AFace1 AFace1
    #aface1 #foryou #quotes #story #nature
    詳細検索
  • ログイン
  • 登録

  • ナイトモード
  • © 2025 AFace1
    約 • ディレクトリ • お問い合わせ • プライバシーポリシー • 利用規約 • 返金 • Work • Points and Payments • DMCA

    選択する 言語

  • Arabic
  • Bengali
  • Chinese
  • Croatian
  • Danish
  • Dutch
  • English
  • Filipino
  • French
  • German
  • Hebrew
  • Hindi
  • Indonesian
  • Italian
  • Japanese
  • Korean
  • Persian
  • Portuguese
  • Russian
  • Spanish
  • Swedish
  • Turkish
  • Urdu
  • Vietnamese

時計

時計 リール

イベント

イベントをブラウズ 私の予定

ブログ

記事を閲覧する

市場

最新の製品

ページ

マイページ 気に入ったページ

もっと

探検 人気の投稿 ゲーム ジョブ オファー 資金
リール 時計 イベント 市場 ブログ マイページ すべてを見る
Mobarak Hosen
User Image
ドラッグしてカバーの位置を変更
Mobarak Hosen

Mobarak Hosen

@Mobarak95
  • タイムライン
  • グループ
  • いいね
  • 続く 7
  • フォロワー 1
  • 写真
  • 動画
  • リール
  • 製品
7 続く
1 フォロワー
43 投稿
男
そこでお仕事 School Teacher
に住んでいます Bangladesh
image
Mobarak Hosen
Mobarak Hosen
5 の

"ফিরে দেখা সেই দিনগুলো"
দেখতে দেখতে দশ বছর কেটে গেছে। সময় বড়ই নিষ্ঠুর—আমাদের ভালোবাসা, অভিমান, অপেক্ষা—সবকিছু সময়ের স্রোতে ভেসে যায়। কিন্তু কিছু কিছু দিন, কিছু কিছু সন্ধ্যা, কিছু কিছু হাসি—মন থেকে মুছে যায় না।

নাবিলা এখন দেশের বাইরে থাকে, মালয়েশিয়ায়। বড় কর্পোরেট অফিসে চাকরি করে, ব্যস্ততা তাকে গ্রাস করে রেখেছে। কিন্তু আজ তার মন হঠাৎ করেই ফিরে গেছে সেই পুরনো শহরে, রংপুরের ছোট্ট পাড়ায়।

সেই শহরে, যেখানে সে প্রথমবার কারও জন্য অপেক্ষা করেছিল। প্রথমবার ভালোবাসা বুঝেছিল। আর প্রথমবার হারিয়েছিলও।

তার নাম ছিল রাইহান।

দশ বছর আগে...

নাবিলা তখন কলেজে পড়ে। ইংরেজি সাহিত্যে আগ্রহ, কবিতা মুখস্থ বলতে পারত, রবীন্দ্রনাথ তার হৃদয়ের ভাষা। আর রাইহান ছিল পুরো বিপরীত—গণিতে পারদর্শী, বাস্তববাদী, কিন্তু চোখে ছিল একরাশ স্বপ্ন।

তাদের প্রথম দেখা শহরের লাইব্রেরিতে। নাবিলা তখন শেক্সপিয়রের বই খুঁজছিল। আর রাইহান ভুল করে তার হাতে দিয়েছিল নিউটনের থিওরির বই।

“উম... এটা তো আমি খুঁজছিলাম না,” বলেছিল নাবিলা।

রাইহান হেসেছিল। “তবে আপনি যা খুঁজছেন, সেটা হয়তো জীবনের অন্য কোন খাতে অপেক্ষা করছে।”

সেই দিন থেকে শুরু। দুজনের দেখা হতে লাগল লাইব্রেরিতে, রাস্তায়, চায়ের দোকানে। বন্ধুত্ব গভীর হলো, তারপর একরকম না বলা ভালোবাসায় রূপ নিল।

নাবিলা জানত, রাইহান তাকে ভালোবাসে। রাইহান জানত, নাবিলা তার দিকে ঝুঁকে পড়েছে।

কিন্তু কেউ বলেনি কিছু।

তাদের সম্পর্ক ছিল ঠিক যেন জুন মাসের বৃষ্টি—আসে হঠাৎ, শান্ত করে দেয়, আবার হাওয়ার সাথে মিলিয়ে যায়।

একদিন সন্ধ্যায়, বৃষ্টি পড়ছিল খুব। রাইহান হঠাৎ বলেছিল, “চলো, একটা জায়গায় নিয়ে যাই।”

