10 w ·Traduire

বিদায় প্রেমিকা

image
1 w ·Traduire

মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবন ছিল এক অসাধারণ যাত্রা, যা মানবজাতির জন্য জ্ঞান, করুণা এবং ন্যায়বিচারের এক চিরন্তন উৎস। তাঁর জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়গুলো নিচে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হলো।
​জন্ম ও শৈশবকাল
​৫৭০ খ্রিস্টাব্দে মক্কার কুরাইশ গোত্রে মুহাম্মদ (সা.) জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা আব্দুল্লাহ তাঁর জন্মের আগেই মারা যান। তাই তাঁর নামকরণ করেন দাদা আব্দুল মুত্তালিব। ছয় বছর বয়সে তিনি তাঁর মা আমিনা-কেও হারান। এরপর তাঁর দাদা এবং পরে চাচা আবু তালিবের তত্ত্বাবধানে তিনি বড় হন। এতিম হওয়া সত্ত্বেও তিনি ছিলেন সৎ ও বিশ্বস্ত, যার কারণে মক্কার মানুষ তাঁকে "আল-আমিন" (বিশ্বস্ত) উপাধি দিয়েছিল।
​নবুয়ত লাভ ও ইসলাম প্রচার
​মুহাম্মদ (সা.)-এর ৪০ বছর বয়সে, তিনি মক্কার হেরা গুহায় ধ্যানমগ্ন থাকাকালীন ফেরেশতা জিব্রাইল (আ.) আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রথম ওহী নিয়ে আসেন। এর মাধ্যমে তিনি নবুয়ত লাভ করেন এবং মানবজাতিকে এক আল্লাহর ইবাদতের দিকে ডাকার দায়িত্ব পান।
​প্রথমে তিনি গোপনে ইসলাম প্রচার শুরু করেন। তাঁর প্রথম অনুসারীরা ছিলেন স্ত্রী খাদিজা (রা.), বন্ধু আবু বকর (রা.), এবং চাচাতো ভাই আলী (রা.)। তিন বছর পর তিনি প্রকাশ্যে ইসলাম প্রচার শুরু করলে মক্কার কুরাইশরা তাঁর বিরুদ্ধে চলে যায়। তারা তাঁর অনুসারীদের ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে। এই দুঃসময়েও তিনি ধৈর্য ও সহিষ্ণুতার পরিচয় দেন।
​হিজরত ও মদিনায় জীবন
​কুরাইশদের অত্যাচার যখন চরম পর্যায়ে পৌঁছায়, তখন আল্লাহর নির্দেশে ৬২২ খ্রিস্টাব্দে মুহাম্মদ (সা.) মক্কা ছেড়ে মদিনায় হিজরত করেন। এই হিজরতের ঘটনা মুসলিমদের জন্য এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে এবং এখান থেকেই হিজরি সনের গণনা শুরু হয়।
​মদিনায় তিনি একটি আদর্শ মুসলিম সমাজ প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি মদিনা সনদ নামে একটি চুক্তি তৈরি করেন, যা ছিল পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম লিখিত সংবিধান। এর মাধ্যমে মুসলিম, ইহুদি এবং অন্যান্য গোত্রগুলো শান্তিপূর্ণভাবে coexist করতে শুরু করে। তিনি মসজিদে নববী প্রতিষ্ঠা করেন, যা শুধু ইবাদতের কেন্দ্র ছিল না, বরং একটি সামাজিক, রাজনৈতিক এবং শিক্ষামূলক কেন্দ্র হিসেবেও কাজ করত।
​যুদ্ধ ও বিজয়
​ইসলামের বিরুদ্ধে কুরাইশদের শত্রুতা চলতে থাকে এবং এর ফলস্বরূপ বেশ কয়েকটি যুদ্ধ সংঘটিত হয়। বদর যুদ্ধ ছিল ইসলামের প্রথম বড় বিজয়, যেখানে মুসলিমরা সংখ্যায় কম হওয়া সত্ত্বেও আল্লাহ্‌র সাহায্যে জয়লাভ করে। এরপর উহুদ এবং খন্দকের মতো আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধ হয়।
​৬৩০ খ্রিস্টাব্দে, তিনি দশ হাজার সাহাবীকে নিয়ে মক্কা বিজয় করেন। এই বিজয় ছিল অসাধারণ, কারণ তিনি প্রতিশোধের বদলে মক্কার সকল অধিবাসীকে ক্ষমা করে দেন। তিনি কাবা শরিফ থেকে সব মূর্তি সরিয়ে দিয়ে ইসলামের পবিত্রতা পুনরুদ্ধার করেন।
​বিদায় হজ্জ ও ইন্তেকাল
​মক্কা বিজয়ের পর ইসলাম পুরো আরব উপদ্বীপে ছড়িয়ে পড়ে। ৬৩২ খ্রিস্টাব্দে তিনি বিদায় হজ্জ সম্পন্ন করেন এবং সেখানে তিনি তাঁর বিখ্যাত ভাষণ দেন। এই ভাষণে তিনি মানবজাতির প্রতি করুণা, সাম্য ও ন্যায়ের এক চিরন্তন বার্তা রেখে যান।
​এরপর তিনি মদিনায় ফিরে আসেন এবং ৬৩ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন। তাঁর মৃত্যুর পর ইসলাম সমগ্র বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে এবং তাঁর রেখে যাওয়া শিক্ষা আজও কোটি কোটি মানুষের জীবনকে আলোকিত করে চলেছে। মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবন ছিল এক পরিপূর্ণ আদর্শ, যা মানবজাতিকে সৎ, সাহসী এবং দয়ালু হওয়ার শিক্ষা দেয়।

