জমিদার বাড়ি মেয়ে

জমিদার বাড়ির মেয়ে যখন জমিদারি চাল চলন এ চলে।

চারিদিকের শীতময় আবহাওয়া

মধ্যে, সুয়েটারের পকেটের ভিতরে

হাত ঢুকাই, রাস্তা দিয়ে হাঁটছি আর

মনে মনে ভাবতেছি...

এবার শীতে যেমনেই হোক,

সিলেট তো যামুই যামু।

কিন্তু সিলেট যে যামু....পকেটের

মধ্যে তো মাত্র দুইটা পাঁচ টাকার কয়েন

ঝনঝন করতেছে।

এই দুইটা কয়েন দিয়ে কেমনে সিলেট যামু।

এই সব ভাবতেছি আর সাত সকালে

রাস্তা দিয়ে হাঁটতেছি।

রাস্তার সাইট দিয়ে বাস, ট্রাক,

মাইক্রো সাঁ সাঁ করে ছুঁটে যাইতেছে।

আহা আজ যদি আমি বাসের কন্টাক্টার

হইতাম... কী আরামছেই না সিলেট

যাইতে পারতাম।

ফাঁডা কপাল আমার.... খালি দুইডা

পাঁচ টাকার কয়েন পকেটে নিয়ে ঘুরতেছি।

ছোটবেলার কিছু অভ্যাস এখনো

আমার মধ্যে বিরাজমান।

তবে সব চাই বেশি যেই জিনিসটা

ছোটবেলা থেকে আমার ভিতরে কাজ করে

সেটা হলো..

ধরুণ আমি আকাশ দিয়ে একটা প্লেন উঁড়ে যাচ্ছে,

আর আমি নিচে থেকে হা করে প্লেনটাকে

উঁড়ে যাইতে দেখতেছি।

ঠিক সেই মুহূর্তে আমার মনে হতো,

বড় হয়ে যেমনেই হোক আমি তো

একট প্লেন কিনমুই কিনমু।

আর সারাদিন আকাশে বাতাসে

উঁড়ে বেরামু।

 

আবার মনে করেন আমার আপেল খাইতে

মন চাইছে...কিন্তু কেউ আমারে সেই

সময়ে আপেল কিনে দেই নাই।

ঠিক সেই মুহূর্তে মনে হতো, আমি

যখন বড় হমু... তখন আপেল এর

দোকান দিমু... আর সারাদিন বসে বসে

আপেল খামু।

আর যদি আপেল এর দোকান দিতে না পারি,

তাহলে যেই মেয়ের বাপের আপেল এর দোকান

আছে।

সেই মেয়েকে বিয়ে করমু তারপরে সারাদিন

খালি আপেল আর আপেল খামু।

 

আবার মনে করেন সাপের ছবি

দেখতেছি... হঠাৎ যখন নায়ক

সাপ হয়ে যেতো...

তখন মনে হতো.... আহা আমিও

যদি সাপ হইতে পারতাম...

তাহলে আমার ও একটা সুুন্দরী নাগিনী

থাকতো।

 

আবার যখন কটকটি ওয়ালা আসতো,

তখন মনে হতো বড় হয়ে কটকটি ওয়ালা হমু।

আর সারাদিন কটকটি খামু।

হাওয়াই মিঠা ওয়ালা আসলে মনে হতো

বড় হয়ে হাওয়াই মিঠা ওয়ালা হমু।

 

এক কথায় আমার যাই ভালো লাগতো

আমি সেটাই হইতে চাইতাম।

 

আর এই অভ্যাসটাই এখনো,

আমার ভিতরে আছে ।

এত বড় যে হইছি তাও ঐ

ছোটবেলার আরমান, আর এখন এর

আরমান কোন টার কোন পরিবর্ত নাই।

 

এখনো যদি....

দামি কোন গাড়িতে চড়ে কাউকে

যাইতে দেখি তাইলেই মনে হয়...

হেতের তো খালি এই একটাই

গাড়ি আছে।

আমি তো একদিন এর থেকে ও

দামি দামি গাড়ি বানানোর একটা

কোম্পানি দিমু।

 

সেই ছোট থেকে আজ অব্দি,

হাওয়াই মিঠা ওয়ালা থেকে বড় বড়

কোম্পানির মালিক, কিছুু হওয়াই বাদ

রাখি নাই।

 

সব শেষে এখন পকেটে দশ টাকা

নিয়ে, সিলেট যাওয়ার স্বপ্ন দেখতেছি।

 

যাই হোক অনেক বকর বকর করে

ফেলছি...এখন পরিচয় টা দিয়াই দেই। আমি আরমান আহমেদ হিমেল ওরফে (আরমান)পরিচয় তো দিলাম এইবার তাহলে গল্পে যাই নাকি কি কন আমনেরা।

 

আর আসল কথা হইতেছে যেমনেই হোক

সিলেট তো যামুই....

এতে যদি চুরি, ডাকাতি, রাহাজানি, ছিনতাই

যা কিছু করার আমি তো সব করমু।

তবু তো আমি সিলেট যামুই যামু।

 

ভাই সিলেট... আই আম কামিং ।

 

কিন্তু যামু কেমনে..... উহু হু হু হু।

জীবনডা যদি সিনেমার মতো হইতো..আহা।

বাড়িতে গিয়ে...