নাবিলা অবাক হলেও রাজি হয়েছিল। দুজনে গিয়েছিল শহরের বাইরের এক ছোট্ট নদীর পাড়ে। পাড়ে বসে রাইহান বলেছিল:

“তুই জানিস, মানুষ চাইলেও সবসময় যাকে চায়, তার কাছে থাকতে পারে না।”
নাবিলা কিছু বলেনি। শুধু বলেছিল, “আমি তোর কাছে থাকতেই চাই।”

কিন্তু জীবন এত সহজ নয়।

পরের সপ্তাহেই রাইহান জানায়, সে বিদেশে স্কলারশিপ পেয়েছে। পড়তে যাবে কানাডা।

নাবিলা তখন অনেক বলেছিল—“থেকে যা। আমরা একসাথে লড়তে পারি।”

কিন্তু রাইহান হেসে বলেছিল, “তুই অনেক বড় হবি। আমি যদি তোকে ভালোবাসি, তবে তোকে আটকে রাখতে পারি না।”

সেই বিদায়ের দিন, নাবিলা কিছু বলতে পারেনি। শুধু বলেছিল, “যদি কখনো ফিরে আসিস, এই নদীর পাড়ে আমাকে খুঁজে পাবি।”

রাইহান মাথা নেড়েছিল। তারপর প্লেন চড়েছিল—চিরতরে।

বর্তমানে...

নাবিলা ছুটিতে দেশে এসেছে। সময় কাটাতে এসে হঠাৎ একদিন পা চলে যায় সেই পুরনো নদীর পাড়ে।

বৃষ্টি পড়ছে। ঠিক সেই দিনের মতো। আকাশে মেঘ, বাতাসে শূন্যতা। সে চুপ করে বসে থাকে।

তখনই হঠাৎ পেছন থেকে একটা কণ্ঠ ভেসে আসে—
“তুই ঠিক বলেছিলি। তোকে এখানে পাওয়া যাবে।”

নাবিলা ঘুরে তাকায়। চোখ বড় হয়ে যায়।

রাইহান।

একটু বদলে গেছে—চোখে চশমা, মুখে পরিণতির ছাপ, কিন্তু হাসিটা ঠিক আগের মতোই।

“তুই... তুই ফিরে এসেছিস?”

রাইহান মাথা নাড়ে, “চাকরি ছেড়ে দিয়েছি। এই শহরের কথা, তোদের কথা ভুলতে পারিনি। বিশেষ করে তোকে না।”

নাবিলা চুপ করে থাকে। চোখে জল। বৃষ্টি ফোঁটার সাথে মিশে যায় যেন।

রাইহান ধীরে এসে বসে পাশে। “তোকে এখনো ভালোবাসি, নাবিলা। এতগুলো বছর—তুই ছাড়া কেউ জায়গা নিতে পারেনি।”

নাবিলা বলে, “আমি কখনো চেয়েও অন্য কারো দিকে তাকাইনি। জানতাম, তুই ফিরবি।”

তাদের দুজনের মাঝে তখন আর কোনো দূরত্ব ছিল না—না শব্দে, না মনে। বৃষ্টি থেমে যায়, মেঘ সরে গিয়ে রোদের আলো পড়ে নদীর জলে।

কখনো কখনো, ফিরে আসা মানেই নতুন করে শুরু।

お気に入り
コメント
シェア
Mobarak Hosen
Mobarak Hosen
5 の

"আঁধার ভরা আলো"
মুন্না ছিল একজন অন্ধ ছেলে। চোখে না দেখতে পেলেও সে দেখতে পেত হৃদয় দিয়ে। সে জানত—রঙ কেমন, আলো কেমন, বৃষ্টি কেমন। ছোটবেলায় এক দুর্ঘটনায় তার দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে যায়, কিন্তু তার মন কখনো অন্ধ হয়নি।

সে থাকত পাহাড়পুর নামের এক গ্রামে। পাহাড়পুর ছোট্ট গ্রাম, সবুজে মোড়া, পাখির কাকলিতে ভরা। মুন্নার মা রোকেয়া খাতুন গ্রামের স্কুলে রান্নার কাজ করতেন। মুন্না প্রতিদিন মায়ের হাত ধরে স্কুলে যেত। কেউ তাকে আলাদা চোখে দেখত না। বরং সবাই ভালোবাসত।