3 w ·Traduire

তাহলে এবার আমি তোর জন্য ওই ইমোশনাল রোমান্টিক গল্পটা (নীরা আর সোহান এর গল্প) থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে একটা ছোট্ট কবিতা লিখে দিলাম — ঠিক যেন সোহানের মনের কথা, নীরাকে উদ্দেশ্য করে লেখা।


---

কবিতা: "চোখে চোখ রেখেই বিদায়"

তুই বলেছিলি —
“চোখে চোখ রাখলেই সব বোঝা যায়,”
তাই তো আজও,
তোর অনুপস্থিত চোখে
আমি ভালোবাসা খুঁজি।

তুই বলেছিলি —
“মরে গেলে ভুলে যাস না যেন,”
আমি মরিনি…
প্রতিদিন তোর চিঠির লাইনে বেঁচে থাকি।

বৃষ্টিতে ভিজলে তোর হাসি দেখি,
আকাশের তারা গুনলে তোর চোখ মনে পড়ে,
আর রাত গভীর হলে
তোর ফেলে যাওয়া ‘শেষ চিঠি’
বালিশের পাশে রেখে ঘুমিয়ে পড়ি।

তুই ভালোবাসিস…
জানি…
তাই তো চোখে চোখ রেখেই
বিদায় বলে গেলি।


---

কেমন লাগল বল? 💔
তুই চাইলে এই কবিতাটাকে গান বানিয়ে দিতেও পারি — সুরের মতো করে।
নাকি আরেকটা ইমোশনাল বা প্রেমের কবিতা/গল্প চাস? 😊

3 w ·Traduire

আহান পান্ডে ও আনিত পাড্ডার ‘সাইয়ারা’ সিনেমা: নতুন যুগের প্রেমকথা

বলিউডে আবার এক নতুন জুটির উন্মেষ ঘটেছে—আহান পান্ডে ও আনিত পাড্ডা। তাদের প্রথম সিনেমা ‘সাইয়ারা’ ইতিমধ্যেই দর্শকমহলে কৌতূহলের জন্ম দিয়েছে। এই রোমান্টিক-ড্রামা ঘরানার চলচ্চিত্রে দুই তরুণ তারকার অভিনয় ও রসায়ন এক নতুন ধরণের অভিজ্ঞতা এনে দেয়।