আমার বাপের রুমে ঢুকলাম।

- এই সাত সকালে কোথায় থেকে উদয়

হইলি।

- আসলে আব্বা কাহিনীডা হইতেছে,

সূর্য মামা আজকে একটু বউয়ের সাথে

দেখা করতে যাবে।

তাই যাওয়ার সময় আমারে কইলো,

ভাগিন আরমান... আমি তো

আজকে তোমার বাপের ঘরে উদয়

হইতো পারবো না....

তাই তুমিই একটু তোমার বাপের ঘরে

গিয়ে উদয় হইয়ো।

সেই জন্যই আর কী.... সূর্য মামার

বদলে আজকে আমি উদয় হইছি...।

- বাপের সাথে মসকারা করস না...

ছোটবেলার ক্যালানির কথা কী

ভুইলা গেছস।

আবার কী ওমন শুরু করমু।

- দেখো আব্বা..... আমি কিন্তু এখন

বড় হইছি...যোগ, বিয়োগ,গুণ, ভাগ করে

কথা কইবা।

- ওরে.... বদমাশ ...বড় হয়েই

তুই আমার কী ছিঁড়ছস হ্যা।

আর তোর সাথে আমার যোগ বিয়োগ

করে কথা কইতে হইবো তাই না।

- হুুমমমমমমম।

- কপালে মনে হয় আজকে তোর মেলা দুঃখ

আছে....

কী জন্য আসছিস....ফটাফট বলে

বিদায় হয়ে যা।

- আমার তিন হাজার টাকা লাগতো।

- কেনো।

- সিলেট যামু।

- ওরে বদমাশ .... তোর... সিলেট

যাওয়া ছুঁটাইতেছি দাঁড়া।

ওখান থেকে দৌড়ানি খেয়ে আবার

বাহিরে আসলাম।

কপালডা আমার এমনি.. দৌঁড়ানি ময়।

সালা.. নিজের মা না থাকলে যা হয় আরকি।

জানতাম টাকা দিবে না...

আজগুবি টাকাটা চাইতে গেলাম,

এখন দুপুরের ভাতটা কপালে জুটবে নাকি

আল্লাহ্ জানে।

কী ঘরে পয়দা করছো হে খোদা।

মাঝে মধ্যে ভাবি.. হিরোইর খোর,

গাঁঞ্জা খোর, মদ খোর, ইয়াবা খোর,

ফেন্সি খোর, বিড়ি খোর, সিগারেট খোর,

এই সালারা প্রতিদিন ঐ সব

খাওয়ার জন্য এতো টাকা কই পায়।

যেখানে আমি সপ্তাহে দশ টাকা ও পাই না।

কিন্তু যাই হোক সিলেট তো

আমি যামুই।

রাস্তার সাইটে...পাঁচটার কয়ের দুুইটা

দুই হাতে নিয়ে বসে আছি আর ভাবতেছি।

যেমনেই হোক এই দুইটা পাঁচটার কয়েনরে

কাজে লাগাই সিলেট যাওয়ার টাকা

বের করতে হবে.......কিন্তু কেমনে।

আজ যদি এইটা সিনেমা হইতো,

তাইলে নয়ক এই দশ টাকা দিয়ে

একটা লটারি কাঁটতো আর বড়

লোক হয়ে যাইতো।

কিন্তু আমার তো সালা ফাঁডা কপাল...

লটারি কাঁটলাম মানে... টাকা টা পুরাই জলে।

এই কয়েন দুইটা দিয়ে এমন কিছু

করতে হবে।

যাতে হাতে নাতে টাকা পাইতে পারি।

আহারে মাথা.... একটা বুদ্ধি বের কর ভাই।

সিলেট তো আমারে চুম্বুকের মতো

টানতেছে।

দুই দিন দুই রাত অনেক ভাবার পড়ে

একটা ডিসিশন নিলাম...

এই দশ টাকা দিয়ে দুই টা ঘুমের টাবলেট

কিনমু আর আমার বাপরে খাওয়াই

দিমু।

এতে আমার বাপ আরামছে ঘুমাবে,

আর আমি এই দিকে আরামছে টাকা চুরি

করে সিলেট চলে যামুু।

মনে মনে খারাপ লাগলে ও মনকে

বুঝাইতেছি যে ...

আমার বাপের যা টাকা

আছে আমি ও তো কিছু ভাগ পামুু নাকি।

আর বাবা এত টাকা পয়সা নিয়া কী

কবরে যাবে... অদ্ভুত।

প্ল্যান অনুযায়ী সব কাজ কমপ্লিট।

আলমারির চাবি খুলেই দেখি....

ওহ হু হু হু.... এত টাকা।

বাপ হইলে কী হইবো... তিনি একটা হাড় কিপ্টে

এত টাকা রাইখা ও...প্রতি সপ্তাহে

আমারে হাত খরচের জন্য মাত্র দশ টাকা

করে দেয়....আর যদি না চাই, তাহলে

আর দেই না.... কী... খারাপ।

যাই হোক আল্লাহ্ যা করে ভালোর জন্যই

করে....