কিন্তু একদিন, স্কুলে এল এক নতুন মেয়ে। নাম ফাইজা। বাবার বদলির চাকরির কারণে এসেছে এই গ্রামে। শহরের মেয়েটা শুরুতে গ্রামকে বুঝে উঠতে পারেনি, কিন্তু ধীরে ধীরে ভালোলাগা জন্ম নেয়—সবুজ, স্নিগ্ধ জীবনধারার।

মুন্নার সাথে তার প্রথম দেখা স্কুল লাইব্রেরির বারান্দায়। মুন্না সেদিন হেঁটে যাচ্ছিল, হঠাৎ পা পিছলে পড়ে গেল। ফাইজা এগিয়ে গিয়ে তাকে ধরল।

“তুমি চোখে দেখতে পাও না?” ফাইজা বিস্ময়ে জিজ্ঞেস করল।

মুন্না শান্তভাবে বলল, “না। কিন্তু আমি বুঝি কে দাঁড়িয়ে আছে আমার সামনে। তুমি নতুন এসেছো, তাই না?”

ফাইজা অবাক, “তুমি জানলে কীভাবে?”

মুন্না বলল, “তোমার গন্ধ অন্যরকম। শহরের মেয়েরা অন্য রকম সুগন্ধি ব্যবহার করে।”

সেই দিন থেকেই শুরু তাদের এক অদ্ভুত বন্ধুত্ব। ফাইজা প্রতিদিন মুন্নার পাশে বসত। গল্প করত, কবিতা পড়ত, বৃষ্টির শব্দ শুনত একসাথে।

একদিন ফাইজা জিজ্ঞেস করল, “তুমি যদি চোখে দেখতে পেতে, কী সবচেয়ে আগে দেখতে চাইতে?”

মুন্না কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে বলল, “তোমার মুখ।”

ফাইজার গাল লাল হয়ে গেল, কিন্তু সে কিছু বলল না।

মুন্না মাঝে মাঝে বলত, “তুমি জানো, আমি কেমন করে তোমাকে দেখি?”

“কেমন করে?”
“তোমার কথা শুনে আমি তোমার মুখ আঁকি মনের ভেতর। তোমার হেসে ওঠা শব্দে বুঝি তুমি কেমন। তোমার নীরবতায় বুঝি তুমি কাঁদছো।”

বছর ঘুরে গেল। একদিন খবর এলো—ফাইজার বাবা আবার বদলি হচ্ছেন। এবার অনেক দূরে, যাওয়া মানেই আর কখনও না ফেরা।

সেদিন স্কুলের শেষে ফাইজা বলল, “তুমি জানো, আমি হয়তো আর আসব না।”

মুন্না চুপ করে রইল। শুধু বলল, “তুমি কি একবার আমাকে ছুঁয়ে দেখতে দেবে? যেন মনে রাখতে পারি তোমার উপস্থিতি।”

ফাইজা ধীরে তার হাত রাখল মুন্নার হাতে। নীরব মুহূর্ত। মুন্নার মুখে এক ধরনের আলো ফুটল—আঁধারের মধ্যেও একরকম আলো।

ফাইজা চলে গেল।

ছয় বছর পর।

মুন্না এখন গ্রামে বসেই ছোট একটি প্রতিবন্ধী স্কুল চালায়। নিজের মতো করে সে বাচ্চাদের শেখায়—আলো কেবল চোখ দিয়ে নয়, মন দিয়ে দেখা যায়।

একদিন খবর এলো—ঢাকা থেকে একজন সাংবাদিক আসছে ওর সাক্ষাৎ নিতে। মুন্না অবাক। তার মতো একজন অন্ধ গ্রামের ছেলের খবর কিভাবে শহরে পৌঁছালো?

সাংবাদিক এলো বিকেলে। গাড়ি থেকে নামল এক নারীবিশেষ। মাথায় সাদা স্কার্ফ, চোখে সানগ্লাস।

মুন্না অনুভব করল—চেনা গন্ধ।

“তুমি কি ফাইজা?” ধীরে জিজ্ঞেস করল সে।

মেয়েটা সানগ্লাস খুলে বলল, “হ্যাঁ মুন্না, আমি ফিরেছি। আমি চাই, পুরো দেশ জানুক—তুমি কেমন করে আলো দেখো।”

মুন্নার চোখে তখনও অন্ধকার, কিন্তু মুখজুড়ে সেই আলো, যা বিশ্বাস, প্রেম আর অপেক্ষার ছায়া।

お気に入り
コメント
シェア
avatar

Rainil Hasan Rokon

✨-𝗦𝘂n̑̈𝗱❍𝗿”♡🌷:-: 𝐁𝐤𝐤 𝐃𝐢𝐲𝐨 <🩷🎀🪽
お気に入り
· 返事 · 1749613937

コメントを削除

このコメントを削除してもよろしいですか?