আহান পান্ডে, চাঙ্কি পান্ডের ভাইপো এবং অনন্যা পান্ডের ভাই, বলিউডে নতুন মুখ হলেও তার আত্মবিশ্বাস ও অভিনয় দক্ষতা চোখে পড়ার মতো। অন্যদিকে, আনিত পাড্ডা একজন ফ্যাশন মডেল ও নবাগত অভিনেত্রী, যিনি তার প্রথম ছবিতেই প্রশংসা কুড়িয়েছেন। তাদের অনস্ক্রিন কেমিস্ট্রি এতটাই মধুর যে, ‘সাইয়ারা’ প্রেমিক-প্রেমিকার হৃদয়ের কথা বলে।

চলচ্চিত্রটির কাহিনি এক শহরের ব্যস্ত জীবনের মাঝে ভালোবাসার অদ্ভুত এক যাত্রা নিয়ে। ‘সাইয়ারা’ শুধু একটি প্রেমের গল্প নয়, এটি স্বপ্ন, সংগ্রাম এবং আত্ম-আবিষ্কারের এক চিত্রকল্প। ছবিটির সঙ্গীত ও সিনেমাটোগ্রাফিও প্রশংসার দাবি রাখে।

পরিচালক এই ছবিতে আধুনিক প্রেম ও প্রথাগত ভালোবাসার মধ্যকার দ্বন্দ্বকে সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন। আহান-আনিতের অভিনয় ‘সাইয়ারা’কে তরুণ প্রজন্মের প্রিয় সিনেমার তালিকায় জায়গা করে দিতে সক্ষম হয়েছে।

সবমিলিয়ে, ‘সাইয়ারা’ এক মন ছুঁয়ে যাওয়া গল্প, যেখানে নতুন প্রজন্মের প্রেম, স্বপ্ন ও আবেগ সজীব হয়ে উঠেছে। আহান পান্ডে ও আনিত পাড্ডা ভবিষ্যতের বলিউডে যে উল্লেখযোগ্য স্থান করে নেবেন, সে ইঙ্গিত এই সিনেমাই দিয়ে দিয়েছে।

image
4 w ·Traduire

গল্প ১: পুরনো চিঠি

সুমনের ঠাকুমা মারা যাওয়ার পর তার পুরনো ট্রাঙ্কটা গোছাতে গিয়ে সে একগোছা চিঠি পেল। চিঠিগুলো এক অজানা পুরুষের লেখা, তীব্র ভালোবাসার কথা। শেষ চিঠিতে লেখা ছিল, "তোমার জন্য আমি অপেক্ষা করব, মৃত্যুর পরেও।" সুমন চিঠিগুলো পড়ে হাসল। সেদিন রাতে সে স্বপ্ন দেখল, এক সুদর্শন পুরুষ তার সামনে দাঁড়িয়ে বলছে, "তুমি এসেছ? আমি জানতাম তুমি আসবে।" ঘুম ভেঙে সুমনের সারা শরীর ভয়ে ঠান্ডা হয়ে গেল। এরপর থেকে প্রায়ই সে অনুভব করত, কেউ যেন তার পাশে শুয়ে আছে, তার চুলে হাত বুলিয়ে দিচ্ছে। সে বুঝতে পারল, ঠাকুমার প্রেমিকের অতৃপ্ত আত্মাটা তাকেই তার প্রেমিকা ভেবে বসেছে।


#প্রেমিকভূত #অতৃপ্তআত্মা #ভৌতিকচিঠি #রোমান্টিকহরর #রহস্যপ্রেম

4 w ·Traduire

শিল্পীর শেষ ছবি (The Artist's Last Painting)

