালিহাসা। এই রাতেই রবিন্দ্রনাথ আর রবার্ট ফ্রস্ট লিখতো তাদের সেরা পংক্তি গুলো, শুধুমাত্র তোমায় বার্থডে উইশ করার জন্য। সম্রাট আকবর তোমাকে গিফট করতো তার স্বপ্নের মহামূল্যবান কহিনুর। আইনস্টাইন থিওরি অফ রিলেটিভিটি ভুলে গেলেও ভুলতো না তোমার জন্মদিনের কথা। কিন্তুদ্যাখো এসব কিছুই হলো না। দুর্ভাগ্যবশতঃ তুমি জন্ম নিলে আমার সময়ে। তাই তোমার ভাগ্যে জুটলো
খুব সাধারন একটা বার্থডে উইশ- শুভ জন্মদিন মালিহা, আজকে এই মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির সবটুকু শুভকামনা শুধুমাত্র তোমার জন্য।
-ওয়াও, আমার এই একুশ বছরের লাইফে কেউ এত্তো সুন্দর করে বার্থডে উইশ করেনি। থ্যাংক্যু সোওওও মাচ।n-ইউ আর স্ট্রংলি ওয়েলকাম।n(আরো কিছুদিন পর)-এই জানো আমি একটা বই লিখতেছি।n-ওয়াও, সত্যি?n-হুম, বইটার নাম কি শুনবা? টেলিফোন ডিরেক্টরি। এইজন্যই তোমার নাম্বারটা লাগবে। দিবা?n-হাহাহা, আচ্ছা..ওকে!n(এক বছর পর)এই মালিহা তুমি কি জানো পৃথিবীর সবকিছুই আগে থেকে ঠিক করে রাখা আছে।n-হুম জানি তো।n-আচ্ছা সৃষ্টিকর্তার প্রি- প্লান কি চাইলেই তুমি বা আমি ভেস্তে দিতে পারি? এটার চেষ্টা করাটাওকি ঠিক?n-অবশ্যই না।n-তাইলে ভেবে দেখো আজকে বিকাল ঠিক সাড়ে পাঁচটায় রুসান ক্যাফের তিন নাম্বার টেবিলে দুইটাচেয়ার আমাদের জন্মের আগে থেকে তোমার আর আমার নামে বুক করে রাখা হয়েছে, সাথে কোল্ড কফিরঅর্ডারও দিয়ে রাখা। এখন কি করবো বুঝতে পারতেছি না। সাজেশান দাও তো কি করা উচিত?n-হুম.. খুবই কঠিন প্রবলেম। তো তুমি কি ড্রেস পরে আসবা সেটাও কি জন্মের আগে থেকেই ঠিক করা, নাকি আজকে চ্যুজ করবা?n-হাহাহা! সাদা টিশার্ট আর নীল জিন্স, তুমি?n-গোলাপি থ্রি-পিচ।n-ওক্কে!n(কয়েকমাস পর)আজকের স্পেশাল দিনে বাইশটা বাইশ রঙের গোলাপ তোমায় উপহার দিলাম বাইশটা অক্ষরের জন্য।n-বাইশটা অক্ষর? মানে?n-Happy birth day to u maliha.n-আরেহ, বাইশটা অক্ষরই তো হয়! ওয়াও! থ্যাংকু সো মাচ।n-ইউ নো, যে এই বাক্যটা আবিস্কার করেছিলো সে তোমার বাইশতম বার্থডের কথা ভেবেই অক্ষরগুলোগুনে গুনে সেট করেছিলো।n-হাহাহা! তাইলে তো এখানে you হবে, u না।n-এক্সাক্টলি। ঐ লোকের এইটুকুই ভুল ছিলো। কিন্তু সেই ভুলটা শোধরানোর জন্য উইলিয়াম শেক্সপিয়ার প্রথম you এর পরিবর্তে u লেখার প্রচলন করেন, সেটাও শুধুমাত্র তোমার বাইশতম বার্থডের কথা ভেবেই।