Mobarak Hosen
Mobarak Hosen
5 の

"নীল চিঠির সন্ধানে"
বছরের শেষ বিকেল। গাছের পাতায় হালকা ঝরঝরে হাওয়া, কুয়াশা গা ছুঁয়ে যাচ্ছে নরমভাবে। ছোট্ট শহর মেঘপুর যেন ঢুকে পড়েছে কোনো ছবির ফ্রেমে—চুপচাপ, শান্ত।

এই শহরের এক কোণায়, ছায়া ঢাকা এক পুরনো দোতলা বাড়ি। দরজার সামনে টিনের বাক্স, আর তার ঠিক ওপরেই বসে আছে তাহসিন—চিঠির ডাক খোলা তার পুরনো অভ্যাস।

তাহসিন একজন শিক্ষক, সাহিত্য নিয়ে পড়ে, কবিতা লেখে। একসময় ঢাকায় ছিল, এখন ফিরে এসেছে নিজের ছোট শহরে। কারণ? তার মায়ের মৃত্যুর পর, এই বাড়িটা একা হয়ে গিয়েছিল। আর একা ঘর খুব বেশি দিন ফাঁকা থাকলে, সে কেবল ‘ঘর’ থাকে না, সে হয়ে যায় একটা অতীত।

তাহসিন ঠিক করেছে—সে অতীতটাকে ছুঁয়ে দেখবে। পুরনো চিঠিগুলো তাই বারবার খুলে পড়ে।

একটা নীল খামে লেখা চিঠি প্রায় সাত বছর আগের। কোনো প্রেরকের নাম নেই। শুধু নিচে লেখা:
"তুই যদি ফিরে আসিস, এই চিঠিটার উত্তর দিস।"

তাহসিন জানে, এই চিঠি এসেছে মুনিয়ার কাছ থেকে।

মুনিয়া—ছোটবেলার বন্ধু, কলেজের সহপাঠী, আর এমন কেউ, যার সঙ্গে ভালোবাসা কখনো বলা হয়নি। তারা একে অন্যকে ভালোবাসতো, কিন্তু মুখে বলেনি কেউ।

তাহসিন ঢাকা চলে যাওয়ার পর যোগাযোগও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তখনকার মোবাইল নম্বর বদলে গেছে, ঠিকানা হারিয়ে গেছে, কিন্তু এই চিঠিটা থেকে গেছে।

আজ এত বছর পর, সেই চিঠির উত্তর দিতে ইচ্ছা হলো তাহসিনের। সে ডায়েরি খুলে একটা নতুন চিঠি লিখতে শুরু করল।

**“মুনিয়া,

তুই বলেছিলি, আমি যদি ফিরি, তাহলে যেন এই চিঠির উত্তর দিই।
আমি ফিরেছি। কিন্তু তুই নেই।

তুই এখন কোথায়, কী করিস জানি না। তবে আমি আজও সেই নীল চিঠিটা হাতে নিয়ে বসে থাকি—যেন তুই এই খামের মধ্যে লুকিয়ে আছিস।

আমি তোকে খুঁজতে এসেছি, মুনিয়া।
তুই কি এখনও নীল চিঠি লিখিস?”**

চিঠিটা লেখা হয়ে গেলে, সে একটা পুরনো খামে ভরে রাখল।
কিন্তু পাঠাবে কোথায়?

ঠিক তখন, এক কাক ডেকে উঠল বাড়ির পেছনের বটগাছের ডালে। তাহসিন হেসে বলল, “যদি তুই ডাকে চিঠি পৌঁছে দিতে পারতিস!”

পরদিন সকালে, তাহসিন গেল শহরের পোস্ট অফিসে। সেখানে কাজ করে এক পরিচিত মুখ—রফিক চাচা, প্রায় তিরিশ বছর ধরে পোস্টম্যান।

তাহসিন জিজ্ঞেস করল, “চাচা, আপনি কি মুনিয়া নামের কাউকে চেনেন? আগে চকবাজার এলাকায় থাকত, এখন হয়তো অন্য কোথাও।"

রফিক চাচা কিছুক্ষণ ভেবে বললেন, “মুনিয়া? ও কি কলেজে পড়ত, মুখে সব সময় হাসি থাকত?”

