14 u ·Prevedi

২৮ বডি

image
4 u ·Prevedi

SSMB29 সিনেমায় ফাইট সিকোয়েন্স বডি ডাবল নয় বরং মহেশ বাবু খুদ করবেন। ⚡🔥

অবাকক হওয়ার কিছু নাই মহেশ আগে পুরো সিনেমার একশন সিকোয়েন্স নিজেই করতেন এখন কিছুটা কমিয়েছে। এখন সিনেমায় ৮০% একশন সিকোয়েন্স নিজেই করেন মহেশ।

◾ শুনা যাচ্ছে এই সিনেমায় মহেশ বাবুর কোনো বডি ডাবল ব্যাবহার করা হবে না। নিজের একশন সিন নিজেই শ্যুট করবেন মহেশ বাবু। এই সিনেমায় থাকবে হাই-অকটেন ওয়ার্ল্ডক্লাস একশন সিকোয়েন্স।

◾এই সিনেমায় মহেশ বাবুকে সলো ড্যান্স নাম্বারে দেখা যাবে। এই গানের জন্য লার্জার দ্যান সেট নির্মাণ করবেন রাজামৌলি।

◾ প্রিয়াঙ্কা চোপড়া একটি গানের কিছু অংশ শ্যুটিং করে ফেলেছেন।

◾ রাজামৌলির সাথে মাগাধিরা, বাহুবালী, RRR সিনেমার সিনেমাটোগ্রাফার স্যান্থিক কুমার SSMB29 সিনেমায় কাজ করবেন না। রাজামৌলি চাচ্ছেন এই সিনেমা নতুন কাউকে নিয়ে কাজ করবেন। পুরো সিদ্ধান্ত এখানে রাজামৌলির ছিল!

#ss49 #maheshbabu #ssmb29 #rajamouli #priyankachopra

5 u ·Prevedi

ছবিটা ভালো করে দেখুন। হাত এবং পায়ের চামড়া ফেটে গেছে, মাংস গলে ফাঁকা হয়ে গেছে। ৬/৭ মাস ধরে এভাবে তার ফ্ল্যাটে মরে পড়ে আছে পাকিস্তানি এক অভিনেত্রী হুমাইরা আসগর। এতগুলা দিন ধরে একটা মানুষ উধাও অথচ কেউ জানেনা। বেঁচে আছে নাকি মরে গেছে খোঁজ নেবার মতও কেউ নাই। অথচ ক্যামেরার সামনে কত মানুষের সাথে এদের দেখা যায়। কত ভক্তবৃন্দ!!

এখান থেকে একটা শিক্ষা নিতে পারি...
পর্দায় যাদেরকে আমরা দেখে ভাবি না জানি কত আয়েশে আছে তারা। দামী দামী পোশাক, গাড়ি-বাড়ি, জুয়েলারি, সাজানো ঘর কি নেই! আহ কত সুখে। ভ্লগিং করে করে জিরো থেকে হিরো হয়ে যাচ্ছে একেকজন। আর আমরা সেই এক জামা ২/৩ বছর ধরে পরছি। একটা সাধারণ ড্রেস, জুতা, ব্যাগ কিনতে গেলেও কতবার ভাবতে হয়!

বিশ্বাস করেন এই দামী ড্রেস, জামা, জুতার মধ্যে কোনো সুখ নাই যদি থাকত তাইলে তারা এভাবে মরে পড়ে থাকত না। সত্যিকার অর্থে তারা একা, অসহায়, যতই বিলাসী জীবন কাটাক তাদের মনে শান্তি নাই। কারণ তারা তাদের রব থেকে অনেক দূরে।

আমাদের হয়তো অত বিলাসী জীবন নাই কিন্তু ১ঘন্টা বাইরে থাকলে এর ভিতরে মা-বাবা কতবার যে ফোন দিয়ে খোঁজ নেয়। বড় ভাইবোন থাকলে চিল্লাচিল্লি করে। রাগ দেখায়। হয়তো আমাদের বাড়ি এত আলিশান না, জামাকাপড় দামি না কিন্তু আমাদের অন্তরে শান্তি আছে। বিশ্বাস করেন, ভালো থাকার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট।

এখান থেকে আরো একটা শিক্ষা নিন...
এ তো গেলো দুনিয়ার কথা। বডিটার দিকে তাকান দেখেন আশে পাশে কত লক্ষ পোকা। এই বডিকে সুন্দর করতে তার কত পরিশ্রম করতে হয়েছে, গ্ল্যামারস ধরে রাখতে কত দামী দামী প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে হয়েছে। কি পরিমান এফোর্ট দিয়েছে অভিনয়ে। আজ তার কিছুই কাজে লাগেনি। তার আমল সে যত টুকু করেছে সেটুকুই তার সম্বল। তাই সব মেয়েদের জন্য এটা শিক্ষা, গ্ল্যামার কখনও জীবন নয় জীবন সেটাই যা আল্লাহ ও রাসুল শিখিয়েছেন। মানুষের কিসের এত অহংকার? হে মানুষ কিসে তোমাকে তোমার রব থেকে ভুলিয়ে রাখলো।

