Md Nafiz    lumikha ng bagong artikulo
32 sa ·Isalin

গোরা ৪৪ | #এটা # মেয়েদের # মেকাপ

গোরা ৪৪

গোরা ৪৪

আজ প্রায় পনেরো দিন হইয়া গিয়াছে ললিতা স্টীমারে করিয়া বিনয়ের সঙ্গে আসিয়াছে।

ফ্রীমিক্সিং এ অভ্যস্ত মেয়েকে বিয়ে করলে নিজ সন্তানকে যেরকম একজন লজ্জাশীলা মা দিতে পারবেন না,
তেমনিভাবে ফ্রীমিক্সিং এ অভ্যস্ত ছেলেকে বিয়ে করলে নিজ সন্তানকে একজন গাইরতওয়ালা বাবা দিতে পারবেন না।
.
ভার্সিটিপড়ুয়া অধিকাংশ মেয়েই ফ্রিমিক্সিং এ অভ্যস্ত লিপ্ত। তার মানে এটা না যে সবাই ফ্রীমিক্সিং এ অভ্যস্ত,'ভার্সিটিপড়ুয়া মেয়ে বিয়ে করবো না' ন্যারেটিভ শতভাগ কার্যকর না।
মাদরাসাপড়ুয়া অধিকাংশ ছেলেই আমল,আখলাকওয়ালা।
তার মানে এটা না যে মাদরাসাপড়ুয়া সব ছেলেই সুফী,হাজবেন্ড ম্যাটেরিয়াল।
.
ভার্সিটির ফ্রীমিক্সিং পরিবেশ থেকে বেঁচে থাকা কেবল মেয়ে শিক্ষার্থীর দায়িত্ব না,
পুরুষ শিক্ষার্থীরও ফ্রীমিক্সিং পরিবেশ থেকে দূরে থাকা সমানভাবে জরুরী।
.
ফ্রীমিক্সিং কেবল নারীর জন্য হারাম না,
পুরুষের জন্যও সমানভাবে হারাম।
.
নারীর পর্দা রক্ষা করা যেমন জরুরী,
পুরুষের নজরের হেফাজতে সমানভাবে জরুরী।
.
দুশ্চরিত্রা নারী সমাজের জন্য যতটা ভয়ংকর,
লম্পট পুরুষও সমাজের জন্য ততটাই ভয়ংকর।
.
ভার্সিটিপড়ুয়া সব মেয়ে যেরকম খারাপ না,
মাদরাসাপড়ুয়া সব মেয়ে সেরকম ধোয়া তুলসীপাতা না।
.
শরঈ ওজনহীন মেয়েদের ফ্রীমিক্সিং ভার্সিটিতে যাওয়া যেরকমভাবে এড়িয়ে চলা উচিত,
তেমনি দ্বীনের দোহাই দিয়ে ছেলেদের দুনিয়াবি শিক্ষা থেকে দূরে সরে যাওয়া অনুচিত।
.
পুরুষের বৈশ্বিক জ্ঞানার্জন যতটা জরুরী,
নারীদেরকে পারিবারিক শিক্ষা প্রদান তারচেয়ে বেশি জরুরী।
.
দ্বীনি ইলম অর্জন করা পুরুষের জন্য যেমন ফরজ,
নারীর জন্যও সমানভাবে ফরজ।
.
পুরুষকে যেরকমভাবে তাকওয়া দিয়ে বিচার করা উচিৎ,
নারীকেও সেরকমভাবে তাকওয়া দিয়েই বিচার করা উচিৎ।
.
ফেমিনিস্টদের যেরকম প্রতিহত করা উচিৎ,
এক্সট্রিম মিসোজিনিস্টদেরও তেমন প্রশ্রয় দেয়া অনুচিত।
.
পুরুষ যদি হয় সভ্যতার নির্মাতা,
নারী তবে পুরুষ গড়ার কারিগর!
.

এক হাতে যেরকম তালি বাজে না,তেমনি নারী-পুরুষ একপাক্ষিক চিন্তা দ্বারা সমাজ সংস্কার হয় না।দুটি চোখ ঠিকমতো কাজ না করলে যেরকম দেহ 'সুস্থ দেহ' হিসেবে গণ্য হয় না।ঠিক তেমনি নারী-পুরুষ যার যার দায়িত্ব পালন না করলে সমাজ সুশৃঙ্খল হয় না।।বাঁ চোখ আগ বাড়িয়ে ডান চোখের কাজ করতে গেলে যেরকম চোখে ব্যথা হয়,ফাংশন করে না।ঠিক তেমনি পুরুষের কাজ নারী করলে কিংবা নারীর কাজ পুরুষ করতে চাইলে যথাযথ কার্যসিদ্ধি হয় না।
নারীর জন্য শর্ত বেঁধে দিলে,পুরুষের দায়িত্ব গুলোও স্বরণ করিয়ে দিন।দ্বীনের বিধিবিধান,নির্দেশনা নারীর জন্য যেরকম কনস্ট্যান্ট,পুরুষের জন্যও কনস্ট্যান্ট।কোনো নারী শরঈ বিধানের বাইরে যেয়ে কোনো পশ্চিমা মতবাদ গ্রহণ করলে সে যেরকমভাবে ইসলামের গণ্ডির বাইরে চলে যায়,তেমনি পুরুষ তার শরঈ দায়িত্বে অবহেলা করলে ইসলাম থেকে দূরে সরে যায়।
.
শরঈ বিধান মানা নারীর জন্য যেমন জরুরী,পুরুষের জন্যও সমানভাবে জরুরী।নারীপুরুষ কাঁদা ছোড়াছুড়ি কোনো সমাধান বয়ে আনে না।নারী-পুরুষ নিজ নিজ জায়গায় নিজ নিজ দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়েই সমাজ পূর্ণতা পায়।
নানা মতবাদ,অধিকারের নামে যারা বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে চায় তাদেরকে প্রতিহত করা নারী-পুরুষ সকলরেই দায়িত্ব।

