ভালোবাসার অসমাপ্ত গল্প

ভালোবাসি ভালোবাসি ভালোবাসি? বেছ। তোমাকেও ভালোবাসতে হবে।
-- ভালোবাসি না ভালোবাসি না ভালোবাসি না। আর কখনো ভালো

ভালোবাসি ভালোবাসি ভালোবাসি? বেছ। তোমাকেও ভালোবাসতে হবে।

-- ভালোবাসি না ভালোবাসি না ভালোবাসি না। আর কখনো ভালোবাসবো না।

-- কি বললা।

তুমি কেন আমাকে ভালোবাসবে না। আমি দেখতে খারাপ কোন দিক দিয়ে আমার কম আছে।

-- কারণ তোমাকে আমার ভালো লাগে না।

 

আমি যেমন মেয়ে আমার লাইফ পাটনার করে চাই তুমি তেমন না।একদম আলাদা।

-- তুমি কেমন মেয়ে চাও। কেমন করলে তুমিও আমাকে ভালোবাসবে।

-- আমি তোমাকে কখনওই ভালোবাসবো না।

-- কিন্তু কেন???

-- আমার ইচ্ছে তাই।

-- না তোমার ইচ্ছে না। তোমাকে আমাকে ভালোবাসতেই হবে।

-- না আমি তোমাকে ভালোবাসবো না।

-- ওকে আমিও দেখে নিবো। কিভাবে ভালোবাসা আদায় করতে হয় আমার খুব ভালো করে জানা আছে।

-- ওকে যা ইচ্ছে করতে পারো কিন্তু ফলাফল শূন্যই হবে।

.

.

মেঘা রাগে আগুন হয়ে চলে গেল। সাব্বিরকে অসম্ভব ভালোবাসে কিন্তু সাব্বির কোনো পাত্তাই দিতে চায় না।

কারণ মেঘা একদম অন্যরকম ছেলেদের মতো করে সে চলে। পড়ায় জিন্স, গায়ে শার্ট,মাথা ক্যাপ। তাকে দূর থেকে দেখলে একটা

ছেলেই মনে হবে।

 

আর এসব সাব্বির একদমই পছন্দ করে না। একটু চঞ্চল মেয়েদের এটাই সমস্যা। একটু অন্যভাবে চলে কিন্তু এদের

প্রেমেই ছেলেরা বেশি পড়ে। সাব্বিরও পড়েছে কিন্তু সে আগে মেঘাকে নিজের মনের মতো করবে তারপর বলবে নিজের ভালবাসার কথা। ভার্সিটির সামনে সাব্বির বসে আছে। তখনি একটা মেয়ের আগমন। দূরে তাই পুরাটা বুঝা যাচ্ছে না।

.

-- দোস আমার কিন্তু মেয়েটার সাথে হয়ে গেছে। (সিপন)

-- কি হয়েছে গেছে। (সাব্বির)

-- প্রেম"

-- ওহ, আমি তো ভাবছি বিয়ের আগেই বাবা হতে যাচ্ছিস।

-- উল্টা ভাবস ক্যান। কিরে মেয়েটা তো এই দিকেই আসছে

-- আসলে তো। আরে এটা মেঘা না।

-- হুম মেঘাই তো।

-- কেমন লাগছে। হুম, ঐ তুই হা করে আসিস কেন। যা এখান থেকে।(মেঘা)

-- যাচ্ছি যাচ্ছি। (সিপন)

-- হা হা হা হা হা হুমম হা হা হা হাহ হাহ ।

-- হাসো কেন? (অবাক হয়ে)

-- তোমাকে দেখে।

-- আমাকে দেখে হাসার কি আছে।

-- আজকে কোনো অনুষ্ঠান নেই তুমি শাড়ি পড়ে এসেছো কেন।

-- আমার ইচ্ছে হইচে তাই।

-- হা হা সুন্দর লাগছে হু হু হু, খুব সুন্দর লাগছে।

-- সুন্দর লাগছে বলতে কি হাসতে হয় নাকি।

-- তোমার সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে আমার হাসি আসছে।

-- সত্যি কি আমাকে খারাপ লাগছে।

-- আরে না না খুব সুন্দর লাগছে। আমি তো প্রেমে পড়ে গেছি। হি হি হি।

-- আমাকে নিয়ে মজা করছো।

-- না তো মজা কেন করব।

-- তাহলে এমন হাসছো কেন।

-- হাসি আসতেছে আমি কি করব কাদবো না কি ব্যা ব্যা করে।

--……???(চুপ করে মাথা নিচু করে দাড়িয়ে আছে মেঘা। চোখের কোনো হালকা পানিও জমে গেছে। মনে হচ্ছে বৃষ্টি নামবে। অতঃপর বৃষ্টি নেমেই আসলো।)

-- আরে তুমি কাঁদছো কেন??