image

দেখো নিশি, আমি তোমাকে সত্যিই অনেক বেশি ভালবাসি। আর কতো বার বলবো। তুমি বুঝো না কেনো?
কি বুঝবো? তোমাকে ছাড়া আমার কেমন যেন একা একা লাগে। খুব অসহায় ফিল করিদেখেন উৎস ভাইয়া, আপনাকে আমি আগেও বলছি আর এখন আবারো বলছি রাস্তা মাপেন। আমার কাছে এইসব হবে না।কথা টা বলেই নিশি ওর বান্ধবীদের নিয়ে হাসতে হাসতে চলে গেলো। সেই ১ম দিন থেকে এখন পর্যন্ত ওকে যতবারই আমার ভালবাসার কথা বলেছি ও ততোবারই রাস্তা মাপেনবলে হাসতে হাসতে চলে গেছে। দিনের পর দিন সে হাসি যেন বেড়েই চলেছে আর আমার কষ্ট। এবারেও তার ব্যতিক্রম হলো না। আর ওকে ভাইয়া ডাকতে অনেকবার মানা করছি। তাও প্রতিবার বলবেই। ফাজিল মাইয়া। যেন খুব মজা পায় বলে। আমি ওর চলে যাওয়া রাস্তার দিকে তাকিয়ে আছি। খুব রাগ লাগছে। আরে বদ মেয়ে আমার রাস্তা তো তোর কাছে। তুই যেদিকে যাবি সেদিকেই আমার রাস্তা।
আমি এবার ভার্সিটি তে থার্ড ইয়ারে পড়ি। আর নিশি সেকেন্ড ইয়ার। নিশি যখন ফার্স্ট ইয়ারে তখন ওকে দেখেই আমার ভালো লেগে যায়। কেমন যেন শান্ত বাদামি চোখ, পাতলা ভ্রু, ঘন চুলের মেয়েটার ভেতর অসম্ভব মায়া। সেই মায়ায় মুহূর্তেই আমি ওর প্রেমে পড়ে গেলাম। পরে শুনলাম নিশির বাবা নাকি পুলিশ অফিসার। তাই ৫ মাস শুধু চেয়ে চেয়ে দেখেছিলাম। তারপর একদিন এক গ্লাস পানি খেয়ে হাঁটু কেঁপে কেঁপে ওকে আমার জীবনের ১ম এবং ব্যর্থ প্রেম টি নিবেদন করেছিলাম।
আগেই বুঝেছিলাম এই মেয়ে এতো সহজে ধরা দিবে না। তাই আমি হাল ছাড়িনি। এখন আস্তে আস্তে ভয় কেটে গেছে। তাই এক দুই মাস পরপরই ওকে গিয়ে প্রপোস করে আসি। আজও গিয়েছিলাম। ফলাফল নিয়মিত যা হয় তাই ই হলো।
এ.আর. প্লাজার সামনে দাঁড়িয়ে আছি। একটু পর পুলিশের বদ মাইয়া এই দিক দিয়ে ভার্সিটি থেকে আসবে। এবার ভাবছি একটু অন্য ভাবে ট্রাই মারবো। অনেক ভাবেই তো পটানোর চেষ্টা করলাম। কখনো গোলাপ হাতে, কখনো কবিতা শুনিয়ে, কখনো দু হাত বাড়িয়ে শাহরুখ খান স্টাইলে। কোনো কিছুতেই তো কিছু হলো না। ওইতো নিশি আসছে! সাথে ওর মোটা দুই বান্ধবীও আছে দেখছি। এই দুইটা মনে হয় ওর বডিগার্ড। আমি ডাক দিলাম নিশিইই..ও আমাকে দেখে এগিয়ে এলো। তারপর বললকি ব্যাপার। আজ ভার্সিটি না গিয়ে এখানে দাঁড়িয়ে আছেন যে।এইতো একটা কাজে আসছিলাম তো.. শুনলাম এখানে যেই নতুন রেস্টুরেন্ট টা হয়েছে ওখানকার খাবার গুলা নাকি অনেক ভাল। তাই ভাবছি টেস্ট করতে যাবো নাকি।ও আচ্ছা যান তাহলে। বাই..
-> এই না শুনো কি তোমার প্রিয় স্যান্ডউইচও আছে ওখানে
— যান খেয়ে আসেন
-> না মানে একা একা যেতে ঠিক ইচ্ছা করছে না। তুমি ফ্রি থাকলে চলো দুজনে যাই।
এটা শুনে নিশির ভাবের কোনো পরিবর্তন এলো না। শুধু কিছুক্ষন আমার দিকে তাকিয়ে থাকলো। ও হয়তো জানতোই আমি এমন কিছু বলবো। এরপর ও পিছে ঘুরে হাতের ইশারায় ওর বান্ধবীদের ডাকলো।এই তোরা ভাইয়ার সাথে রেস্টুরেন্টে যা। ভাইয়া নাকি তোদের ট্রিট দিবে। আমি বাসায় যাচ্ছি। তোরা খেয়ে দেয়ে আয় কেমন।ওর বান্ধবীদের উদ্দেশ্যে কথাটা বলেই নিশি সোজা হাঁটা ধরলো। যাবার আগে একবার পিছনে তাকিয়ে মুচকি হেসে বলল এবার তো আপনাকে আর একা যেতে হলো নাতারপর ওর বান্ধবী দুইটা আমার দিকে হায়েনার মতো লুক দিয়ে আমাকে রেস্টুরেন্টের ভেতর নিয়ে গেল। মনে হলো কত দিন ধরে যেন খায়নি। কাজের কাজ তো কিছুই হলো না মাঝখান দিয়ে মুটকি দুই টা খেয়ে নিজেদের ওজন বাড়িয়ে আমার মানিব্যাগের ওজন টা কমালো। এসব যন্ত্রণা কি সহ্য হয়। তাও নিশির বান্ধবী বলে সহ্য করে নিতে হলো।
আজ আরেকটা বুদ্ধি পাইছি ওরে পটানোর। কিন্তু নিশি কোথায়? ওইতো ও ক্যাম্পাসের জাড়ুল গাছটার নিচে বসে আছে। আজ দেখছি ও একাই আছে। যাক ভালই হলো। আর একটু এগিয়ে গিয়ে দেখি ওর হাতে বই খাতা। মনে হয় ক্লাসের নোট করছে।আমি ওর কাছে গিয়ে বললাম
-> কি নিশি পড়াশোনা হচ্ছে নাকি
ও মুখ তুলে আমাকে একবার দেখে নিলো। তারপর আবার খাতার কাজে মনযোগ দিলো। তারপর বলল
— জি.. দেখতেই তো পাচ্ছেন
-> আমি কি তোমার পাশে একটু বসতে পারি?
ও আমার দিকে না তাকিয়েই বলল
— জি না ভাইয়া।ফাজিল মাইয়া। মুখের ওপর না বলে দিলো। মনে হয় এই মেয়ের কাছে আমার এক পয়সাও দাম নাই। কি লজ্জার ব্যাপার। আবার ভাইয়াও ডাকলো। সুন্দর কথায় বাঁশ দেয়া এই মেয়ের থেকে শেখা উচিৎ। যাই হোক প্রেম করতে হলে এতো কিছু ভাবলে চলবে না।আমি বললাম নিশি একটা কথাবলে ফেলেনআমার সাথে এক জায়গায় যাবা?কোথায়?শপিং মলে.. কি করতে? শপিং মলে মানুষ কি করতে যায়? আজ তুমি যা চাও তাই তোমাকে কিনে দিবোকথাটা শোনার পর নিশি আমার দিকে এমন ভয়ংকর চোখে তাকালো যেই দৃষ্টির সাথে আমার আগে কখনো পরিচয় হয়নি! তারপর বসা থেকে উঠে দাঁড়ালো। একদম আমার সামনা সামনি। ওর চোখেমুখে রাগের ছড়াছড়ি! ও আমার ওপর চেচিয়ে বললোকি বললি তুই! আমাকে শপিং করাতে নিয়ে যাবি! আর একবার বল! বল কি বললি!কি ব্যাপার! নিশি এতো রেগে গেল কেন??? রেগে আমাকে তুই করে বলতেছে। প্লান অনুযায়ী এমন তো হওয়ার কথা ছিল না। আরিফ ই আমাকে এই বুদ্ধিটা দিয়ে বলল মেয়েরা শপিং এর কথা শুনলে নাকি খুশিতে গদগদ করে। আর এ তো উলটে রেগে গেল! রাগে রীতিমত ফুঁসতেছে!! পুলিশ বাপকে বলে দিবে নাতো!!! পরিস্থিতি মারাত্মক দেখে পেছনে ঘুরে দৌড় দেবো তখন নিশি বললএই কোথায় যাচ্ছ.. দাঁড়াও বলছি..আমি সামনে ঘুরে মাথা নিচু করে দাঁড়ালাম। ও বললতুমি কি ভাবলে যে শপিংয়ের কথা বললে আমি তোমার সাথে ডিং ডিং করে চলে যাবো?না মানে সব মেয়েরাই তো..আমাকে তোমার ওসব মেয়েদের মত মনে হয়?না.. আমি যাই এখন.. এক পাও নড়বে না এখান থেকে..আমি চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকলাম। খেয়াল করলাম ও তুই থেকে তুমিতে নেমে এসেছে। এই প্রথম ওর মুখে তুমি করে শুনলাম। ও বললআমি একটা ডিসিশন নিলামএবার আমি ওর চোখের দিকে তাকালাম। ওর চোখ এখন অনেক টাই শান্ত। আমার জিজ্ঞাসু দৃষ্টি দেখে ও বললবুঝেছি তোমার প্রপোজের স্টক সব শেষ হয়ে গেছে। এখন কোথা থেকে কি সব শুনে সেসব এপ্লাই করতেছো। বাজে বাজে বুদ্ধি সব তাহলে কি করবো? আর কিছু করতে হবেনা। অনেক করেছেন। এবার আপনাকে একসেপ্ট করা হলো। না হলে আরো কত কি দেখতে হবে কে জানে..আমি ওর কথা শুনে পুরাই ঘোরের মধ্যে চল # #