ফ্রীমিক্সিং এ অভ্যস্ত মেয়েকে বিয়ে করলে নিজ সন্তানকে যেরকম একজন লজ্জাশীলা মা দিতে পারবেন না,
তেমনিভাবে ফ্রীমিক্সিং এ অভ্যস্ত ছেলেকে বিয়ে করলে নিজ সন্তানকে একজন গাইরতওয়ালা বাবা দিতে পারবেন না।
.
ভার্সিটিপড়ুয়া অধিকাংশ মেয়েই ফ্রিমিক্সিং এ অভ্যস্ত লিপ্ত। তার মানে এটা না যে সবাই ফ্রীমিক্সিং এ অভ্যস্ত,'ভার্সিটিপড়ুয়া মেয়ে বিয়ে করবো না' ন্যারেটিভ শতভাগ কার্যকর না।
মাদরাসাপড়ুয়া অধিকাংশ ছেলেই আমল,আখলাকওয়ালা।
তার মানে এটা না যে মাদরাসাপড়ুয়া সব ছেলেই সুফী,হাজবেন্ড ম্যাটেরিয়াল।
.
ভার্সিটির ফ্রীমিক্সিং পরিবেশ থেকে বেঁচে থাকা কেবল মেয়ে শিক্ষার্থীর দায়িত্ব না,
পুরুষ শিক্ষার্থীরও ফ্রীমিক্সিং পরিবেশ থেকে দূরে থাকা সমানভাবে জরুরী।
.
ফ্রীমিক্সিং কেবল নারীর জন্য হারাম না,
পুরুষের জন্যও সমানভাবে হারাম।
.
নারীর পর্দা রক্ষা করা যেমন জরুরী,
পুরুষের নজরের হেফাজতে সমানভাবে জরুরী।
.
দুশ্চরিত্রা নারী সমাজের জন্য যতটা ভয়ংকর,
লম্পট পুরুষও সমাজের জন্য ততটাই ভয়ংকর।
.
ভার্সিটিপড়ুয়া সব মেয়ে যেরকম খারাপ না,
মাদরাসাপড়ুয়া সব মেয়ে সেরকম ধোয়া তুলসীপাতা না।
.
শরঈ ওজনহীন মেয়েদের ফ্রীমিক্সিং ভার্সিটিতে যাওয়া যেরকমভাবে এড়িয়ে চলা উচিত,
তেমনি দ্বীনের দোহাই দিয়ে ছেলেদের দুনিয়াবি শিক্ষা থেকে দূরে সরে যাওয়া অনুচিত।
.
পুরুষের বৈশ্বিক জ্ঞানার্জন যতটা জরুরী,
নারীদেরকে পারিবারিক শিক্ষা প্রদান তারচেয়ে বেশি জরুরী।
.
দ্বীনি ইলম অর্জন করা পুরুষের জন্য যেমন ফরজ,
নারীর জন্যও সমানভাবে ফরজ।
.
পুরুষকে যেরকমভাবে তাকওয়া দিয়ে বিচার করা উচিৎ,
নারীকেও সেরকমভাবে তাকওয়া দিয়েই বিচার করা উচিৎ।
.
ফেমিনিস্টদের যেরকম প্রতিহত করা উচিৎ,
এক্সট্রিম মিসোজিনিস্টদেরও তেমন প্রশ্রয় দেয়া অনুচিত।
.
পুরুষ যদি হয় সভ্যতার নির্মাতা,
নারী তবে পুরুষ গড়ার কারিগর!
.

এক হাতে যেরকম তালি বাজে না,তেমনি নারী-পুরুষ একপাক্ষিক চিন্তা দ্বারা সমাজ সংস্কার হয় না।দুটি চোখ ঠিকমতো কাজ না করলে যেরকম দেহ 'সুস্থ দেহ' হিসেবে গণ্য হয় না।ঠিক তেমনি নারী-পুরুষ যার যার দায়িত্ব পালন না করলে সমাজ সুশৃঙ্খল হয় না।।বাঁ চোখ আগ বাড়িয়ে ডান চোখের কাজ করতে গেলে যেরকম চোখে ব্যথা হয়,ফাংশন করে না।ঠিক তেমনি পুরুষের কাজ নারী করলে কিংবা নারীর কাজ পুরুষ করতে চাইলে যথাযথ কার্যসিদ্ধি হয় না।
নারীর জন্য শর্ত বেঁধে দিলে,পুরুষের দায়িত্ব গুলোও স্বরণ করিয়ে দিন।দ্বীনের বিধিবিধান,নির্দেশনা নারীর জন্য যেরকম কনস্ট্যান্ট,পুরুষের জন্যও কনস্ট্যান্ট।কোনো নারী শরঈ বিধানের বাইরে যেয়ে কোনো পশ্চিমা মতবাদ গ্রহণ করলে সে যেরকমভাবে ইসলামের গণ্ডির বাইরে চলে যায়,তেমনি পুরুষ তার শরঈ দায়িত্বে অবহেলা করলে ইসলাম থেকে দূরে সরে যায়।
.
শরঈ বিধান মানা নারীর জন্য যেমন জরুরী,পুরুষের জন্যও সমানভাবে জরুরী।নারীপুরুষ কাঁদা ছোড়াছুড়ি কোনো সমাধান বয়ে আনে না।নারী-পুরুষ নিজ নিজ জায়গায় নিজ নিজ দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়েই সমাজ পূর্ণতা পায়।
নানা মতবাদ,অধিকারের নামে যারা বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে চায় তাদেরকে প্রতিহত করা নারী-পুরুষ সকলরেই দায়িত্ব।

দরজায় দরজায় বিক্রি হচ্ছে, 'বিয়ের নামে'
'ফ্রি স্যাম্পল',
একটা 'লাইভ ডেমো' যার এক্সপায়ারি ডেট আজই!
ব্যাপারটা এমন,, অনেকদিন ভালো খায় না,,
চল, 'মেয়ে দেখার নামে,, চা-বিস্কুটের বিলটা সেভ করি...
কাস্টমার ফিডব্যাক' নেওয়া ,, অর্ধেকটাই সমালোচনা,
সাপ্লাই চেইনের দর কষাকষি— এই আরকি!