--………???(শব্দহীন কান্না চলছে মেঘার চোখের কাজলে কালো রেখা টেনে দিল মেঘার গালে)

-- তুমি কাদো কেন???

--………??( কান্না আসতে আসতে তীব্র হচ্ছে, ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাদতে লাগল)

-- তুমি কি বাচ্চা নাকি কাদছো কেন কান্না বন্ধ কর। সবাই দেখছে কিন্তু।

.

সাব্বিরের কোনো কথা শুনছে কেদেই চলেছে। কিভাবে কান্না থামাবে কোনো উপায়ও খুজে পাচ্ছে না। শেষমেশ মেঘাকে সোজা বুকে নিয়ে নিল।

.

-- এবার তো কান্না বন্ধ করো ভালোবাসি ভালোবাসি ভালোবাসি।

-- ……??( তাও কাদছে)

-- মেঘা কান্না বন্ধ করো আমার শার্ট ভিজে গেছে তো।

-- ভিজুক।

-- আমার ঠান্ডা লেগে যাবে।

-- এমন করে হাসছিলে কেন। কতো কষ্ট করে তোমার জন্য সেজেগুজে আসছি আর তুমি হাসো।

-- তা তো তোমাকে রাগাতে।

-- আমাকে রাগাতে নাকি কাদাতে।

-- না রাগলে কি কাদতে তুমি

-- আমাকে কাদাতে ভালো লাগে তাই না।

-- কি বলে পাগলি তোমার কান্না থামাতে তো বুকে নিলাম তোমাকে।

-- ঢং করো না। আমি জানি তুমি আমাকে কাদাতে ভালো লাগে।

-- সত্যি তোমাকে কাদাতে নয় রাগাতে ভালো লাগে।

-- হুম তাহলে এতোদিন ভালবাসি বলোনি কেন???

-- ভালবাসি বললে কি এই সাজটা দেখতে পেতাম।

-- তার মানে তুমিও আমাকে ভালবাসতে।

-- আবার জিগায়।

-- আই লাভ ইউ বলো

.

-- পাপা পাপা আমাকে আজকে বেড়াতে নিয়ে যাবে।

-- হুমম আম্মু নিয়ে যাবো।

-- সত্যি পাপা।

-- হুম সত্যি।

-- তিন সত্যি বলো।

-- সত্যি সত্যি সত্যি তিন সত্যি আজকে আমার অবনী মামণিকে বেড়াতে নিয়ে যাবো।

-- আই লাভ ইউ পাপা, উমমমমমমমম্মা।

-- আই লাভ ইউ টু মামণি, উমমমমমমমম্মা।

.

শরীর পুরা শক্তি দিয়ে জড়িয়ে ধরে পাপার গালে চুমু দিলো অবনী। সাব্বিরও দিলো অবনীর কপালে। ছোট্ট অবনী। মেঘার শেষ স্মৃতি।

একটু যত্ন করেই রেঁধেছে ত্বরা। আর খেতে বসে যা করেছে, বেচারা মোহন তো বলেই বসল, ‘এত খাবার তুলে দিচ্ছ, মারতে চাও আমাকে! পেটে একদম জায়গা নেই।’ 

 

ত্বরার তখন ভারি মায়া হলো। চাপাচাপির ইতি টেনে ভাবল, যাক, আজ আর কুটকুট হবে না। ও মা, খাওয়া শেষে দুই ঢোঁক পানি গিলেই বিস্কুটের টিনটা নামাল!

 

গোছগাছ সারার পর ত্বরার ভীষণ জেদ চেপে যায়—আজ হেস্তনেস্ত একটা করেই ছাড়বে! মোহনকে গিয়ে বলে, ‘আচ্ছা, তুমি কেমন মানুষ বলো তো?’ 

 

মোহন কুটকুট হাসে, ‘কেমন মানুষ?’ 

 

‘এই না বললে পেটে জায়গা নেই, এখন আবার বিস্কুট খাচ্ছ কীভাবে?’ 

 

‘আরে, বিস্কুট খাচ্ছি কোথায়? এটা তো টোস্ট!’

 

‘টোস্ট কি বিস্কুট না?’ 