অফিসের দিনগুলোতে সকালে আমি আগে স্নানে যাই, তারপর যান "উনি" মানে আমার কর্তা আজ হঠাৎ বাথরুমের দরজা দিয়ে উঁকি মেরে জিজ্ঞেস করলেন,
তুমি কোনওদিন সাবান মাখো না?"
আমি অবাক হয়ে -- 'মানে?'
উনি -- না, কোনোদিন সাবানটা ভিজা থাকে না, তাই...
আমি -- ঐ সাবানটা মাখি না! ওই গোলাপী মতো বোতল'টা আছে, ওইটা মাখি!
উনি আশ্চর্যান্বিত গলায় -- "ওটা শ্যাম্পু নয়?"
আমি -- 'না, ওটা বডিওয়াশ! তুমি কি শ্যাম্পু ভেবে মেখেছো?'
উনি কিঞ্চিৎ চিন্তিত হয়ে -- "ঠিক খেয়াল পড়ছে না, সাদা বোতল'টা শ্যাম্পু! আর লাল'টা?"
আমি -- 'ওটা কণ্ডিশনার!'
কৌতুহলী উনি -"আর সবুজ, জেলি জেলি মতো, ওটা??"
আমি উত্তরে বলি -- 'ওটা ফেসওয়াশ!'
উনি আরও বেশি কৌতুহলী -- "তাহলে দানা দানা, খসখসে মতোটা, ওটা কি??"
আমি বিরক্ত হয়ে -- 'ওটা ফেস স্ক্রাবার।'
আমার উনি জবাব দেন -- "স্ক্রাবার তো টিউবের মতো'টায় লেখা!!"
আমি হতাশ হয়ে -- 'ওটা বডি স্ক্রাবার!'
উনি কৈফিয়ত তলব করার ভঙ্গিতে -- "আর চ্যাপ্টা মত কৌটোটায়??"
আমি -- 'ওটা হেয়ার প্যাক!'
এবার উনি -- "আর নীল গোলাপী ছোট টিউব??"
আমি রাগত স্বরে -- 'ওটা হেয়ার রিমুভার ক্রিম!'
স্বামী জেরা করার সুরে -- "তাহলে এইটা (বাথরুমের দরজা দিয়ে হাত বাইরে বের করে)??"
আমি হাঁপিয়ে ওঠা গলায় -- 'হেয়ার সিরাম!'
অবাক উনি -- "কি রাম??"
আমি চেঁচিয়ে -- 'রাম নয় রে বাবা.....সেরাম, সেরআআআআম!!'
এবার উনি ঠাণ্ডা গলায় প্রশ্ন করেন -- "আর অয়েল-ইন-ক্রিম লেখা'টা কোথায় মাখো?"
এবার ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙা আমি চিৎকার করে উঠি --
'আমার যেখানে খুশি মাখি, রান্না করি ঐ তেল দিয়ে, হয়েছে? লাগবে তোমার?? গাড়িতে ঢালবে?? অ্যাঁ??
সক্কাল সক্কাল বাথরুমটা লণ্ডভণ্ড করছে লোকটা....আমি এবার পাগল হয়ে যাবো.....!!'
এবারে আমার উনি আস্বস্ত করার ভঙ্গিতে -- "আচ্ছা, আচ্ছা, বাদ দাও, আমারও মাথা গুলিয়ে গেছে!!
বলছি, তাহলে সাবান'টা দিয়ে কিছুই করো না?
মানে কিছুই করো না আর কি??"
এরপর যদি এই জলের মতো সরল, ফুলের মতো কোমল মেয়েটা রেগে যায়.....তাহলে আমায় দোষ দিও না.... # #

