আমার জীবনের গল্প পর্ব ৯১

অনলাইনের কোন প্ল্যাটফর্ম থেকে নেওয়া না সম্পূর্ণ আমার জীবনের গল্প তুলে ধরছি

এমন একটা মুভি দেখেছিলাম যেটাকে নিজের সাথে মেলাতে পেরেছিলাম মনে হচ্ছিল মুভিটার বাস্তব কাহিনী আমার সাথে মিলে যায় আপনাদের সাথে শেয়ার করছি কারণ আপনাদেরও অনেকের সাথে মিলে যেতে পারে আর বিশেষ করে এই মুভিটা লাস্টে মতো এমন মানুষদের জীবনে একটা সমাধান দেওয়া আছে এটা আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ৷ 

একটা ছেলে থেকে অনেক রাগী রাগ হলে নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারে না এই ছেলেটি স্কুলে তার ফ্রেন্ডের সাথে রাগারাগির মাধ্যমে কয়েকদিন পরপরই মারামারি করত সে রাগ হলে তার পরিবারের ঝামেলা করত ঘরের জিনিসপত্র ভাঙচুর করতো এমনকি শিক্ষককেও করতে পেরে একদিন মেরে বসা৷ 

তখন ওই স্কুল থেকে বের করে দেয়া হয় পরবর্তীতে পরিবর্তনের মাধ্যমে সে বড় হয় জনতার জীবনে অনেক কিছু ঝামেলা পেশ করতে হয়৷ 

এত ভালো ফ্যামিলিতে বড় হওয়ার কারণে তার জীবনের সমস্যাগুলো পারে তবে তার রাগটা সে কখনোই কন্ট্রোল করতে পারে না৷ 

তো সে পড়াশোনা শেষ করে একটা ভালো কর্পোরেট অফিসে জব নাই সেখানে চাকরির মাধ্যমে একটা কলিগের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে যায় গার্লফ্রেন্ড বয়ফ্রেন্ড হিসেবে তাদের লাইফটা খুব ভালোই যাচ্ছিল মাঝে মাঝে রাস্তাঘাটে তার রাগের কারণে দু একটা ঝামেলা হয়৷ 

কিন্তু তার গার্লফ্রেন্ড মনে করে একটা ছেলে মানুষের ঘোড়ার থাকতেই পারে৷ তারপর তাদের দুজনের পরিবারের মার সম্মতির মাধ্যমে তারা একজন বিয়ে করে এবং তারা যেখানে চাকরি করে সেখানে ফ্ল্যাট বাসা ভাড়া নিয়ে দুইজন বসবাস করতে থাকে৷ 

তাদের ভালোবাসার গল্পটা অনেক সুন্দর ছিল অনেক রোমান্টিক ছিল তার ফাঁকে ফাঁকে আগের কিছু সিন দেখানো হয় এটা নরমাল ছিল৷ 

একসাথে বসবাস করতে করতে সে জেনে যায় যে একটু রাগ বেশি এবং সেই রাগটা কন্ট্রোল করতে পারে না৷ এবং এমন কিছু ঘটনা ঘটে যেমন ফ্ল্যাটের উপরে ফ্লাটে কোন অতিরিক্ত শব্দ হলে সে তাদের সাথে ঝগড়া করতে চলে যায়৷ 

এবং দারোয়ানের সাথে ঝগড়া হয় ময়লা আলার সাথে ঝগড়া হয় কেয়ারটেকারের সাথে ঝগড়া হয় গাড়ি পার্কিংয়ের এখানে ঝগড়া করে টুকটাক সব জায়গায় তার রাগের জন্য একটু ঝগড়া সৃষ্টি হয়নি৷ 