 

‘আরে, টোস্ট তো টোস্টই। সে তুমি বুঝবে না।’ 

 

‘আমার বোঝার দরকার নেই। আমি শুধু বুঝতে চাই, তুমি এটা ছাড়বে কি না, বলো?’ 

 

‘আহা, চটছ কেন? স্বামী কিছু খেলে বউরা কত খুশি হয়। আর তুমি দেখছি রেগে আগুন!’ 

 

‘তাই বলে ছাতামাথা খাবে? আর দেখারও তো একটা সৌন্দর্য আছে।’ 

 

মোহন হো হো করে হাসে। বলে, ‘বুঝতে পেরেছি। টোস্ট খাওয়ার সময় আমাকে ছোট্ট একটা বাবুর মতো লাগে।’ 

‘সেটা হলেও নাহয় মেনে নিতাম।’ 

 

‘তাহলে কেমন দেখায়, বলো?’ 

 

‘তোমার এটা খাওয়া না, জাবর কাটা! কোনো মেয়ে তার স্বামীকে ওই বেশে দেখতে চায় না।’ 

 

মোহন এবার এত জোরে হাসে, যেন ঘরের দেয়াল সব ফাটিয়ে দেবে। অনেক কষ্টে হাসি থামিয়ে সে বলে, ‘একটা গো-বেচারাকে তুমি অন্যভাবে দেখতে চাইছ কেন? সে তো জাবর কাটবেই।’ 

 

‘তুমি যত তামাশাই করো না কেন, এই কুটকুট তোমাকে ছাড়তে হবে। তুমি যদি আমাকে সত্যিকারে ভালোবাসো, কাল থেকে আর এই ছাতামাথা খাবে না।’

 

ভালোবাসার দোহাইয়ে কাজ হলো। পরদিন রাতে খাওয়ার পর সত্যিই মোহন টোস্টের ডিব্বা আর নামাল না। সুবোধ বালকের মতো ড্রয়িংরুমে গিয়ে খানিকক্ষণ টিভির দূরনিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের বোতাম টিপে উঠে এল। 

 

দুদিন চলল এভাবে। অফিসেও চায়ের সঙ্গে টোস্ট খায় না মোহন। জুনিয়র মনিকা সেটা খেয়াল করে বলল, ‘আরে, মোহন ভাই, চায়ের সঙ্গে টোস্ট নেই যে!’ 

 

মোহন বলে, ‘একটা জিনিস যত মজাই লাগুক না কেন, একসময় একঘেয়ে লাগে।’ 

 

মনিকা মুখ টিপে হেসে বলে, ‘এ্যাঁ, এটা কী বলছেন, মোহন ভাই! ভাবিকে শিগগিরই সতর্ক করতে হবে। এক বছরেরই এই দশা!’ 

 

অন্যরা এ কথা শুনে হাসতে লাগল। মোহন মুখে শুকনো হাসি এঁটে বসে রইল। 

 

আরেক জুনিয়র রিফাত ছোট ভাইয়ের মতো। সে মোহনের টেবিলে ঢাউস এক প্যাকেট টোস্ট রেখে বলল, ‘এটা কঠিন জিনিস, বস! ঘিয়ে ময়ান দিয়ে তৈরি!’ 

 

এদের ভাবটা এমন যেন রাতে ত্বরার সঙ্গে টোস্ট নিয়ে খুনসুটির কথা জেনে গেছে। এখন মওকা পেয়ে খোঁচাচ্ছে। খোকাবাবুর মতো গোস্‌সা করে বসে থাকে মোহন। ছুটির পর টেবিলে টোস্টের প্যাকেট ফেলে আসে মোহন। কেউ নিলে নিয়ে যাক। 

 

রাস্তায় এসে মনটা কেমন উদাস হয়ে যায় মোহনের। বিয়ের আগে যেমন মাঝে মাঝে একলা ঘুরে বেড়াত, আজ হঠাৎ সেভাবে ঘুরতে ইচ্ছা করে। ফুটপাত দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে মনে মনে বলে, ‘সিগারেট না, সুরা না, অন্য কোনো নেশাও না—শুধু তো ওই টোস্টই। এটা বন্ধ না করলে কি চলত না, ত্বরা?’

 

একটু রাত করেই বাসায় ফেরে মোহন। আজ সাত পদের ব্যঞ্জন। কিন্তু মজা নেই। খাওয়া শেষে টিভি দেখতে বসে যায় মোহন। অবশ্যই বিস্কুটের টিন ছাড়া। 

 

একটু পরই ত্বরা এসে বসে মোহনের পাশে। হাতে সেই বিস্কুটের টিন। মোহন হেসে বলে, ‘কী, রঙ্গ করতে এসেছ?’ 