শুভদৃষ্টি"? "পাত্রী দেখা"? — ভণ্ডামির শীতল প্রলেপ!
ভিতরে বিদ্রুপ হাসি নিয়ে যাওয়া চোদ্দগুষ্টি,,
খুঁজবে প্রিমিয়াম সব ভার্সন—
'রাশিয়ান লেদার', রান্নায় অস্কার জিতা,
``বয়স হাঁটুর নিচে,,
দক্ষতা: সংসার ঘানি থেকে,, তেল বের করে সবাইকে তেলতেলে রাখা,,!
যেন, প্রডাক্ট স্পেসিফিকেশন' চেকলিস্টে,,
একটা বাদ পড়লে,, এই ভার্সন রিজেক্ট,,
কিছু টাকার,, সান্ত্বনা-বন্ড হাতে ধরিয়ে,, মূল্যবোধ রিফান্ড করে দেয়া।।

বিয়ের নামে,, মেয়েদের পণ্যের ডেমো" বানিয়ে রাখা,,
কতবার দেখলে 'ফুল ভার্সন' নেয়ার সিদ্ধান্ত নেবে?"
সম্মানের পলিসি কী?"
এই ক্লান্তিকর, অস্বস্তিকর প্রক্রিয়ায়,,
অস্তিত্বের সংকট:,, পাত্রী দেখার নামে,,
তার,, রঙিন নখের নিচে লুকানো কতটা আঁচড়?
কতটা 'রক্তপাত?
ম্যানিকিউর হাসিতে তবুও চাই এই সমাজ নিখুঁত আর্ট,
ভেতরের বিষাদ-চিৎকারের,, কোনো দাম নেই,,
অন্যের ফ্রি দেখার আত্মসন্তুষ্টিতে।"

"একটা মানুষের আত্মা নিয়ে খেলা 'ফ্রি ট্রায়ালের' 'জিগস পাজলে?"
"মায়ের চোখে চাপা উদ্বেগ",
বাবার হতাশা নামে,, 'অভিশাপ হয়ে যাওয়া কন্যা শব্দটাতে,,
..সমাজের বানানো নিয়মের পণ্যায়নে,,..
ছেলের পছন্দ, খালু, মামাদের পছন্দ না,,
``প্রত্যাখ্যান,, সেই ক্ষতচিহ্ন এই সমাজ আবার আঙ্গুল দিয়ে দেখায়,,
,,এই উপুযুক্ত না!!

তার চিৎকার পোঁছে না,, 'অন্ধ নীরবতা চারদিক',
নিজের ভিতর দুমড়ে যাওয়া,, আর্তনাদ বলে,,
``শোরুমের ডামি নই আমি,
না কোনো 'রিটার্ন পলিসি' সম্বলিত জিনিস!
তবুও... 'বিয়ের নামে'
সস্তা নাটকের রিহার্সাল কেন বারবার হয়?

হ্যাঁ,, দেখার নিয়মে দেখুক,, পথের কাকও যেন শব্দ শুনতে না পায়"
``রিজেক্ট বাটন সবার অধিকারে থাকুক,,
``চাপিয়ে দেয়া না``।

——————
বিয়ের নামে!
সাজিদুল্লাহ ফরহাদ।

4 sa ·Isalin

ছবিটা ভালো করে দেখুন। হাত এবং পায়ের চামড়া ফেটে গেছে, মাংস গলে ফাঁকা হয়ে গেছে। ৬/৭ মাস ধরে এভাবে তার ফ্ল্যাটে মরে পড়ে আছে পাকিস্তানি এক অভিনেত্রী হুমাইরা আসগর। এতগুলা দিন ধরে একটা মানুষ উধাও অথচ কেউ জানেনা। বেঁচে আছে নাকি মরে গেছে খোঁজ নেবার মতও কেউ নাই। অথচ ক্যামেরার সামনে কত মানুষের সাথে এদের দেখা যায়। কত ভক্তবৃন্দ!!

এখান থেকে একটা শিক্ষা নিতে পারি...
পর্দায় যাদেরকে আমরা দেখে ভাবি না জানি কত আয়েশে আছে তারা। দামী দামী পোশাক, গাড়ি-বাড়ি, জুয়েলারি, সাজানো ঘর কি নেই! আহ কত সুখে। ভ্লগিং করে করে জিরো থেকে হিরো হয়ে যাচ্ছে একেকজন। আর আমরা সেই এক জামা ২/৩ বছর ধরে পরছি। একটা সাধারণ ড্রেস, জুতা, ব্যাগ কিনতে গেলেও কতবার ভাবতে হয়!