10 u ·Prevedi

আজকের ম্যাচে আমাদের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি হলো আমাদের সলিড ডিফেন্স। মিডফিল্ড এ নিয়ন্ত্রণ ছিল না জন্য ম্যাচ টা চোখের দেখায় একদমই বাজে মনে হয়েছে। তবে হতাশার মধ্যেও আশার আলো আমাদের ডিফেন্স লাইন। ভেন্ডারসন কিছু মিস করলেও যথেষ্ট সাপোর্ট দিয়েছেন। এলেক্স সান্দ্রো, রিবেইরো, মার্কুইনহোস, ভেন্ডারসন সবাই মিলে একদম সলিড ডিফেন্স করে গেছেন। সো এই বিষয়টা কিন্তু আমাদের মানতেই হবে।

ডোরিভাল এর আমলে কোনোদিন ডিফেন্স নিয়ে সন্তুষ্ট হতে পেরেছেন? নিশ্চয়ই না। কিন্তু আনচেলোত্তির প্রথম ম্যাচেই ডিফেন্ডারদের সলিড পারফরম্যান্স আমরা পেয়েছি। অ্যালিসনও যথেষ্ট ভালো ছিল।

মিড নিয়ে কিছু বলার নাই৷ মিডে নিয়ন্ত্রণ ছিলনা বলেই পুরো ম্যাচ বিচ্ছিরি লেগেছে। ফরোয়ার্ড দের নিয়ে কথা বললে বলব ভিনি আজকে যথেষ্ট ভালো খেলেছে, তাকে নিয়ে অভিযোগ নেই। রিচার্লিসন, এস্তেভাও হতাশ করেছে। আমি আগেও বলেছি এস্তেভাও এখনও জাতীয় দলে স্টার্ট করার মতো ম্যাচুর্ড না। হালকা বডি, বল না ছাড়া, একা গোল করার চেষ্টা এগুলাই বলে দেয় এস্তেভাও এর আরও সময় প্রয়োজন।

নেক্সট ম্যাচে রাইট উইং সামলাবে রাফিনহা আর অ্যান্টোনি। আশা করি ফরোয়ার্ড নিয়ে আমাদের সমস্যা হবে না। তাহলে বলা যায় ডিফেন্স আর ফরোয়ার্ড ঠিকঠাক, বাকি শুধু মিডফিল্ড।একটু সময় দেন আনচেলোত্তি সেটাও ঠিক করে

10 u ·Prevedi

আজকের ম্যাচে আমাদের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি হলো আমাদের সলিড ডিফেন্স। মিডফিল্ড এ নিয়ন্ত্রণ ছিল না জন্য ম্যাচ টা চোখের দেখায় একদমই বাজে মনে হয়েছে। তবে হতাশার মধ্যেও আশার আলো আমাদের ডিফেন্স লাইন। ভেন্ডারসন কিছু মিস করলেও যথেষ্ট সাপোর্ট দিয়েছেন। এলেক্স সান্দ্রো, রিবেইরো, মার্কুইনহোস, ভেন্ডারসন সবাই মিলে একদম সলিড ডিফেন্স করে গেছেন। সো এই বিষয়টা কিন্তু আমাদের মানতেই হবে।

ডোরিভাল এর আমলে কোনোদিন ডিফেন্স নিয়ে সন্তুষ্ট হতে পেরেছেন? নিশ্চয়ই না। কিন্তু আনচেলোত্তির প্রথম ম্যাচেই ডিফেন্ডারদের সলিড পারফরম্যান্স আমরা পেয়েছি। অ্যালিসনও যথেষ্ট ভালো ছিল।