 

‘না, তোমার জন্য এক টিন ভালোবাসা নিয়ে এসেছি।’ 

‘মানে?’ 

 

‘দুদিন ধরে তুমি কুটকুট করো না। এই কুটকুট আমার বুকের ভেতর বাজছে! সইতে পারছি না।’ 

 

মোহনের দিকে করুণ চোখে তাকায় ত্বরা। বিস্কুটের টিনটা খুলে ধরে। একটা টোস্ট তুলে নিয়ে আগের মতো কুটকুট শুরু করে

সেদিন ভার্সিটি থেকে বাসায় ফিরছি। ঠিক সেই মুহুর্তে পিছন থেকে একটা মেয়েলী কণ্ঠ ভেসে আসছে। আমায় নাম ধরে ডাকছে আমি ভাবছি আমার নামের অন্য কাউকে ডাকছে তাই মেয়েটার ডাকে সাড়া না দিয়ে আমি আমার গন্তব্যের দিকে হাটতে লাগলাম। দু তিন পা এগুতেই মেয়েটা আমার সামনে এসে দাঁড়ালো। দেখতে অনেক সুন্দর বটে কিন্তু আমি তো এই মেয়েটাকে চিনি না। এর আগে দেখছি বলে মনে হয় না। আমি বেশ অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলামঃ আপনি কি আমায় ডাকছেন? মেয়েটা মুখটা ভেংচি দিয়ে বললোঃ আপনাকে ছাড়া আর কাকে ডাকবো? এখানে এই নামে আর কেউ আছে বলে মনে হয় না। আমি মেয়েটার কথা শুনে আকাশ থেকে পড়লাম। চিনি না জানি না হঠাৎ কোথ থেকে উড়ে এসে জুড়ে বসলো। আমি নরম মৃদু স্বরে বললামঃ আপনি আমাকে কিভাবে চিনেন? যেভাবেই হোক চিনি কিন্তু বলবো না। কি ঝামেলারে বাবা চিনে কিন্তু বলবে না। সেদিনের মত কথা শেষ করে বাসায় আসলাম। রাত ১২ টার দিকে আমার ফোনে একটা কল আসে। অচেনা নাম্বার দেখে প্রথমে ধরি নাই। বারবার কল দেওয়াতে বিরক্ত হয়ে ফোনটা ধরলাম।

*.এইযে কে আপনি? বারবার ফোন দিচ্ছেন কেনো? ফোনের ওপাশ থেকে কাঁদোকাঁদো কন্ঠে বললোঃ আমি। আমি রেগে গিয়ে বললামঃ আমি কে? নাম নাই নাকি? এবার মেয়েটা স্বাভাবিক ভাবে বললোঃ ঐ যে রাস্তায় দেখা হইলো। রাস্তায় তো আমার অনেক মেয়ের সাথে দেখা হয় আপনি কোনটা? এই কথা বলার পর মেয়েটা বাচ্চা পোলাপানের মত কাঁদতে লাগলো। আমিও বুঝে গেছি এইটা কোন মেয়ে। কি করবো বুঝতেছি না। আমি ধমক দিয়ে বললামঃ এইযে বাচ্চা পোলাপানের মত কাঁদছেন কেন? ভাবছি ধমক দিলে কান্না থেমে যাবে কিন্তু তার উল্টো হলো। তাই এবার আর ধমক না দিয়ে সুন্দর করে বুঝালামঃ আচ্ছা আপনি আমার কাছে কি চান? উত্তরে বললো আপনাকে। আমি অবাক হয়ে বললামঃ কিহ?? না মানে আপনার কণ্ঠে গান চাই । আমি মনেমনে বললাম যাক বাবা বাঁচা গেলো একটা গান শুনিয়ে বিদায় করে দেই। একটা গান শুনার পর মেয়েটা বায়না ধরে বসে প্রতি রাতে গান শুনাতে হবে যতক্ষণ ঘুম না আসে ততক্ষণ। আমি অনেক্ষণ চুপ করে রইলাম। মেয়েটা রীতিমত আমাকে থ্রেড দিয়ে বসলো যদি আমি প্রতি রাতে গান না শুনায় তাহলে রাস্তাঘাটে জড়িয়ে ধরে বলবে 'আই লাভ ইউ' আমি ভয় পেয়ে মেয়েটার কথায় রাজি হয়ে গেলাম। ভাবলাম প্রতি রাতে গান শুনালে খারাপ কি। আমারই ভালো গলাটা চালু থাকলো।

.

