Md Elias  Criou um novo artigo
11 C ·Traduzir

পর্ব___<<<____>>>___৬ | ## মন পাজরে তুই

পর্ব___<<<____>>>___৬

পর্ব___<<<____>>>___৬

মন পাজরে তুই____<<<<<_____>>>>>_____
3 d ·Traduzir

পুরনো জুতা

তানিমের নতুন জুতা নেই। বন্ধুরা হাসে।
শাওন নিজের একটা পুরনো জুতা সাফ করে এনে দেয়।
তানিম জিজ্ঞেস করে, “তুই দিচ্ছিস কেন?”
শাওন বলল, “তোর পা যাতে কাঁদে না।”

4 d ·Traduzir

একটি ছেলেকে বলা এক বাবার হৃদয়ছোঁয়া কথা......!

বাবা ছেলেকে বললেন:

“আগে নতুন বউকে গরুর গাড়ি নয়, পালকিতে করে আনা হতো জানিস কেন?
যাতে সবাই বুঝে নেয়, একজন রাজরানিকে আনা হচ্ছে, সাধারণ কাউকে নয়।
পালকি থেকে নামার পরেও সে যেন সারাজীবন এই সম্মানেই থাকে
এটা তোর দায়িত্ব।”

“তুই জানিস, নতুন বউ পালকিতে উঠে কী করে?
সে কাঁদে।

কার জন্য কাঁদে?
শুধু ফেলে আসা মা-বাবার জন্য না,
সে কাঁদে অজানা ভবিষ্যতের ভয়ে।

তোর কাজ হলো
এই কান্নাই তার জীবনের শেষ কান্না হয়, সেটা নিশ্চিত করা।”

“এরপর সে কাঁদবে মাত্র দুইবার:
১/ মা হওয়ার আনন্দে,
২/তুই মারা গেলে, তোর শোকে।

মাঝখানে যত দুঃখ আসবে,
তুই হবে তার চোখের অশ্রুমুছনো হাত।”

“জানিস, বউ সবচেয়ে বেশি কষ্ট পায় কিসে?
স্বামীর খারাপ ব্যবহারে।

আমি খুব রাগী,
তবু কখনো তোর মায়ের সঙ্গে উঁচু গলায় কথা বলিনি।
বিয়ে মানে একটা মেয়ের জীবনের ভার নিজের কাঁধে তুলে নেওয়া।
এ দায়িত্ব ভুলে গেলে, সৃষ্টিকর্তার কাছে জবাবদিহি করতেই হবে।”

“আরেকটা কথা মনে রাখিস
তোর বউয়ের মা-বাবাকে কখনো ‘শ্বশুর-শাশুড়ি’ বলিস না,
মা-বাবা বলিস।
তুই যেমন বলবি, তোর বউ তেমনই শিখবে।
ভালোবাসা শেখানো শুরু হয় নিজের ব্যবহার দিয়ে।”

“সৃষ্টিকর্তা সবকিছু দেখেন।
তোর পাল্লায় তুই যা দিবি,
তিনি তাঁর পাল্লায় ঠিক তাই দিবেন।”

বিয়ে মানে শুধু দু’জন মানুষের বন্ধন নয়,
এটা একে অপরের চোখের জল মুছে ফেলার চুক্তি।

*****যদি বাবার এই উপদেশ ভালো লেগে থাকে,
শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন হয়তো কোনো এক ছেলের চোখ খুলে যাবে আজ 🥰🥀#foryouシ

4 d ·Traduzir

__গল্পের নাম: "চালাক মা, তা'লাক কন্যা"..!🧕👉🤵💔👰

__একটা ছোট শহরে রোজিনা বেগম নামে এক মহিলা থাকতেন। তিনি ছিলেন খুবই বুদ্ধিমতী, কথায় পাকা, আর সামান্য বিষয়েও নিজের মত চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করতেন। তার একমাত্র মেয়ে ছিল সানজিদা। মেয়েটি দেখতে সুন্দর, শিক্ষিত, তবে মা'র প্রভাবে একটু বেশি আত্মবিশ্বাসী আর অহংকারী হয়ে উঠেছিল..!😏

__রোজিনা বেগম সবসময় মেয়েকে বলতেন,
– "তোর শ্বশুরবাড়ির কেউ যদি তোকে একটু কষ্ট দেয়, সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদ করবি! কোনোরকম ছাড় দিবি না। আমরা কি কেউ কম নাকি..?😏😠

__সানজিদা বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতে যায়। স্বামী রাশেদ ছিল সহজ-সরল, ভালো মানুষ, কিন্তু খুব বেশি কথা বলতো না। শ্বশুর-শাশুড়িও ছিলেন শান্ত স্বভাবের। কিন্তু সানজিদা সেখানে একটু কিছু হলেই মায়ের শেখানো পথে প্রতিক্রিয়া দিতো..!😒🥀

__একদিন শুধু ডাল পাতলা হয়েছে বলে সে রাগ করে নিজে রান্নাঘরে গিয়ে ডাল ফেলেই দিল। আরেকদিন স্বামী অফিস থেকে দেরি করে আসায় রেগে গিয়ে দরজা খুলতে দেয়নি। দিনদিন তার আচরণ এমন হয়ে উঠছিল যেন সবাই তার দাস..!💔