বিশ্বাস করেন এই দামী ড্রেস, জামা, জুতার মধ্যে কোনো সুখ নাই যদি থাকত তাইলে তারা এভাবে মরে পড়ে থাকত না। সত্যিকার অর্থে তারা একা, অসহায়, যতই বিলাসী জীবন কাটাক তাদের মনে শান্তি নাই। কারণ তারা তাদের রব থেকে অনেক দূরে।

আমাদের হয়তো অত বিলাসী জীবন নাই কিন্তু ১ঘন্টা বাইরে থাকলে এর ভিতরে মা-বাবা কতবার যে ফোন দিয়ে খোঁজ নেয়। বড় ভাইবোন থাকলে চিল্লাচিল্লি করে। রাগ দেখায়। হয়তো আমাদের বাড়ি এত আলিশান না, জামাকাপড় দামি না কিন্তু আমাদের অন্তরে শান্তি আছে। বিশ্বাস করেন, ভালো থাকার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট।

এখান থেকে আরো একটা শিক্ষা নিন...
এ তো গেলো দুনিয়ার কথা। বডিটার দিকে তাকান দেখেন আশে পাশে কত লক্ষ পোকা। এই বডিকে সুন্দর করতে তার কত পরিশ্রম করতে হয়েছে, গ্ল্যামারস ধরে রাখতে কত দামী দামী প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে হয়েছে। কি পরিমান এফোর্ট দিয়েছে অভিনয়ে। আজ তার কিছুই কাজে লাগেনি। তার আমল সে যত টুকু করেছে সেটুকুই তার সম্বল। তাই সব মেয়েদের জন্য এটা শিক্ষা, গ্ল্যামার কখনও জীবন নয় জীবন সেটাই যা আল্লাহ ও রাসুল শিখিয়েছেন। মানুষের কিসের এত অহংকার? হে মানুষ কিসে তোমাকে তোমার রব থেকে ভুলিয়ে রাখলো।

image
4 sa ·Isalin

৪৯.
وَإِذْ نَجَّيْنَـٰكُم مِّنْ ءَالِ فِرْعَوْنَ يَسُومُونَكُمْ سُوٓءَ ٱلْعَذَابِ يُذَبِّحُونَ أَبْنَآءَكُمْ وَيَسْتَحْيُونَ نِسَآءَكُمْ ۚ وَفِى ذَٰلِكُم بَلَآءٌۭ مِّن رَّبِّكُمْ عَظِيمٌۭ
আর স্মরণ করো, যখন আমি তোমাদেরকে ফেরাউন-পরিবার থেকে উদ্ধার করেছিলাম। তারা তোমাদেরকে কঠিন শাস্তিতে ফেলেছিল—তোমাদের পুত্র সন্তানদের হত্যা করত এবং মেয়েদেরকে বাঁচিয়ে রাখত। এতে তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে এক বড় পরীক্ষা ছিল।

-- সুরা আল-বাকারা (আয়াত ৪৯ )

★ নারী পুরুষের মধ্যে যে বিভেদ ইসলাম নিষিদ্ধ করেছে :

ইসলামের আলোকে সমাজে প্রচলিত কিছু ভুল ও গর্হিত বিভেদ হলো:

1. নারীকে কম মূল্যবান ভাবা
অনেক সমাজে কন্যাসন্তানকে বোঝা মনে করা হয়। অথচ নবীজি (সা.) বলেন—

> "যে ব্যক্তি দুটি কন্যাসন্তানকে সুন্দরভাবে লালন-পালন করবে, সে জান্নাতে আমার সঙ্গী হবে।" (সহিহ মুসলিম)




2. নারীর মতামতকে উপেক্ষা করা
ইসলাম নারীদের মতামতকে গুরুত্ব দিয়েছে। নবীজি (সা.) তাঁর স্ত্রীদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ করতেন।


3. নারীর প্রতি সহিংসতা
কোরআনে নারীদেরকে “লিবাস” (পোশাক) হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে—

> “তোমরা একে অপরের জন্য লিবাস।” (সূরা বাকারা: ১৮৭)
অর্থাৎ, একে অপরের নিরাপত্তা, স্নেহ ও সম্মানের প্রতীক। অতএব নারীকে মারধর বা অপমান করা ইসলামে হারাম।






---

🌺 আদর্শ উদাহরণ – রাসূল (সা.)

নবী মুহাম্মদ (সা.) তাঁর স্ত্রীদের প্রতি ছিলেন অত্যন্ত কোমল, ভালোবাসাপূর্ণ এবং সম্মানদানকারী। তিনি কখনও স্ত্রীদের ওপর চড়াও হননি। তিনি বলেন—

> “তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি উত্তম, যে তার স্ত্রীর সাথে উত্তম আচরণ করে।” (তিরমিজি)




---

🕌 সমাধান ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে

1. ইসলামের সঠিক শিক্ষা ছড়িয়ে দেওয়া
অনেক বিভেদ সৃষ্টি হয় ইসলামের ভুল ব্যাখ্যার কারণে। কুরআন ও সহীহ হাদীস থেকে শিক্ষা নিতে হবে।


2. পরিবার ও সমাজে নারীর মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করা
মেয়েদের ছোটবেলা থেকে আত্মবিশ্বাস ও ধর্মীয় জ্ঞান দিতে হবে।


3. পুরুষদের সংযম ও দায়িত্বশীলতা শেখানো
ইসলাম পুরুষদের আদেশ দিয়েছে, নারীদের প্রতি সদাচরণ ও সম্মান দেখাতে। (সূরা নিসা)

image
5 sa ·Isalin

বাংলাদেশের ছেলেরা Ai দিয়ে মেয়েদের নোংরা ছবি ও ভিডিও বানায় অন্য দিকে চীনের ছেলেরা

👉 চীনের নদী পাহাড়া দিচ্ছে AI মাছ

ভাবুন তো, নদীর পানির নিচে সাঁতরে বেড়াচ্ছে ছোট ছোট মাছ। কিন্তু ওগুলো আসলে মাছ নয়—রোবট! চীনে শুরু হয়েছে এক প্রযুক্তিগত বিপ্লব যেখানে বায়োনিক মাছ ব্যবহার করে বিশুদ্ধ করা হচ্ছে নদীর দূষিত পানি।