n-সত্যি?n-হুম একদম। আর এজন্যই এই পৃথিবীতে মোট বাইশ রঙের গোলাপ আছে।n-রিয়ালি!! ধুরর! যাই হোক আমার গোলাপগুলা কিন্তু ভীষণ পছন্দ হইছে।n-যাক, স্বার্থকতা। আসলে প্রথমে ভেবেছিলাম তোমার এই জন্মদিনে আইফোন সেভেন গিফট করবো। বাট ইউ নো, অর্থনৈতিক মন্দার পর কিডনির দাম পড়ে গেছে। তাই আর বিক্রি করলাম না।n-হাহাহা! তুমি না পারোও। ধ্যাত!n(দুই বছর পর)একদিন গভীর রাত্রে মালিহা আমাকে মেসেজ দিলো।-এই শুনো, তোমাকে আমার একটাকথা বলার আছে #
রাত ২.৫৭ মিনিট। চোখে ঘুম নেই ঠিকই কিন্তু পানির অভাব নেই। অঝোর ধারায় পানি গড়িয়ে পড়িতেছে চোখ থেকে। অপেক্ষা শুধু একটা মিসড্ কলের। সেই অপেক্ষা আজ দুবছর ধরে। কিন্তু এই অপেক্ষা কবে শেষ হবে কে জানে। হয়তবা পৃথিবী ত্যাগ করার আগ পর্যন্ত অপেক্ষা করব। আমি জানি তুমি ফিরে আসবে মৌমি।আমার ভালোবাসা যে সত্যিকারের ভালো বাসা। এ ভালোবাসা কখন ও হারাতে পারে না।
এসব বলতেছি আর অঝোর ধারায় পানি পড়তেছে চোখ থেকে। দুবছর ধরে প্রতি রাত কাটে কেদে কেদে। তোমার কি একটুও মনে হয় না আমার কথা মৌমি।
দুবছরের সম্পর্কটা তুমি দু মিনিটে শেষ করে কেন দিলে।
আমি রাব্বি। মাস্টার্সে পড়ছি । বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান। বাবা মারা যার ছোট বেলায়। মা একটা কলেজের শিক্ষীকা।
ইন্টারমিডিয়েট দিয়ে যখন অনার্সে ভতি হই তখন দিন খুব ভালো যাচ্ছিল। প্রতিদিন ভার্সিটিতে যাওয়া, বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেয়া, ফেইসবুক চালানো, পড়াশোনা করা,ঘুমানো। এসব করে কেঠে যাচ্ছিল দিন। বন্ধুদের প্রেম করে কষ্ট পেতে দেখেছি। তাই রিলেশনে জড়ানোর ইচ্ছা থাকলেও ভয়ে জড়াতাম না বন্ধুদের নেশা করা, রাত জেগে কাঁদা এসব দেখে।
১ম বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা দিলাম। ২য় বর্ষে ক্লাস করতে গেলাম প্রথম দিন। একটা মেয়েকে দেখে চমকে গেলাম।জানি না কেন তবে, চোখ সরাতে পারছিলাম না। মেয়েটা অন্য দিকে তাকিয়ে কারো সাথে কথা বলতেছিল। আর আমি তাকিয়ে আছি তার দিকে । সেই ক্ষুদ্র সময়ে অসম্ভব এক মায়া জন্মেছিল, জানি না কেন।
বন্ধুদের মাধ্যমে তার সম্পর্কে কিছু জানতে পারলাম। নাম মৌমি। অনার্স ১ম বর্ষ। সহজ সরল। একা থাকে সবসময়।
ইচ্ছে করেই মেয়েটার সাথে একদিন কথা বললাম।
— কেমন আছেন? (আমি)
— ভালো। আপনি?( মৌমি)
