স্বাবলম্বন

অপরের সাহায্যের ওপর নির্ভরতা করে নিজের শক্তির সাহায্যে জীবন পরিচালনার নাম স্বাবলম্বন

স্বাবলম্বন মানুষের এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য যা অর্জন করতে হলে ব্যক্তিজীবনে আরও কিছু গুণাবলি অর্জন করতে হয়। কথায় বলে, যে শুয়ে থাকে তার ভাগ্যও শুয়ে থাকে।

 

তাই পরিশ্রম ছাড়া স্বাবলম্বী হওয়ার অন্য কোনো পথ নেই। আর যুগপৎ সন্নিবেশ ঘটবে- উদ্যোগ, উদ্যাম, নিয়মানুবর্তিতা, আগ্রহ, নিষ্ঠা, অধ্যবসায়, শিষ্টাচার, সততা, কর্তব্যনিষ্ঠার।

 

তাই স্বাবলম্বী হওয়ার জন্যে এসব গুণাবলির অনুশীলন করতে হবেস্বাবলম্বনে বংশ-গৌরবের কোনো মূল্য নেই। পৌরুষই মানুষের যথার্থ শক্তি। আর পৌরুষের ভিত্তিই হল স্বাবলম্বন। একে স্বীকার করেই কর্মী মানুষের অমরত্বের দুর্গম পথে অন্তহীন যাত্রী।

 

আত্মশক্তির জাগরণের মানুষ লাভ করে বিরাটের সান্নিধ্য। উপলব্ধি করে দুর্জয় শক্তির মহিমা। যারা পেয়েছে এই অনন্ত শক্তির সন্ধান, দুর্গমতার পথেই তাদের নিত্য অভিসার। অন্যের অনুগ্রহ নয়, গলগ্রহতা নয়, নয় অপরের করুণা প্রার্থনা,

 

আত্মশক্তিকে আশ্রয় করেই সে প্রতিকূলতার মধ্যে ঝাঁপ দেয়। এই পথেই সে জয় করে আনে সৌভাগ্যের দুর্লভ বিজয়মাল্য। কোনো ভয় বা ভীরুতার কাছেই সে নতজানু হতে জানে না। সে চির-উন্নত শির।

 

হিমাদ্রিশিখরও তার কাছে নত-শির। কোনো বাধা বা প্রতিবন্ধকতাই তার জয়যাত্রাকে রুদ্ধ করতে পারে না। স্বাবলম্বনই মানবজন্মের সার্থকতা, স্বাবলম্বনই তার যুগ-যুগান্তরের জীবন-সাধনা।


Juboraj Hajong Raj

75 بلاگ پوسٹس

تبصرے