তাইতো আজকে সুদ সমেত সব একবারে

পাইতেছি।

চোর হলে ও আমার একটা ধর্ম আছে,

আলমারি থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা

নিয়ে।

আর বাদ বাঁকি টাকা গুলো যেমনে ছিলো ওমনেই রেখে...

আবার আলমারিতে তালা দিলাম।

আর চাবিটা আমার বাপের পকেটে ঢুকাই

দিয়ে....

আমি তো পগার পার।

ডাক্তারের কথা অনুুযায়ী দশ ঘন্টার আগে

ঘুম ভাংবে না।

এবার আমারে সিলেট যাওয়া থেকে কে

আটকায়।

মার্কেটে এসে ঝাক্কাস একটা ব্যাগ

কিনলাম....তারপরে প্যান্ট, শার্ট,

গেঞ্জি, জুতো,ঘরি,পারফিউম,

সব কিনে ব্যাগের মধ্যে নিলাম।

এরপরে একটা হোটেলে গিয়ে,

গোসল টোসল করে...আমি

তো এবার রেডি....

সিলেট তো আমি যামুই...

এই প্রথম.. এসি বাসের টিকিট

কাঁটতে গেলাম।

সিট তো পাইছি, তাও আবার একদম

পিছনে।

ফাঁডা কপাল হইলে যা হয়।

আচ্ছা সিট যেখানে হয় হোক...

বাস তো এসি...।

বাসে উঠে সিটে গিয়ে বসলাম...

আহা... কী নরম সিট....হি হি হি।

সিটে বসেই মনে হলো....

পকেট ভর্তি টাকা থাকতে,

পেঁটটা খালি রেখে সিলেট যামু

এইটা হয় নাকি।

বাস থেকে নেমে....

যা যা খাইতে ভালো লাগে সব

কিনে আবার বাসে উঠলাম।

যামু আর খামু।

একটু পরেই বাস ছেড়ে দিলো।

কিছুদূর যাওয়ার পড়ে মনে মনে ভাবতেছি।

পিছনে বসে একদিক দিয়ে মনে হয় ভালোই

হইছে।

একদম পিছনে দেখে এই সিটের

টিকিট হয়তো কেউ কাঁটেই নাই.....

এখন তো আমি দুুইটা সিটেই শুয়ে

শুয়ে পুুরা রাস্তা যামু আর খামুু...হি হি হি।

দুইটা সিট মিলে শুইলাম.. পায়ের উপর পা

তুলে.... রাজাদের মতো আঙ্গুর খাইতেছি।

আঙ্গুর খাওয়া শেষ... এবার কমলা খামুু,

কমলা খাওয়া শেষ করে... জুস খাইতেছি।

এমন আরামে আর রাজার মতো

করে যে সিলেট যামু কোনদিন

ভাবি নাই... হু হু হু।

কয়েক ঘন্টা পড়ে হঠাৎ বাস

রাস্তার মধ্যে থেমে গেলো।

ওহুরে..... আমি যাতেই উঠি

ওহাতেই কী ঝামেলা হয়....

দূল ভাল্লাগেনা না।

আচ্ছা যা হয় হোক.....আগে আমার

পেঁটটা ভড়াইতে হইবো।

পেঁটটা যদি নাই ভড়াইতে পারি

তা হলে পকেট ভর্তি টাকা

থাইকা লাভ কী?

শুয়ে শুয়ে পায়ের উপরে পা তুলে

চুুুষতেছি..... মানে জুসের পাইপ।

একটু পড়ে।

- এই যে হ্যালো...এটা আপনার বেডরুম

না যে...পায়ের উপর পা দিয়ে জুস খাবেন।

- মাথাটা ঘুরিয়ে দেখি....চশমা

পড়া একটা মেয়ে।

দেখতে আমার মতো এতোটা কিউট না,

তবে ভালোই।

দেখতো আমার মতো এতোটা কিউট না,

তাই একটু ভাব নেওয়ার চেষ্টা করছি।

- ঐ দিকে একটু চেপে যান.... এটা আমার

সিট।

- হুমমমমম।

- এই কমলার খোসা গুলো কী আপনি

ফেলছেন।

- না তো.... আমি শুয়ে থাকতে একটা

জ্বীন আসছিলো...সেই হয়তো ফেলছে।

- ও আচ্ছা....তাহলে এখন

সেই জ্বীন কে আবার ডাকেন আর বলেন যে,

এই খোসা গুলো যাতে তার দিকে নেই।

- জ্বীন তো এখন আসবে না।

- ঠিকআছে....তাহলে আমি কন্টাক্টার কে

ডাকতেছি কেমন।

- না না.... থাক....আমি জ্বীনকেই ডাকতেছি।

- হুমমমমম।

- একটু চোখ বন্ধ করেন...।

- কেনো।

- জ্বীন আসতে লজ্জা পাইতেছে।

- আচ্ছা.... ঠিকআছে।

- নেহাত বাসের মধ্যে

আছি....তাই চুপ চাপ খোসা

গুলো নিজের দিকে নিলাম।

তা না হলে যে খেলাটাই না দেখাইতাম

মজা বুুঝাইতাম।

কতক্ষণ জানালার দিকে তাঁকাই

থাকতে থাকতে... ঘাঁড়টা লেগে

গেছে।

তাই একটু মেয়েটার দিকে তাঁকালাম।

কিউট না হলে ও....মেয়েটার মুখটা কেমন

মায়াবী।

এমনিই একটু তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছে হবে।

আর চশমাটা ও মনে হয় শুধু মেয়েটার

জন্যই বানানো হয়েছে....