__রাশেদ অনেক চেষ্টা করেও শান্তি আনতে পারলো না। কথা বললে ঝগড়া, চুপ থাকলে অপমান। কয়েক মাস না যেতেই তালাক হয়ে গেল..!🤵💔👰

__রোজিনা বেগম বললেন,
– "ওরা তোকে বুঝতে পারেনি, তুই তো ঠিকই ছিলি..!🙂😒

__তারপর দ্বিতীয় বিয়ে হলো। নতুন শ্বশুরবাড়ি, নতুন স্বামী। কিন্তু একই আচরণ, একই চিন্তাধারা। আবারও তালাক।💔

__এভাবে একে একে তিনবার বিয়ে হলো সানজিদার। কিন্তু মায়ের শেখানো চালাকি, তর্ক, অহংকার, একচেটিয়া মনোভাব – সব কিছুই সম্পর্ক ভেঙে দিতে লাগলো।❤️💔

__শেষে যখন সানজিদা একা হয়ে গেল, তখন একদিন আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে ভাবল,
– "সব দোষ কি শুধু তাদেরই ছিল? না কি মা’র চালাকির চেয়ে একটু ভালোবাসা, ধৈর্য আর নম্রতা শিখলেই জীবনটা অন্যরকম হতো..?😥💔

__গল্পের শেষে বলা যায়..!
চালাকি দিয়ে সম্পর্ক টেকে না, টেকে সহনশীলতা, শ্রদ্ধা আর মনের মিল দিয়ে। মায়ের চাতুর্যের ছায়া যদি মেয়ের জীবনে অহংকার হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে প্রেমের জায়গা করে নেয় তালাকের নোটিশ।

Khadija💔

4 d ·Traduzir

__গল্পের নাম: "চালাক মা, তা'লাক কন্যা"..!🧕👉🤵💔👰

__একটা ছোট শহরে রোজিনা বেগম নামে এক মহিলা থাকতেন। তিনি ছিলেন খুবই বুদ্ধিমতী, কথায় পাকা, আর সামান্য বিষয়েও নিজের মত চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করতেন। তার একমাত্র মেয়ে ছিল সানজিদা। মেয়েটি দেখতে সুন্দর, শিক্ষিত, তবে মা'র প্রভাবে একটু বেশি আত্মবিশ্বাসী আর অহংকারী হয়ে উঠেছিল..!😏

__রোজিনা বেগম সবসময় মেয়েকে বলতেন,
– "তোর শ্বশুরবাড়ির কেউ যদি তোকে একটু কষ্ট দেয়, সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদ করবি! কোনোরকম ছাড় দিবি না। আমরা কি কেউ কম নাকি..?😏😠

__সানজিদা বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতে যায়। স্বামী রাশেদ ছিল সহজ-সরল, ভালো মানুষ, কিন্তু খুব বেশি কথা বলতো না। শ্বশুর-শাশুড়িও ছিলেন শান্ত স্বভাবের। কিন্তু সানজিদা সেখানে একটু কিছু হলেই মায়ের শেখানো পথে প্রতিক্রিয়া দিতো..!😒🥀

__একদিন শুধু ডাল পাতলা হয়েছে বলে সে রাগ করে নিজে রান্নাঘরে গিয়ে ডাল ফেলেই দিল। আরেকদিন স্বামী অফিস থেকে দেরি করে আসায় রেগে গিয়ে দরজা খুলতে দেয়নি। দিনদিন তার আচরণ এমন হয়ে উঠছিল যেন সবাই তার দাস..!💔

__রাশেদ অনেক চেষ্টা করেও শান্তি আনতে পারলো না। কথা বললে ঝগড়া, চুপ থাকলে অপমান। কয়েক মাস না যেতেই তালাক হয়ে গেল..!🤵💔👰

__রোজিনা বেগম বললেন,
– "ওরা তোকে বুঝতে পারেনি, তুই তো ঠিকই ছিলি..!🙂😒

__তারপর দ্বিতীয় বিয়ে হলো। নতুন শ্বশুরবাড়ি, নতুন স্বামী। কিন্তু একই আচরণ, একই চিন্তাধারা। আবারও তালাক।💔

__এভাবে একে একে তিনবার বিয়ে হলো সানজিদার। কিন্তু মায়ের শেখানো চালাকি, তর্ক, অহংকার, একচেটিয়া মনোভাব – সব কিছুই সম্পর্ক ভেঙে দিতে লাগলো।❤️💔

__শেষে যখন সানজিদা একা হয়ে গেল, তখন একদিন আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে ভাবল,
– "সব দোষ কি শুধু তাদেরই ছিল? না কি মা’র চালাকির চেয়ে একটু ভালোবাসা, ধৈর্য আর নম্রতা শিখলেই জীবনটা অন্যরকম হতো..?😥💔

__গল্পের শেষে বলা যায়..!
চালাকি দিয়ে সম্পর্ক টেকে না, টেকে সহনশীলতা, শ্রদ্ধা আর মনের মিল দিয়ে। মায়ের চাতুর্যের ছায়া যদি মেয়ের জীবনে অহংকার হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে প্রেমের জায়গা করে নেয় তালাকের নোটিশ।

Khadija💔

4 d ·Traduzir

__গল্পের নাম: "চালাক মা, তা'লাক কন্যা"..!🧕👉🤵💔👰

__একটা ছোট শহরে রোজিনা বেগম নামে এক মহিলা থাকতেন। তিনি ছিলেন খুবই বুদ্ধিমতী, কথায় পাকা, আর সামান্য বিষয়েও নিজের মত চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করতেন। তার একমাত্র মেয়ে ছিল সানজিদা। মেয়েটি দেখতে সুন্দর, শিক্ষিত, তবে মা'র প্রভাবে একটু বেশি আত্মবিশ্বাসী আর অহংকারী হয়ে উঠেছিল..!😏

