প্রিয় নিসফ আল আফদাল, ভবিষ্যতে সহধর্মিণী
জানো, আমি কোনো রাজপুত্র না। আমার নেই সুগঠিত শরীর, চোখে নেই রোমান্টিক গল্পের মতো মায়া, কণ্ঠেও নেই কবির কাব্যের সুর। আমি হয়তো তোমার স্বপ্নের সেই পারফেক্ট ছেলে না।আমার নেই দামি গাড়ি, ব্র্যান্ডেড ঘড়ি, বা ব্যাংক ব্যালেন্সের ঘনত্ব—কিন্তু আমার আছে একটা হৃদয়, যেখানে শুধুই তোমার জন্য ভালোবাসা জমা আছে।
তুমি যদি কখনো ভাবো (আমার স্বামীটা কেন এমন সাধারণ?)তাহলে আমি বলব, আমি সাধারণই থাকতে চাই, যাতে তোমার ভালোবাসার প্রতিটি স্পর্শে নিজেকে বিশেষ মনে করতে পারি।
জানো, আমি স্বপ্ন দেখি এমন একজন সঙ্গিনীর,
যে পর্দা ভালোবাসে, নম্রতা ধারণ করে,
যে আধুনিকতা নয়, বরং সরলতাকে সম্মান করে,
যে কোরআন-সুন্নাহর আলোকে জীবনকে গঠন করতে চায়,
যে ঘরকে জান্নাত বানাতে চায়—লোক দেখানো সংসার না।আমি চাই না তুমি সাজগোজ করে সবাইকে দেখাওআমি চাই, তুমি আমার জন্য সাজো।
আমি চাই না তুমি হাজার লোকের সামনে হাসো, আমি চাই তুমি শুধু আমার সামনে সেই নিঃশব্দ হেসে বলো তুমি আছো বলেই আমি ভালো আছি।
জানো, আমি চাই না সোনা-দানা, বা সৌন্দর্যের মাপকাঠিতে মাপা কোনো রমণী।
আমি চাই এমন একজন, যার সাথে মিলেমিশে নামাজে দাঁড়াতে পারব, একসাথে কোরআন পড়তে পারব, কাঁধে মাথা রেখে আখিরাতের গল্প করতে পারব।
তুমি ক্লান্ত হলে আমি তোমার পাশে চুপচাপ বসে থাকব।তুমি অসুস্থ হলে আমি গভীর রাতেও তোমার জন্য দোয়া করব।তুমি চোখের পানি ফেললে আমি কাঁদতে না পারলেও ভেতরটা কেঁপে উঠবে কারণ তুমি আমার হৃদয়ের অর্ধেক।তুমি যদি একদিনও বলতে আমার দিনটা খুব কঠিন ছিল,আমি বলব চলো, দু’জন মিলে আল্লাহর কাছে সেজদা দেই… ইনশাআল্লাহ সব ঠিক হয়ে যাবে,,,,,
আমার একটাই চাওয়াতুমি আমাকে ভালোবাসো, আমার প্রতি বিশ্বস্ত থাকো।আমি কোনো প্রতিদান চাই না। চাই শুধু ভালোবাসার বিনিময়ে ভালোবাসা। আর আমার শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত তোমার পাশে থেকে দায়িত্ব পালন করতে চাই।আল্লাহ জানেন, আমি কাকে চাচ্ছি আর আমি তাঁর কাছেই প্রার্থনা করি হে রব, আমাকে এমন একজন দাও, যার সঙ্গে আমি শুধু দুনিয়া নয়, আখিরাতেও থাকব।
আমি অপেক্ষায় আছি.......