— ভালো।আপনাকে… চিনতে পার নি তাই না? হুমআমি রাব্বি। অনার্স ২য় বর্ষে পড়ছি, একাউন্টিং ভালোএটাই ছিল তার সাথে আমার প্রথম দিনের কথাবার্তা এর পর প্রায় সময় আমাদের কথা হত। ভালো মন্দ এতটুকুই। একসময় ফোন নাম্বার নিলাম তার ।মাঝে মাঝে কল দিয়ে কথাও বলতাম। দিন দিন মেয়েটার প্রতি আমার মায়া বাড়তে লাগল। বন্ধুদের রিলে শনের কথা মনে হলে এসব থেকে দূরে থাকব এটাই বলতাম। যত মৌমির সাথে আমার কথা হচ্ছে ততই ও আমাকে কাছে টানছে। মনে মনে বলতাম বন্ধুদের রিলেশন সাকসেসফুল হয় নাই এতে যে আমার টা হবে না তাতো নয়।একসময় বুঝতে পারলাম যে মৌমি কে আমি ভালোবেসে ফেলেছি। মৌমিকে ছাড়া আমার
নিশ্বাস নেয়া অসম্ভব। মৌমি যে মিশে গেছে
আমার নিঃশ্বাসে।মৌমি কে মনের কথাটা বলব এসব চিন্তা মাথায় আসলে বন্ধুগুলোর অবস্থা চোখের সামনে ভেসে উঠত। কিন্তু কিছুই করার ছিল না মৌমি কে যে
আমি অনেক বেশি ভালোবেসে ফেলেছি।
একদিন মৌমি কে কল করে একটা জায়গায় আসতে বলি। ভালোবাসার কথাটা বলব। অনেক ভেবেছি কিন্তু না বলে পারব না এটাই মনে হল। তাই বলার জন্য কাল পার্কে আসতে বললাম।পরের দিন পার্কে গেলাম।কিছুক্ষণ পর মৌমি আসল। বলে দিলাম মনের কথাটা। না করল তবে হ্যা ও বলে নি। বলেছিল ভেবে বলবে। দুই দিন পর মৌমি হ্যা সূচক উত্তর দিল। সেদিন পৃথিবীর সবচেয়ে খুশি বোধ হয় আমিই হয়েছিলাম।তারপর নিয়মিত কথা বলা, দেখা করা, ফেইসবুকে চ্যাটিং করা এসব চলতে থাকল। প্রতিদিন রাত ১ টার পর কথা হত আমাদের। অনেকদিন কেটে গেলে এভাবে। আমার প্রতি অনেক বেশি কেয়ারিং করত। কোনকিছুতে উল্টাপাল্টা হলে বকত্। সবকিছু মিলিয়ে ভালোই চলছিল দিন।বাসায় মাকে মৌমির কথা বলেও ছিলাম। মা বলেছিল বাবা তোমার বুঝার বয়স হয়েছে তুমি যা ভালো বুঝ তাই কর।
কিন্তু হঠাৎ করে বদলে যেতে লাগল মৌমি। আগের মতো কথাও হতো না। কল দিলে ধরত না। ম্যাসেজ করলে রিপ্লে করত না। কোন সময় কল ধরলে বলত মা পাশে ছিল, ভাইয়া পাশে ছিল, মোবাইল বন্ধ ও থাকত। হঠাৎ করে মৌমির বদলে যাওয়া আমাকে অনেক ভেঙ্গে দিল। মনে হতে লাগল বন্ধুদের আন সাকসেসফুল রিলেশনের কথা। তাহলে কি আমার জীবনে এসব ঘটতে যাচ্ছে। হ্যা সত্যি সত্যি এসব ঘটে গেল। কি থেকে কি হল?, কেমনে হল?, কেন হল? সবকিছুই আমার বোঝার বাইরে ছিল।