__রোজিনা বেগম সবসময় মেয়েকে বলতেন,
– "তোর শ্বশুরবাড়ির কেউ যদি তোকে একটু কষ্ট দেয়, সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদ করবি! কোনোরকম ছাড় দিবি না। আমরা কি কেউ কম নাকি..?😏😠

__সানজিদা বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতে যায়। স্বামী রাশেদ ছিল সহজ-সরল, ভালো মানুষ, কিন্তু খুব বেশি কথা বলতো না। শ্বশুর-শাশুড়িও ছিলেন শান্ত স্বভাবের। কিন্তু সানজিদা সেখানে একটু কিছু হলেই মায়ের শেখানো পথে প্রতিক্রিয়া দিতো..!😒🥀

__একদিন শুধু ডাল পাতলা হয়েছে বলে সে রাগ করে নিজে রান্নাঘরে গিয়ে ডাল ফেলেই দিল। আরেকদিন স্বামী অফিস থেকে দেরি করে আসায় রেগে গিয়ে দরজা খুলতে দেয়নি। দিনদিন তার আচরণ এমন হয়ে উঠছিল যেন সবাই তার দাস..!💔

__রাশেদ অনেক চেষ্টা করেও শান্তি আনতে পারলো না। কথা বললে ঝগড়া, চুপ থাকলে অপমান। কয়েক মাস না যেতেই তালাক হয়ে গেল..!🤵💔👰

__রোজিনা বেগম বললেন,
– "ওরা তোকে বুঝতে পারেনি, তুই তো ঠিকই ছিলি..!🙂😒

__তারপর দ্বিতীয় বিয়ে হলো। নতুন শ্বশুরবাড়ি, নতুন স্বামী। কিন্তু একই আচরণ, একই চিন্তাধারা। আবারও তালাক।💔

__এভাবে একে একে তিনবার বিয়ে হলো সানজিদার। কিন্তু মায়ের শেখানো চালাকি, তর্ক, অহংকার, একচেটিয়া মনোভাব – সব কিছুই সম্পর্ক ভেঙে দিতে লাগলো।❤️💔

__শেষে যখন সানজিদা একা হয়ে গেল, তখন একদিন আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে ভাবল,
– "সব দোষ কি শুধু তাদেরই ছিল? না কি মা’র চালাকির চেয়ে একটু ভালোবাসা, ধৈর্য আর নম্রতা শিখলেই জীবনটা অন্যরকম হতো..?😥💔

__গল্পের শেষে বলা যায়..!
চালাকি দিয়ে সম্পর্ক টেকে না, টেকে সহনশীলতা, শ্রদ্ধা আর মনের মিল দিয়ে। মায়ের চাতুর্যের ছায়া যদি মেয়ের জীবনে অহংকার হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে প্রেমের জায়গা করে নেয় তালাকের নোটিশ।

Khadija💔

4 d ·Traduzir

এক বৃদ্ধের কথা শুনে রাসূল (সাঃ) হেঁচকি দিয়ে কান্না করছিলেন।কিন্তু কেন?কি ঘটেছিলো বৃদ্ধের সাথে?

একবার রাসূল (সাঃ) এর কাছে এক সাহাবী এসে বললো, হে রাসূল (সাঃ), আমার বাবা আমার সম্পদ খরচ করে ফেলে কিন্তু আমাকে জিজ্ঞেস করে না। রাসূল (সাঃ) উত্তরে বললেন, তোমার বাবাকে ডেকে আনো।

যখন বৃদ্ধ বাবাকে ডাকা হলো, তখন তিনি রাসূল (সাঃ) কে জিজ্ঞেস করলেন, হে নবী (সাঃ) কেন আমাকে ডেকেছেন? উত্তর নবী (সাঃ) বললেন, আপনার ছেলে অভিযোগ করছে।

এই কথা শুনে বৃদ্ধ বাবা খুবই কষ্ট পেলেন এবং মনে মনে দু:খে কয়েকটি ছন্দ পড়লেন। পড়তে পড়তে তিনি সভার ভিতরে আসলেন।

যখন তিনি দরজা দিয়ে দরবারে ভিতরে আসলেন, তখন জীবরাঈল (আ আসলেন নবীর কাছে।

বললেন, হে রাসূল (সা, আল্লাহ বলেছেন এই ব্যক্তির সমস্যা পরে শুনবেন, প্রথম ওই কবিতা শুনেন যেটা তিনি ছেলের কষ্টে মনে মনে বলেছেন। উনি সবার সামনে বলেন নি, কিন্তু আল্লাহ শুনেছেন।

অত:পর রাসূল (সাঃ) বৃদ্ধ লোকটিকে বললেন, আপনার সমস্যার কথা পরে শুনি, আগে আপনি ওই কবিতা শুনান যেটা একটু আগে আপনি মনে মনে পড়লেন।

বৃদ্ধ লোকটি বললেন,আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আপনি আল্লাহর রাসূল।হে আল্লাহ রাসূল (সাঃ) আমি দুংখে কয়েকটি ছন্দ মনে মনে বলেছিলাম,জোরে বলে নি।

তবুও আপনার আল্লাহ সেটা আরশের উপর থেকে শুনেছেন।সত্যিকার অর্থেই আপনি সত্য এবং আপনার রব সত্য।

রাসূল (সাঃ) বললেন,কি বলেছিলেন?