তাহসিনের মুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠল। “হ্যাঁ! আপনি জানেন?”

“ও এখন হরিপুর স্কুলে শিক্ষকতা করে। বিয়েশাদি করেনি। খুব চুপচাপ থাকে।”

তাহসিন মনে মনে বলল, “সে-ই তো, মুনিয়া কখনো জোরে কিছু বলত না। চুপ করে ভালোবাসতো।”

চিঠিটা সে রফিক চাচার হাতে দিয়ে বলল, “এই চিঠিটা ওর কাছে পৌঁছে দেবেন চাচা?”

রফিক চাচা হাসলেন, “নিশ্চয়ই দেব।”

তিন দিন পর।

বিকেল সাড়ে চারটা। মেঘলা আকাশ, আর একফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ঠিক তখনই বাড়ির দরজায় কড়া নাড়ল কেউ।

তাহসিন দরজা খুলে দেখল—সামনে দাঁড়িয়ে মুনিয়া।

ছিমছাম শাড়ি, ভিজে চুলের প্রান্ত থেকে ফোঁটা ঝরছে। মুখে একরাশ বিস্ময়।

“তুই সত্যিই ফিরেছিস?”—মুনিয়া জিজ্ঞেস করল।

তাহসিন হেসে বলল, “চিঠির উত্তর দিলাম, বুঝলি না?”

মুনিয়া চুপ করে রইল কিছুক্ষণ, তারপর বলল, “আমি ভেবেছিলাম, তুই আর কখনো ফিরবি না। তুই এত বড় শহরে চলে গেছিস… আমি শুধু অপেক্ষা করতাম।”

তাহসিন শান্ত গলায় বলল, “আমি যতদূরই যাই, এই নীল চিঠিটা আমায় টেনে এনেছে। তুই তো জানিস, আমি শব্দে বসবাস করি। আর তোর লেখা ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে সত্যি শব্দ।”

বৃষ্টির শব্দ বেড়ে গেল। দুজন বারান্দায় গিয়ে দাঁড়াল। ছাতার নিচে নয়, বরং একসাথে বৃষ্টিতে ভিজে। যেন তাদের ভেতরের চুপচাপ ভালোবাসাটাও অবশেষে শব্দ খুঁজে পেল।

মুনিয়া বলল, “তুই কি আবার চলে যাবি, তাহসিন?”

তাহসিন বলল, “না। এই শহরেই থাকব, যদি তুই থাকিস আমার পাশে। আমরা আবার একসাথে চুপচাপ গল্প লিখব, যেমনটা ছোটবেলায় লিখতাম।”

মুনিয়া মাথা নুইয়ে বলল, “তাহলে একটা নতুন চিঠি লিখি, এবার আমরা দুজনের নামে?”

তাহসিন বলল, “লিখ, এবার যেন প্রেরক ও প্রাপক একই হয়।”

お気に入り
コメント
シェア
avatar

Rainil Hasan Rokon

✨-𝗦𝘂n̑̈𝗱❍𝗿”♡🌷:-:<🩷🎀🪽
お気に入り
· 返事 · 1749613456

コメントを削除

このコメントを削除してもよろしいですか?

JHuma771
JHuma771  
38 の

image
お気に入り
コメント
シェア
avatar

Mass moon Islam

Rgehhs
お気に入り
· 返事 · 1730651343

コメントを削除

このコメントを削除してもよろしいですか?

Mobarak Hosen
Mobarak Hosen
5 の

"জোনাকির আলোয় প্রতীক্ষা"
১.
গ্রামটির নাম রায়নগর। শহর থেকে অনেকটা দূরে, মাঝেমাঝেই বিদ্যুৎ থাকে না। রাতে জোনাকির আলোয় পথ চিনতে হয়। আর এই জোনাকিগুলো যেন সাক্ষী এক পুরনো প্রতীক্ষার।

এই গ্রামেই থাকে সালেহা খালা। বয়স পঁচাশি, সাদা শাড়ি পরে থাকেন, কপালে এক বিন্দু সিঁদুর নেই। অথচ একদিন তিনি ছিলেন এই গ্রামের সবচেয়ে সুন্দরী ও শিক্ষিতা নারী। এখন তাঁর বাড়ি জুড়ে নির্জনতা, আর স্মৃতির ভার।

প্রতিদিন সন্ধ্যা নামলে তিনি বসে পড়েন উঠানে, মুখ তুলে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকেন। কেউ বলে তিনি পাগল হয়ে গেছেন। কেউ আবার বলে, “বুড়ি কি যেন কার জন্য অপেক্ষা করে!”