অন্য কেউ পড়লে হয়তো এতো ভালো

লাগতো না।

আর মেয়েটাকে দেখে অনেক পরিপাটি

মনে হচ্ছে।

আর এই দিকে আমি তো জন্মের অগোছালো।

যাই হোক একটু দুষ্টুমি না করলে

কেমন লাগে।

তাই ভাবতেছি চুপচাপ আর

কতক্ষণ.... দুষ্টুমিটা শুরু করেই দিই.... হি হি হি হা হা হা

.

চলবে......

প্রতিটি পর্ব পড়াশেষে কৃতজ্ঞতা স্বরূপ একটা রিয়েক্ট কমেন্ট করবেন এই আশা করতেই পারি।ধন্যবাদগল্প :জমিদার বাড়ির মেয়ে?

পর্ব :২য়

লেখক:আরমান আহমেদ হিমেল

 

- ঘোড়ার পাছাই ফট করে একটা বারি

দিলে যেমন উঁড়াধুঁড়া ছুঁটতে থাকে।

আমি যেই বাসটাই বসে আছি, এইটা ও

ঠিক ঘোড়ার মতোই উঁড়াধুঁড়া ছুঁটতেছে

সিলেটের দিকে।

আর......আমার পাশের সিটে

চশমা পড়া মেয়েটা

চুপচাপ বসে আছে।

আর... অন্য দিকে আমি, আমার সিটে

বসে, উস খুস করতেছি।

কারণ.... পাশেই একটা মেয়ে

বসে আছে...তাও কোন দুষ্টুমি

করতে পারতেছি না তাই।

আর দুষ্টুমিটা শুরু করমুই বা কী দিয়ে,

কোন আগা মাথাই তো পাইতেছি না।

রাত্রে যখন রুমে শুয়ে থাকি

শয়তান হারামজাদা রাত দুইটার সময় পাছাই কামড় মেরে বলে...

যা অমুকের বাড়ির সামনে গিয়ে

চিল্লানি দে ,

ওর বাসার টিনে ঢিল মার।

রফিক্কার জানালাই গিয়ে ঠক ঠক

করে দৌড় মার।

আর এখন পাশেই একটা মেয়ে বসে

আছে, তবু কোন ফাজলামো বুদ্ধি মাথাই

আসতেছে না।

ওরে ভাই মাথা,একটা ফাজলামো

বুদ্ধি বের কর ভাই,,মেয়েটারে একটু জ্বালাই।

তা না হলে আমি তো উস খুস করতে

করতে মরে যামু।

 

হঠাৎ.....

 

- এই যে শুনছেন।

- হুমমম... বলেন।

- আচ্ছা এই চশমা টা কী আপনি

মায়ের পেঁট থেকে আসার সময়

নিয়েই আসছিলেন।

- কেনো।

- না মানো....চশমাটা কেমন জানি

আপনার সাথে একদম খাপে খাপ।

আপনার চোখ দুইটা হইতেছে

বোতলের মুখ, আর চশমাটা হইতেছে

বোতলে খাপ.... হি হি হি।

হায় হায় কিছুই তো কইলো না।

- এই যে চশমা।

- হুমমমমম।

- আপনার কাছে পানি আছে।

(বলার সাথে সাথে বোতল

বের করে দিলো)

- ও চশমা।

- হুমমমমমমমম।

- আপনার বোতল।

- থ্যাংকস্......।

কী মেয়েরে ভাই.... কোন রাগ তো নাই

সাথে কোন বিরক্ত ও নাই।

আমারি তো রাগ লাগতেছে।

নাহ্... এবার অন্য কিছুু ট্রাই করতে হবে

রাগানোর জন্য।

 

মেয়েটার দিকে তাঁকিয়ে দেখি চোখ বন্ধ করে,

সিটে হেলান দিয়ে আছে।

- হু হা হা হা হা হা হা।

কেমন নরম দৃষ্টিতে আস্তে করে

আমার দিকে তাঁকালো।

দেখে তো মনে হয় না বকা টকা দিবে।

- হাই।

- কিছু কী বলবেন।

- না মানে.... আপনার কাছে কী?

খাবার মতো কোন কিছু আছে।

আসলে অনেক খিদে লাগছে তো তাই।

- আমার কাছে তো খাবার মতো

তেমন কিছু নেই,

তবে শুধু একটা কেক আছে... এই যে।

এটা চলবে।

- শুধু চলা.....এটা দিয়েই পেঁট

ভরে যাবে।

- ঠিকআছে।

- পানিইইই.... ঐ চশমা,

পানি দেন না...গলাই আটকে গেছে তো।

- এই যে, এই যে পানি।

- ঐ... কী কেক দিছেন হুমমমমম...

