গুল্মজাতীয় মাঝারি আকারের ঘন সবুজ পাতার ফাঁকে উঁকি দেয়া থোকা থোকা লাল অথবা গোলাপি বর্ণের নেরিয়ামকে দেখলে কেউ ভুল করেও ভাববে না যে এর মধ্যে লুকানো আছে প্রাণনাশের মারাত্মক বিষ! এর বৈজ্ঞানিক নাম Neriumoleander। গুল্মজাতীয় এই উদ্ভিদটি লম্বায় প্রায় ৬ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। পাতাগুলো সাধারণত দলাকারে একসাথে থাকে। পাঁচটি ফুল একসাথে দল বেঁধে থাকে। ফুল সাধারণত লাল, বেগুনি, সাদা, হলুদ ও কৃষ্ণাঙ্গ বর্ণের হয়ে থাকে। ফুলে হালকা সুগন্ধ থাকে। নেরিয়াম দ্বারা মানুষ ও পশু-পাখি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। উপসর্গের মধ্যে বমি বমি ভাব, নিম্ন রক্তচাপ দেখা যায়। এটি শুধু যে প্রাণনাশের কারণ, তা কিন্তু নয়। প্রাণ বাঁচানোর কাজও করে থাকে এই উদ্ভিদটি। যেসব হৃদরোগী ডিজিটালাইজড চিকিৎসাপদ্ধতি সহ্য করতে পারেন না, তাদের ক্ষেত্রে ওলন্দ্রিন ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আগে অনেকে প্রাথমিক চিকিৎসা হিসাবে এই উদ্ভিদের পাতা ডায়াবেটিস, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল হিসেবে এমনি সাপে কাটা অংশে ব্যবহার করতো। এমনকি আলসার, কুষ্ঠ রোগেও এই উদ্ভিদ ব্যবহার হতো।
Tanvir Tanvir Farhan
86 Blog posts