আসলে সালেহা খালা একজনকে আজও ভুলতে পারেননি—নাফিস।

২.
সময়টা ছিল ১৯৭১ সালের ঠিক আগে। সালেহা ছিলেন গ্রামের প্রথম মেয়েদের স্কুলের শিক্ষিকা। নাফিস ছিল শহর ফেরত এক তরুণ—ঢাকায় মেডিক্যালে পড়ত। যুদ্ধ শুরু হতেই সে চলে আসে গ্রামে, সবার সেবা করতে।

তাদের মধ্যে গভীর বন্ধন তৈরি হয়। চুপচাপ, ধীরে ধীরে। অনেক সন্ধ্যায় তারা গাছতলায় বসে কথা বলত—স্বাধীনতার স্বপ্ন, ভালোবাসার স্বপ্ন।

একদিন সন্ধ্যায়, ঠিক এমনই এক জোনাকিময় রাতে, নাফিস বলেছিল,
"সালেহা, দেশ স্বাধীন হলে, আমি তোকে নিয়ে যাব। তবে এখন যুদ্ধে যেতে হবে।"

সালেহা শুধু মাথা নেড়েছিল। "আমি অপেক্ষা করব, নাফিস। যতদিন লাগে, যত দেরিই হোক।"

নাফিস বিদায় নিয়েছিল সেদিন। তারপর... আর কোনো দিন সে ফেরেনি।

৩.
পঁচাশি বছরের সালেহা আজও অপেক্ষা করে। তাঁর মনে হয়, হয়তো কোনো এক রাতে হঠাৎ দরজায় কড়া নেড়ে বলবে,
“সালেহা, আমি ফিরেছি।”

তার জন্য তিনি প্রতিরাতে উঠানে মাটির প্রদীপ জ্বালান। এই আশায় যে আলো দেখে একদিন নাফিস ফিরে আসবে।

গ্রামের ছেলেমেয়েরা তাকে দেখে বলে,
“খালা, তুমি কি জানো না, নাফিস চাচা শহীদ হয়েছিলেন?”

সালেহা হাসেন। “না রে বেটা, শহীদরা কখনো মরে না। সে ফিরবেই।”

৪.
একদিন গ্রামে আসে এক সাংবাদিক—রায়হান। সে স্বাধীনতা যুদ্ধের অপ্রকাশিত কাহিনি নিয়ে কাজ করছে। কেউ তাকে বলে,
“সালেহা খালার কাছে যা। তাঁর কাছে নাফিস চাচার গল্প শুনলে বুঝবি—ভালোবাসা কাকে বলে।”

রায়হান যায় তাঁর বাড়িতে। দেখে, উঠানে এক বৃদ্ধা বসে আছেন, চোখে দৃষ্টি নেই, কিন্তু মুখে প্রশান্তি।

সে বলে, “আপনি কি নাফিস চাচাকে চিনতেন?”

সালেহা বলেন, “চিনতাম? আমি তো এখনো তাকে ভালোবাসি। এই উঠানের মাটিতে সে একদিন ফেরত আসবে—আমি জানি।”

রায়হান বাকরুদ্ধ। সে বলে, “তবে আপনি কি চান না মানুষ জানুক আপনাদের গল্প?”

সালেহা বলেন, “যদি কেউ সত্যিকার ভালোবাসা খোঁজে, সে আপনিই জানবে। আমার কথা বলার দরকার হয় না।”

৫.
রাত গভীর হয়। রায়হান থেকে যায় খালার উঠানে। সে দেখতে পায়, গাছে গাছে জোনাকি জ্বলছে, ঠিক যেন ছোট ছোট প্রতীক্ষার প্রদীপ।

সালেহা খালা তখন ঘুমিয়ে পড়েছেন চেয়ারেই। রায়হান ছবি তোলে, ভিডিও করে, লিখে রাখে প্রতিটি কথা। ফিরে যায় শহরে।

তার লেখা ছাপা হয় পত্রিকায়—
“জোনাকির আলোয় এক নারীর অপেক্ষা”
সালেহা খালার প্রতীক্ষা ছুঁয়ে যায় হাজারো পাঠকের হৃদয়।

