আম কুড়াতো। তার ও আম কুড়ানোর প্রবল নেশা ছিল। তো সেইদিন রাত্রে জাহানারা তার ছোট বোনকে বললো আজ আমরা দুইজন সবার আগে খুব ভোরে আম কুড়াতে যাব। আমি যদি টের না পাই, তুই টের পেলে আমাকে ডাক দিস। তো রাত ৪ টার দিক তার ছোট বোন তাকে ডেকে বললো রাত তো প্রায় শেষের দিকে আম কুড়াতে যাবে না? তারা আর দেরি না করে বাড়ি থেকে বের হয়ে গেল। আম বাগানটি ছিল বাড়ি থেকে কিছুটা দুরে ও বাগানটী ছিল অনেক বড় ও পুরনো। বাগানের একটা গাছ ছিল অনেক পুড়নো আর সেই গাছের আম গুলো অনেক ছোটছোট ছিল। কিন্তু সেই গাছের আম ই সবচেয়ে বেশি পড়তো। আম কুড়াতে কুড়াতে সেই বড় গাছের নিচে গিয়ে জাহানারা খুবই অবাক হয়ে গেল কেননা গাছের নিচে কেবল একটা আম ই পড়ে আছে তবে আমটি এ গাছের আমের তুলনায় অনেক বড়। তবুও সেটাকে পাত্তা না দিয়ে আমটি ধরতে গেল কিন্তু এরপর সে যা দেখলো তা অন্য কেউ দেখতে চাইবে না। সে যখন আমটি ধরতে গেল অমনি আমটি কিছুটা দুরে সরে গেল। এটা দেখে সে ভয় পেল কিন্তু ভাবলো হয়তোবা সে ভুল দেখেছে। আবার সে আমটি ধরতে গেল কিন্তূ এবারও ঐ একই ঘটনা। এবার ভয় তার মনে জেঁকে বসলো..কি হচ্ছে এসব। আবার যখন সে আমটি ধরতে গেল তখনি আমটি এমন একটা ভয়ঙ্কর আকরিতি ধারণ করলো যা দেখা মাত্র সে বেঁহুশ হয়ে গেল। ঘটনাটি এখানে শেষ হলেই ভাল হতো কিন্তু এরপর যা ঘটলো যা এক কথায় অবিশ্বাস্য। যখন আযানের সুর শুনে তার হুঁশ ফিরলো তখন সে গাছটির নিচে পড়ে আছে। আশেপাশে কেউ নেই এমনকি তার ছোট বোনকে খুঁজে না পেয়ে আরো ভীত হয়ে পড়লো এবং খুব দ্রুত পরিমরি করে বাড়ি ফিরে এসে দেখে তার বোন এখনো ঘুমুচ্ছে। সে তার বোনকে ডেকে তুললো আর বললো, কেন তাকে একা ফেলে চলে এসেছে সে? কিন্তু তার বোন কিছুই বুঝলো না। উপরন্তু জাহানারার হাতে আমের ব্যাগ দেখে সে বললো, আপু, তুমি একাই আম কুড়াতে গেলে, আমাকে ডাকও দিলে না। একথা শুনার পর আবারো সে বেঁশুস হয়ে পরে। সকাল থেকেই প্রচন্ড জ্বর আসে। এর কিছুদিন পরই সে মারা যায় কোনো কারণ ছাড়াই। ঘটনাটি আমি নিজে জাহানারার কাছ থেকে শুনেছি।টুকরো টুকরো কিছু সত্যি ঘটনা যা ছোটবেলা থেকে আমার জীবনে ঘটে গিয়েছে আজ সেইগুলোয় আমি আপনাদের সাথে শেয়ায় করবো! আমার দাদুরা তিন ভাই! বড় দাদুর ছোট ছেলে যখন বিষ খেয়ে মারা যাই তখন আমি ক্লাস ফোরে পড়ি! দিনটা ছিল দূর্গাষ্টমীর দিন! বড় মামীর সাথে মতানৈক্যর ফলেই ছোট মামা বিষ খান! মামা মারা যাওয়ার পর ছোটমামি কর্মসূত্রে কোলকাতা চলে আসেন! তার পর থেকেই ছোট মামার বাড়িটি ফাকাই পড়ে থাকে! আমি ছোটথেকেই দাদুর বাড়ি থেকেই মানুষ! পড়াশুনা ওখানকার স্কুলেই করি! রোজ সন্ধ্যা বেলাই বাড়ি ফিরতে গেলে ছোট মামার বাড়ির সামনে দিয়েই আসতে হতো! আসার সময় শরীরটা কেমন ভারী ভারী লাগতো যাই হোক বাড়ির দিকে তাকাতাম না ! এর মধ্যে কেটে গেছে আরও পাঁচটা বছর তখন আমি ক্লাস নাইনে পড়ি আমার তখন হিন্দী সেকেন্ড পেপার এর পরীক্ষা আগামী দিন! তাই প্রস্তুতি চলছে জোর কদমে ! পড়তে পড়তে রাত্রি প্রায় তিনট বেজে গেছে এমন সময় বই থেকে মুখ তুলে জানালার দিকে তাকাতেই দেখি ছোটমামা জানালার শিক ধরে দাঁড়িয়ে আছে! আমার তখন এমন অবস্থা যে আমি হাত পা নড়নোর ক্ষমতা টুকুও হরিয়ে ফেলেছি! দুই মিনিট এই ভাবে কাটার পর আম চোখ নিচে নামিয়ে নিই! পাশের রুমে দিদা শুয়ে রয়েছেন তবুও ডাকতে পারছিনা ! গলা দিয়ে আওয়াজ বেরুচ্ছেনা! কোনমতে গায়ত্রী জপ করতে করতে জানালাটা বন্ধ করে শুয়ে পড়ি চাদর মুড়ি দিয়ে রাম নাম জপতে জপতে শোবার খানিকটা পরে ক্লান্তিতে ঘুমিয়ে পড়ি ! খানিক ক্ষণ পরে কারোর পায়ের আওয়াজে ঘুম ভেঙে যায় চাদর টা একটু ফাক করে দেখি ছোটমামা একটা ফাঁসির দড়ি আমার মুখের সামনে ঝুলিয়ে দাঁড়িয়ে আছে ! জীবনে যত মন্ত্র জানতাম সব একে একে জপতে শুরু করি! ভয়ে সংগা হারিয়ে ফেলি! সকাল বেলায় চেতনা ফিরলে দিদা দাদুকে সব খুলে বলি ! দাদু আমাদের কুল গুরুকে ব্যাপার টা জানালে তিনি গয়ায় পিন্ড দানের কথা বলেন!,,,,, আমাকে মন্ত্র দিয়ে শুদ্ধিকরন করেদেন.... এর পর মামাকে আমি আর দেখিনি!
MD SOHAG KHAN
107 博客 帖子