কারণ আমি এমন এক সত্তার বান্দা, যিনি কারো দোয়া কখনোই বৃথা যেতে দেন না। তিনি অন্তরগুলোকে বদলে দেন, আর সঠিক সময়েই সঠিক মানুষ পাঠান…✨🌼
রাত তখন প্রায় ১টা। একটি শান্ত, মধ্যবিত্ত পরিবারের স্বামী-স্ত্রী একটি সামাজিক অনুষ্ঠান শেষে ঘরে ফিরলেন। সবার মতো তারাও ক্লান্ত, একটু বিশ্রামের অপেক্ষায়।
ঘরে ঢুকেই স্ত্রীর প্রথম কথাটি ছিল,
— “একটা অদ্ভুত গন্ধ পাচ্ছো? কেমন যেন গ্যাসের মতো…”
স্বামী মাথা নাড়িয়ে বললেন, “হ্যাঁ, আমি দেখি রান্নাঘরে গ্যাস লিক হচ্ছে কিনা।”
সে দৌড়ে গেল কিচেনে এবং খুব স্বাভাবিকভাবে, অবচেতন মনে আলো জ্বালিয়ে ফেললো…
এক মুহূর্তেই সব শেষ।
একটা বিকট শব্দে কেঁপে উঠলো পুরো এলাকা। বিস্ফোরণের শব্দ এতটা তীব্র ছিল যে, ২০০ মিটার দূরের বাসিন্দারাও জানালার কাঁচ কেঁপে উঠতে দেখেছে।
ঘরের দেয়াল ভেঙে পড়ল।
পুরো বাড়িটা আগুনে পুড়ে ছাই।
স্বামী ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারালেন। স্ত্রী কিছুদিন জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে শেষ পর্যন্ত চলে গেলেন…
এই দুর্ঘটনার কারণ?
রান্নাঘরে জমে থাকা গ্যাস, আর সেই গ্যাসের মাঝে একটি সাধারণ সুইচ অন করা – যা তৈরি করেছিল ক্ষুদ্র একটি আগুনের ফুলকী (spark), আর সেটিই হয়ে উঠেছিল মৃত্যু-ফাঁদ।
গ্যাসের গন্ধ পেলে?
1. কখনোই কোনো বৈদ্যুতিক সুইচ, ফ্যান বা ফ্রিজ চালু করবেন না।
কারণ এতে ইলেকট্রনিক স্পার্ক হতে পারে।
2. সব জানালা-দরজা খুলে দিন। যেন গ্যাস বের হয়ে যায়।
3. পারলে মেইন সুইচ অফ করে দিন।
4. সতর্কভাবে বাড়ি থেকে সবাইকে বের করে নিন।
আপনার একটি শেয়ার বাঁচাতে পারে কারো জীবন, কারো পরিবার।
#একটা_ছোট_ভুল #একটা_পরিবার_শেষ
রাত তখন প্রায় ১টা। একটি শান্ত, মধ্যবিত্ত পরিবারের স্বামী-স্ত্রী একটি সামাজিক অনুষ্ঠান শেষে ঘরে ফিরলেন। সবার মতো তারাও ক্লান্ত, একটু বিশ্রামের অপেক্ষায়।
ঘরে ঢুকেই স্ত্রীর প্রথম কথাটি ছিল,
— “একটা অদ্ভুত গন্ধ পাচ্ছো? কেমন যেন গ্যাসের মতো…”
স্বামী মাথা নাড়িয়ে বললেন, “হ্যাঁ, আমি দেখি রান্নাঘরে গ্যাস লিক হচ্ছে কিনা।”
সে দৌড়ে গেল কিচেনে এবং খুব স্বাভাবিকভাবে, অবচেতন মনে আলো জ্বালিয়ে ফেললো…
এক মুহূর্তেই সব শেষ।
একটা বিকট শব্দে কেঁপে উঠলো পুরো এলাকা। বিস্ফোরণের শব্দ এতটা তীব্র ছিল যে, ২০০ মিটার দূরের বাসিন্দারাও জানালার কাঁচ কেঁপে উঠতে দেখেছে।
ঘরের দেয়াল ভেঙে পড়ল।
পুরো বাড়িটা আগুনে পুড়ে ছাই।
স্বামী ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারালেন। স্ত্রী কিছুদিন জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে শেষ পর্যন্ত চলে গেলেন…
এই দুর্ঘটনার কারণ?
