রূপ: সৌন্দর্যের বহুমাত্রিক প্রকাশ

বাহ্যিক রূপ শারীরিক সৌন্দর্য প্রাচীনকাল থেকে মানুষের মনকে আকর্ষণ করেছে।

রূপ একটি বহুমাত্রিক ধারণা যা শুধুমাত্র বাহ্যিক সৌন্দর্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় বরং অভ্যন্তরীণ গুণাবলীর প্রতিফলন বটে। রূপের প্রকৃতি এবং এর মূল্যায়ন মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি এবং সমাজের আদর্শের ওপর নির্ভর করে থাকে। বাহ্যিক রূপ যেমন চোখে ধরা পড়ে তেমনি অভ্যন্তরীণ রূপ অনুভব করা যায় হৃদয়ের গভীরতা দিয়ে। 

 

 

বাহ্যিক রূপ শারীরিক সৌন্দর্য প্রাচীনকাল থেকে মানুষের মনকে আকর্ষণ করেছে। শিল্প সাহিত্য এবং সংস্কৃতিতে রূপের এই প্রকাশ বারবার উঠে এসেছে। একজন মানুষের শারীরিক সৌন্দর্য যেমন তার ত্বকের উজ্জ্বলতা চুলের উজ্জ্বলতা অথবা চোখের মায়া দ্বারা প্রকাশিত হয় তেমনই প্রকৃতির রূপ প্রকাশিত হয় সূর্যাস্তের রং ফুলের সুবাস অথবা পাহাড়ের শোভায়। এই বাহ্যিক রূপ আমাদের মনকে আনন্দ দেয় যা আমাদের মধ্যে একটি সৌন্দর্যের প্রতি আকর্ষণ তৈরি করে থাকে। 

 

 

তবে বাহ্যিক রূপের চেয়ে অভ্যন্তরের রূপের মূল্য আরো বেশি। অভ্যন্তরের রূপ বলতে বোঝায় একজন মানুষের গুণাবলী চরিত্র এবং মনের সৌন্দর্য। একজন মানুষের হৃদয়ের কমলতা সদয়তা এবং সহানুভূতি তার অভ্যন্তরের রূপের প্রকাশ। এমনকি বাহ্যিক রোগ যদি ক্ষণস্থায়ী হয় অভ্যন্তরীণ রূপ সর্বদা স্থায়ী ও মূল্যবান। একে কেউ সহজে দেখতে পায় না কিন্তু অনুভব করতে পারে। এই অভ্যন্তরীণ রূপ মানুষের সম্পর্ককে গভীর করে এবং সামাজিক বন্ধন কে মজবুত করে।

 

 

রূপের আরেকটি দিক হলো মানসিক সৌন্দর্য। একজন মানুষের চিন্তা ভাবনা আদর্শ এবং দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে যে সৌন্দর্য প্রকাশ পায় তা তার মানসিক রোগ। এইরূপ মানুষকে অনুপ্রাণিত করে এবং তাকে সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনীয় চিন্তার দিকে প্রচলিত করে। একজন দার্শনিক কবি অথবা শিল্পীর মানসিক রোগ তার সৃষ্টির মধ্যে ফুটে উঠে যা সমাজে নতুন ধারণা ও আদর্শ জন্ম দিয়ে থাকে।


Ashikul Islam

315 وبلاگ نوشته ها

نظرات