৬.
দু’সপ্তাহ পর, একদিন বিকেলে ডাকঘর থেকে সালেহা খালার নামে একটি চিঠি আসে। হাতে লেখা, কাঁপা অক্ষরে লেখা—
“আমি ফিরে এসেছি, সালেহা। ঠিক তোর উঠানের প্রদীপটার আলো দেখে।”

গ্রামজুড়ে হইচই পড়ে যায়।

সন্ধ্যার সময়, যখন সালেহা খালা প্রদীপ জ্বালাতে যাচ্ছিলেন, হঠাৎ একজন প্রবীণ মানুষ, সাদা চুল, লাঠিতে ভর দিয়ে এগিয়ে এল।

সে ধীরে বলল, “আমি ফিরেছি, সালেহা।”

সালেহা দাঁড়িয়ে গেলেন। হাতের প্রদীপ পড়ে গেল, মাটিতে গড়িয়ে গেল তেল। চোখে জল, ঠোঁটে কম্পন।

"তুই... নাফিস?"

নাফিস মাথা নোয়াল। “পাঁচ দশক লেগেছে ফিরতে, কিন্তু তোকে ভুলিনি। পাকিস্তানে বন্দি ছিলাম, স্বাধীনতার পরে স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলেছিলাম। এখন কিছু কিছু মনে পড়ছে—আর শুধু তোকে মনে পড়ল।”

সালেহা কিছু বললেন না। শুধু এগিয়ে গিয়ে তাঁর কাঁপা হাতটি রাখলেন নাফিসের হাতে।

চারপাশে জোনাকির আলো ছড়িয়ে পড়ছিল। তারা দুজন সেই আলোর মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকলেন—যেন পুরো জীবন ধরে জমে থাকা প্রতীক্ষার পূর্ণতা ঘটল আজ।

お気に入り
コメント
シェア
Mobarak Hosen
Mobarak Hosen
5 の

"মেঘে ঢাকা চিঠি"
চিঠিগুলো এখন আর আসে না। অথচ এক সময় প্রতিটা শব্দ ছিল অপেক্ষার বাতিঘর।

শামসুর রহমান একদা ছিলেন হাইস্কুলের শিক্ষক। অবসর নিয়েছেন বছর দুই আগে। বয়স প্রায় ষাট। গ্রামের নাম বাঁশবাগান, পদ্মার কোল ঘেঁষে ছোট্ট একটা গ্রাম। এই গ্রামের সবচেয়ে বড় বইয়ের সংগ্রহ নাকি শামসুর রহমানের ঘরেই।

কিন্তু গ্রামের কেউ জানে না—তার সংগ্রহের সবচেয়ে দামী জিনিসগুলো বই নয়, বরং কিছু পুরনো চিঠি। যেগুলো সে লিখেছিল, কিন্তু কখনো পাঠায়নি।

সেই চিঠিগুলো সব লেখা একজনের জন্য—রোকেয়া।

রোকেয়ার সাথে শামসুরের পরিচয় হয়েছিল শিক্ষকতা জীবনের শুরুতে। রোকেয়া তখন নতুন নিয়োগ পাওয়া সহকারী শিক্ষিকা। শান্ত, নম্র, আর অন্য সবার চেয়ে আলাদা এক দীপ্তি ছিল তার চোখে।

বছরের পর বছর একসাথে কাজ করেছেন, একসাথে ক্লাস নিয়েছেন, বার্ষিক শিক্ষা সফরে গেছেন। অনেকেই বুঝে গিয়েছিল, ওদের মধ্যে অদ্ভুত এক বন্ধন আছে।

কিন্তু কেউ কখনো কিছু বলেনি, এমনকি তারা নিজেরাও না। সমাজ, পরিবার, দায়িত্ব—সব কিছু চাপা দিয়ে রেখেছিল সেই অনুভূতিগুলোকে।

শামসুর রহমান মাঝেমধ্যে চুপিচুপি চিঠি লিখতেন রোকেয়ার নামে। লিখতেন তার ভালো লাগা, অনুরাগ, বৃষ্টিভেজা বিকেলের অনুভূতি—কিন্তু কখনো পোস্ট করতেন না। চিঠিগুলো থাকত তার আলমারির নিচের একটি টিনের বাক্সে।

একদিন রোকেয়া হঠাৎ করে বদলি হয়ে চলে গেলেন। কোথায় গেলেন কেউ জানে না। ফোনের যুগ তখনো পুরোপুরি আসেনি। শুধু একটা কথাই রটে—রোকেয়ার বিয়ে হয়েছে দূরের কোনো জেলায়।