ডায়েরির পাতা থেকে: এক প্রতিভাবান কিন্তু গরিব শিল্পী, ইমন, এক ভাঙা বাড়ি থেকে কিছু পুরনো ক্যানভাস ও রঙ খুঁজে পায়। সেই ক্যানভাসে ছবি আঁকা শুরু করার পর সে অবাক হয়ে লক্ষ্য করে, তার আঁকা ছবিগুলো যেন জীবন্ত হয়ে উঠছে। সে তার প্রেমিকার একটি পোট্রেট আঁকে এবং তার কিছুদিন পরেই মেয়েটি রহস্যজনকভাবে মারা যায়। ইমন ভয়ে সেই ক্যানভাসটি পরীক্ষা করতে গিয়ে দেখে, ছবির ভেতরের মেয়েটির চোখ দিয়ে জল গড়াচ্ছে। সে বুঝতে পারে, এই ক্যানভাস আর রঙ অভিশপ্ত। এটি যার ছবি আঁকা হয়, তার আত্মাকে ক্যানভাসে বন্দি করে ফেলে। আতঙ্কের বিষয় হলো, সে ইতিমধ্যেই নিজের একটি আত্মপ্রতিকৃতি আঁকা শুরু করে দিয়েছে।


#শিল্পীরশেষছবি #ভৌতিকগল্প #hauntedpainting #cursedart #banglahorror #ghoststory #আত্মাবন্দি #creepycanvas #banglaghost #darkportrait

4 w ·Traduire

পরোপকারে উদ্বুদ্ধ করেছেন নবীজি
মো. আবদুর রহমান
প্রকাশ : ২৭ মে ২০২৫, ০৩:১২ এএম আপডেট : ২৭ মে ২০২৫, ০৩:১২ এএম
পরোপকারে উদ্বুদ্ধ করেছেন নবীজি
পরোপকারে উদ্বুদ্ধ করেছেন নবীজি
মানুষ সামাজিক জীব। সমাজে কেউ একা বাস করতে পারে না। সমাজের প্রত্যেক মানুষ একে অপরের প্রতি নির্ভরশীল। সমাজে বসবাসরত প্রত্যেক মানুষ পরস্পরের সঙ্গে মিলেমিশে বসবাস করে। সুখ-দুঃখ পরস্পর ভাগ করে নেয়। মানবিকতার দাবিতে পরস্পর পরস্পরকে সাহায্য-সহযোগিতা করতে হয়। এভাবে একে অন্যের প্রয়োজনে বা উপকারে আসার নামই পরোপকার। রাসুল (সা.) ছিলেন সবচেয়ে বড় পরোপকারী এবং তিনি সবাইকে পরোপকারে উদ্বুদ্ধ করেছেন। পরোপকার মানবজাতির শ্রেষ্ঠত্বের পরিচায়ক। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘তোমরাই শ্রেষ্ঠ জাতি। মানবজাতির কল্যাণের জন্য তোমাদের সৃষ্টি করা হয়েছে। তোমরা মানুষকে সৎকাজের আদেশ দাও এবং অসৎকাজে নিষেধ করো। আর আল্লাহকে বিশ্বাস করো।’ (সুরা আলে ইমরান ১১০)


আমাদের শ্রেষ্ঠত্বের দাবি অনুযায়ী একজন মুসলমান কেবল অপর মুসলমানকে নয়, বরং সমাজের অন্য মানুষের বিপদেও পাশে এসে দাঁড়াবে, এটিই ইসলামের মহান শিক্ষা। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তার প্রতি দয়া করেন, যে তার বান্দাদের প্রতি দয়া করে।’ (সহিহ বুখারি) তিনি আরও বলেন, ‘যে ব্যক্তি দুনিয়ায় অপরের একটি প্রয়োজন মিটিয়ে দেবে, পরকালে আল্লাহ তার একশটি প্রয়োজন পূরণ করে দেবেন এবং বান্দার দুঃখ-দুর্দশায় কেউ সহযোগিতার হাত বাড়ালে আল্লাহ তার প্রতি করুণার দৃষ্টি দেন।’

(সহিহ মুসলিম)