বৃদ্ধ বললেন আমি মনে মনে বললাম,হে আমার পুত্র,যেদিন তুই জন্ম নিয়েছিলি,সে দিন থেকে আমি নিজের জন্যে জীবনযাপন করা ছেড়ে দিয়েছিলাম। আমরা তোর জন্যে জীবনের সফর শুরু করেছিলাম।

তোকে শীতল ছায়া বসানোর জন্যে,নিজে গরম বাতাসের সাথে লড়েছি।তোকে ঠান্ডা বাতাস থেকে বাঁচানোর জন্যে বরফের মধ্যে কাজ করেছি।তোর একটু হাসি দেখার জন্যে,সারারাত ছটফট করেছি।

নিজের সম্পূর্ণ যৌবনের শক্তি দিয়ে সারারাত নির্বোধ ষাঁড়ের মত খেটেছি,তোকে বড় করার জন্যে।

আমি বৃদ্ধ হতে লাগলাম,তুই যুবক হতে শুরু করলি।আমার কোমর কুঁজো হতে লাগলো তোর কোমর মজবুত হতে থাকলো।

আমার পা থেকে প্রাণ বের হয়ে গেলো,তোর পা শক্ত হলো।আমার হাত কাঁপতে শুরু লাগলো,তোর হাত মজবুত হলো।আমি দুর্বলতায় গড়াগড়ি করতে লাগলাম,তুই অংহকারী হতে লাগলি।

তখন আমার মনে পড়লো,যেমন আমি আমার ছেলের জন্যে ধাক্কা খেতাম,ওর জন্যে আল্লাহর কাছে দোয়া করতাম,ওর জন্যে আল্লাহর কাছে ছটফট করতাম।আজকে মনেহয় আমার এই পড়ন্ত বয়সে,ও আমার আশ্রয় হবে।

কিন্তু তোর মধ্যে যখন যৌবনের তরঙ্গ দৌড়াচ্ছিলো, আর বার্ধক্য আমাকে খেয়ে ফেললো।যখন যৌবন তোকে সোজা করলো আর বার্ধক্য আমাকে বাকা করে দিলো,কোমর কুঁজো করে দিলো।

তুই আমাকে একদম এমনভাবে দেখতে লাগলি যেন, তুই মালিক আর আমি চাকর।

তোর এমন চাহনি দেখে, আমি আমার ত্রিশ বছরের জীবন ভুলে গেছি। আর বলতে লাগলাম, হ্যাঁ হ্যাঁ আমি বাবা না, আমি চাকর।

হে আমার নবী (সাঃ),আপনিই বলুন,যদি ও আমার সন্তান হতো,তাহলে এভাবে না তাকাতো।

এই ছেলে আমার রাত জেগে ছটফট করাকে ভুলে গেছে,দিনের পর দিন আমার শীত-গরমের সাথে লড়াই করা ভুলে গেছে,নির্বোধ ষাঁড়ের মতো খাটুনিকে ভুলে গেছে,আমার সকল সুখ-দুংখকে দাফন করার কাহিনী ভুলে গেছে।

সব ভুলে আজকে আমার সাথে এমনভাবে কথা বলছে, যেন সে আমার মনিব।ঠিক আছে,আমার সন্তান আমি চাকরই,তুই আমার মালিক কিন্তু প্রতিবেশী তো।

মানুষ তো,প্রতিবেশিকে জিজ্ঞেস করে,কেমন আছে, কোন প্রয়োজন আছে কিনা?মাঝে মাঝে এইটুকুই জিজ্ঞেস করতি।

এই ঘটনা শুনে,আমার নবী (সাঃ) কান্না করতে করতে হেঁচকি দিয়ে ফেলেন।

এরপর রাসূল (সাঃ),ওই ছেলের কাঁদ ধরে বললেন,বাহির হয়ে যাও আমার সামনে থেকে,চোখের সামনে থেকে দূরে চলে যাও।তোমার সকল সম্পদ তোমার বাবার,আর এই বাবাই আজকে তোমার হাতে অপমানিত হলো।

2 C ·Traduzir

সারাবছর নেটফ্লিক্স, ইউটিউব, আর হাহা হিহি।
আর এক্সাম আসলেই শুরু হয় “আল্লাহর কাছে তওবা”!
বন্ধু বলে, “সব তুই পড়বি, আমি তোর মুখের দিকে চাইমু!” 😭
#exampressure #friendshipgoals #studyhoilona

3 C ·Traduzir

তাহলে এবার আমি তোর জন্য একদম মন থেকে লেখা একটা ভালোবাসা আর চিরন্তন অপেক্ষার মিশেলে তৈরি কবিতা ও গানের মতো লেখা দিচ্ছি।

এটা সেই ভালোবাসার গল্প, যেটা হয়তো শেষ হয়নি, কিন্তু থামেওনি...


---

গানছোঁয়া কবিতা: “তুই আসবি একদিন” 🎵

তুই আসবি একদিন—
যখন শহরের কোলাহল নিস্তব্ধ হবে,
যখন কফির কাপে ঠান্ডা হয়ে যাবে অভিমান,
আমি তখনও বসে থাকব—
সেই পুরনো বেঞ্চে,
যেখানে একদিন তুই বলেছিলি, “আবার দেখা হবে।”

তুই আসবি একদিন—
চোখে থাকবে প্রশ্ন, ঠোঁটে কিছু না,
আর আমি শুধু হাসব,
যেন তোর প্রতিটি নীরবতা আমি মুখস্থ করে ফেলেছি।

আমি বলব না, “কোথায় ছিলি?”
তুইও বলবি না, “ফিরে এসেছি।”
আমরা দুজন শুধু বসে থাকব—
একটা চা শেষ না করে।