সেই থেকে প্রতিদিন বিকেলে শামসুর রহমান বারান্দায় বসেন। চায়ের কাপ নিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকেন। মাঝে মাঝে মেঘ করে, মাঝে মাঝে বৃষ্টি নামে।

যেদিন খুব মেঘলা হয়, তিনি একেকটা চিঠি লেখেন—“রোকেয়া, আজ মেঘ জমেছে। তোমার মতোই নীরব।”

এভাবেই কেটে গেছে বছর দশেক। কেউ জানে না, এই বৃদ্ধ শিক্ষক কেন এখনো প্রতিদিন পোস্ট অফিসের সামনে দিয়ে হাঁটেন, কেন মাঝেমধ্যে কাগজে কিছু লেখেন আবার ছিঁড়ে ফেলেন।

একদিন বর্ষার সন্ধ্যায়, হঠাৎ পাড়ার ছোট্ট ছেলেটি—রায়হান—একটা খাম এনে দিল।
“চাচা, পোস্ট মাস্টার সাহেব বলল আপনাকে দিতে।”

শামসুর রহমান অবাক হয়ে খামটা খুললেন।

লেখা:
“শামসুর, আজ প্রথমবার সাহস করলাম। জানি, অনেক দেরি হয়ে গেছে। কিন্তু এই বৃষ্টিভেজা সন্ধ্যায় শুধু তোমার কথা মনে পড়ল। আমি এখনো বেঁচে আছি—একটি সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রিন্সিপাল। মনে আছে, তুমি বলেছিলে—‘রোকেয়া একদিন বড় হবে’। তুমি সত্যিই জানতে।’”

চিঠির নিচে স্বাক্ষর—রোকেয়া আক্তার।

শামসুর রহমান স্তব্ধ হয়ে গেলেন। হাত কাঁপছে, চোখ ঝাপসা। এত বছর পর, এই চিঠি—এ যেন মেঘের আড়াল থেকে রোকেয়ার হাসি।

পরদিন সকালে, শামসুর রহমান তার টিনের বাক্সটা বের করলেন। চিঠিগুলো আবার পড়তে লাগলেন একে একে। মনে হলো, প্রতিটি অক্ষর আজও জীবন্ত।

তারপর তিনি একটা সিদ্ধান্ত নিলেন—এই চিঠিগুলো সে এবার পাঠাবে।

পুরনো পোস্টকার্ডে সুন্দর হস্তাক্ষরে সে লিখল:
“রোকেয়া, তুমি সাহস করেছো, এখন আমার পালা। এই চিঠিগুলো তোমার, সব কথা যেগুলো আমি বলতে পারিনি—সব মেঘে ঢাকা ভালোবাসা।”

দুই সপ্তাহ পর, এক দপ্তরী এসে বলল—“স্যার, আপনাকে একজন খুঁজছে। বাইরে একজন ম্যাডাম গাড়ি থেকে নেমেছে।”

শামসুর রহমান বারান্দায় গিয়ে দেখলেন—একজন মাঝবয়সী নারী, চোখে চশমা, হাতে ছাতা, ভেজা শাড়ি।

রোকেয়া।

চোখে জল, মুখে দীর্ঘশ্বাস। কিছু না বলেই তারা দুজন একে অপরের দিকে তাকিয়ে থাকল কয়েক মুহূর্ত।

তারপর রোকেয়া ধীরে বলল, “চিঠিগুলো পেয়ে মনে হলো, আমি সময়ের অনেক ঋণী। তাই এলাম, মেঘের আড়াল ভেদ করে।”

শামসুর রহমান শুধু বললেন, “এতদিন পরও তোমার লেখা চিঠি আমার হৃদয়টাকে ভিজিয়ে দিল, রোকেয়া।”

বৃষ্টি তখন থেমেছে, কিন্তু চারপাশ এখনো ভেজা। পাখিরা ডাকে, বাতাসে শিউলি ফুলের গন্ধ।

মেঘে ঢাকা চিঠিগুলোর মতো, তাদের ভালোবাসাও আবার আলো দেখতে পেল।

お気に入り
コメント
シェア
さらに投稿を読み込む

友達から外す

友達を解除してもよろしいですか?

このユーザーを報告

オファーを編集

ティアを追加








画像を選択
ランクを削除する
この階層を削除してもよろしいですか?

レビュー

コンテンツや投稿を販売するには、まずいくつかのパッケージを作成します。 収益化

ウォレットで支払う

支払いアラート

アイテムを購入しようとしています。続行しますか?

払い戻しをリクエストする