গল্প : পোড়োবাড়ির রহস্য
চতুর্থ পাঠ
দরজাটা বাইরে থেকে বন্ধ হয়ে গেছে। আমরা ধাক্কাধাক্কি করেও খুলতে পারলাম না। আমাদের চিৎকার যেন ওই ঘরের দেয়ালেই প্রতিধ্বনিত হয়ে ফিরে আসছিল। হঠাৎ করেই অমিত কেমন যেন অদ্ভুত আচরণ করতে শুরু করল। ও ফিসফিস করে অচেনা ভাষায় কিছু বলতে লাগল। ওর চোখ দুটো অস্বাভাবিক লাল হয়ে উঠেছে। আমরা ভয় পেয়ে ওর থেকে দূরে সরে গেলাম। অমিত হঠাৎ হাসতে শুরু করল, সে এক নারকীয় হাসি। তারপর সে দেয়ালে সাঁটানো একটা পুরোনো তৈলচিত্রের দিকে আঙুল তুলে বলল, "ওই দেখ, বাবা আমাদের দেখছে।" আমরা ভয়ে ভয়ে সেদিকে তাকালাম। ওটা ছিল এক ক্রूर চেহারার জমিদারের ছবি। আমাদের মনে হলো, ছবির চোখ দুটো যেন জীবন্ত এবং আমাদের দিকেই তাকিয়ে আছে। এরপর যা ঘটল, তার জন্য আমরা প্রস্তুত ছিলাম না। অমিত হিংস্রভাবে আমাদের দিকে এগিয়ে এল। ওর গলার স্বর বদলে গেছে, একটা পুরুষালি কর্কশ কণ্ঠ ওর মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসছে, "তোদের এত সাহস! আমার বাড়িতে ঢুকেছিস! তোদের সবাইকে শেষ করে দেব।" আমাদের বুঝতে বাকি রইল না, জমিদারের আত্মাই অমিতের ওপর ভর করেছে।
আমাদের অ্যাডভেঞ্চারের নেশা তখন প্রাণের ভয়ে পরিণত হয়েছে, কারণ আমাদের সামনে দাঁড়িয়ে ছিল আমাদেরই বন্ধু, যার চোখে ছিল সাক্ষাৎ শয়তানের দৃষ্টি।
#রহস্যময় 😱😱