আর একটু হলেই তো গলাই কেক

আটকে মরতাম।

- সরি।

- কীসের সরি.... এবার থেকে আরো

নরম দেখে কেক কিনবেন।

- আচ্ছা।

- কী আচ্ছা....কেমনে কেক কিনবেন

সেটা বলেন।

- জানি না তো...।

- তা জানবেন কেনো.... এবার থেকে

কেক কেনার আগে... ভালো করে টিপে টিপে

কিনবেন।

- হুুমমমমমমম।

- মনে থাকে যেন।

- আচ্ছা।

আবার চুপচাপ।

ওহহহহহহহহহ..... এমনে চলতে থাকলে

তো আমি নিজেই পাগল হয়ে যামু।

- ঐ চশমা।

- হুমমমমমমমম।

- আহারে.... আবার হুমমমমম....

আচ্ছা আপনি কী হ্যা,

আমি যে আপনারে এত্ত বিরক্ত করতেছি

কই একটুু রাগবেন... আমারে একটু

বকা দিবেন, তা না..

এমনে কেমনে আছেন।

অন্য কেউ হলে তো এতক্ষণে দুই

চারটা চর থাপ্পড় লাগাই দিতো।

আর আপনি কেমনে চুপচাপ এই সব

সহ্য করতেছেন।

- আমি তো এমনি....।

- এমনি মানে...আপনার কী রাগ হচ্ছে না

আমার উপর।

- রাগ কী?

- হে খোদা....তুমি আমারে এ কার

পাল্লাই ফেলাইলা।

এ নাকি জানেই না রাগ কী?

আর আমি ও কেমন ছগলের মতো এরেই

রাগানোর চেষ্টা করতেছি।

বাহ্ বাহ্....

 

(তারপর)

- এই যে চশমা।

- হুমমমম।

- কীসের এতো হুমমমম শুনি,

আর হ্যা আমি এতো তোমারে আপনি করে

বলতে পারমু না.... তুমি করে

বলতেছি... খারাপ লাগলে ও

কিচ্ছু করার নাই..... ও হ্যা তোমার তো

আবার রাগ ও নাই.....খারাপ লাগবো কেমনে। ।

আর হ্যা... আমি যেহেতু তোমারে

তুমি করে বলমু... সেহেতু তুমি ও আমারে তুমি

করেই বলবা কেমন।

- কেনো।

- কেনো মানে... তোমার রাগ নাই তো

কী হইছে.... আমার তো রাগ আছে নাকি।

কেউ আমারে আপনি বললে আমার

তারে থাপড়াইতে ইচ্ছে করে... বুঝলা।

একবার আপনি বলবা তো একটা

করে থাপড়ানি খাবা।

এবার বলো আপনি বলবা নাকি তুুমি।

- ঠিকআছে... তুমিই বলবো।

- এই তো গুড বয়..... না মানে গুড গার্ল।

- ঐ একটু পর পর এমন চুপ হয়ে যাও ক্যান।

রাগ নাই বলে কী কথা ও বলতে পারো না

হুমমমম।

- আসলে.. আমি ছোট থেকেই এমন চুুুুপচাপ।

- ওহহহহহহ....আচ্ছা..তোমাদের পুরা ফ্যামিলির

সবাই কী এমন তোমার মতো।

- আরে না.... আমি শুধুু এমন,

তা ছাঁড়া... বাবা, মা, দাদু, নানু সবাই অনেক

রাগি।

- আচ্ছা তুুমি চশমার ইংলিশ জানো।

- কেনো।

- না মানে...সব সময় তোমারে এমন

চশমা চশমা বলে ডাকতে

নিজেরেই কেমন খ্যাত খ্যাত মনে হইতেছে।

তাই যদি একটু চশমার ইংলিশটা বলে দিতা,

সেইটা বলে ডাকতাম,তাহলে নিজেরে ও

একটু স্টাইলিশ মনে হইতো এই আর কী?

- চশমার ইংলিশ তো চশমাই।

- কীইইইই ।

- হুমমমমমমমমমম।

- হালা*র পুতে*রা সব কিছুর ইংলিশ

রাখতে পাড়ছে আর এই সামান্য

চশমার ইংরেজি রাখতে পারে নাই.. মূ*র্খের দল

সব।

- আচ্ছা.. ইংলিশ যখন রাখেই নাই

তাহলে আর কী করার.... চশমাই বলি

কেমন।

- ওকে।

- তো চশমা...তোমার নাম কী? শুনি।

- নীলা।

- বাহ্.... তোমার থেকে তোমার নামটাই

বেশি সুইট... হি হি।

ঐ আমার নাম শুনবা না।

- হুমমমমম বলো।

- কী বলমু।

- তোমার নাম।

- মনডাই চাইতেছে নিজের গালে

নিজেই থাপড়ানি দিই।

- কেনো।

- কেনো আবার তোমারে যে থাপড়ানি দিতে

পারমু না তাই।

এমনে কী কেউ কারো নাম জিজ্ঞেস করে হুমমম।

- আরে এর আগে তো আমি কারোর

নামই জিজ্ঞেস করি নাই... তাহলে

কেমনে জানবো।

- ওহহহহহহ..... তুমি না একটা.. থাক

বলমু না...।

- আচ্ছা তোমার নাম কী?