রান্নাঘরে জমে থাকা গ্যাস, আর সেই গ্যাসের মাঝে একটি সাধারণ সুইচ অন করা – যা তৈরি করেছিল ক্ষুদ্র একটি আগুনের ফুলকী (spark), আর সেটিই হয়ে উঠেছিল মৃত্যু-ফাঁদ।
গ্যাসের গন্ধ পেলে?
1. কখনোই কোনো বৈদ্যুতিক সুইচ, ফ্যান বা ফ্রিজ চালু করবেন না।
কারণ এতে ইলেকট্রনিক স্পার্ক হতে পারে।
2. সব জানালা-দরজা খুলে দিন। যেন গ্যাস বের হয়ে যায়।
3. পারলে মেইন সুইচ অফ করে দিন।
4. সতর্কভাবে বাড়ি থেকে সবাইকে বের করে নিন।
আপনার একটি শেয়ার বাঁচাতে পারে কারো জীবন।।
Coach Badrul Mohammad Badrul Hasan
আমরা কেন পৃথিবীতে এসেছি?
কুরআন ও হাদিসের আলোকে, মানুষের পৃথিবীতে আসার মূল উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর ইবাদত বা উপাসনা করা। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে বলেছেন, “আমি জিন ও মানুষকে শুধু আমার ইবাদত করার জন্যই সৃষ্টি করেছি।” (সূরা আয-যারিয়াত, আয়াত ৫৬)।
এই ইবাদতের অর্থ শুধু নামাজ, রোজা, হজ বা যাকাতের মতো আনুষ্ঠানিক ইবাদত নয়। বরং জীবনের প্রতিটি কাজ যদি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে করা হয়, তাহলে তা ইবাদত হিসেবে গণ্য হয়। যেমন—সৎ পথে জীবিকা উপার্জন, বাবা-মায়ের সেবা করা, প্রতিবেশীর সঙ্গে ভালো ব্যবহার করা, জ্ঞান অর্জন, এমনকি ঘুমও যদি আল্লাহর ওপর ভরসা করে হয়, তবে তা ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত।
এই জীবন মূলত একটি পরীক্ষা। আল্লাহ আমাদের পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন এই পরীক্ষা নেওয়ার জন্য যে, আমরা তার আদেশ-নিষেধ মেনে চলছি কি না। এর ওপর ভিত্তি করেই আমাদের পরকালের জীবন নির্ধারিত হবে।
পৃথিবীতে এসে আমরা কী করছি?
একজন মুসলিম হিসেবে পৃথিবীতে আমাদের প্রধান কাজগুলো হলো:
আল্লাহর আনুগত্য করা: জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আল্লাহর আদেশ মেনে চলা এবং তার প্রেরিত নবী-রাসূলদের দেখানো পথে চলা।
সৎ কাজ করা: নেক আমল বা ভালো কাজ করা, যেমন—যাকাত দেওয়া, গরিব-দুঃখীদের সাহায্য করা, সত্য কথা বলা এবং মানুষের প্রতি দয়া করা।
অসৎ কাজ থেকে দূরে থাকা: শিরক (আল্লাহর সাথে কাউকে শরিক করা), মিথ্যা কথা বলা, চুরি, সুদ, ঘুষ এবং অন্যান্য গুনাহের কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখা।
দ্বীনের দাওয়াত: নিজে ভালো কাজ করার পাশাপাশি অন্যকেও ইসলামের পথে আহ্বান করা।
পরিবার ও সমাজের প্রতি দায়িত্ব পালন: পরিবারের সদস্যদের প্রতি যত্নশীল হওয়া এবং সমাজের শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সাহায্য করা।
জ্ঞান অর্জন: ইসলামে জ্ঞান অর্জনের ওপর অনেক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এটি ফরজ ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত।
মৃত্যুর পর আমরা কোথায় যাব?