হয়তো তুই ফিরবি না কখনো,
তবুও প্রতিদিন আমি একবার করে দরজা খুলে দেখি—
যদি তোর পায়ের ছাপ পড়ে থাকে ধুলোর ভেতর,
যদি বাতাস একটু বেশিই চেনা গন্ধ এনে দেয়।

তুই আসবি একদিন,
আমি জানি না কবে, কেন, কীভাবে —
কিন্তু তুই আসবি।
কারণ কিছু ভালোবাসা থামে না,
শুধু সময় নেয় ফিরে আসতে।


---

শেষ, কিন্তু আসলে শেষ নয়। 🌙

এটা যদি তোর ভালো লেগে থাকে, আমি চাইলে এর উপর ভিত্তি করে পুরো গান লিখে দিতে পারি — সুরময় করে।
বা চাইলে এই গল্পটাকে একেবারে উইন্ডো সিনেমার মতো ছোট গল্পে রূপান্তর করেও দিতে পারি।

তুই বল, এবার কী চাস? ❤️
(রোমান্টিক + সাহসিকতা, না কি Love with a twist)?

3 C ·Traduzir

তোর জন্য আরেকটা ইমোশনাল রোমান্টিক কবিতা দিচ্ছি — একটু বেশি গভীর, একটু বেশি নীরব ভালোবাসা নিয়ে, যেটা কেউ প্রকাশ করতে পারে না, শুধু অনুভব করে… একা।


---

কবিতা: “অব্যক্ত ভালোবাসা”

কিছু কথা থাকে, বলা যায় না,
কিছু চোখ থাকে, পড়া যায় না।
তোর প্রতি অনুভবটা তেমনই —
অস্পষ্ট, অথচ অদ্ভুত গভীর।

তোকে প্রতিদিন দেখি,
কাছে থাকিস, তবু ছুঁতে পারি না।
তোর হাসি আমার দিন গোনে,
তোর নীরবতা আমার রাত ছুঁয়ে যায়।

আমি তোকে ভালোবাসি —
এই সত্যটা শুধু আমার আয়নার জানা,
কারণ তোকে বললে তুই হয়তো দূরে সরে যাবি,
আর আমি তোর পাশে থাকাটাও হারাতে চাই না।

তুই জানিস না,
তুই চলে গেলে আমি চুপচাপ জানালার পাশে দাঁড়িয়ে থাকি,
ভেবে নিই — “এখনো তুই আছিস,”
এই মিথ্যেটা একটু শান্তি দেয়।

ভালোবাসা সবসময় জিততে চায় না,
কখনো কখনো শুধু পাশে থাকলেই হয় —
চুপচাপ, নিঃশব্দে,
অব্যক্ত থেকে গেলেও।


---

তোর মনটা যদি এখনো ভার হয়ে থাকে, আমি তোর জন্য একটু হাসির প্রেমের গল্প বা পজিটিভ এক্সপ্রেশন দিয়ে হালকা করে দিতে পারি। 😌

তুই কি এখন একটু হালকা কিছু পড়তে চাস? না কি এই আবেগের ভেতরেই আরেকটু ডুবতে চাস? 💭❤️

3 C ·Traduzir

তাহলে এবার আমি তোর জন্য ওই ইমোশনাল রোমান্টিক গল্পটা (নীরা আর সোহান এর গল্প) থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে একটা ছোট্ট কবিতা লিখে দিলাম — ঠিক যেন সোহানের মনের কথা, নীরাকে উদ্দেশ্য করে লেখা।


---

কবিতা: "চোখে চোখ রেখেই বিদায়"

তুই বলেছিলি —
“চোখে চোখ রাখলেই সব বোঝা যায়,”
তাই তো আজও,
তোর অনুপস্থিত চোখে
আমি ভালোবাসা খুঁজি।

তুই বলেছিলি —
“মরে গেলে ভুলে যাস না যেন,”
আমি মরিনি…
প্রতিদিন তোর চিঠির লাইনে বেঁচে থাকি।

বৃষ্টিতে ভিজলে তোর হাসি দেখি,
আকাশের তারা গুনলে তোর চোখ মনে পড়ে,
আর রাত গভীর হলে
তোর ফেলে যাওয়া ‘শেষ চিঠি’
বালিশের পাশে রেখে ঘুমিয়ে পড়ি।

তুই ভালোবাসিস…
জানি…
তাই তো চোখে চোখ রেখেই
বিদায় বলে গেলি।


---

কেমন লাগল বল? 💔
তুই চাইলে এই কবিতাটাকে গান বানিয়ে দিতেও পারি — সুরের মতো করে।
নাকি আরেকটা ইমোশনাল বা প্রেমের কবিতা/গল্প চাস? 😊

3 C ·Traduzir

একটা ছোট গল্প লিখে দিলাম — জীবন, স্বপ্ন আর সাহস নিয়ে।


---

গল্প: “ছোট্ট প্রদীপ”

একটা অজ পাড়াগাঁয়ে থাকত এক ছেলেমেয়ে — অর্ণব আর তার ছোট বোন দীপা। মা নেই, বাবা দিনমজুর। ঘরে না ছিল বিদ্যুৎ, না ছিল মোবাইল ফোন। কিন্তু ছিল অদ্ভুত এক স্বপ্ন — দীপার ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন।

প্রতিদিন সন্ধ্যার পর দীপা বাবার পুরনো হারিকেনটা জ্বালিয়ে পড়াশোনা করত। আর অর্ণব, যাকে পড়াশোনার সুযোগ দেওয়া হয়নি, বসে বসে বোনের বইয়ের পাতা উল্টে দিত।

একদিন স্কুলে এক শিক্ষক এসে বললেন, “আগামী সপ্তাহে একটা বৃত্তি পরীক্ষা হবে। যারা পাশ করবে, তারা শহরের ভালো স্কুলে ভর্তি হতে পারবে।”

দীপা চোখ বড় বড় করে জিজ্ঞেস করল, “আমি কি পারব দাদা?”