এই ছোট রোবট মাছগুলো দেখতে একদম আসল মাছের মতো। এগুলো বানিয়েছে চীনের উহান বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। দৈর্ঘ্যে প্রায় ৫৩ সেন্টিমিটার, মাথা ও লেজে রয়েছে দুটি চলনক্ষম জয়েন্ট। এদের চলাফেরা, সাঁতার কাটা একেবারে জীবন্ত মাছের মতো। কিন্তু সবচেয়ে বিস্ময়কর দিক হলো, এরা কাজ করছে চীনের দীর্ঘতম নদী Yangtze River-এ পানির মান বিশ্লেষণ এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণে।

এই বায়োনিক মাছগুলোর ভিতরে আছে স্মার্ট সেন্সর, LED আলো এবং AI সিস্টেম। তারা পানির pH, তাপমাত্রা, দ্রবীভূত অক্সিজেন, এমনকি রাসায়নিক দূষণের উপস্থিতি শনাক্ত করতে পারে। তারা পানির গভীরে গিয়ে নিজে থেকেই খুঁজে বের করে কোথায় দূষণ বেশি, কোথায় পানির মান খারাপ। তারপর সেই তথ্য পাঠিয়ে দেয় রিয়েল টাইমে গবেষকদের কাছে, যেন সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া যায়।

image

পালিয়ে যাওয়া মেয়ের প্রতি বাবার চিঠিঃ মা'রে, শুরুটা কিভাবে করবো বুঝে উঠতে পারছিলাম না। যেদিন তুই তোর মায়ের অস্তিত্ব ছেড়ে ভূমিষ্ঠ হয়েছিলি সেদিন থেকে তোকে মা বলে ডাকতে শুরু করলাম। তোকে মা ডাকতে গিয়ে নিজের মা হারানোর ব্যথা ভুলেই গিয়েছিলাম। তোর মাকেও কোনদিন মা ছাড়া অন্য নামে ডাকেতে শুনিনি। বিদ্যালয়ে প্রথম দিন শিক্ষক তোর নাম জিজ্ঞেস করেছিলেন। তোকে মা বলে ডাকতে ডাকতে তোর ডাক নামটাও ভুলে গিয়েছিলাম। আমি তোর নাম বলতে না পারায় সবাই আমাকে নিয়ে হাসতে ছিলো। তাই চিঠির উপরে তোর নামের জায়গায় মা লিখেছি। হঠাৎ করে তুই এভাবে চলে যাবি আমি তা বুঝতেই পারিনি। ছেলেটা যেদিন বাইরে ব্যাগ হাতে তোর জন্য অপেক্ষা করছিল কখন তুই দরজা খুলে বাইরে বের হয়ে আসবি? আমি তখন ভেতরে বসে স্রষ্টার কাছে প্রার্থনা করছিলাম আর কতটা ভালবাসতে পারলে তুই আমাকে ছেড়ে চলে যাবি না। তুই ঘরে বসে ভাবছিলি আজ যেতে না পারলে ছেলেটার কাছে ছোট হয়ে যাবি। আর আমি ভাবছিলাম তুই চলে গেলে সমস্ত পিতৃজাতির কাছে কি করে মুখ দেখাবো? জানিস মা, তুই তোর তিন বছরের ভালবাসা খুঁজে পেয়েছিস। কিন্তু আমার জীবন থেকে বিশ বছরের ভালবাসা হারিয়ে গেছে। মা'রে প্রত্যেকটা বাবা জানে রক্ত পানি করে গড়ে তোলা মেয়েটা একদিন অন্যের ঘরে চলে যাবে। তারপরও একটুও কৃপণতা থাকেনা বাবাদের ভেতরে। বাবাদের ভালবাসা শামুকের খোলসের মতো মা, বাহিরটা শক্ত হলেও ভেতরটা খুব নরম হয়ে থাকে।
বাবারা সন্তানদের কতোটা ভালবাসে তা বোঝাতে পারেনা, তবে অনেকটা ভালবাসতে পারে। জানি মা, আমার লেখাগুলো পড়ে তোর খারাপ লাগতে পারে। কি করবো বল? তোরা তো যৌবনে পা রাখার পর চোখ, নাক, কান সবকিছুর প্রতি বিবেচনা করে প্রেম করিস। কিন্তু যেদিন জানতে পারলাম তুই তোর মায়ের গর্ভে অবস্থান করছিস সেদিন বুঝতে পারিনি তুই কালো না ফর্সা হবি, ল্যাংড়া না বোবা হবি, কোন কিছুর অপেক্ষা না করেই তোর প্রেমে পরেছিলাম তাই এতকিছু লিখলাম। আমি জানি মা তোদের সব সন্তানদের একটা প্রশ্ন বাবারা কেন তাদের ভালো লাগা টাকে সহজে মানতে চায় না? উত্তরটা তোর ঘাড়ে তোলা থাকলো, তুই যেদিন মা হবি সেদিন নিজে নিজে উত্তরটা পেয়ে যাবি। তোরা যখন একটা ছেলের হাত ধরে পালিয়ে যাস তখন ওই ছেলে ছাড়া জীবনে কারও প্রয়োজন বোধ করিস না। কিন্তু একটা বাবা বোঝে তার জীবনে নিজের মেয়েটার কতটা প্রয়োজন। যেদিন তোর নানুর কাছ থেকে তোর মাকে গ্রহন করেছিলাম সেদিন প্রতিজ্ঞা করেছিলাম যে, যদি মেয়ে হয় তাহলে নিজের মেয়েটাকে তার স্বামীর হাতে তুলে দিয়ে কণ্যা দানের দায়িত্ব থেকে নিজেকে হালকা করবো। তাই তোর প্রতি এত অভিমান। মারে বাবার উপর রাগ করিসনা। তোরা যদি অল্প দিনের ভালবাসার জন্য ঘর ছেড়ে পালাতে পারিস, তবে আমরা বিশ বছরের ভালবাসার জন্য বেপরোয়া হবো না কেন? বাবারা মেয়ে সন্তানের জন্মের পর চিন্তা করতে থাকে নিজের মেয়েটাকে সুপাত্রের হাতে তুলে দিতে পারবে তো? আর যৌবনে পা রাখার পর চিন্তা করে কোনো প্রতারনার ফাঁদে পরে পালিয়ে যাবে না তো? তাই মেয়েদের প্রতি প্রত্যেকটা বাবার এতটা নজরদারি। যদি মন কাঁদে চলে আসিস বুক পেতে দেবো। হয়তো তোর মায়ের মতো তোকে পেটে ধরিনি, তবে পিঠে ধরার যন্ত্রণাটা সহ্য করতে পারছিনা। ইতি তোর জন্মদাতা "পিতা"

