বাবা-ছেলে কৌতুক

এমন বলদ ছেলে

বাবা: তোকে ধনিয়া পাতা আনতে পাঠালাম আর তুই নিয়ে এলি পুদিনা! এমন বলদ ছেলে আমার দরকার নেই, যা বের ?

এমন বলদ ছেলে

 

বাবা: তোকে ধনিয়া পাতা আনতে পাঠালাম আর তুই নিয়ে এলি পুদিনা! এমন বলদ ছেলে আমার দরকার নেই, যা বের হ বাড়ি থেকে?

ছেলে: তবে চল, একসঙ্গেই বের হই!

বাবা: মানে?

ছেলে: মা বলছিল এটা মেথি পাতা!

 

>সহ্য হচ্ছে না

 

ছেলে: বাবা, আমাকে একটা মোটরসাইকেল এবার কিনে দিতেই হবে। এভাবে আর...

বাবা: জাফর সাহেবের মেয়েকে দেখ! সে তো দিব্যি বাসে করে ভার্সিটিতে যাওয়া আসা করছে!

ছেলে: সেজন্যই তো বাবা! মুন্নির বাসে করে যাওয়া আসাটাই তো সহ্য হচ্ছে না আমার...

 

>তোরটা জানতে চাইছি

 

বাবা: তোমার রেজাল্টের কি খবর?

ছেলে: হেডমাষ্টারের ছেলে ফেল করেছে

বাবা: আর তুমি?

ছেলে: ডাক্তারের ছেলেও ফেল

বাবা: আর তোমার রেজাল্ট?

ছেলে: ঐ উকিলের ছেলেও ফেল

বাবা: পাজি, আমি তোরটা জানতে চাইছি. . .

ছেলে: তুমি কি আর রজনীকান্ত? যে তোমার ছেলে পাস করবে।.... তাই ফেল করে গেছি।

 

>আড়াই গুণ বাড়িয়ে দেবে

 

কঠিন হিসেবি বাবার সঙ্গে কথা হচ্ছে স্ফূর্তিবাজ ছেলের।

বাবা, গাড়ির চাবিটা দাও।

কেন?

পার্টিতে যাবো। তোমার ২০ লাখ টাকার গাড়িতে চড়ে গেলে আমার প্রেস্টিজ অনেক হাই হয়ে যাবে বন্ধুদের কাছে।

এই নে ২০ টাকা। বাসে করে যা। ৫০ লাখ টাকার বাসযাত্রা তোর ইজ্জত আড়াই গুণ বাড়িয়ে দেবে।

 

>টাকার বড় চাপ!!

 

ছেলে হোস্টেল থেকে বাবাকে চিঠি লিখলো,

"বাবা, টাকা নাই, টাকা চাই 

ইতি, 

তোমার আব্দুল হাই । "

বাবা উত্তর দিলেন,

"বৎস, টাকার বড় চাপ করে দিস মাপ 

ইতি 

তোর বাপ । "

 

>তাইলে কম্পিউটার কই?

 

পল্টু নতুন কম্পিউটার কিনেছে। তাই খুশিতে সে তার বাবাকে গিয়ে বলল- 

পল্টু : বাবা, আমি কম্পিউটার কিনছি।

বাবা : হুম, ভালো। এটা কী?

পল্টু : এটা মনিটর।

বাবা : ওটা?

পল্টু : সিপিইউ।

বাবা : আর এটা কী?

পল্টু : এটা কি-বোর্ড।

বাবা : আর ওইটা কী?

পল্টু : ওইটা মাউস।

বাবা : চাপাবাজ কোথাকার, তাইলে কম্পিউটার কই?

 

>কিপ্টে বাবার কিপ্টে ছেলে

 

এক লোক ছিল খুবই কিপটে।

তিনি তার ছেলেকে নতুন জুতা কিনে দিয়ে বললেন: সিড়ি দিয়ে উঠার সময় দুইটা করে উঠবি। এতে জুতার উপর চাপ কমবে। জুতা বেশিদিন টিকবে।

কিন্তু ছেলে বাবার চেয়েও বড় কিপ্টুস ছিল। অনেকেই তাদেরকে তুলনা দিয়ে বলতো: বাপ কা বেটা, সিপাহীকা ঘোড়া।

কিপ্টুস ছেলে ভাবল: আমি বাবার চেয়েও বেশি সাশ্রয়ী হব। সে বাবাকে খুশি করার জন্য তিনটা সিড়ি করে উঠা শুরু করল।

কিন্তু একদিন বাবা ছেলের এ কর্ম দেখে খুশি না হয়ে উল্টো ক্ষেপে গেলেন। দিলেন গালে এক চড়।

ছেলের চিৎকারের শব্দে মা এসে বলল আমার এতটুকু বাচ্চাকে কেন মেরেছো?

বাবা: ওকে বলেছি দুইটা সিড়ি করে উঠবি তাহলে জুতা বেশিদিন টিকবে আর ও উঠলো তিনটা করে।

মা: ও তো ঠিকই করেছে। তোমারতো খুশি হওয়ার কথা।

বাবা: খুশি হব কিভাবে? তোমার ছেলে২০০ টাকার জুতার তলা বাঁচাতে গিয়ে ৮০০ টাকার প্যান্টের তলা ছিঁড়ে ফেলেছে যে! কিচ্ছু কী খেয়াল রাখোনা?