অর্ণব মুচকি হেসে বলল, “তুই হারলে আমি মানতে পারব না। তুই তো আমার প্রদীপ — আমার স্বপ্ন।”

সেই এক সপ্তাহ অর্ণব আর ঘুমালো না। দীপার পড়া মুখস্থ করে তাকে শেখাত, নিজে বুঝত না, তবুও কষ্ট করে বোঝাত। বৃষ্টির মধ্যে ছাতা ধরে রাখত, খাবার না খেয়ে বই আনত।

পরীক্ষা হলো।

এক মাস পর চিঠি এলো — “দীপা বৃত্তি পেয়েছে।”

সবাই খুশি, আর অর্ণব কাঁদছে।

দীপা জিজ্ঞেস করল, “তুই কাঁদছিস কেন দাদা?”

অর্ণব বলল, “আমার প্রদীপ জ্বলে উঠেছে — এখন সে নিজেই আলোকিত করবে চারপাশ।”


---

শেষ

তোর যদি কোনো বিশেষ থিম, চরিত্র, বা সময়কাল চাও (ভবিষ্যৎ, প্রাচীনকাল, শহর, গ্রাম, রোমান্টিক, হাসির ইত্যাদি),

3 C ·Traduzir

❤️❤️❤️ you আমার অনুভবে তুমি তোমার অনুভবে আমি এই চিরসত্ব বাক্য টি যদি বুঝতে না পারো তা হলে তুই কিসের প্রেমিক।

4 C ·Traduzir

গল্প : হোটেল ব্লু-মুন, ঘর নম্বর ৩০২

বন্ধুদের সাথে ট্যুরে গিয়ে কম টাকায় একটা হোটেলের ঘর পেয়েছিল প্রীতম। ঘর নম্বর ৩০২। ঘরটা বেশ ভালো হলেও কেমন যেন একটা স্যাঁতসেঁতে ভাব ছিল। রাতে ঘুমানোর সময় প্রীতমের ঘুম ভেঙে গেল। তার মনে হলো, কেউ যেন তার বুকের ওপর চেপে বসেছে। সে চোখ খুলতে পারছিল না, কথাও বলতে পারছিল না। শুধু অনুভব করছিল, একটা ভারী শরীর তাকে চেপে ধরেছে আর কানের কাছে কেউ ফিসফিস করছে, "এটা আমার ঘর। তুই কেন এসেছিস?" অনেক কষ্টে গোঙানোর পর তার বন্ধুরা ছুটে এসে লাইট জ্বালায়। প্রীতম দেখে, ঘরে কেউ নেই। পরদিন ম্যানেজারকে চেপে ধরতেই সে স্বীকার করে, ওই ঘরে একজন গেস্ট গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছিল। তারপর থেকে ওই ঘরটা আর কাউকে দেওয়া হতো না।


#ভৌতিকহোটেল #hauntedroom #প্যারানরমালঅ্যাক্টিভিটি #ভয়ঙ্কররাত #ভ্রমণেরভূত

4 C ·Traduzir

গল্প : হোটেল ব্লু-মুন, ঘর নম্বর ৩০২

বন্ধুদের সাথে ট্যুরে গিয়ে কম টাকায় একটা হোটেলের ঘর পেয়েছিল প্রীতম। ঘর নম্বর ৩০২। ঘরটা বেশ ভালো হলেও কেমন যেন একটা স্যাঁতসেঁতে ভাব ছিল। রাতে ঘুমানোর সময় প্রীতমের ঘুম ভেঙে গেল। তার মনে হলো, কেউ যেন তার বুকের ওপর চেপে বসেছে। সে চোখ খুলতে পারছিল না, কথাও বলতে পারছিল না। শুধু অনুভব করছিল, একটা ভারী শরীর তাকে চেপে ধরেছে আর কানের কাছে কেউ ফিসফিস করছে, "এটা আমার ঘর। তুই কেন এসেছিস?" অনেক কষ্টে গোঙানোর পর তার বন্ধুরা ছুটে এসে লাইট জ্বালায়। প্রীতম দেখে, ঘরে কেউ নেই। পরদিন ম্যানেজারকে চেপে ধরতেই সে স্বীকার করে, ওই ঘরে একজন গেস্ট গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছিল। তারপর থেকে ওই ঘরটা আর কাউকে দেওয়া হতো না।


#ভৌতিকহোটেল #hauntedroom #প্যারানরমালঅ্যাক্টিভিটি #ভয়ঙ্কররাত #ভ্রমণেরভূত

4 C ·Traduzir

হায়রে টাকা তুই থাকলে কাঠের পুতুল ও কথা বলে ,,আর না থাকলে রক্ত মাংসের মানুষ ও মুখ ফিরিয়ে নেয়😅