মিড নিয়ে কিছু বলার নাই৷ মিডে নিয়ন্ত্রণ ছিলনা বলেই পুরো ম্যাচ বিচ্ছিরি লেগেছে। ফরোয়ার্ড দের নিয়ে কথা বললে বলব ভিনি আজকে যথেষ্ট ভালো খেলেছে, তাকে নিয়ে অভিযোগ নেই। রিচার্লিসন, এস্তেভাও হতাশ করেছে। আমি আগেও বলেছি এস্তেভাও এখনও জাতীয় দলে স্টার্ট করার মতো ম্যাচুর্ড না। হালকা বডি, বল না ছাড়া, একা গোল করার চেষ্টা এগুলাই বলে দেয় এস্তেভাও এর আরও সময় প্রয়োজন।

নেক্সট ম্যাচে রাইট উইং সামলাবে রাফিনহা আর অ্যান্টোনি। আশা করি ফরোয়ার্ড নিয়ে আমাদের সমস্যা হবে না। তাহলে বলা যায় ডিফেন্স আর ফরোয়ার্ড ঠিকঠাক, বাকি শুধু মিডফিল্ড।একটু সময় দেন আনচেলোত্তি সেটাও ঠিক করে ফেলবেন।

আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা ভুল পাস৷ এটার সমাধান অতীব জরুরি প্রয়োজন, সেই সাথে দ্রুত বল রিকোভারি করার জন্য হাই প্রেসিং এর বিকল্প নেই। আমি বিশ্বাস করি আনচেলোত্তি ব্রাজিলকে ঠিক করে ফেলবে। সিজনাল দের মতো চিল্লাপাল্লা না করে ধৈর্য ধরুন আনচেলোত্তি আমাদের বেটার কিছু দিবে।

একটা কোচ রাতারাতি সব সমস্যার সমাধান দিতে পারবে না এটা আপনাকে বুঝতে হবে।

10 u ·Prevedi

আমার বিয়ে হয়েছে আমার চাচাতো ভাইয়ের সাথে। সে আমাকে মা"রধর করে। আমিও কম কিসে? মুখে মুখে অনেক তর্ক করি, আমিও দুই-চার ঘা দেই।
আরজুর কথা শুনে সামনে বসে থাকা পুলিশ অফিসার হেসে উঠলেন আর বললেন,
“তাহলে এখন কি আপনি আপনার স্বামীর নামে কমপ্লেইন লিখতে এসেছেন?”

।”

“তাহলে তো অনেক ভালো হয়েছে আপনার জন্য মনে হচ্ছে, ম্যাডাম। আপনাকে মারধর করার আর লোক নেই। আপনি চাইলে তাঁর বিরুদ্ধে নির্যাতনের মামলা করতে পারেন।”

আরজু একটু বিরক্ত মুখে বললো,
“আপনি বুঝতে পারছেন না। আমি ওকে একটুও সহ্য করতে পারতাম না। কিন্তু কয়েকদিন যাবৎ না খেয়ে আছি, খিদে পায় না, সব ফাঁকা ফাঁকা লাগে আমার। আমার ‘চিল লাইফ’কে চিল্লাচিল্লি করে রেখে গেছে—ঘুমাতে পারি না। ঠিক মতো হাসতেও পারি না আর আগের মতো। আমার সব এলোমেলো হয়ে গেছে স্যার। তাঁকে খুঁজে বের করুন।”

পুলিশ বললেন,
“আচ্ছা, আপনি শুরু থেকে বলুন। আমি শুনি, এরপর কাজে নামবো ইনশাআল্লাহ।”

কথা বলার পরপরই ফোন বেজে উঠল ইন্সপেক্টর বোরান মাহফুজের। বার কয়েক কেটে দিলেন।
তার পরেও লাভ হলো না।
আরজু সামনে মুচকি হেসে একটি রুমে গেলেন। আরজুর থেকে দূরে বসে আছে এক বৃদ্ধ লোক, হাতে তাঁর খাবারের বক্স। পাশে আরও অনেক পুলিশ কাজ করছে। কেউ কানে ফোন ধরে আছে তো কেউ কাগজপত্র ঘাঁটাঘাঁটি করছে। নানা মানুষ নানান কাজে ছুটে চলেছে—কিন্তু আরজুর সবকিছু যেন থমকে গেছে। সবকিছু নিশ্চুপ, নীরবতা পালন করছে। সবার কথা মাঝে মাঝে কানে আসে না—কোথায় যেন হারিয়ে থাকে সে।

“হ্যালো ম্যাডাম? হ্যালো? এই যে?”

ধাক্কা খেয়ে চমকে উঠলো আরজু। বললো, “জি?”

ইন্সপেক্টর বোরান বললেন, “কোথায় হারিয়ে ছিলেন?
আপনার চাচাতো ভাইয়ের নাম কী? মানে, আপনার স্বামীর নাম?”

আরজু বললো, “তিমুর মির্জা।”

“আর আপনার নাম কী?”

“আমার নাম আরজু মির্জা।”

পুলিশ ইন্সপেক্টর বোরান বললেন,
“তার মানে তো মনে হচ্ছে ভদ্র ফ্যামিলির মেয়ে আপনি।”

বোরানের কথা শুনে চেহারার দিকে ভালো করে তাকালেন আরজু।
পুলিশ ইন্সপেক্টর দেখতে ভালোই—সুস্বাস্থ্য অধিকারী, বেশ ফিট ও জিম করা বডি।
‘জিম’ বলার অবশ্য কারণ আছে "আজকালকার যুগে অনেক অফিসার ঘুষ খেয়ে ভুঁড়ি বের করে ফেলেছে। তা এই অফিসারের নেই। গায়ের রং হলদে ফর্সা, চাপ দাড়ি রেখেছেন। মনে হয় নামাজ পড়েন—তবে এটা বলা ভুল হবে, এমন যুগে অনেকেই শখ করে রাখে দাঁড়ি, ফ্যাশন দেখানোর জন্য।

আরজু বললো, “আপনি কি বিবাহিত?”