ইসলামী বিশ্বাস অনুযায়ী, মৃত্যুর পর আমরা অন্য একটি জগতে প্রবেশ করব, যাকে বারযাখ বলা হয়। এই বারযাখ হলো দুনিয়া ও আখিরাতের মাঝখানের একটি অন্তর্বর্তীকালীন জীবন।
কিয়ামতের দিন: বারযাখের জীবন শেষ হওয়ার পর এক মহাপ্রলয়ের মাধ্যমে কিয়ামত সংঘটিত হবে। এরপর আল্লাহ সবাইকে আবার জীবিত করবেন।
হিসাব-নিকাশ: কিয়ামতের ময়দানে সবার ভালো-মন্দ কাজের পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসাব নেওয়া হবে। আমাদের প্রতিটি কাজের সাক্ষী থাকবে আমাদের শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ, পৃথিবী এবং ফেরেশতারা।
জান্নাত ও জাহান্নাম: এই হিসাব-নিকাশের পর যারা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করবে, তাদের জন্য নির্ধারিত হবে জান্নাত। এটি হলো চিরস্থায়ী সুখ ও শান্তির জায়গা। আর যারা আল্লাহর অবাধ্য হবে, তাদের জন্য নির্ধারিত হবে জাহান্নাম, যা হলো কঠিন শাস্তি ও কষ্টের জায়গা। জান্নাত এবং জাহান্নামের জীবন হবে অনন্তকালের।
সংক্ষেপে, ইসলাম আমাদের শেখায় যে এই দুনিয়ার জীবন ক্ষণস্থায়ী। আমাদের আসল ঠিকানা হলো পরকাল। তাই আমাদের উচিত এই সংক্ষিপ্ত জীবনকে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা।
উত্তরা-দিয়াবাড়ীর মাইলস্টোন স্কুলের উপর প্রশিক্ষন বিমান বিধস্তে
বাবা মায়ের কলিজার টুকরা ১৭ টি ছেলেমেয়ে আজ বেহেস্তের মেহমান হয়ে গেলো।
১৭১ জন দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে।
বাবা-মাগুলো সহ্য করছে কিভাবে!!!
যার সন্তান যায় কেবল সেই বেদনা বুঝতে পারে!!!
হে আল্লাহ, তুমি আহত সবাইকে দ্রুত শেফা দান করো।
সন্তান হারা মা বাবাকে এ শোক সইবার শক্তি দান করো- আমিন।
দরজায় দরজায় বিক্রি হচ্ছে, 'বিয়ের নামে'
'ফ্রি স্যাম্পল',
একটা 'লাইভ ডেমো' যার এক্সপায়ারি ডেট আজই!
ব্যাপারটা এমন,, অনেকদিন ভালো খায় না,,
চল, 'মেয়ে দেখার নামে,, চা-বিস্কুটের বিলটা সেভ করি...
কাস্টমার ফিডব্যাক' নেওয়া ,, অর্ধেকটাই সমালোচনা,
সাপ্লাই চেইনের দর কষাকষি— এই আরকি!
শুভদৃষ্টি"? "পাত্রী দেখা"? — ভণ্ডামির শীতল প্রলেপ!
ভিতরে বিদ্রুপ হাসি নিয়ে যাওয়া চোদ্দগুষ্টি,,
খুঁজবে প্রিমিয়াম সব ভার্সন—
'রাশিয়ান লেদার', রান্নায় অস্কার জিতা,
``বয়স হাঁটুর নিচে,,
দক্ষতা: সংসার ঘানি থেকে,, তেল বের করে সবাইকে তেলতেলে রাখা,,!
যেন, প্রডাক্ট স্পেসিফিকেশন' চেকলিস্টে,,
একটা বাদ পড়লে,, এই ভার্সন রিজেক্ট,,
কিছু টাকার,, সান্ত্বনা-বন্ড হাতে ধরিয়ে,, মূল্যবোধ রিফান্ড করে দেয়া।।
বিয়ের নামে,, মেয়েদের পণ্যের ডেমো" বানিয়ে রাখা,,
কতবার দেখলে 'ফুল ভার্সন' নেয়ার সিদ্ধান্ত নেবে?"
সম্মানের পলিসি কী?"