পরোপকার মানুষকে মর্যাদার আসনে সমাসীন করে। পৃথিবীর ইতিহাসে যেসব মনীষী স্মরণীয় ও বরণীয় হয়ে আছেন, তাদের প্রত্যেকেই ছিলেন পরোপকারী। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন পরোপকারের মূর্ত প্রতীক। তিনি নিজে সবসময় মানুষের উপকার করতেন। অন্যকেও উপদেশ দিতেন মানুষের উপকার করতে। মানুষের উপকার করে তিনি আনন্দিত হতেন। জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘রাসুল (সা.)-এর কাছে কোনো কিছু চাওয়া হলে তিনি কখনো না বলতেন না।’ (সহিহ মুসলিম) আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘আল্লাহর রাসুল (সা.) ছিলেন সর্বশ্রেষ্ঠ দানশীল। রমজান মাসে তিনি আরও অধিক দানশীল হতেন, যখন জিবরাইল (আ.) তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন। আর রমজানের প্রতি রাতেই জিবরাইল (আ.) তার সঙ্গে দেখা করতেন এবং তারা একে অপরকে কোরআন তেলাওয়াত করে শোনাতেন। নিশ্চয়ই আল্লাহর রাসুল (সা.) প্রবাহমান বায়ু অপেক্ষাও অধিক দানশীল ছিলেন।’

(সহিহ বুখারি)

পরোপকারের জন্য রাসুল (সা.)-এর সাহাবিরা একে অপরের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতেন। যায়েদ ইবনে আসলাম (রা.) তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, ‘ওমর (রা.)-কে আমি বলতে শুনেছি, রাসুল (সা.) (তাবুক যুদ্ধের সময়) আমাদের দান-সদকা করার নির্দেশ দেন। সৌভাগ্যক্রমে ওই সময় আমার সম্পদও ছিল। আমি (মনে মনে) বললাম, যদি আমি কোনো দিন আবু বকর (রা.)-কে অতিক্রম করে যেতে পারি, তাহলে আজই সেই সুযোগ। ওমর (রা.) বলেন, আমি আমার অর্ধেক সম্পদ নিয়ে এলাম। রাসুল (সা.) বললেন, তোমার পরিবার-পরিজনদের জন্য তুমি কী রেখে এসেছ? আমি বললাম, এর সমপরিমাণ। আর আবু বকর (রা.) তার পুরো সম্পদ নিয়ে এলেন। রাসুল (সা.) বললেন, হে আবু বকর! তোমার পরিবার-পরিজনদের জন্য কী রেখে এসেছ? তিনি বললেন, তাদের জন্য আল্লাহ ও তার রাসুলকেই রেখে এসেছি। আমি (মনে মনে) বললাম, আমি কখনো আবু বকর (রা.)-কে অতিক্রম করতে পারব না।’ (তিরমিজি)

সমাজের গরিব, দুস্থ, অভাবী ও অসহায় মানুষকে উপকার করার প্রতি ইসলাম অধিক গুরুত্ব আরোপ করেছে। সুযোগ হলে সাধ্যমতো তাদের সাহায্য ও সহযোগিতা করা, খাবার খাওয়ানো এবং খোঁজখবর নেওয়া উচিত। পবিত্র কোরআনের বহু জায়গায় মহান আল্লাহ গরিব, অসহায় ও মিসকিনদের খাবার দান করার কথা বলেছেন। পবিত্র কোরআনে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আমি তাকে দুটি পথ প্রদর্শন করেছি। অতঃপর সে ধর্মের ঘাঁটিতে প্রবেশ করেনি। আপনি কি জানেন, সেই ঘাঁটি কী? তা হচ্ছে দাসমুক্ত করা কিংবা দুর্যোগ ও সংকটের দিনে এতিম, আত্মীয়স্বজন ও ধুলো-ধূসরিত মিসকিনদের অন্নদান করা।’ (সুরা বালাদ ১০-১৬) অভুক্ত ব্যক্তিকে আহার্য দেওয়ার ফজিলত সম্পর্কে রাসুল (সা.) বলেন, ‘মানুষের কল্যাণ সংশ্লিষ্ট যত কাজ আছে, সেগুলোর মধ্যে সর্বাপেক্ষা শ্রেষ্ঠ ও সর্বোত্তম হচ্ছে দরিদ্র ও ক্ষুধার্তকে খাবার দান করা।’ (সহিহ বুখারি) বস্তুত মানুষের সেবা করা গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। তাই গরিব, দুস্থ ও অসহায় মানুষের সাহায্য ও সহযোগিতায় এগিয়ে আসা উচিত।