- আরমান.....নামটা জোস না।

- হুুমমমম।

- আর আমি ও..... হি হি।

- ঐ শোনো আমি তোমার সাথে

এত্ত কথা বলতেছি বলে,

তুুমি আবার ভাইবো না যে আমি

তোমারে পটানোর চেষ্টা করতেছি।

কারণ আমি কোন মেয়ে টেয়ের চক্করে নাই।

এমনি বাড়িতে আব্বার সাথে একটা

কেলেংকারি করে আসছি।

- আচ্ছা সাহরিয়া পটানো কী...

আর বাড়িতে আব্বার সাথে কেলেংকারি করে আসছো মানো।

- ঐ তুমি পটানো বুঝো না।

- না তো।

এবার আমি সত্যি সত্যি পাগল হয়ে যামু।

- ঐ বলো পটানো মানে কী?

- ভালোবাসা বুঝো।

- হুমমমমম।

- পটানো হইলো ভালোবাসার ছোট

ভাই.....।

- ওহহহহহহ.... তো তাতে কী হইছে।

আর বাড়িতে কেলেংকারি করে আসছো

মানে।

- এই সব ও শুনবা।

- হুমমমম..... বলো।

- প্রথমের ঘটনা সব খুলে বললাম।

- হা হা হা হা হা হা হা হা.....তুমি

তো অনেক দুষ্টু।

- আর দুষ্টু..... বাড়িতে গেলে

আমার উপর দিয়ে যে কী যাবে আল্লাহ্ জানে।

- হা হা হা।

হঠাৎ.......ভটাস করে জোরে একটা

শব্দ হয়ে বাসটা থেমে গেলো।

নিচে গিয়ে দেখি বাসের চাক্কা ফেঁটে

গেছে।

- ওরে খোদা...... এবার আমি এই

রাইত্রে কেমনে সিলেট যামু।

- আরে টেনশন নিও না, আমি

দাদুর কাছে ফোন করছি গাড়ি

চলে আসতেছে।

- দাদু কে।

- আরে আমার দাদু।

এখান থেকে একটু দূরেই আমার দাদু বাড়ি।

- ওহহহহহহহহ....তোমার দাদু খুব বড়লোক

বুঝি।

- হুমমমমম......একটু।

- ও হু হু..... কী ঠান্ডা বাতাস,

তোমার চাদরটা একটু দিবা।

- ওকে ধরো।

- আচ্ছা নীলা,এখান থেকে সিলেট

কতদূর বলতে পারবা।

- বেশি দূরে না.... দশ কি.মি.।

- হালার পুত বাসটা পুরো রাস্তা

আসতে পারলো আর ঐ টুকু গেলে

কী হইতো।

এখানেই চাকা ফাঁটতে হবে।

- আমি বাবার কাছে শুনছি এই রাস্তাই

নাকি একটু প্রবলেম আছে।

- কী প্রবলেম।

- আমি ও তো জানি না.... শুধু

শুনছি প্রবলেম আছে।

- আচ্ছা.... আমি একটু তোমার

কাছে কাছে থাকি।

- ঠিকআছে।

একটু পড়েই গাড়ি আসলো।

- ম্যাডাম গাড়িতে উঠেন।

- বাবা, দাদু কেউ আসলো না কেনো।

- আসলে ম্যাডাম...শুধু আমাকেই

আসতে বলতো।

- ঠিকআছে।

- আরমান..তুমি ও আমার সাথে চলো, এতো রাত্রে এখানে থাকার মতো কিছুই পাবে না।

যাও তোমার ব্যাগ নিয়ে আসো।

- ঠিকআছে......।

ব্যাগ নিয়ে আসার সময় দেখি,

নীলাকে যেই লোকটা ম্যাডাম বলছিলো

সে আমাকে একটু সাইটে ডাকলো।

- ভাই এই মেয়ে কে চেনেন।

- মাত্র তো আজকেই পরিচয় হইলো

কেমনে চিনমু.... শুধু নামটা জানি।

- আরে ভাই.... এই মেয়ে এই খানের

জমিদারের নাতনি।

- তো আমি কী করমু।

- আরে ভাই আপনি জানেন না,

এই মেয়ের বাবা আর দাদা কী জিনিস।

- ওরে ভাই.... আমি কী মেয়েটারে বিয়া

করমু নাকি.... তাই তাদের সব

কিছুু জানা লাগবে।

নেহাত বাসের চাকাটা ফাঁটছে তাই।

তা না হলে আমি এতক্ষণে সিলেট

চলে যাইতাম।

- এইটা মনে হয় ম্যাডামের চাদর।

- হুমমমমম।

- ভাই আপনার কপাল ভালো ওনার

বাবা বা দাদু কেউ আসে নাই।

- কেনো.... ওনারা আসলে কী হইতো।

- সেটা আসলেই দেখতে পাইতেই।

- ওরে ভাই রাতটা পার হলেই আমি

সোঁজা সিলেট..... এবার চলেন।

- আপনার কপালে যে কী আছেরে ভাই,

সেটা একমাত্র আল্লাহ্ জানে।

- হয়... এইবার চলেন...কপালে

আমার অনেক কিছুই আছে সেটা আমি ও জানি।

ড্রাইভার আর ঐ লোকটা সামনে।

আমি আর নীলা পিছনের সীটে।

- নীলা... তোমার চাদর।

- হুমমমমম।

- আচ্ছা বাড়িতে যখন নিয়েই যাচ্ছো

একটু খাইতে ও দিও কেমন.... হি হি।

- হা হা... ঠিকআছে।

গাড়ি থেকে নামতেই দেখি.....