এই ক্লান্তিকর, অস্বস্তিকর প্রক্রিয়ায়,,
অস্তিত্বের সংকট:,, পাত্রী দেখার নামে,,
তার,, রঙিন নখের নিচে লুকানো কতটা আঁচড়?
কতটা 'রক্তপাত?
ম্যানিকিউর হাসিতে তবুও চাই এই সমাজ নিখুঁত আর্ট,
ভেতরের বিষাদ-চিৎকারের,, কোনো দাম নেই,,
অন্যের ফ্রি দেখার আত্মসন্তুষ্টিতে।"
"একটা মানুষের আত্মা নিয়ে খেলা 'ফ্রি ট্রায়ালের' 'জিগস পাজলে?"
"মায়ের চোখে চাপা উদ্বেগ",
বাবার হতাশা নামে,, 'অভিশাপ হয়ে যাওয়া কন্যা শব্দটাতে,,
..সমাজের বানানো নিয়মের পণ্যায়নে,,..
ছেলের পছন্দ, খালু, মামাদের পছন্দ না,,
``প্রত্যাখ্যান,, সেই ক্ষতচিহ্ন এই সমাজ আবার আঙ্গুল দিয়ে দেখায়,,
,,এই উপুযুক্ত না!!
তার চিৎকার পোঁছে না,, 'অন্ধ নীরবতা চারদিক',
নিজের ভিতর দুমড়ে যাওয়া,, আর্তনাদ বলে,,
``শোরুমের ডামি নই আমি,
না কোনো 'রিটার্ন পলিসি' সম্বলিত জিনিস!
তবুও... 'বিয়ের নামে'
সস্তা নাটকের রিহার্সাল কেন বারবার হয়?
হ্যাঁ,, দেখার নিয়মে দেখুক,, পথের কাকও যেন শব্দ শুনতে না পায়"
``রিজেক্ট বাটন সবার অধিকারে থাকুক,,
``চাপিয়ে দেয়া না``।
——————
বিয়ের নামে!
সাজিদুল্লাহ ফরহাদ।
রাশিয়ার প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলে শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর সুনামি সতর্কতা
রাশিয়ার দূরপ্রাচ্যের কামচাটকা উপদ্বীপে প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলে এক শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে, যার ফলে অঞ্চলজুড়ে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। স্থানীয় সময় অনুযায়ী ভোরবেলা এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়, যার রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৭.৫ এরও বেশি। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ভূ-পৃষ্ঠের প্রায় ১০ কিলোমিটার গভীরে এবং এটি প্রশান্ত মহাসাগরের তলদেশে ঘটেছে।
রাশিয়ার ভূ-প্রতিরক্ষা সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র জানিয়েছে, ভূমিকম্পটি এতটাই তীব্র ছিল যে কামচাটকা উপদ্বীপের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ঘরবাড়ি কেঁপে ওঠে এবং বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসে। উপকূলবর্তী এলাকায় ঝুঁকি এড়াতে স্থানীয় প্রশাসন বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলেছে।
সুনামি সতর্কতা জারি
ভূমিকম্পের পরপরই রাশিয়ার জরুরি ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় সুনামি সতর্কতা কেন্দ্র সুনামির আশঙ্কা প্রকাশ করে সতর্কতা জারি করে। বিশেষ করে কামচাটকার পূর্ব উপকূল, কুরিল দ্বীপপুঞ্জ এবং জাপানের উত্তরাঞ্চলে সম্ভাব্য সুনামির জন্য নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। ইতোমধ্যে কিছু এলাকায় ০.৫ থেকে ১ মিটার উচ্চতার ঢেউ দেখা গেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম।
তবে এখনো পর্যন্ত বড় ধরনের সুনামির ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। কর্তৃপক্ষ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে এবং পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছে। প্রশান্ত মহাসাগরের রিং অব ফায়ার অঞ্চলটি পৃথিবীর অন্যতম ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা, যেখানে এই ধরনের ঘটনা প্রায়ই ঘটে থাকে।