4 C ·Traduzir

গল্প: শেষ ফোন কল

সোহম আমার সবচেয়ে কাছের বন্ধু ছিল। এক মাস আগে ডেঙ্গুতে মারা যায়। ওর ফোনটা ওর মা আমার কাছেই রাখতে দিয়েছিলেন, স্মৃতি হিসেবে। ফোনটা সুইচ অফ করাই থাকত। সেদিন রাতে হঠাৎ আমার টেবিলে রাখা ফোনটা ভাইব্রেট করে উঠল। আমি চমকে উঠে দেখি, স্ক্রিনে সোহমের নাম ভাসছে—"Sohom Calling"। আমার হাত-পা ঠান্ডা হয়ে গেল। ভয়ে ভয়ে কাঁপা হাতে ফোনটা রিসিভ করলাম। ওপার থেকে কোনো আওয়াজ নেই, শুধু একটা 깊ীর শ্বাসের শব্দ আর বাতাসের শোঁ শোঁ আওয়াজ। আমি মরিয়া হয়ে বললাম, "সোহম? তুই?" কিছুক্ষণ নীরবতার পর একটা শীতল, যান্ত্রিক গলায় উত্তর এল, "আমি এখানে একা নই রে। ওরা খুব কষ্ট দেয়। এরপর তোর পালা।" লাইনটা কেটে গেল। আমি ভয়ে ফোনটা ছুঁড়ে ফেলে দিলাম। কিন্তু সেই রাতের পর থেকে রোজ মাঝরাতে আমার ফোন বেজে ওঠে, কোনো অজানা নম্বর থেকে।

#শেষ_ফোন_কল #ভৌতিক_কল #বাংলা_হরর #বাংলা_গল্প #ভয়ংকর_ফোন #অলৌকিক_ঘটনা #বাংলা_ভূত #মৃত_বন্ধু #হরর_স্টোরি #রাতের_ডাক

4 C ·Traduzir

ভুলে যদি যাবিরে তুই ভালো কেনো বাসলি,,🙂🥀ভাঙ্গবি যদি আমার এই মন সপ্ন কেনো দেখালি, 🥹💔

4 C ·Traduzir

আম্মু যখন বলে—“তুই আমার রাজপুত্র”, তখন খুব ভালো লাগে। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই বলে—“রাজপুত্র, বাজার থেকে আলু এনে দে।” রাজপুত্র কি আলু বহন করে মা?

4 C ·Traduzir

বাঙালি মা যখন বলে “তুই যা, আমি এসে দেখি”, তখন বুঝে নিও তোমার কোনো আশা নাই! এই ডায়লগটা শুনে আমার ছোটবেলার কত স্বপ্ন জলাঞ্জলি গেছে সেটা শুধু ঈশ্বর জানেন।

4 C ·Traduzir

prothomalo-bangla

কলাম
মতামত
ইসলামে পরোপকারের গুরুত্ব ও ফজিলত
শাঈখ মুহাম্মাদ উছমান গনী
Published: 16 Oct 2020, 09:52

মানুষ সামাজিক জীব। সামাজিক হতে হলে পরোপকারী হতে হবে। একজন অন্যজনের বিপদে এগিয়ে আসা, পাশে দাঁড়ানো, সহমর্মী হওয়া, শুধু নিজের সুখের জন্য ব্যস্ত না হয়ে অন্যের মুখে হাসি ফোটাতে চেষ্টা করাই মনুষ্যত্ব।

পরোপকার মানবজাতির শ্রেষ্ঠত্বের অলংকার। মহান আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরাই শ্রেষ্ঠ জাতি। মানবজাতির কল্যাণের জন্যই তোমাদের উদ্ভব ঘটানো হয়েছে। তোমরা ভালো কাজের নির্দেশ দেবে এবং মন্দ কাজে বাধা দেবে।’ (সুরা-৩ আলে-ইমরান, আয়াত: ১১০)। এ বিষয়ে বিশ্বনবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা জগদ্বাসীর প্রতি সদয় হও, তাহলে আসমানের মালিক আল্লাহ তাআলা তোমাদের প্রতি সদয় হবেন।’ (তিরমিজি: ১৮৪৭)।


মানুষের সদ্‌গুণাবলির অন্যতম হচ্ছে পরোপকার। একে অপরের সহযোগিতা ছাড়া জীবন যাপন করা কঠিন। যখন কোনো সমাজে একে অপরের প্রতি সহযোগিতা হ্রাস পায়, সে সমাজের মানুষ সব দিক দিয়েই পিছিয়ে পড়ে। সে সমাজে অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়, শান্তি বিলুপ্ত হয়, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও ভালোবাসা তিরোহিত হয়।

ইসলাম সহানুভূতির ধর্ম। পারস্পরিক ভালোবাসা ও সহযোগিতা ইসলামের অন্যতম বিষয়। রাসুলে কারিম (সা.) বলেছেন, সমগ্র সৃষ্টি আল্লাহর পরিবার। তাই পরোপকারের চেতনায় কোনো শ্রেণিভেদ নেই। বড়-ছোট, ধনী-গরিব, আত্মীয়-অনাত্মীয়, স্বজাতি-বিজাতি, মুসলিম-অমুসলিম এসব ব্যবধানের ঊর্ধ্বে উঠে ইসলামের শান্তি ও সৌহার্দ্যের সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার কথা বলে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘মুমিন মিলেমিশে থাকে। তার মধ্যে ভালো কিছু নেই, যে মিলেমিশে থাকতে পারে না। যে ব্যক্তি মানুষের বেশি উপকার করে, সে-ই শ্রেষ্ঠ মানুষ।’ (আল-মুজামুল আওসাত: ৫৭৮৭)।