পরেরদিন……

আজকে ভার্সিটি যাওয়ার সময় দেখলাম মেয়েটা দাঁড়িয়ে আছে ঠিক সেই জায়গাতে। আমি আমার কাঁধ থেকে ব্যাগটা খুলে মুখ ঢেকে হাটতে লাগলাম। কিন্তু মেয়েটার কাছ থেকে বাঁচতে পারলাম না। পথ আটকে দাঁড়ালো। তারপর বললোঃ লুকিয়ে কই যান? মুখে হালকা একটু হাসি দিয়ে বললামঃ ছাতাটা আনতে ভুলে গেছি। মাথায় রোদ লাগছে তাই ব্যাগটা দিয়ে মুখ ঢেকে রাখছিলাম। মেয়েটা আমার দিকে হা করে তাকিয়ে বললোঃ আমার কাছে ছাতা আছে চলেন আমি আপনাকে ভার্সিটি পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে আসি। কি আর করা মেয়েটার কথামত ভার্সিটি পর্যন্ত গেলাম। মেয়েটা বললোঃ এতদূর পর্যন্ত আপনার মাথায় ছাতা দিয়ে আসলাম একটা থ্যাংকস পর্যন্ত দিলেন না? এমন কেন আপনি?? আমি কোনোকিছু না বলে চুপচাপ মেয়েটার কথা শুনছিলাম। তারপর একেবারে অনেকগুলা থ্যাংকস দিলাম। পরেরদিন ভার্সিটি শেষ করে বাসায় এসে মেসেঞ্জারে ঢুকলাম। অচিন পাখি নামের আইডি থেকে নতুন একটা মেসেজ রিকুয়েস্ট আসছে। চেক করে দেখলাম একটা মেয়ের আইডি। মেসেজে লেখা আপনার গান গুলা হেব্বি। আমি চোখ বড়

 ১২ বাজে অথচ এখনো মেয়েটির ফোন আসলো না আমি আশ্চর্য হয়ে গেলাম। তাড়াহুড়ো করে মেসেঞ্জারে ঢুকলাম। দেখলাম মেয়েটার আইডি কালো হয়ে গেছে। তারপর আমি নিজ থেকে মেয়েটিকে ফোন দিলাম। ফোন বন্ধ। আমি অনেকটা চিন্তায় পড়ে গেলাম। মেয়েটির কিছু হলো নাকি? নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করলাম আমি এই মেয়েটিকে নিয়ে ভাবছি কেন? তারপর সবকিছু বাদ দিয়ে ঘুমাতে গেলাম। কিছুতেই ঘুম আসছে না। অনেক চেষ্টার পর হঠাৎ ঘুমিয়ে পড়লাম। সকালে দেরি করে ঘুম থেকে উঠার কারণে নাস্তা না করেই ভার্সিটির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। প্রতিদিন যেখানে ঐ মেয়েটির সাথে দেখা হত ঠিক সেখানে দাঁড়িয়ে এদিক ওদিক তাকিয়ে আছি। কিন্তু ঐ মেয়েটিকে আর আসতে দেখলাম না। মেয়েটির জন্য প্রায় ১ ঘন্টা দাঁড়িয়ে ছিলাম আসেনি। এদিকে ভার্সিটির সময়ও শেষ। তাই আর ভার্সিটিতে না গিয়ে বাসার ফিরে আসলাম। প্রচণ্ড মন খারাপ। সেদিনের পর থেকে প্রতি রাতে মেয়েটি যে টাইমে ফোন দিতো ঠিক সেই টাইমে মোবাইলে স্কিনের দিকে তাকিয়ে থাকি। মেসেঞ্জারে ঢুকে প্রতিদিন মেয়েটার আইডি চেক করি আর মেসেজ রিকুয়েস্ট চেক করি। কিন্তু ঐ মেয়েটিকে আর পাইনি। আজোও সেই মেয়েটির অপেক্ষায় আছি। মেয়েটি যখন আমার সাথে পাগলামো করতো তখন খুব বিরক্ত লাগতো কিন্তু এখন খুব মিস করছি। যখন ছিলো তখন তার মর্ম বুঝিনি এখন চলে গেছে তাই খুব আফসোস করছি। যেকোনো কিছু কাছে থাকলে তার মর্ম বুঝিনা কিন্তু সেটা চলে গেলে তখন খুব মিস করি।


Tanvir Arafat

93 ब्लॉग पदों

टिप्पणियाँ