মনে রেখো প্লিজ 🖤
পর্বঃ ১
মিসেস মিত্র সকাল সকাল হন্তদন্ত হয়ে ছুটে এলেন ওনার মেয়ের রুমে।
* সোনাই ওঠ তাড়াতাড়ি!!! ওঠ বলছি....উফ....
* উফ মা!!! কী শুরু করেছো সকাল থেকে বলতো? যাও এখান থেকে। ঘুমোতে দাও একটু.....উমমম.....
* তুই এক্ষুনি উঠবি!!!
* মা! প্লিজ....
মিসেস মিত্র ওনার মেয়ের একটা হাত ধরে টেনে তুলে বসিয়ে দিলেন বিছানার উপর। সোনাই তখনো চুলো ঢুলে পড়ছে। মিসেস মিত্র রেগে গিয়ে চিৎকার করে বললেন -- এইবার কিন্তু একটা কষে থাপ্পড় খাবি সোনাই!!!
থাপ্পড়ের নাম শুনেই সোনাইয়ের বিমুনি যা হয় উড়ে উধাও হয়ে গেল। গালে হাত দিয়ে গতবারের থাপ্পড়টা মনে করে করুণ দৃষ্টিতে মিসেস মিত্রের দিকে তাকাল।
মিসেস মিত্র কড়া গলায় বললেন -- এই শাড়িটা পরে এক্ষুনি রেডি হয়ে নিচে আয়।
বলে সোনাইয়ের কোলের উপর শাড়িটা ফেলে দিলেন। সোনাই শাড়িটা হাতে তুলে নিয়ে বলল -- শাড়ি??? মা, এটা একটু বেশি বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে না মা?
* (রেগে গিয়ে) বেশি ন্যাকামি না করে তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে রেডি হয়ে নিচে এসো। মাত্র কুড়ি মিনিট সময় দিলাম। এরমধ্যে আমি যেন তোমায় নিচে দেখতে পাই।
কথাগুলো বলেই দ্রুত পায়ে রুম থেকে বেরিয়ে গেল।
দেবা!
* এদিকে আমি মরছি আমার জ্বালায়....আর তোর আব্বার কথা মনে পড়ছে????
* না না....আমার এটাও মনে পড়ছে তোকে রণচণ্ডী দেবী শান্তি পরতে বলেছে। কিন্তু একটা কথা বলবো শাড়ি পরে তোকে হেব্বি লাগবে!!!
রিপম কথাটা শেষ করার সাথে সাথেই ফোনটা টুং টুং করে কেটে গেল....রিপম ফোনটা কান থেকে নামিয়ে বলল -- যাঃ, কেটে দিল?
কাঁদো কাঁদো মুখ করে নিজেই নিজেকে বলল - রাগ ভাঙ্গাতে এবার আবার পঞ্চাশ টাকা খরচা হয়ে একটা ডেয়ারিমিল্ক কিনতে....দূর....যেমন মা তেমনি মেয়ে....যে যখন পারে গোলপোস্টে ঢুকে গোল মেরে চলে যায়....ভগবান...তুমি এদের ক্ষমা করো না.....
রেডি হয়ে নিচে নেমে সোনাই দেখল বাড়ির বড়রা সকলে ছোটাছুটি করে কাজ করছে। এতো বাদিময় সাজগোজের বহর দেখে মনে মনে ভাবল-- বাড়ির ছেলে বাড়িতে ফিরছে...না হয় দশ বছর পর...তাই বলে এসব কী?? এগুলো দেখে তো বাইরের যে কারোর মনে হবে আমাদের বাড়িতে নতুন বৌয়ের গৃহপ্রবেশ ঘটবে!
উফফ, পারেও এরা!!!
দোতলা থেকে নিচে নামার সিঁড়ির শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে এসবই ভেবে যাচ্ছিল সোনাই। হঠাৎ ওর কাকিমা এসে ওর মুখটা তুলে বলল --
দেখি দেখি কী মিষ্টি লাগছে আমাদের সোনাইটাকে
সোনাইয়ের কাকিমার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ওর মাসি বলল --