বাসিন্দাদের করণীয়
প্রশাসন স্থানীয় বাসিন্দাদের উচ্চভূমির দিকে সরে যেতে বলেছে এবং সতর্ক করেছে যেন তারা উপকূলবর্তী এলাকা থেকে দূরে থাকে যতক্ষণ না সুনামির আশঙ্কা পুরোপুরি কেটে যায়। সাইরেন বাজিয়ে এবং মোবাইল এসএমএস এর মাধ্যমে সতর্কবার্তা প্রচার করা হয়েছে। স্কুল, হাসপাতাল এবং সরকারি দফতরগুলো সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক সহায়তা এবং প্রস্তুতি
রাশিয়া এই জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় জরুরি সেবা বিভাগ, রেডক্রস এবং স্বেচ্ছাসেবকদের মাঠে নামিয়েছে। বিভিন্ন দেশ থেকেও এই দুর্যোগ পরিস্থিতিতে সহায়তার প্রস্তাব আসতে শুরু করেছে। জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র এই ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ করছে এবং নিজেদের উপকূলেও নজরদারি বাড়িয়েছে।
অতীতের অভিজ্ঞতা
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে জাপানে ৯.০ মাত্রার ভূমিকম্প এবং পরবর্তী সুনামিতে প্রায় ২০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল এবং ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেই স্মৃতি মাথায় রেখেই রাশিয়ার বর্তমান প্রস্তুতি এবং সতর্কতা বেশ গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া হচ্ছে।
উপসংহার
এই ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় সচেতনতা ও সতর্কতাই সবচেয়ে বড় প্রতিরক্ষা। রাশিয়ার প্রশাসন এখন পর্যন্ত যেভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে, তা প্রশংসনীয়। তবে প্রকৃতি কখন কীভাবে আচরণ করবে, তা নির্ধারণ করা কঠিন। তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে এবং সরকারি নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।
পরিস্থিতির আরও উন্নয়ন ঘটলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ থেকে আপডেট জানানো হবে। জনগণকে অনুরোধ করা হয়েছে, তারা যেন গুজব ছড়ানো থেকে বিরত থাকে এবং শুধুমাত্র বিশ্বস্ত সংবাদমাধ্যম বা সরকারি তথ্যের উপর ভিত্তি করেই সিদ্ধান্ত নেয়।
একটা ছোট গল্প লিখে দিলাম — জীবন, স্বপ্ন আর সাহস নিয়ে।
---
গল্প: “ছোট্ট প্রদীপ”
একটা অজ পাড়াগাঁয়ে থাকত এক ছেলেমেয়ে — অর্ণব আর তার ছোট বোন দীপা। মা নেই, বাবা দিনমজুর। ঘরে না ছিল বিদ্যুৎ, না ছিল মোবাইল ফোন। কিন্তু ছিল অদ্ভুত এক স্বপ্ন — দীপার ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন।
প্রতিদিন সন্ধ্যার পর দীপা বাবার পুরনো হারিকেনটা জ্বালিয়ে পড়াশোনা করত। আর অর্ণব, যাকে পড়াশোনার সুযোগ দেওয়া হয়নি, বসে বসে বোনের বইয়ের পাতা উল্টে দিত।
একদিন স্কুলে এক শিক্ষক এসে বললেন, “আগামী সপ্তাহে একটা বৃত্তি পরীক্ষা হবে। যারা পাশ করবে, তারা শহরের ভালো স্কুলে ভর্তি হতে পারবে।”
দীপা চোখ বড় বড় করে জিজ্ঞেস করল, “আমি কি পারব দাদা?”
অর্ণব মুচকি হেসে বলল, “তুই হারলে আমি মানতে পারব না। তুই তো আমার প্রদীপ — আমার স্বপ্ন।”
সেই এক সপ্তাহ অর্ণব আর ঘুমালো না। দীপার পড়া মুখস্থ করে তাকে শেখাত, নিজে বুঝত না, তবুও কষ্ট করে বোঝাত। বৃষ্টির মধ্যে ছাতা ধরে রাখত, খাবার না খেয়ে বই আনত।
পরীক্ষা হলো।
এক মাস পর চিঠি এলো — “দীপা বৃত্তি পেয়েছে।”
সবাই খুশি, আর অর্ণব কাঁদছে।
দীপা জিজ্ঞেস করল, “তুই কাঁদছিস কেন দাদা?”