ও মা গো এটা তো সত্যি সত্যি একটা

জমিদার বাড়ি।

- ঐ নীলা তোমার দাদু যে জমিদার

আগে বলো নাই ক্যান।

- আগে যদি বলতাম আমার সাথে তো

ওমন দুষ্টুমি করতা না, আর আমার

সাথে আসতা ও না।

- আরে দূর.... আগে যদি বলতা যে

তোমার দাদু জমিদার...আরো বেশি

জ্বালাইতাম হি হি হি।

- তাই বুঝি।

- হুমমমমম।

- ঠিকআছে.... ভিতরে আসো।

- ওক্কে..... এই প্রথম কোন জমিদার

বাড়িতে যাইতেছি বুঝলা।

মনে হইছেতে রাজাদের আমলে আছি।

এই সময়ে ও যে জমিদার আছে জানতামই না।

- এখন তো জানলা... এবার ভিতরে চলো।

.

.

চলবে...

 

প্রতিটি পর্ব পড়াশেষে কৃতজ্ঞতা স্বরূপ একটা রিয়েক্ট কমেন্ট করবেন এই আশা করতেই পারি। ধন্যবাদগল্প: জমিদার বাড়ির মেয়ে?

পর্ব:৩য়

লেখক:আরমান আহমেদ হিমেল

?