জানতে পারলাম মৌমি নতুন রিলেশনে গেছে। কিন্তু কেন আমার সাথে এমন করল? এসব আমি কিছুই জানি না। শুধু এটা জানি যে মৌমি কে মন থেকে ভালোবাসি। ওকে যে আমি সত্যিকারের ভালোবাসি। কয়েকদিন পর শুনলাম মৌমি নাকি পালিয়ে বিয়ে করেছে। একেবারে ভেঙ্গে পড়লাম আমি। বারবার একই প্রশ্ন আসে মনে কেন এমন হল?হঠাৎ করে ফোনের টোন বেজে উঠল,বাস্তবে ফিরলাম ফোনের স্ক্রিনে জ্বল ভরা চোখে দেখলাম লেখা Moumi. স্ক্রিনে উপরের কোনে তাকালাম রাত ৩.১৩ মিনিট। কলটা রিসিভ করলাম। কান্না ভরা কন্ঠে শুনতে পেলাম মৌমির একটা কথা ক্ষমা করে দিও আমায় রাব্বি।কলটা গেল। ব্যাক করলাম মোবাইল অফ। সকালে এক বন্ধু ফোন করে জানাল,,রাব্বি শুনলাম মৌমি নাকি আত্বহত্যা করছে।ওর স্বামী নাকি ওকে খুব অত্যাচার করত, নেশা করত, মারধোর করত তাকে।তাই নাকি ও আত্বহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে। (রাহি/আমার বন্ধু)চুপ করে আছি আমি কোন কথা বলতে পারতেছি না। গলাটা শুকিয়ে গেছে। কথা বলতে পারতেছি না।এরপর কি হলো মনে নেই। চোখ মেলে দেখলাম আমার বিছানায় আছি পাশে আম্মু, ডাক্তার আংকেল, রাহি দাড়িয়ে আছে। মৌমির কথা মনে হতেই চোখ দিয়ে পানি ঝড়তে লাগল। আম্মু শুধু চোখটা মুছে দিল। দেখতে পেলাম আম্মুর চোখে পানি। কিছু না বলেই আম্মু আমার রুম থেকে চলে গেল।নিজেকে শক্ত করে তুললাম মায়ের দিকে চেয়ে। এক মাত্র আমি ছাড়া মায়ের যে আর কেহ নেই। আম্মুর পছন্দমতো একটা মেয়েকে বিয়ে করেছি। সুখে আছি কিন্তু প্রতিরাতে সেই কলের অপেক্ষায় থাকি এখনও। কুঁড়িয়ে কুঁড়িয়ে খাচ্ছে মৌমির ভালোবাসা আমাকে।তুমি চলে গেলে মৌমি, রেখে গেলে আমার জন্য অসীম যন্ত্রনা। আমি যে এখন ও তোমার একটা কলের অপেক্ষায় থাকি। জানি তুমি আসবে না তবুও। তোমাকে ভূলে যাওয়া যে অসম্ভব মৌমি। প্রথম ভালো বাসা যে সহজে ভূলা যায় না।
# #
মেয়েটা নিশ্চুপভাবে বসে আছে বাসার পেছনে বাগানের বেঞ্চটাতে। মাঝে মাঝে আবার শীতের কারণে হালকা কেঁপে উঠছে। তবুও তার রুমে যেতে ইচ্ছে করছে না,আর পাশের বাসার বারান্দা থেকে ছেলেটা তার দিকেই তাকিয়ে আছে। মেয়েটা যে রেগে গিয়ে ওখানে বসে আছে তা ছেলেটা জানে। হঠাৎ মেয়েটা তার গায়ে একটা চাদর অনুভব করলো..
.-কি রে..!!!.তুই এত রাতে এখানে???
- হুম,দেখলাম যে মেয়েটা শীতে কাঁপতেছে।তাই ভাবলাম একটু সঙ্গ দেয়া যাক
-তোরে কে বলছে যে আমি কাঁপতেছি.?? ভাগ এখন এইখান থেকে…
-নাহ,যাবো না। আগে বল যে আজকে আবারবাসায় কি নিয়ে রাগ করছিস??