অর্ণব বলল, “আমার প্রদীপ জ্বলে উঠেছে — এখন সে নিজেই আলোকিত করবে চারপাশ।”
---
শেষ
তোর যদি কোনো বিশেষ থিম, চরিত্র, বা সময়কাল চাও (ভবিষ্যৎ, প্রাচীনকাল, শহর, গ্রাম, রোমান্টিক, হাসির ইত্যাদি),
ওপেন সোর্স এআই কীভাবে চীনকে হৃদয় এবং বাজারের শেয়ার জিততে সহায়তা করছে
বর্তমান যুগে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial Intelligence বা AI) শুধু প্রযুক্তির উন্নয়নেই নয়, বৈশ্বিক প্রতিযোগিতাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। AI এর এই প্রতিযোগিতায় যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরেই শীর্ষে থাকলেও, চীন দ্রুত তাদের অবস্থান শক্তিশালী করছে। বিশেষ করে ওপেন সোর্স AI-এর মাধ্যমে চীন বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তি প্রেমীদের হৃদয় জয় করছে এবং একই সঙ্গে বিশাল বাজার শেয়ার অর্জন করছে।
ওপেন সোর্স AI কী?
ওপেন সোর্স AI হলো এমন এক ধরনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি যার সোর্স কোড উন্মুক্ত রাখা হয়। এটি যে কেউ দেখতে, পরিবর্তন করতে এবং উন্নয়ন করতে পারে। যেমন GPT, LLaMA, বা Baichuan-এর কিছু সংস্করণ ওপেন সোর্স হিসেবে প্রকাশ পেয়েছে। এই নীতির ফলে গবেষক, শিক্ষার্থী ও উদ্যোক্তারা কম খরচে বা বিনামূল্যে AI প্রযুক্তি ব্যবহার ও উন্নয়ন করতে পারেন।
চীনের ওপেন সোর্স উদ্যোগ
চীন সরকার ও বড় বড় টেক কোম্পানিগুলো — যেমন Baidu, Alibaba, SenseTime এবং Huawei — নিজেদের AI মডেল ওপেন সোর্স করছে। Baichuan, InternLM, এবং ChatGLM এর মতো চীনা ওপেন সোর্স ভাষা মডেলগুলো ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি মহলে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। এরা ইংরেজির পাশাপাশি চাইনিজ ভাষায় শক্তিশালী পারফর্ম করছে, যা একে বিশ্বজুড়ে বহুভাষাভিত্তিক ব্যবহারে উপযোগী করে তুলছে।
কেন চীন ওপেন সোর্স AI-কে গুরুত্ব দিচ্ছে?