এ গেল কিপ্টুস বাবার কিপ্টুস ছেলের একদিনের ব্যর্থতা। ছেলের মনে খুব কষ্ট। বাবাকে খুশি করতেই হবে। সে খেয়ালেই থাকে সে। হঠাৎ একদিনের কথা।

বাবা ফার্মগেটে দাড়িয়ে। ছেলে হঠাৎ হাঁপাতে হাঁপাতে দৌড়ে এলো।

ছেলে: বাবা, বাবা! আজ আমি তোমার ৫ টাকা বাঁচিয়েছি।

বাবা: (খুশি হয়ে) কীভাবে?

ছেলে: শাহাবাগ মোড় হতে আমি এই ৬ নম্বর বাসে না উঠেএটার পেছনে পেছনে দৌড়ে এসেছি। ব্যস বেঁচে গেল ৫ টাকা।

বাবা: (রাগান্বিত হয়ে) আবার চড় বসিয়ে দিলেন উপযুক্ত ছেলের গালে।

ছেলে: (হতবাক হয়ে) আজ মারলে কেন?

বাবা: বোকা ছেলে! ৬ নম্বরের পেছনে দৌড়ালি কেন? কোন একটা ট্যাক্সি ক্যাবের পেছনে দৌড়ালে তো ৫ নয় ৩০০ টাকা বাঁচতো। গর্দভ কোথাকার।

 

>ছেলের আজব পরীক্ষায় অবাক বাবা

 

বাবা : কিরে, তোর পরীক্ষা কেমন হলো?

ছেলে : আর বলো না বাবা, ১ নম্বর প্রশ্নের উত্তরটা লিখতে পারিনি। ২ নম্বর প্রশ্নের উত্তরটা মনেই পড়ছিল না। ৪ নম্বর প্রশ্নটা যে কোথা থেকে দিলো, বুঝতেই পারলাম না। ৫ নম্বর প্রশ্নের উত্তরটা ভুলে লেখা হয়নি।

বাবা : আর ৬ নম্বর?

ছেলে : ওটা যে প্রশ্নপত্রের উল্টো পাশে ছিল, আমি খেয়ালই করিনি!

বাবা : আর ৩ নম্বর?

ছেলে : বিশ্বাস করো বাবা, শুধু এই একটা প্রশ্নের উত্তরই ভুল লিখেছি।

বাবা : এবার তাহলে বাসা থেকেই বের হয়ে যা।

 

>ঠাণ্ডা নাকি গরম?

 

বাবাঃ আমার জন্য একটা ড্রিঙ্কস নিয়ে আসো তো দোকান থেকে ।

ছেলেঃ বাবা ঠাণ্ডা নাকি গরম?

বাবাঃ ঠাণ্ডা অফকোর্স!

ছেলেঃ বাবা পেপসি নাকি কোক?

বাবাঃ পেপসি

ছেলেঃ বাবা বোতলের নাকি টিনের?

বাবাঃ বোতলের।

ছেলেঃ বড় বোতল নাকি ছোট বোতল?

বাবাঃ ছোট বোতল।

ছেলেঃ আচ্ছা বাবা নরমাল নাকি ডায়েট?

বাবাঃ ধুরু, লাগবেনা যা পানি নিয়ে আয়।

ছেলেঃ বাবা ঠাণ্ডা নাকি গরম?

বাবাঃ অফকোর্স ঠাণ্ডা।

ছেলেঃ বাবা খাওয়ার পানি নাকি ইয়ুজ করার জন্য?

বাবাঃ মাইর খাবি এখন!

ছেলেঃ বাবা হাত দিয়ে নাকি লাঠি দিয়ে?

বাবাঃ বেশি কথা বলস, যা ভাগ সামনে থেকে।

ছেলেঃ বাবা দৌড় দিয়ে ভাগব না হেঁটে হেঁটে?

বাবাঃ বেয়াদব, দিন দিন জানোয়ার হইতাসস!

ছেলেঃ কোন জানোয়ার? কুত্তা নাকি বিলাই?

বাবাঃ আমি এখন তোরে জবাই করবো, যা বলছি!

ছেলেঃ বাবা চাকু দিয়ে নাকি বটি দিয়ে?

বাবাঃ বটি দিয়ে!

ছেলেঃ টুকরা টুকরা নাকি বড় বড় পিস?

বাবাঃ হারামি! তুই যাবি?

ছেলেঃ বাবা একলা যাব নাকি তোমার সাথে যাব?

বাবাঃ তোর উপর থাডা পরুক!

ছেলেঃ বাবা ভুমিকম্প নাকি বজ্রপাত?

বাবাঃ ওহ খোদা আমার হার্ট এ পেইন হচ্ছে!

ছেলেঃ বাবা হসপিটাল এ নিয়ে যাব নাকি ডক্টর ডাকব?

বাবাঃ পানি দে আমাকে।

ছেলেঃ বাবা ঠাণ্ডা নাকি গরম?

বাবাঃ নরমাল।

ছেলেঃ বাবা খাবে নাকি ইয়ুজ করবে?

 

>ঘুমানোর কী প্রয়োজন?

 

ছেলে পড়ছেঃ ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা সব শিশুরই অন্তরে...


Bablu islam

204 Blog Postagens

Comentários