আমার বাস্তব জীবনের গল্প বলি-
আমি যখন এক প্রতিষ্ঠান ছেড়ে অন্য প্রতিষ্ঠানে যোগদান করব তখন আগের প্রতিষ্ঠান আমাকে রাখতে চেয়েছে, আশ্বাস দিয়েছে সময় চেয়ে কিন্তু আমি রাজি হয়নি কারন ওরা আমার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানকে ধীরে ধীরে গ্ৰাফের চিত্র উপরে উঠিয়ে নিয়েছে কিন্তু আমাকে সময় মতো প্রতিদান দেয়নি যার ফলে আমি বলেছিলাম ইনস্ট্যান্ট যদি আমাকে সব কিছু দিতে পারেন তাহলে আমি থাকব। এক পর্যায়ে তা মেনে নেয়নি। তাই আমিও অন্য প্রতিষ্ঠানে যোগদান করে সব বুঝে নিলাম। প্রতিষ্ঠানটি আমার মতো একজন যোগ্য লোক হারালো। আজ ঐ প্রতিষ্ঠানের খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম তাদের অবস্থা খুবই খারাপ। অর্থাৎ সময়ের মূল্য বুঝে সময় মতো সঠিক সিদ্ধান্ত গ্ৰহন না করতে পারলে যে কেউ বিপদগামী হয়। তবে এতে হতাশ বা হাল ছেড়ে দেয়া ঠিক না। যদি ঐ প্রতিষ্ঠান আবার ঘুরে দাড়াতে চায় তাহলে তাকে আবার যোগ্য জনবল নিয়ে কাজ করতে হবে।
মানুষ চেনা শুরু করলে তাদের রুপ বুঝে গেলে এমনিতেই রুচি ও ভক্তি উঠে যায়। অনেকের প্রতি মন উঠে যায় চিরতরে,তখন কেউ ছাড়াই চলার মনস্থির এমনি গড়ে উঠে।
জীবনকে এতোটাই সস্তা করে ফেলবেন না যে, কেউ এসে ভেঙে দিলেই আপনার নিজেকে শেষ করে ফেলতে ইচ্ছে করবে। অন্যকে ভালোবাসুন, বিশ্বাস করুন, যত্ন নিন তবে সীমার মধ্যে। কারণ, প্রিয় মুখও প্রয়োজন ফুরালে একদিন অচেনা হয়ে যায়। অন্যের জন্য যত করবেন তত তাদের ডিমান্ড বাড়বে।
মানুষের চোখে কখনো নিজেকে মাপতে নেই,নিজকে মাপতে হয় আসমানের আয়নায়।
তাই এবার নিজের জন্য একটা প্লান করুন। নিজের জন্য ঘুরে দাঁড়ানোর একটা শপথ নেন। সাহস জোগার করে নিজের গন্ডি পরিবর্তন করুন। নিজে কিছু করে দেখান, দেখবেন গুরুত্ব আর ভালোবাসা দুটোই বেড়ে গেছে।
এবার আসি নতুন প্রতিষ্ঠানের কথায় এখানে নতুন লোক নতুন পরিবেশ অর্থাৎ এককথায় সবই নতুন। এই পরিবেশে নিজের যোগ্যতা দিয়ে কাজ করে প্রমান করতে হয়েছে আমি কি জিনিস অতএব হতাশ হলে চলবেনা।
যোগ্য লোককে সময় মতো মূল্যায়ন করতে না পারলে হয়তো কিছু হারাতে হয়।