(এই চিঠিটা পড়ে অন্তত একটি মেয়ে/ছেলেও যদি তাদের সিদ্ধান্ত

image

কেনো ডেকেছেন এখানে। (জয়)
-কেনো ডেকেছি সেটা তো জানবেন
কিছুক্ষনের মধ্যেই।(অনু)
আপনার নামটা জয় না।
-হ্যাঁ।
-আপনার সাথেই তাহলে আমার বিয়ে ঠিক হয়েছে।
(অনু)হ্যাঁ।আপনার মতন ছেলের সাথে বাবা কেনো যে আমার বিয়ে ঠিক করল জানিনা । আপনার মতন ছেলেরা এমনি ভালো সুন্দর মেয়েদেরকে বিয়ে করার জন্য কুকুরের মতন লেগে থাকেন। বাবা মাকে কোনরকম সাঁতপাঁচ বুঝিয়ে আমাদের মতন মেয়েকে বিয়ে করে সব কিছুর মালিক হবার চিন্তা করেন।
-এসব কি বলছেন আপনি। (জয়)
-যেটা সত্য আমি ওটাই বলছি।
আপনি কি আমার যোগ্য বর।
-ওহ তার মানে আমাকে আপনার পছন্দ হয় নি। এটা সহজে বলে ফেললেই পারতেন। এতো অপমান করার কি আছে। আমি আপনার বাবাকে না করে দিবো বিয়েতে।
-ধন্যবাদ আপনাকে।
-আপনার মতন মেয়ের মুখে ধন্যবাদ শব্দটা মানাই না। আর কি বলছেন আপনি অনেক সুন্দরী। আয়নাতে নিজের চেহারাটা দেখেছেন কখনো। আপনার পেছনে এখন দশটি ছেলে ঘুরে, কারন আপনার শরিরটাকে ভোগ করার জন্য। সবাই লোলুপ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে আপনার দিকে। এতে করেই ভেবে নিয়েছেন আপনি কতমহামুল্যবান জিনিষ। আরে দশ বছর পর আপনার দিকে কেউ তাকাবে না। তখন সবাই নতুনের দিকে তাঁকাবে। তখন মনে পড়বে আপনার সোন্দর্যের কথা। আর টাকা পয়সার কথা বলছেন,টাকা আজ আছে কাল নেই। সেইজন্য বলে গেলাম রুপ যৌবন আর টাকা পয়সা নিয়ে কখনো অহংকার বা গর্ব করবেন না। যখন আপনার বয়স ৫০ বছর হবে তখন আপনার শরিরের চামড়া হয়ে যাবে ঢিলে ঢালা। তখন আপনার কাছের লোকও আপনাকে আর ভালোবাসবে না। ছিঃ ছিঃ করবে। সেইসময় আপনার স্বামীই আপনাকে ভালোবাসবে। আপনাকে অনেক কিছু বলে ফেলেছি। আর হ্যাঁ আমি আজকেই না বলে দিবো আপনার বাবাকে। আমাদের মতন কালো মুর্খ গরীবদের ভেবে চিন্তে বিয়ে করা উচিত। আমাদের বামন হয়ে চাঁদ ধরতে যাওয়া ঠিক না।কথাগুলো বলে সেখান থেকে চলে আসলাম। মেয়েটির ভাব দেখে মনে হচ্ছিলো একটা ঠাপ্পর মেরে দিই।
কিন্তু প্রথমবার বলে দিলাম না।
-সেদিন অনুর বাবার সাথে দেখা করলাম।
-আমি আপনার মেয়েকে বিয়ে করতে পারবোনা। (আমি)
-কেনো কিহয়েছে বাবা, কোন ঝামেলা হয়েছে নাকি।
-জ্বী না তেমন কিছুই হয় নি আমি অনুর জন্য যোগ্য পাত্র না। অামার চেয়েও ভালো পাত্র তার দরকার।
-এসব কি বলছো জয়।
-হ্যাঁ ঠিকি বলছি। তবে কথাগুলো অনুই আমাকে বলেছে। আর বাকিটুকু অনুর কাছে থেকে শুনে নিবেন। আর হ্যাঁ বিয়েটা ক্যান্সিল।
-অনুর বাবাকে একটা ভালো শিক্ষা দিলাম। মেয়েকে শাষন করতে পারেনা সে কি করে বাবা হয়।
সেদিনের পর থেকে আর অনুর বাবার সামনে যায় নি। তিনি আমাকে দেখা করার জন্য অনেক বলেছেন।
তবুও কোন লাভ হয় নি তার।
-কিরে জয় কি শুনছি এসব। (বাবা)
-কি শুনেছো।
-তুই নাকি বিয়ে করবি না।
-হ্যাঁ তবে অনুকে না। অনুকে বাদ দিয়ে অন্য মেয়েকে বিয়ে করবো।
কেনো।
-অনুর অহংকার বেশি।
-তাহলে এখন কি করবি।
-নতুন মেয়ে দেখে বিয়ে করবো।
তবে মেয়েটা জেনো গ্রামের মেয়ে হয়।
পনেরো দিনের মাথাই জয় বিয়ে করেছে। শহর ছেড়ে গ্রামের ভিতরে। জয়ের ইচ্ছাতেই বিয়েটা হয়েছে।
জয়ের এখনকার স্ত্রীর টাকা পয়সার রুপের কোন অহংকার নেই। সহজ সরল মেয়ে। জয় এখন অনেক খুশি এমন বউ পেয়ে।
-আজকে অফিসে যাবেন (রুহি) (ওহ জয়ের নতুন বউয়ের নাম রুহি)
-হ্যাঁ কেনো।
-যদি সময় করে বাজারটা করে দিতেন।(রুহি)
-কি কি লাগবে বলো আমি করে এনে দিচ্ছি। রুহি একটা লিষ্ট করে দিলো আমি সেই অনুযায়ী বাজার করে নিয়ে আসলাম।
-আজকে অফিস বন্ধ। সকাল বেলাতে ঘুমের কারনে উঠতে ভালো লাগছিলো না তাই আর উঠিনি । দুপুরের দিকে রুহিই ঘুম থেকে ডেকে তুলে দিয়ে গোসল করতে বলে গেলো। গোসল করে এসে বাবা মা রুহি সবাই মিলে একসাথে খেলাম। বিয়ের পরে একদিনও রুহিকে নিয়ে বেড়াতে যায় নি তবুও রুহির কোন অভিযোগ নেই আমার উপর। ভাবছি আজকেই রুহিকে নিয়ে বেড়াতে যাবো। এমন স্ত্রীই দরকার যেসব স্ত্রীর চাওয়া গুলো হবে খুব ছোট যে গুলো পূরন করার ক্ষমতা আছে তার স্বামীর। এমন মেয়ে বিয়ে করা উচিত না যেসব মেয়ে হিজাব পড়তে চাই না, বিয়ের পরেও অনেক রাত করে বাড়ি ফেরে, বাবা মাকে অসম্মান করে। এমন মেয়ে প্রয়োজন যেসব মেয়ে কালো হলেও নিজের মাঝে আত্তসম্মানবোধ আছে ।
রুপ সৌন্দর্য টাকা দিয়ে কি হবে এগুলো তো আর সারাজীবন থাকে না ।
জয় যেমন টা করেছে ওসব মেয়েদেরকে এমনি করা উচিত, কিন্তু বর্তমানে মানুষ এসব না দেখে টাকার লোভে ওদেরকে বিয়ে করছে। বুঝবে একদিন,তবে যেদিন বুঝবে সেদিন কিছুই করার থাকবে না। # #