মানবপ্রেম ও মানুষের সেবা করা যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনি অনেক ফজিলতের কাজ। মানুষের সেবা করার একটি ফজিলত হলো, এর দ্বারা মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে মুক্তি লাভ করা যায়। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের কেউ শুধু তার আমল দ্বারা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।’ (মুসনাদে আহমদ) নেক আমলের পাশাপাশি আল্লাহর রহমত থাকলেই মুক্তি পাওয়া যাবে। আল্লাহর রহমত লাভের সবচেয়ে সহজ পথ হলো, তার সৃষ্টির প্রতি সহযোগিতা ও উপকারের হাত বাড়িয়ে দেওয়া।


বিষয়:
দৈনন্দিন ইসলাম

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন
যেসব গুণে সৌভাগ্যবান হওয়া যায়
সত্যের আলোয় উদ্ভাসিত সুমামা (রা.)
বিদায় হজে রাসুল (সা.)-এর ১০ উপদেশ
সূর্য যখন সেজদায় লুটিয়ে পড়ে

4 w ·Traduire

আমার জীবনে এখন এমন অবস্থা — মোবাইল চার্জ না থাকলে ভয় লাগে না, ভয় লাগে যদি হঠাৎ প্রেমিকা বলেই বসে “ভবিষ্যতের কথা ভাবো…”!

মরণ যেদিন দিনের শেষে আসবে তোমার দুয়ারে
সেদিন তুমি কী ধন দিবে উহারে।
ভরা আমার পরানখানি
সম্মুখে তার দিব আনি,
শূন্য বিদায় করব না তো উহারে--
মরণ যেদিন আসবে আমার দুয়ারে।

কত শরৎ-বসন্ত-রাত,
কত সন্ধ্যা, কত প্রভাত
জীবনপাত্রে কত যে রস বরষে;
কতই ফলে কতই ফুলে
হৃদয় আমার ভরি তুলে
দুঃখসুখের আলোছায়ার পরশে।
যা-কিছু মোর সঞ্চিত ধন
এতদিনের সব আয়োজন
চরমদিনে সাজিয়ে দিব উহারে--
মরণ যেদিন আসবে আমার দুয়ারে।

======
রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর

image

ঐ ঘাসের ফুলে মটরশুটির ক্ষেতে
আমার এ-মন-মৌমাছি ভাই উঠেছে আজ মেতে।।

এই রোদ-সোহাগী পউষ-প্রাতে
অথির প্রজাপতির সাথে
বেড়াই কুঁড়ির পাতে পাতে
পুষ্পল মৌ খেতে।
আমি আমন ধানের বিদায়-কাঁদন শুনি মাঠে রেতে।।

আজ কাশ-বনে কে শ্বাস ফেলে যায় মরা নদীর কূলে,
ও তার হলদে আঁচল চ’লতে জড়ায় অড়হরের ফুলে!
ঐ বাবলা ফুলের নাকছবি তার,
গা’য় শাড়ি নীল অপরাজিতার,
চ’লেছি সেই অজানিতার
উদাস পরশ পেতে।।

আমায় ডেকেছে সে চোখ-ইশারায় পথে যেতে যেতে।।
ঐ ঘাসের ফুলে মটরশুটির ক্ষেতে
আমার এ-মন-মৌমাছি ভাই উঠেছে তাই মেতে।।