১. বৈশ্বিক গ্রহণযোগ্যতা: ওপেন সোর্সের মাধ্যমে চীনা AI মডেলগুলো আন্তর্জাতিক ডেভেলপারদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে। এটি এক ধরনের 'সফট পাওয়ার', যা প্রযুক্তির মাধ্যমে চীনের ইতিবাচক ভাবমূর্তি গড়ে তুলছে।
২. তৃতীয় বিশ্বের আকর্ষণ: আফ্রিকা, দক্ষিণ এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলো উচ্চমূল্যের পশ্চিমা প্রযুক্তি কেনার সামর্থ্য না রাখলেও ওপেন সোর্স চীনা মডেল ব্যবহার করে নিজেদের প্রয়োজন মেটাতে পারছে।
৩. স্থানীয়করণে সুবিধা: চীনা ওপেন সোর্স মডেলগুলো সহজে স্থানীয় ভাষা ও সংস্কৃতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার মতো করে তৈরি করা হচ্ছে, যা মার্কিন মডেলগুলোর তুলনায় অনেক সময় বেশি গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে।
মার্কিন ওপেন সোর্স বনাম চীনা ওপেন সোর্স
মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলো যেমন OpenAI, Google বা Anthropic অনেক সময় নিজেদের উন্নত AI মডেলগুলো সম্পূর্ণ ওপেন রাখে না। তবে চীনা কোম্পানিগুলো কম বাধা দিয়ে তাদের মডেল ওপেন করে দিচ্ছে, যাতে করে বিশ্বের যে কোনো দেশ সহজেই এটি ব্যবহার করতে পারে। ফলে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ডেভেলপার ও উদ্যোক্তারা চীনা মডেল বেছে নিচ্ছেন।
অর্থনৈতিক প্রভাব
চীনের ওপেন সোর্স কৌশলের ফলে তারা শুধু প্রযুক্তিগত ভাবেই নয়, অর্থনৈতিক দিক থেকেও লাভবান হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ:
ওপেন সোর্স মডেল ব্যবহার করে গড়ে ওঠা অ্যাপ বা সার্ভিসের মাধ্যমে স্থানীয় উদ্যোক্তারা চীনা ক্লাউড সেবা গ্রহণ করছে।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা চীনা ওপেন সোর্স মডেল নিয়ে গবেষণা ও উন্নয়ন করছে, যার ফলে চীনের প্রযুক্তি রপ্তানি ও সেবা বাড়ছে।
রাজনৈতিক ও কৌশলগত দিক
চীন এই ওপেন সোর্স কৌশলকে শুধু অর্থনৈতিক বা প্রযুক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গিতে নয়, বরং কৌশলগত ভাবেও ব্যবহার করছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রণ নীতির বিরুদ্ধে এটি একটি কৌশলগত প্রতিক্রিয়া। ওপেন সোর্সের মাধ্যমে চীন বলছে — “আমরা সবাইকে অংশগ্রহণের সুযোগ দিচ্ছি” — যা যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় অনেক বেশি উন্মুক্ত মনে হয়।
ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ
তবে চীনের এই ওপেন সোর্স কৌশলের কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে:
নিরাপত্তা ও নজরদারি নিয়ে অনেক দেশ সন্দিহান।
কিছু চীনা মডেলের মান এখনও পশ্চিমা মডেলের তুলনায় দুর্বল।
ওপেন সোর্স হলেও অনেক সময় চীন সরকারের কঠোর নিয়ন্ত্রণ থাকে এই প্রযুক্তিগুলোর ওপর।
উপসংহার
ওপেন সোর্স AI এখন কেবল একটি প্রযুক্তি কৌশল নয়, বরং একটি বিশ্বব্যাপী প্রভাব বিস্তারকারী হাতিয়ার। চীন অত্যন্ত কৌশলীভাবে এটি ব্যবহার করছে — তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোকে পাশে টানছে, উন্নয়নশীল উদ্যোক্তাদের সহায়তা করছে এবং নিজেদের প্রযুক্তিগত ক্ষমতা বাড়াচ্ছে। এই পথেই চীন হৃদয় এবং বাজার দুই-ই জিততে সক্ষম হচ্ছে। তবে এই প্রতিযোগিতা ভবিষ্যতে কোন দিকে মোড় নেয়, তা নির্ভর করবে বিশ্ব রাজনীতি ও প্রযুক্তির ভারসাম্যের ওপর।
গোপালগঞ্জে বুধবার দিনভর সংঘর্ষের পর রাত থেকেই কারফিউ চলছে।২২ ঘণ্টার এই কারফিউ চলবে আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। আজ সকালে শহরের বেশিরভাগ দোকানপাট বন্ধ দেখা গেছে। তবে রাস্তায় রিকশা, ভ্যানসহ হালকা কিছু যানবাহন চলছে। মানুষের উপস্থিতিও কম। পুলিশের গাড়ি বিভিন্ন এলাকা টহল দিচ্ছে। সেখানকার আজকের চিত্র দেখুন ছবিতে