-আর বলিস নাহ,আজকে মা বলতেছে যে আমার জন্য নাকি একটা ভাল বিয়ের প্রস্তাব এসেছে। ছেলে ভালো,ভালো একটা জব করে.. এইসব হাবি-জাবি বলতেছিলো।তাই রাগ করে বের হয়ে আসছি এখানে।
-এতে খারাপ কি.?? সব বাবা-মা তো এটাই চায় যে তার মেয়েকে ভাল কারো সাথে বিয়ে দিতে, এই চাওয়াটা কি অন্যায় নাকি????
-তুই জানিস না যে আমার পড়ালেখা এখনো শেষ হয় নি???(রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে বললো)
-পড়া-লেখা..!! নাকি অন্যকিছু??? (একটু উপহাস করেই বললো ছেলেটা)
-একদম কথা ঘুরাবি না..আমার কেউ থাকলেতুই জানতি।তবে....
-তবে কি.???
-আছে কেউ একজন,কিন্তু তাকে আমি কোনদিনও বলতে পারবো না
-কে সে??? বলবি..???(খানিকটা বিষণ্ন মুখেই বললো ছেলেটা)
-নাহ,বলা যাবে না।সত্যি করে বল তো তুই কেন এখানে এসেছিস???
-কোনদিন কি একা এভাবে তোকে বসে থাকতে দিয়েছি.??তারউপর আবার মেয়েটা শীতে এভাবে রয়েছে.....(একটু হেসেই বললো ছেলেটা)
-এহ্হ..!! আসছে।।তবে আমি কিন্তু জানতামযে তুই এখানে আসবিই
-তার মানে তুই আমার অপেক্ষাতেই ছিলি.??
-নাহ,আমার বয়ফ্রেন্ডের অপেক্ষায় ছিলাম (তাচ্ছিল্যের সুরেই বললো মেয়েটা)
-ছেলেটা কিছুক্ষণ নীরব হয়েই বসে রইলো।হঠাৎ মেয়েটা ছেলেটার হাত স্পর্শ করলো.....
-কি রে,তোর হাত তো একদম ঠাণ্ডা হয়ে গেছে(বলেই চাঁদরের এক পাশটা এগিয়ে দিলো)
-থাক,লাগবে নাহ....
-চুপ..!!! একটাও কথা বলবি নাহ(খানিকটা ধমকের সুরে)
-ছেলেটা চাদরে নিজেকে জড়িয়ে নিল।তারপর মেয়েটা আচমকা ছেলেটার কাঁধে মাথা রাখলো। ছেলেটা কি বলবে ভেবে পাচ্ছিল না, তাই সে কিছুক্ষণ নিশ্চুপ হয়েই বসে রইলো। নীরবতা ভেঙে মেয়েটাই বলে উঠলো,
-কিছু বলবি.??
-নাহ.....
-তুই কি কিছুই বুঝিস না.????(অভিমানী সুরে বললো মেয়েটা)
-আচ্ছা,বুঝে গেলেও কি এভাবেই কাঁধে মাথা রাখবি.??
-যদি বলি না
-তাহলে আমি সারা জীবন আমি অবুঝ হয়েই থাকবো(মুচকি হেসে বললো ছেলেটা)
-তোর কিচ্ছু বুঝতে হবে না। শুধু প্রত্যেক মন খারাপেই তোর কাঁধটা যেন কাছে পাই, শীতের রাতে যেন তোর এই চাদরটা এগিয়ে দেয়ার জন্য তোকে পাই। আচ্ছা,তোর চাদরে এত সিগারেটের গন্ধ কেন.? (কিছুটা রাগ করেই বলল মেয়েটা)
ছেলেটা প্রতি উত্তরে আর কিছুই বলল না। শুধুই মুচকি হেসে মেয়েটাকে এক হাত দিয়ে কাছে টেনে নিল।
মেয়েটাও আর কিছুই জিজ্ঞেস করলো না। দুজনই নিশ্চুপ,কেউ কোনো কথাই বলছে না। কিছু নীরবতা সত্যিই সুখের হয়,যেগুলা ভাঙতে হয় না. # #
samiha38
Slet kommentar
Er du sikker på, at du vil slette denne kommentar?