বোরান আরজুর কথায় একটু তাজ্জব হলেন। মেয়েকে কিছু বললে তার উল্টোটা বলছে! এ কেমন?

“জি হ্যাঁ, মোতররমা, আমি বিবাহিত।
এবার বলুন, কী এমন ঝামেলা হয়েছিল আপনাদের মধ্যে, যে আপনাকে রেখে সে উধাও হয়ে গেছে?”

আরজু বললো, “আমার গলা অনেক শুকিয়ে গেছে... কিছু আনবেন?”

ইন্সপেক্টর বোরান একটি ছেলের নাম ধরে ডাকলেন,
“তুহিন! এই তুহিন, এদিকে আয় তো।”

আট-নয় বছরের একটি বাচ্চা ছেলে, পরনে গেঞ্জি আর শর্টস পরে, ছুটে এলো আর বললো,
“বলুন স্যার?”

“যা তো, এক কাপ চা নিয়ে আয়, সাথে পানি।”

আরজু বললো,
“হু হু, না না, আমি চা খাই না... সেভেন আপ নিয়ে আসুন।”

বোরান কী বলবে ভেবে পাচ্ছেন না—সে কি আজ কোনো পাগলের পাল্লায় পড়েছে নাকি! চোখে-মুখে হাত দিয়ে বললেন,
“তুহিন! যা, সেভেন আপ নিয়ে আয়, জলদি।”

তুহিন মাথা নেড়ে বললো,
“হঁ… এখনই আনতাছি,”
বলেই বাহিরে চলে গেলো।

বোরান বললেন,
“কোথা থেকে শুরু হয়েছিল…”

“আমার অনেক বিয়ের প্রস্তাব আসতো,
একদিন…”

চলবে..

তন্দ্রাচ্ছন্ন_প্রেম
শিরিন_মৃদু
সূচনা পর্ব

10 u ·Prevedi

ছয়মাসের প্রেগন্যান্ট নিশিতাকে যখন তার স্বামী লাথি মেরে বের করে দিচ্ছিলো আশেপাশের সবাই শুধু তামাশা দেখছিলো। কেউ এগিয়ে আসে নি। নিশিতার শাশুড়ি আর ননদ তো কত বিশ্রি বিশ্রি গালাগালি করছিলো। নিশিতা সেদিন কতটা অসহায় ছিলো সেটা হয়তো কেউ ধারণাও করেনি। প্রেগন্যান্ট অবস্থায় কোথায় যাবে কোথায় কি? বাপের বাড়িতেও তো যাওয়ার মুখ নেই। এমনটা নয় বাবা মা খুব গরিব৷ বরং নিশিতার বাবা একজন সফল ব্যবসায়ী। পালিয়ে বিয়ে করায় বাবা মা ত্যাজ্য করে দিয়েছিলেন। তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন যদি জানতেন নিশিতার ফ্যামিলি কত ভালো তবে কি এভাবে লাথি মারার সাহস হতো? স্বয়ং অর্নবও তো জানে না।

আজ বাইশ বছর কেটে গেছে। নিশিতার সেইদিনের পেটে থাকা বাচ্চাটা আজ একুশ বছরের। আজ একুশটা বছর কেটে গেলো সেদিনের। নিশিতা বেঁচে নেই৷ বছর পনেরো আগে কার এক্সিডেন্টে মারা গেছেন৷ সেদিন এতবড় বিপদে থাকা নিশিতাকে আর কেউ নয়, বরং নিশিতার পাগল প্রেমিক অয়ন নিজের নিয়ে গেছিলো। অর্নবের সাথে ডিভোর্সটা করিয়ে নিশিতাকে বিয়ে করে নিয়েছিলো। অয়ন সবসময় নিশিতাকে চোখে চোখে রাখতো৷ তবে ভাগ্যক্রমে সেদিন খুব দেরি হয়ে গিয়েছিলো। তবুও নিজের করে তো পেয়েছে। মেয়েটা কখনোই স্বামীর অধিকার দেয় নি। তাতে কি? এতগুলো বছর তো নিজের কাছে রয়ে গেছিলো।

অন্তিকা আমান নিধি। নিশিতার মেয়ে। অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে পড়াশোনা করছে ঢাকার সনামধন্য এক প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে। বাবা অয়ন, দাদী আর ফুপ্পির সাথেই তার জীবন। মা মারা যাওয়ার পর থেকে একেবারেই চুপচাপ হয়ে গেছে মেয়েটা। বিয়ের কথা উঠলেও অয়ন নিষেধ করে দেয় তার মাকে। মেয়েকে তিনি মুক্ত বিহঙ্গের মতো উঁড়তে দেখতে চান।

আজ নিধি ভার্সিটি থেকে ফেরার সময় তার গাড়ি খারাপ হয়ে যায়। হাঁটতে হাঁটতে অর্ধেক রাস্তায় আসতেই একজন লোকের সাথে ধাক্কা লাগে৷ লোকটাকে দেখে নিধি চিনে ফেলল। তার বাবা অয়ন তাকে সমস্ত কথা বলেছে। এই লোকটা তারই বাবা অর্নব। ঘৃণা করলো তার এই লোকটাকে। মায়ের কথা মনে পড়লো খুব। আর কান্না পেলো। কিন্তু এরা এখানে কি করছে?

