সম্পর্কে কিছু হাদিস ও আছার...

কুরবানী সম্পর্কে হাদিস ও আছার এবং ফলকতা...

কুরবানী ইসলামের শিআর। আল্লাহ তাআলার কুরব তথা নৈকট্য অর্জনের এক বিশেষ বিধান। কুরবানী মিল্লাতে ইবরাহীমীর সাথে উম্মতে মুসলিমার এক মেলবন্ধন। এতে আছে রাব্বুল আলামীনের আদেশের সামনে সমর্পিত হওয়ার মহা দীক্ষা। কুরবানীর প্রচলন পৃথিবীর শুরু থেকেই। ইতিহাসের প্রথম কুরবানী তো সুপ্রসিদ্ধ। আদিপিতা আদম আ.-এর দুই পুত্রের কুরবানী। কুরআন মাজীদে যার বিবরণ এসেছে এভাবে-

 

وَ اتْلُ عَلَيْهِمْ نَبَاَ ابْنَيْ اٰدَمَ بِالْحَقِّ اِذْ قَرَّبَا قُرْبَانًا فَتُقُبِّلَ مِنْ اَحَدِهِمَا وَ لَمْ يُتَقَبَّلْ مِنَ الْاٰخَرِ قَالَ لَاَقْتُلَنَّكَ قَالَ اِنَّمَا يَتَقَبَّلُ اللهُ مِنَ الْمُتَّقِيْنَ.

 

আপনি তাদেরকে আদমের দুই পুত্রের কাহিনীটি শুনিয়ে দিন। যখন তারা দুজনে কুরবানী করল এবং একজনের কুরবানী কবুল হল আর অন্যজনেরটি কবুল হল না। তখন সে বলল, আমি তোমাকে হত্যা করব। অপরজন বলল, আল্লাহ তো মুত্তাকীদেরই কুরবানী কবুল করেন। -সূরা মায়েদা (৫) : ২৭পরবর্তীতে যুগ ও জাতির বিভিন্নতায় কুরবানীর বিধান ও পদ্ধতিতেও আসে ভিন্নতা। তবে উম্মতে মুসলিমা তথা শ্রেষ্ঠ নবী এবং শেষ নবী হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উম্মতের জন্য কুরবানীর বিধানটি মুসলিম জাতির পিতা ইবরাহীম আ. কর্তৃক নিজ পুত্র ইসমাঈলকে কুরবানী করার মহিমান্বিত দাস্তানের সাথে যুক্ত। যার বর্ণনা কুরআন মাজীদে এভাবে এসেছে-

 

فَلَمَّا بَلَغَ مَعَهُ السَّعْيَ قَالَ يٰبُنَيَّ اِنِّيْۤ اَرٰي فِي الْمَنَامِ اَنِّيْۤ اَذْبَحُكَ فَانْظُرْ مَا ذَا تَرٰي قَالَ يٰۤاَبَتِ افْعَلْ مَا تُؤْمَرُ سَتَجِدُنِيْۤ اِنْ شَآءَ اللهُ مِنَ الصّٰبِرِيْنَ، فَلَمَّاۤ اَسْلَمَا وَ تَلَّهٗ لِلْجَبِيْنِ، وَ نَادَيْنٰهُ اَنْ يّٰۤاِبْرٰهِيْمُ، قَدْ صَدَّقْتَ الرُّءْيَا اِنَّا كَذٰلِكَ نَجْزِي الْمُحْسِنِيْنَ، اِنَّ هٰذَا لَهُوَ الْبَلٰٓؤُا الْمُبِيْنُ، وَ فَدَيْنٰهُ بِذِبْحٍ عَظِيْمٍ، وَ تَرَكْنَا عَلَيْهِ فِي الْاٰخِرِيْنَ، سَلٰمٌ عَلٰۤي اِبْرٰهِيْمَ، كَذٰلِكَ نَجْزِي الْمُحْسِنِيْنَ، اِنَّهٗ مِنْ عِبَادِنَا الْمُؤْمِنِيْنَ.

 

অনন্তর যখন পুত্রটি তাঁর সাথে চলাফেরা করার মতো বয়সে উপনীত হল, তখন তিনি বললেন, বৎস! আমি স্বপ্নে দেখেছি যে, তোমাকে যবেহ করছি। অতএব তুমিও চিন্তা কর, তোমার কী মত। তিনি বললেন, আব্বাজান! আপনি যে বিষয়ে আদিষ্ট হয়েছেন তা পূর্ণ করুন। ইনশাআল্লাহ আমাকে ধৈর্যশীলদের অন্তভুর্ক্ত পাবেন।ফলকথা, যখন তাঁরা আত্মসমর্পণ করলেন এবং পিতা পুত্রকে কাত করে শায়িত করলেন এবং আমি তাঁকে ডেকে বললাম, হে ইবরাহীম! নিশ্চয়ই আপনি স্বপ্নকে সত্যে পরিণত করে দেখিয়েছেন। আমি বিশিষ্ট বান্দাদেরকে এরূপই পুরস্কার প্রদান করে থাকি। প্রকৃতপক্ষেও তা ছিল একটি বড় পরীক্ষা। আর আমি তার পরিবর্তে একটি শ্রেষ্ঠ যবেহের পশু দান করলাম। এবং আমি তাঁর জন্য পশ্চাতে আগমনকারীদের মধ্যে এই বাক্য থাকতে দিলাম যে, ইবরাহীমের প্রতি সালাম হোক। আমি বিশিষ্ট বান্দাদেরকে এরূপই পুরস্কার প্রদান করে থাকি। নিঃসন্দেহে তিনি আমার ঈমানদার বান্দাগণের অন্যতম ছিলেন। -সূরা সাফফাত (৩৭) : ১০২-১১১

 

পিতা-পুত্রের এই ত্যাগ ও আত্মত্যাগ আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে এত পছন্দনীয় হল যে, তিনি কিয়ামত পর্যন্ত আগত উম্মতের জন্য তা বিধিবদ্ধ করে দিলেন।

 

নিম্নে কুরবানী সম্পর্কিত কিছু হাদীস ও আছার উল্লেখ করা হল।


Tanzim Bin Helal

1 Blog bài viết

Bình luận