আজকে খুব ভাল লাগছে আমার।কারন আমি জীবনেওট্রেনে ভ্রমন করিনি আজ করব।আমাদের বাসা কুমিল্লা আর ট্রেনে করে বেড়াতে যাবো আমার খালার বাসায়উনার বাসা সিলেট।উনার বাসায় আরো অনেক বারই যাওয়া হইছে বাসে করে কিন্তু ট্রেনে করে এই প্রথম যাওয়া।আবার সিলেট শহর টা অনেক সুন্দর একটা শহর। অনেক দিন পরে খালার বাসায় যাচ্ছি তাই আজকে মনের মধ্যে অজানা এক উৎফুল্ল ও ভাললাগা কাজ করছে।কুমিল্লা ট্রেন স্টেশনে গিয়ে একটা টিকেট কেটে বসে আছি। দশমিনিট পরে ট্রেন আসবে।দেখতে দেখতে ট্রেন এসে গেল।আমি আমার ব্যাগ টা নিয়ে ট্রেনের মধ্যে আমার সিট খুঁজে বসে পড়লাম।আমার ভাগ্য মনে হয় ভালই ছিল। আমি যে ট্রেনে জানালার পাশে সিট পেয়েছি।একটু পরে একটা মেয়ে এসে পাশে বসল।মেয়েটা অনেক সুন্দরি ছিল।ট্রেন ছেড়ে দিয়েছে ট্রেনের গতির সাথে সাথে গাছ-পালা গুলোও দুরে চলে যাচ্ছে।মাঝে মাঝে রেললাইনের
পাশের বাড়ির সামনে ছোট ছোট বাচ্চাদের হৈ চৈ দেখতে পেলাম হয়ত ট্রেন দেখে ওরাও আনন্দ পাচ্ছে।এই সব আনন্দঘন দৃশ্য গুলো দেখে অজান্তেই মনের মধ্যে অন্যরকম শিহরন বয়ে যেতে লাগল।
—এই ছেলে একটা কথা ছিল।
—হুম বলেন।
—কিছু মনে করবের না তো।
—না বলেন।
—আমাকে এই জানালার পাশের সিটে বসতে দিন।
—বললেই হল।এটা আমার সিট আমিই বসব।
—কই দেখি দেখি।সিটে আপনার নাম আছে নাকি।
—সিটে নাম থাকবে কেন।
—এখনি তো বললেন এটা আপনার সিট।আপনার সিট হলে তো নাম থাকবেই।
—টিকেট কেটেছি আমি এই সিটের জন্য এবার বুঝেছেন।
—হুম।বুঝলাম।দেখি টিকেটটা।
—এই যে দেখেন সিট নাম্বার।
বলতেই টিকেটটা ছু মেরে হাত থেকে কেড়ে নিল মেয়েটা।
এবার কি হবে মিস্টার।
—আরে আরে আপনি আমার টিকেট নিলেন কেন।
—টিকেট নিয়েছি আপনাকে পুলিশে ধরিয়ে দিব।বলব আপনি বিনা টিকিটে ট্রেনে চরেছেন।
—প্লিজ এমনটি করবেন না।
—ঠিক আছে করবনা।আপনার সিটে আমাকে বসতে দিন টিকিট ফিরিয়ে দিব।
—ওকে।বসেন।এই বলে আমি মেয়েটাকে আমার প্রিয় জানালার সিট ছেড়ে দিলাম আর মেয়েটা টিকেট টা দিল।মনে মনেভাবছি কি সাংঘাতিক মেয়েরে বাবা পুরাই ছিনতাই কারিদের মত স্বভাব।যাক বাবা জানালার পাশের সিট গেলে গেছে মিথ্যা বলে যে পুলিশে দেয় নি আল্লাহর কাছে হাজারশোকর।সরি।—সরি কেন।
—আপনার সাথে খারাপ আচরণ করার জন্য।
—ইটস ওকে।
—আসলে আমি জানালার পাশের সিট ছাড়া বসতে পারিনা।
—ঠিক আছে।বসেন।
—আপনার নাম কি।
—জয়।আপনার।
—মিথিলা।কিসে পড়েন আপনি।
—আমি অনার্স সেকেন্ড ইয়ারে পড়ি।আপনি।
—আমি ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারে পড়ি।আপনার বাসা কি সিলেট নাকি।
—না।কুমিল্লা। সিলেট আমার খালামনির বাসা।আপনার বাসা কোথায়।
—আমার বাসা সিলেট।কুমিল্লা আমার নানুর বাসা সেখানেই বেড়াতে গিয়েছিলাম।
—ওও।ভাল।