অর্নব শেখের চোখেমুখে বয়সের ছাপ পড়েছে। এমনিতেই খিটখিটে মেজাজে রয়েছে তার ওপর এই মেয়ে তাকে ধাক্কা দিয়েছে। আজকাল কার মেয়েরা মানুষ দেখলেই ইচ্ছে করেই ধাক্কা কেন দেয়। চোখ তুলে তাকাতেই মেয়েটার খুব চেনা চেনা লাগলো উনার। তবুও খিটখিটে মেজাজের থাকায় চেঁচিয়ে বলে উঠল,

'এই বেয়াদব মেয়ে। তোমার সাহস হয় কিভাবে আমাকে ধাক্কা দেওয়ার? তুমি জানো আমি কে?'

ভ্রু কুঁচকালো নিধি। সে ভদ্রভাবেই বলল,

-' আমি ইচ্ছে করে ধাক্কা দেই নি।'

অর্নব আরও রাগ দেখালো,

-' ভদ্রতা শেখোনি? আবার বলছ ইচ্ছে করে ধাক্কা দাও নি। বেয়াদব কোথাকার।'

নিধির এই লোকের সাথে কথা বলতেও বাধলো। সে চলে যেতে চাইলো। তবে বাঁধা দিলেন অর্নব শেখ। ধমকে বললেন,

-'এই বেয়াদবের বাচ্চা। তোর বাবা মা তোকে ভদ্রতা শেখায় নি? আমি চাইলে তোকে এখনই জ্যান্ত পুতে দিতে পারবো।'

কোন বাবার ব্যবহার এমন হতে পারে জানা নেই নিধির। অয়ন মানুষটা নিজের বাবা না হলেও ছোট থেকে কোলেপিঠে মানুষ করেছেন। নিধি এবারও ভদ্রভাবেই বলল,

-'আমি তো বলছিই আমি ইচ্ছে করে ধাক্কা দেই নি। এতো সিনক্রিয়েটের কি আছে? তবুও বলছি দুঃখিত। যেতে দিন আমায়।'

এই বলে নিধি চলে যেতে নিলে তার সামনে এসে এক মেয়ে দাঁড়ালো। মেয়েটা তারই সমবয়সী হবে হয়তো। কিন্তু চিনতে পারলো না কে এই মেয়ে। মেয়েটা এসে ন্যাকা স্বরে বলে উঠল,

-'হোয়াট হ্যাপেন পাপা? এই মেয়েটা কে?'

কোথাও একটা আঘাত লাগলো নিধির। এই লোক তাহলে আরেকটা বিয়ে করেছিলেন। মেয়েটা তার সমবয়সী। নিশ্চয়ই পরকীয়া করতেন। ঘৃণায় এবার থু থু ফেলল পাশের ড্রেনে। এদিকে মেয়ের কথায় অর্নব শেখ বলে উঠলেন,

-'আরে এক বেয়াদব মেয়ে। আমাকে নানা কথা শোনাচ্ছে। ইচ্ছে তো করছে একে চড় মারি।'

মেয়েটা এবার নিধির দিকে তাকিয়ে মুখ কুঁচকে বলল,

-'তোমার মা বাবা তোমাকে কিছু শিক্ষা দেয় নি?'

রেগে গেলো নিধি। ক্রুদ্ধ আওয়াজে বলল,

-'আমার বাবা মা আমাকে সবকিছুই শেখিয়েছেন। যেটা হয়তো তোমার বাবা নিজে পরিবার থেকে আয়ত্ত করতে পারেন নি।'

এই বলেই সামনে হাঁটা ধরলো। বডিগার্ডরা তখন কোথা থেকে যেনো এলো। সাথে মজনু কাকাও আছে। মজনু কাকা বলে উঠলেন,

-'তুমি একা কেন চলে আসছিলে মা? আমরা তো গাড়িটা ঠিক করছিলামই।'

নিধি কিছু বলতে যাবে এর আগেই তার হাত কেউ ধরে তাকে পেছনে ঘুরিয়ে গালে একটা চড় বসিয়ে দিলো।