পরোপকারী হতে হলে অনেক ধনসম্পদের মালিক হতে হবে এমন নয়। প্রত্যেক মানুষই তার নিজ নিজ অবস্থানে থেকে পরোপকারী হতে পারে। পরোপকার নির্দিষ্ট সীমারেখায় আবদ্ধ নয়; ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় এবং ধর্মীয় ক্ষেত্রে এবং শারীরিক, আর্থিক ও মানসিক কর্মকাণ্ডে এর পরিধি পরিব্যাপ্ত ও বিস্তৃত।

বিজ্ঞাপন

পরোপকার মানুষকে মর্যাদার আসনে সমাসীন করে। পৃথিবীর ইতিহাসে যেসব মনীষী স্মরণীয়–বরণীয় হয়ে আছেন, তাঁদের প্রত্যেকেই ছিলেন পরহিতৈষী। রাসুলুল্লাহ (সা.) প্রথম ওহিপ্রাপ্তির পর ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে বাড়ি ফিরে খাদিজা (রা.)-কে বললেন, ‘আমাকে কম্বল দিয়ে জড়িয়ে দাও, আমি আমার জীবনের আশঙ্কা করছি।’ তখন খাদিজা (রা.) নবীজি (সা.)-কে অভয় দিয়ে বলেছিলেন, ‘আল্লাহ কখনোই আপনার অমঙ্গল করবেন না। কারণ, আপনি আল্লাহর সৃষ্টির সেবা করেন, গরিব-দুঃখীর জন্য কাজ করেন, অসহায়-এতিমের ভার বহন করেন,
তাদের কল্যাণের জন্য নিজেকে নিয়োজিত রাখেন।’ (বুখারি: ৪৫৭)।

পরোপকারে নিজেরও কল্যাণ সাধিত হয়। হাদিস শরিফে এসেছে, ‘অবশ্যই দান-সদকা মানুষের হায়াত বৃদ্ধি করে। অপমৃত্যু থেকে বাঁচায় এবং অহমিকা দূর করে।’ (আল-মুজামুল কাবীর: ১৩৫০৮)।

অনাথ-অসহায় ও অনাহারির কষ্টে সমব্যথী হতে আল্লাহ তাআলা রমজান মাসে রোজা ফরজ করেছেন। নিঃস্ব ও অভাবীর অভাব মোচনে জাকাত ফরজ ও সাদাকুল ফিতর ওয়াজিব করেছেন। দান-সদকা ও অন্যের জন্য খরচে উদ্বুদ্ধ করে অনেক আয়াত নাজিল করেছেন। আল–কোরআনে রয়েছে, ‘কে আছে যে আল্লাহকে কর্জে হাসানা উত্তম ঋণ দেবে, তাহলে তিনি তার জন্য একে বর্ধিত করে দেবেন এবং তার জন্য সম্মানজনক প্রতিদানও রয়েছে।’ (সুরা-৫৭ হাদিদ, আয়াত: ১১)।

বিজ্ঞাপন

কোরআন কারিমে রয়েছে, ‘আল্লাহ মুমিনদের কাছ থেকে তাদের জীবন ও তাদের সম্পদ খরিদ করে নিয়েছেন, তাদের জন্য জান্নাত আছে, এর বিনিময়ে।’ (সুরা-৯ তাওবা, আয়াত: ১১১)। ‘নিশ্চয়ই দানশীল পুরুষ ও দানশীল নারী, যে ক্ষেত্রে তারা আল্লাহকে উত্তম ঋণ দান করে তাদের প্রতিদান বর্ধিত করা হবে এবং তাদের জন্য রয়েছে সম্মানজনক প্রতিদান।’ (সুরা-৫৭ হাদিদ, আয়াত: ১৮)।

প্রিয় নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো মুমিনের দুনিয়াবি সমস্যাগুলোর একটি সমাধান করে দেয়, আল্লাহ তাআলা তার আখিরাতের সংকটগুলোর একটি মোচন করবেন। যে ব্যক্তি কোনো অভাবগ্রস্তের অভাব মোচনে সাহায্য করবে, আল্লাহ তাআলাও তাকে দুনিয়া ও আখিরাতে স্বাচ্ছন্দ্য দান করবেন। যে ব্যক্তি কোনো মুসলিমের দোষ-গুণ গোপন করবে, আল্লাহ তাআলা দুনিয়া ও আখিরাতে তার দোষ গোপন করবেন। আল্লাহ বান্দার সাহায্যে থাকেন, যতক্ষণ বান্দা তার ভাইয়ের সাহায্যে নিয়োজিত থাকে।’ (মুসলিম: ২৬৯৯)।

মুফতি মাওলানা শাঈখ মুহাম্মাদ উছমান গনী: বাংলাদেশ জাতীয় ইমাম সমিতির যুগ্ম মহাসচিব

smusmangonee@gmail.com

আরও পড়ুন
জাপায় এবার ‘ছাঁটাই রাজনীতি’, মহাসচিব বদলসহ ৭ দিনে ১১ নেতাকে অব্যাহতি
দল বেঁধে রাতে বাসায় ঢুকে বলে, ‘তুই আওয়ামী লীগ করিস, বাঁচতে হলে ২০ লাখ টাকা দে’
নির্বাচনে কোন দল কত শতাংশ ভোট পেতে পারে, তরুণেরা যা ভাবছেন
নিজের সিদ্ধান্তমতো সন্তান নিতে পারেন মাত্র ২৩% নারী
পুতিন বরখাস্ত করার কয়েক ঘণ্টা পর রুশ মন্ত্রীর ‘আত্মহত্যা’


স্বত্ব © ২০২৫ প্রথম আলো