আর কথা না বলে আমার মোবাইলটা বের করে ফেসবুকে লগিন করলাম।ফেসবুকে বিভিন্ন পেজের গল্প পড়তে লাগলাম ও মাঝে মাঝে বন্ধুদের ছবিতে লাইক দিচ্ছি। মেয়েটার দিকে আরচোখে তাকিয়ে দেখলাম।মেয়েটা একদৃষ্টিতে বাহিরের দিকে তাকিয়ে প্রাকৃতির অপরুপ সৌন্দয উপভোগ করছে।
আমি আর কোন কথা বললাম না।কারন মেয়েদের সাথে আমি কথা বলতে পারিনা প্যাচ লাগাই ফেলি লজ্জা বেশি তো তাইতো।তাই কথা না বলাই উত্তম।
দেখতে দেখতে ট্রেন সিলেট চলে এসেছে।এখনি ট্রেন থেমে যাবে।আর একটু পরেই সবাই নেমে যাবে এই ট্রেন থেকে।প্রায় ছয় ঘন্টার এই ভ্রমন শেষে নিজেকে খুব ট্রায়াড মনে হচ্ছে।মিথিলা বলল,,বাই আশাকরি আবার দেখা হবে। আমিও বাই বলে নেমে গেলাম ট্রেন থেকে।
রাতে খালামনি বাসায় রাতের খাবার খেয়ে শুয়ে মোবাইলটা হাতে নিয়ে ফেসবুকে লগইন করলাম।ফেসবুকে ঢুকেই দেখি একটা ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট আসছে আইডির নাম মেঘকন্যা মিথিলা।প্রোফাইল পিকচারে একটি প্রজাপতির ছবি।প্রোফাইলের প্রজাপতিটা অনেক সুন্দর ছিল।একসেপ্ট করলাম।সাথে সাথে একটা মেসেজ আসল।
—হাই।
—হ্যালো।
—কি অবস্থা।
—ভাল।আপনার।
—ভাল।আমাকে কি চিনছেন।
—না তো কে আপনি।
—আমি মিথিলা।
—কোন মিথিলা।
—আরে আজ ট্রেনে কথা হয়েছিল।
—ওও।চিনেছি।কিন্তু আপনি আমার আইডির নাম কিভাবে পেলেন।
—আপনি ট্রেনে ফেসবুক চালাচ্ছিলেন তখন আপনার প্রোফাইল নাম আর পিকচার দেখিছিলাম।
—ওও।তাই।
—হুম।কি করেন।
—এই তো রাতের খাবার শেষ করে শুয়ে আছি।একটু পরে ঘুমাবো।আপনি।
—আমিও খাবার শেষ করে শুইলাম।আর ঘুমাবো।
—ওকে।শুভ রাত্রি।আবার কথা হবে।
—শুভ রাত্রি।(এই বলে ফেসবুক থেকে লগআউট করললাম)
প্রতিদিন মিথিলার সাথে চ্যাটিং হত।আস্তে আস্তে আমরা ভাল বন্ধু হয়ে গেলাম।তারপর দুইজন নাম্বার নিয়ে মোবাইলেও কথা হত।প্রতিদিন মোবাইলে কথা হত কেন যেন আমি মিথিলার সাথে এখন একদিন কথা না বললেই মনে হাজার বছর ধরে মিথিলার সাথে কথা হয় না।
আস্তে আস্তে আমি মিথিলার উপরে দুর্বল হয়ে গেলাম। কিন্তু তাকে ভালবাসি এই বলতে খুব ভয় করছে যদি সে আমাকে ছেড়ে চলে যায়।থাক বন্ধু হয়েই থাকি এতেই ভাল ছেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই।
একদিন মিথিলা বলল সে নাকি কুমিল্লা তার নানুর বাসায় আসছে।আর সে আমাকে দেখতে চায় কত্ত দিন
হয়ে গেল আমাকে দেখেছে।সেই ট্রেন ভ্রমনে দেখেছে। আমি বলে দিলাম বিকেলে দেখা করব ইকো পার্কে।
আজ ভাবছি সাহস করে মিথিলাকে মনের কথা বলে দিব। যা হবার তাই হবে।তবুও আজ বলতেই হবে।কারন আমি জানি মিথিলাও আমাকে ভালবাসে।আর এটাও আমি জানি মেয়েদের বুক ফাটে কিন্তু মুখ ফাটে না।তাই মিথিলাও বলতে পারবে না।যা বলার আমিই বলতে হবে। সবাই দোয়া করবেন যেন সাহস না হারাই। # #