- নীলার পিছন পিছন ভিতরে

যাইতেছি।

মেইন দরোজাটা পার হয়ে

বাড়ির মধ্যে ঢুকতেই দেখি।

দরবেশের মতো একটা লোক

সোফাই উপর বসে তসবি গুনতেছে।

নীলার কানে ফিস ফিস করে বললাম ।

- ঐ.... তোমরা কী বাড়ির ভিতরে

জ্বীন টিন পালো নাকি।

- কেনো।

- ঐ যে সোফার উপরে জ্বীনের মতো

ঐটা কে বসে আছে।

- ওটা আমার দাদু।

- ওহহহহহ আচ্ছা...আমি তো ওনার চেহানা ছুরত আর দাঁড়ি দেখে ভাবছিলাম।

কোন দরবেশ টরবেশ হইবো হয়তো।

আবার কেমন জ্বীন জ্বীন ও মনে

হইতেছে.... হি হি হি।

- চুপপপপপ...আমার সাথে

যত যত ইচ্ছে দুষ্টুমি করো,

কিন্তুু বাবা আর দাদুর সাথে একদম কোন

দুুষ্টু করবা না।

- কেনো।

- ওনারা দুই জন অনেক রাগি।

- সত্যি।

- হুমমমমমম।

- যাক দুুষ্টুমি করার জন্য শেষ মেষ

দুইটা লোক মিললো.... হি হি হি।

এবার তুমি আমার পিছন পিছন আসো,

আমি একটু আগে গিয়ে জ্বীন, দরবেশ

দাদুর সাথে কথা বার্তা সেরে ফেলি।

- আরমান.... না।

কে শুনে কার কথা।

- দরবেশ দাদু...আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

- ওয়া'আলাইকুমুসসালাম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু”।

- দরবেশ দাদু... আমার নাম আরমান।

- ঠিকআছে...এখানে কীভাবে আসছো।

- সে তো এক ইতিহাসের মতো কাহিনি,

শর্ট করে বলতাম নাকি পুরো ইতিহাসটাই

শুনবেন।

- শর্ট করে বলো।

- জ্বী..... প্রথমে আব্বার আলমারি

থেকে টাকা চুরি করছি, এরপরে

সিলেট আসার জন্য সিলেটের বাসে উঠছে।

বাসে উঠে নীলার নামের একটা মেয়ের

সাথে পরিচয়।

পরিচয় হবার পর থেকে তার সাথে

গল্প করতে করতেই আসতেছিলাম।

হঠাৎ.... বুমমমমমমম।

- বুমমমমমমম.... মানে।

- বুমমমম মানে বাসের চাক্কা ফেঁটে

গেছে।

তো বাসের চাক্কা মাঝ রাস্তাই ফাঁটার

কারণে আপনি নাতনি আমারে এখানে

গাড়ি করে নিয়ে আসছে।

গাড়ি থেকে নামার পরে থেকে আপনার এখান

অব্দি পায়ে হেঁটেই আসছি।

- বাহ্.... একটা মেয়ে আসতে বললো

আর চলে আসলে।

- এই যে হ্যালো... দরবেশ দাদু... আমি

না আপনার নাতনির কথায় এখানে আসি নাই।

ওর মুখে যখন শুনছি.... ওর দাদু এখানকার

জমিদার।

জীবনে তো খালি

রাজা জমিদারদের কথা গল্পেই পড়ে

গেছি।

তাই ভাবছিলাম সুযোগ যখন আসছেই

এবার না হয় একটু সামনে থেকে দেখে আসি।

কিন্তুু এ আমি কী দেখছি.... জমিদার

নামটার সাথে তো আপনার কোন মিলই নাই।

আসার সময় মনে মনে ভাবছিলাম,

জমিদার দেখতে হয়তো কোন

বীরের মতো হবে।

কিন্তুু আপনারে দেখে তো মনে হইতেছে।

- কী মনে হইতেছে।

- না থাক, বলমু না.... হুদাই আবার

খালি খালি রেগে যাবেন।

- রেগে যাবো না বলো।

কেমন লাগতেছে।

- কেমন আবার... কোন জ্বীন আর দরবেশরে

এক সাথে মিশাইলে যেমন লাগে... তেমন

লাগতেছে।

রাগি একটা লুক নিয়ে আমার দিকে

তাঁকালো...অনেক কিছু বলতে চেয়ে ও বললো না।

- নীলা...এই দিকে আয়।

- জ্বী দাদুু।

- আরে জ্বী দাদু না বলে জ্বীন দাদু বলো.. হি হি।

- আরমান....চুপপপপপপ....

দাদু ওর কথায় কিছু মনে করো না,

ও একটু বেশি কথা বলে।

- আচ্ছা তোর মা কেমন আছে ।

- ভালো আছে দাদু.....আব্বু কোথায় গেছে।

- একটা কাজের জন্য একটু বাহিরে গেছে

কালকে ফিরবে।

তুই ওকে নিয়ে উপরে যা।

- ঠিকআছে দাদু।

- আরমান.. উপরে আসো।

- হুমমমমম....।

ঐ আর এক মিনিট দাঁড়াও।

- আবার কী?

- আচ্ছা দাদুু তোমারে কী আমি জ্বীন দাদু

দরবেশ দাদু নাকি খালি দাদু বলে ডাকমু।

- নীলা... ওকে উপরে নিয়ে যা।

- আরমান.... উপরে চলো।

- কিন্তুু ওনি তো কোনটাই বললো না।

তাহলে কী আমি তিনটা বলেই ডাকমু।

- নীলা...ওকে উপরে নিয়ে যা বলছি,

আমি চাই না বাড়ির কোন মেহমানের

সাথে খারাপ কিছু হোক।

- আরমান..প্লিজ উপরে চলো।

- আচ্ছা ঠিক আছে...চলো...

কী আর করার আমার পছন্দ মতোই কোন

একটা বলে ডাকমুনি।

উপরে যাওয়ার পড়ে।

- আরমান... তুমি কী পাগল.. হ্যা।

দাদু আর বাবা অনেক ডেঞ্জারাস।

- তো কী হইছে.... চুল, দাঁড়ি আর

কাপড়চোপড় দেখে তো জ্বীনেদের

দরবেশ মনে হচ্ছিলো... হি হি।

- আরমান চুপপপপ....আমি যে

কেনো তোমারে আনতে গেলাম।

- ও মা তোমার কী কোন প্রবলেম হচ্ছে

নাকি।

আচ্ছা আমি তাহলে গেলাম.... বাই, টাটা।

- আরে দূর... আমি সেটা বলি নাই।

প্রবলেম আমার হবে কেনো, প্রবলেম তো

হবে তোমার।

তুমি যদি এমন করতে থাকো না....

সত্যি সত্যি খারাপ কিছু একটা হয়ে যাবে।

- কেনো?

 

- কেনো আবার, বাবা আর দাদু

অনেক ডেঞ্জারাস তাই।

- ওওওওও।

- হুমমমমমম.... এবার ঐ রুমে গিয়ে...

ফ্রেশ হয়ে বসে থাকো।

আমি খাবার নিয়ে আসতেছি।

- ঠিকআছে ।

বাহ্..... রুমটা তো সেই।

মনে হচ্ছে আমার আসার কথা

শুনে কেউ আগে থেকেই রুমটা

গুছিয়ে রাখছে।

আর, হাজার হলে ও জমিদারের বাড়ি

বলে কথা...।

সব কিছুু তো সেই হবেই।

ফ্রেশ হয়ে....খাটের উপর চিরপটাং

হয়ে শুয়ে ফোন টিপতেছি।

এমন সময় দরোজাই... ঠক ঠক ।

- দরোজার কাছে গেলাম,

কে.....।

- আরমান...আমি নীলা।

- দাঁড়াও.... খুলতেছি।

- হুমমমমম....।

- এই যে ধরো... তোমার খাবার।

- হুমমমম, দাও... অনেক খিদে

লাগছে।

- আচ্ছা তুমি খেয়ে নিয়ো, আমি গেলাম।

- ঠিকআছে ।

খাবার গুলো দেখে তো সেই

লাগতেছে.....

কিন্তুু সেই লেগে তো কোন লাভ নাই,

যতক্ষণে না পেঁটের ভিতরে ঢুকতেছে।

আহা...খাইতে যা লাগলো না... পুরাই

জমিদারি খাবার।


Tanvir Arafat

93 ブログ 投稿

コメント