মেয়েটার এটা খারাপ লাগলেও সে হাজবেন্ডকে বোঝানোর চেষ্টা করে যে তুমি তোমার রাগ কন্ট্রোল করার চেষ্টা করো না শান্তি পাবা না তারপরে কয়েকটা ভালো করে ডাক্তারও দেখানো হয় রাগ কন্ট্রোল করার জন্য কারণ ঘরের বউ তার রাগটা মেনে নিলো বাহিরের অনেক পরিবেশে তার এগুলো মেনে নিতে পারবে না৷ 

তো ওরা হঠাৎ একদিন লং ট্যুরে যায় রাতে তো এখন তারা লং টুরে যেতে যেতে অনেক রাতে খালার সাথে রাস্তায় গাড়ির চালানো নিয়ে ঝামেলা হয়৷ 

ঝামেলা হলে রাগ করতে থাকে কিন্তু তার ওয়াইফ তাকে মান্না করে যে আপনি এখানে রাগ কইরেন না প্রবলেম হবে সেভাবে মোটামুটি সেটেলমেন্ট করে তাকে মানানোর চেষ্টা করে৷ 

তারপর ট্র্যাক ড্রাইভার তাকে পাশ কাটিয়ে তারা অনেক দূরে লঞ্চ চলে যায় দূরে তারা গভীর রাতে একটা ঢাবার বাড়ি থামিয়ে কিছু খাওয়া দাওয়া করে এখানে ওই ট্রাক ড্রাইভার আর গাড়ি থামায় এবং ওদের পাশের টেবিলে খেতে বসে আজেবাজে কথা বলে পরে সেখানে ছেলেটা তার রাগ কন্ট্রোল করতে পারে না তাদের সাথে ঝামেলা শুরু করে দেয়

শুরু করে দিলে তারা নায়ক কে মেরে নায়িকাকে উঠিয়ে নিয়ে যায় নায়ক তাদের গাড়ির পিছনে ছুটতে ছুটতে যে ধরে ধরে তাদেরকে মেরে বাঁচিয়ে নিয়ে যায় কিন্তু সেদিন তারা রাগ করে বাসায় চলে যাওয়ার পরে নায়িকা পরদিন ব্যাগ গুছিয়ে বাবার  বাড়ি চলে যায় 

তারপর ছেলেটি একটা মাস একা একা বসবাস করতে থাকে সেটার রাগকে কন্ট্রোল করে নিজেকে শুধরানোর চেষ্টা করে৷ 

তারপর সে মেয়েটির বাসায় গিয়ে অতিরিক্ত রাগ করবো না তোমার কথা শুনে আমি নিজের রাখতে কন্ট্রোল করার চেষ্টা করব কথা দিলাম তারপর অনেক প্রমিস করে না একা সাথে করে নিয়ে চলে গেলেন এবং তারপর তারা ভালো ডাক্তার দেখিয়ে ইয়োগা করে৷ 

ছোটখাটো বিষয়ে রাগ হলে নিজে কন্ট্রোল করার প্র্যাকটিস করে আস্তে আস্তে তারা সুখে শান্তিতে বসবাস করতে শুরু করে৷ 

এখানে বিষয় হলো রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন মাধ্যমে অনেক সময় অনেক ক্ষয়ক্ষতি স্বীকার হতে পারে মানুষের জীবনে মানুষ বিপদেও পড়তে পারে ওরা ভালোভাবে সেভ করে ফিরে আসতে পেরেছে৷ 

প্রতিদিন রাতে গল্পটা অন্যরকম হবে পারতো একটা সর্বনাশ হতে পারতো ওদেরকে ফোনও করে ফেলতে পারতো আমাদের এটাই শিক্ষা নেয়া উচিত মানুষের ক্ষতি ছাড়া ভালো করতে পারে না তাই নিজেদের সবসময় কন্ট্রোল করা শিখতে হবে ভালো থাকার চেষ্টা করতে হবে কি বলে একটা হ্যাপি এন্ডিং দিয়ে মুভিটি শেষ করলাম ভালো থাকুন পরবর্তী মুভি পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করুন৷ 


Ariful Hasanrakib

146 بلاگ پوسٹس

تبصرے