#চলবে

#তুমি_ছিলে_বলে
#পর্ব_১
#নুজহাত_মুন

10 u ·Prevedi

বডি ম্যাসাজ

10 u ·Prevedi

#
#
.
রিংকিঃ রিয়ানু বইন আমার। কি করলি তুই এইটা!! ওই তহ এখন তোর লাইফ হেল করে ছাড়ব।
.
রিয়ানাঃ তুই দেখিস নি কত বাজে ভাবে কথা বলছিল ও!! আমি সব সহ্য করলেও নিজের আত্মসম্মান নিয়ে কোন কম্প্রোমাইজ করবো না।
.
রিংকিঃ আই নো ইয়ার বাট হি ইজ পাওয়ারফুল। আর তুই..
.
রিয়ানাঃ দূর্বল আর অনাথ তাই তহ।
.
রিংকিঃ আমি তা মিন করে নি।
.
আরিশাঃ দেখ রিয়ানু ভুল বুঝিস না। রিনকু তা মিন করি নি। দেখ তুই একা থাকোস। আমেনা আন্টিও ২ বছর আগে মারা গেছে। এখন তোর রক্ষা করার মত কেউ নেই। তোকে নিজের রক্ষা নিজের কর‍তে হবে কিন্তু এইসব মানুষদের সাথে তুই একা পারবি না তাই বলছি একটু সাবধানে থাক। এইসব ঝামেলায় না জরা।
.
রিংকিঃ হ্যাঁ ইয়ার। আমার সবসময় তোর ভালো চাই। তাই তোকে এইসব থেকে দূরে থাকতে বলি।
.
রিয়ানাঃ হু।
আমি আর কিছু না বলে উঠে চলে আসি। ভালো লাগছে না আর। আজ নিজের আপন বলতে কেউ নেই বলে প্রতিবাদ করাও দোষের।
ঠিকই বলে সবাই, যার কেউ নেই তার কিছুই নেই। কোন অধিকার নেই তাদের। তাদের জীবন কাটাতে হয় ভয় আর আশংকার মধ্যে। পদে পদে সাবধানে চলতে হয় যেন কোন বিপদ না আসে তাদের। বিপদ আসলে বাঁচাবে কে তাদের??
.
.
🍁
.
.
বাসায় এসে আমি রুমের দরজা আটকিয়ে দেই তারপর নিজের ব্যাগ ছুঁড়ে ফেলে নিচে বসে খাটের উপর মাথা রাখি। নয়ন দুটিতে অশ্রুর বন্যা জমে থাকাতে ভার হয়ে এসেছে। বাধ ভেংগে বেড়িয়ে আসতে চাচ্ছে। অবশেষে সেই বাধ ভেংগে বেড়িয়ে আসে বন্যা আর ভাসিয়ে দেয় আমার গাল দুটি।
--" আজ নিজের বাবা মা নেই বলে সবাই আমাকেই মাথা নিচু করে চলতে বলছে। অন্যায়কে মেনে নিতে বলছে। কেন!! কেন!!
কেন এত ভয়ে ভয়ে থাকবো আমি কেন!!"
.
আমি কিছুনা বলে চুপচাপ মাথা নিচু বসে থাকি।
.
.
🍁🍁🍁
.
.
-- " হাও ডেয়ার হি। আমার জানের দিকে নজর দেওয়ার সাহস পায় কিভাবে সে?? বড্ড ভুল করেছিস আমার জানের দিকে কুনজর দিয়ে। তাকে বাজে প্রস্তাব দিয়ে। তাকে কাঁদিয়ে ঠিক করিস নি তুই!!! এর শাস্তি তোকে পেতেই হবে। তাও খুব ভয়ংকর শাস্তি "
.
এই বলে টেবিল থেকে গ্লাস উঠিয়ে দেয়ালে স্বজোরে আছার মারে। তারপর নিচ থেকে একটি কাঁচের টুকরো উঠিয়ে নিজের হাতের চেপে ধরে, সাথে সাথে রক্ত বেড়িয়ে আসে।
.
-- " খুব জলদিই তোমার এই কষ্টের দাম একজনকে দিতে হবে। "
.
.
🍁🍁🍁
.
.
পরেরদিন,
আমি মেডিক্যালের জন্য রেডি হয়ে বেড়িয়ে আসতেই দরজার সামনে একটি বেলি ফুলের ঝুড়ি দেখতে পাই। ঝুড়িটি হাতে নিয়ে ফুলের ঘ্রাণ নিতে থাকি। একদম মন ভালো করার মত জিনিস এইটি। যখন ফুলের ঘ্রাণ নিতে থাকি তখন চোখে পড়ে একটি কোনে থাকা কার্ডটির দিকে।
হাতে নিয়ে পড়তে শুরু করি।
.
" 💚হাসিতে তুমি
কান্নাতে তুমি
আলোতে তুমি
আধারেও তুমি
শত তুমিতেই
আমার তুমি💚 "
.
.
পরার সাথে সাথে মুখে এক রাশ হাসি ফুটে উঠে আমার। এইসবই এখন আমার এখন অভ্যাসে পরিনত হয়েছে। কে পাঠায় তা আমার জানা না হলেও আমার জন্য তার অসীম ভালবাসা ঠিকই বুঝতে পারি। অনেকবার তাকে খুঁজার চেষ্টা করেছি কিন্তু প্রতিবারই এর ফল শূন্য তাই এইবার ফ
হাল ছেড়ে দিয়েছি। থাকুক না কিছু ভালবাসা অপ্রকাশিত।
ফুল গুলো ভিতরে রেখে বেড়িয়ে পড়ি মেডিক্যালের উদ্দেশ্যে।
.
.
মেডিক্যালে এসে দেখি আরিশা আর রিংকি মুখ ফ্যাকাশে করে বসে আছে। আমি তাদের কাছে গিয়ে বসে জানতে চাই কি হয়েছে। তারা আমার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।
.
রিংকিঃ তুই আজকের টিভি নিউস বা পেপার পড়োস নাই??
.
রিয়ানাঃ আমি আবার এইসব কবে থেকে দেখা বা পড়া শুরু করলাম??
.
আরিশাঃ তার মানে তুই কিছুই জানোস না??
.
রিংকিঃ এইটাই যে কাল রাতে রকি মারা গিয়েছে!!
.
রিয়ানাঃ মানে!! কিভাবে??
.
আরিশাঃ রাতে নাইট ক্লাব থেকে ফিরার সময় কে জানি ওর গাড়ি ধাক্কা দেয় আর গাড়িটি খাঁদে পড়ে ব্লাস্ট হয়ে যায় আর ও অন দ্যা স্পোট মারা যায়।
.
রিংকিঃ পুরো বডি জলসে গেছে। চিনাও বহুত মুশকিল। কিন্তু অবাক করার বিষয় হলো ওর ডান হাত টা পুরো উদাও। মানে লাশের মধ্যে ডান হাত ছিল না সাথে চোখ আর জিহ্বা ও।
.
রিয়ানাঃ পাগল হয়ে গিয়েছিস?? কিসব বলছিস। এইসব থাকবে না কেন??
.
আরিশাঃ ওই রিংকি