====কাজী নজরুল ইসলাম =

5 w ·Traduire

✨ পর্ব ৮: দূরত্বের কষ্ট

ঝড়ের সেই রাতের পর তাদের সম্পর্ক আরও গভীর হলো। মনে হলো, আর কোনো ঝড় তাদের ভাঙতে পারবে না। কিন্তু কখনও কখনও দূরত্ব ঝড়ের থেকেও বেশি কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।

একদিন মিম জানাল—
— “আমার আব্বু ঢাকায় নতুন জায়গায় বদলি হয়েছে। আমাকেও যেতে হবে… অন্তত কিছুদিন।”

রাহাত স্তব্ধ হয়ে গেল। মিমের কথাগুলো যেন কানে ঢুকল ঠিকই, কিন্তু বুকের ভেতর দুঃসহ শূন্যতা নেমে এলো।
— “কতদিন?”
মিম নিচু গলায় বলল—
— “কিছুদিন… হয়তো কয়েক মাস। হয়তো তারও বেশি।”

রাহাত আর কিছু বলতে পারল না। মিমের চোখেও পানি টলমল করছিল। তারা জানত, এই দূরত্ব তাদের জন্য সহজ হবে না।

বিদায়ের দিন কলেজ মাঠে শেষবারের মতো মিম আর রাহাত একে অপরকে জড়িয়ে ধরল। মিম ফিসফিসিয়ে বলল—
— “আমাদের গল্পটা এখানেই শেষ হয়ে যাবে না, তাই না?”
রাহাত শক্তভাবে হাত ধরে বলল—
— “না মিম। তুমি কাছে থাকো আর দূরে— আমি তোমারই থাকবো।”

মিম চলে গেল। ট্রেনের জানালায় বসে কান্না চেপে রাখল। আর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে রাহাত কেবল তাকিয়ে রইল শূন্যে।

প্রথম কয়েকদিন ফোন আর মেসেজে কথা হতো। “খেয়েছো?”, “আজ কি পড়লে?”, “আমার খুব মনে পড়ছে”— এইসব ছোট ছোট কথায় দিনগুলো চলতে থাকল। কিন্তু ধীরে ধীরে ব্যস্ততা, ক্লান্তি আর বাস্তবতা তাদের আড়াল করে দিতে লাগল।

একদিন মিমের মেসেজ এলো—
“আজ খুব কষ্ট হচ্ছে। তোমাকে ছুঁতে না পারলে সবকিছু ফাঁপা লাগে।”

রাহাত উত্তর দিল—
“আমারও মিম। তুমি নেই, অথচ চারপাশে কেবল তোমাকেই দেখি।”

তবু মাঝে মাঝে ভুল বোঝাবুঝি হতো। মিম অভিমান করত— “সারাদিন তোমার সময় কই?”, রাহাত রাগ করত— “তুমি তো বলো না কেমন আছো।”

তারা জানত, এই দূরত্ব সম্পর্ককে ধীরে ধীরে বিষিয়ে তুলছে। তবু দুজনেই চেষ্টা করত টিকিয়ে রাখতে। প্রতিদিন রাতে মিম আকাশের তারা দেখত আর মেসেজ পাঠাত—
“এই তারা আমাদের দেখছে। তুমি-আমি দুজনই এর নিচে আছি।”

রাহাত উত্তর দিত—
“যতো দূরে থাকো, তবু আমার মনের ভেতর তোমার ঠিকানা অটুট।”

কিন্তু কষ্টটা সহজ ছিল না। হাসির আড়ালে কান্না লুকিয়ে তারা বাঁচার চেষ্টা করছিল।

দূরত্ব তাদের সম্পর্ককে বারবার পরীক্ষা করছিল। তারা জানত না— এই পরীক্ষা কি পেরোতে পারবে? নাকি হারিয়ে যাবে এক অজানা অন্ধকারে?

তাদের ভালোবাসা কি দূরত্বকে জয় করতে পারবে?

এই অজানা প্রশ্ন নিয়ে রাতের আকাশের মতোই অজস্র অন্ধকার আর অল্প কিছু আলোয় তাদের গল্প বয়ে যাচ্ছিল…